• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ
দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক দিন দিন কমেই চলেছে। পাঁচ মাসের ব্যবধানে ৩৫ লাখ গ্রাহক কমেছে। গ্রাহকরা জানান, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোই তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। বিটিআরসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী—২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজারে। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়। সবশেষ জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে। ইন্টারনেটের সমস্যা নিয়ে ফেসবুকের একটি গ্রুপে আলোচনা করে থাকেন গ্রাহকরা।  গ্রুপে সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন লেখেন, ‘ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ন্যূনতম ব্যবহারের জন্য সাতদিনের প্যাকেজ কিনতেও ২০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার অনেক সিমে ঠিকমতো নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। এজন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি।’ এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন সিদ্ধান্তে ছোট প্যাকেজ কেনা গ্রাহকরা ডাটা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে যারা তিনদিনের প্যাকেজ কিনতেন, এখন দাম বেশি বলে কিনছেন না তারা। তাই ইন্টারনেট গ্রাহকও কমছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে গ্রাহকরা কী বলেন, সেটা আমরা শুনবো এবং তা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৯

গ্রাহক পর্যায়ে কমবে জ্বালানি তেলের দাম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চলতি মাসে দেশে গ্রাহক পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমবে। রোববার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, নতুন ফর্মুলায় শিগগিরই দেশে প্রথমবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসেই গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের নতুন দাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রস্তাবিত নতুন দামের অনুমোদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর আগে গত ১ মার্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করবে। চলতি মার্চ থেকেই জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ এ পদ্ধতি কার্যকর হবে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেট্রোলিয়াম পণ্য (ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল) তথা সরকার যে সব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে, সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রকাশ করে সরকার। তবে প্রয়োজনে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে উক্ত নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে সরকার বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৩

গ্রাহক পর্যায়ে যত টাকা বাড়ল বিদ্যুতের দাম
এক বছরের মাথায় দেশে ফের গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে বেড়েছে ৭০ পয়সা। যা ফেব্রুয়ারি মাসের বিল থেকেই কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিদ্যুৎ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর কোন ব্যবহারকারীর কত বিদ্যুৎ বিল বাড়তে পারে, তা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য প্রতি ইউনিটে ৩৪ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। প্রতি ইউনিট ৬ দশমিক ৭০ টাকা থেকে ৭ দশমিক ০৪ টাকা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গড়ে দাম বেড়েছে পাঁচ ভাগ। অন্যদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে গড়ে দাম বেড়েছে ৭০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট ৮ দশমিক ২৫ টাকার বিপরীতে ৮ দশমিক ৯৫ টাকা হয়েছে। এখানে গড় সমন্বয় সাড়ে আট ভাগ। আবাসিক লাইফলাইন (০-৫০ ইউনিট) গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২৮ পয়সা বেড়েছে। দেশে ১ কোটি ৬৫ লাখ লাইফলাইন গ্রাহক রয়েছে। সরকার তাদের ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এ ধরনের গ্রাহকদের মাসিক বিল সর্বোচ্চ ২২ টাকা বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া ০-৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারী একজন আবাসিক গ্রাহকের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪১ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে এ ধরনের গ্রাহকের মাসিক বিল সর্বোচ্চ ৪০ টাকা বৃদ্ধি পাবে। একইভাবে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারী একজন আবাসিক গ্রাহকের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫৭ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে মাসিক বিল সর্বোচ্চ ১২২ টাকা বৃদ্ধি পাবে। আর অপেক্ষাকৃত বিত্তবান ১,২০০ ইউনিট ব্যবহারকারী একজন আবাসিক গ্রাহকের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১ টাকা ৩৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে মাসিক বিল সর্বোচ্চ ১,৪৪৩ টাকা বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে সেচ ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ২৫ পয়সা। সেচ গ্রাহকদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪৩ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে ৫০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী একজন সেচ গ্রাহকের মাসিক বিল সর্বোচ্চ ২৬২ টাকা বৃদ্ধি পাবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৪

প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ছে না গ্যাসের দাম
বরাবরের মতোই আরও একবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্ট হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমের শিরোনামকে কেন্দ্র করে। কিন্তু দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত বা সার উৎপাদন ও সিএনজির স্টেশনের জন্য ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে না। শুধু মাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অর্থাৎ সরাসরি প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ছে না গ্যাসের দাম। বাংলাদেশে গ্যাস ব্যবহারকারী বা গ্রাহকদের মোট আট শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭%, শিল্পে ২৩%, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮%, গৃহস্থালিতে ১০%, সার উৎপাদনে ৭%, সিএনজিতে ৪% এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১% গ্যাস ব্যবহৃত হয়। তবে যেই গ্রাহক শ্রেণীর কাছাই গ্যাস সরবরাহ করা হোক না কেনো, প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি এবং সরবরাহের মোট ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি প্রদান করতে হয়। এই গ্রাহক শ্রেণীগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুতে বাড়ানো হচ্ছে গ্যাসের মূল্য। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দেশের স্থানীয় উৎপাদন গড়ে প্রায় ২ হাজার ৫১ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘনফুট দৈনিক) ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কাতার ও ওমান থেকে বাৎসরিক ৫৬টি কার্গো ও স্পট হতে ২৫টিসহ মোট ৮১টি কার্গো হিসেবে আমদানিকৃত এলএনজি হতে গড়ে ৬৮৫ এমএমসিএফডি রিগ্যাসিফাইড এলএনজিসহ দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৭৩৬ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয়। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি/ ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার বেশি। কৃষি সেচ মৌসুমে, রমজান মাসে ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা থাকে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল মাস হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য গড়ে ১৩০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেখানে বর্তমানে গ্যাস ভিত্তিক গ্রিড-কানেক্টেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য গড়ে ৮৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। চলতি বছরে বিদ্যুৎ শ্রেণিতে এই বাড়তি গ্যাসের চাহিদা মেটাতে পেট্রোবাংলা দেশের অভ্যন্তরীণ গ্যাসের সরবরাহের পাশাপাশি স্পট মার্কেট হতে বর্ধিত সংখ্যক কার্গো আমদানি ও এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানের জন্য অনুরোধ করেছে। কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় সরবরাহ চ্যানেল ঠিক রাখতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে দুটি ফ্লোটিং স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এর সর্বোচ্চ রিগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা ব্যবহার করে দৈনিক ১০০০-১১০০ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করতে হলেও এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে অতিরিক্ত ১০টি স্পট কার্গো আমদানি করার প্রয়োজন হবে। কিন্তু কেনো গ্যাসের প্রতি নির্ভরশীলতা? অন্যান্য জ্বালানির দিকে কেনো ঝুঁকছে না বিদ্যুৎ বিভাগ? এর মূল কারণ বিকল্প জ্বালানিগুলোর মূল্য আরও অনেক বেশি। গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় ডিজেল ও ফার্নেস ওয়েল। উভয়ের দাম গ্যাসের তুলনায় বেশি। এ ছাড়াও ফার্নেস ওয়েল ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি ডলার খরচ করতে হয়, যার অভাব বর্তমানে বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই কমবেশি ভোগাচ্ছে। আর এ কারণেই অন্য জ্বালানির বদলে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতের অনুরোধ জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে গ্যাস ব্যবহারকারীদের পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি না হলেও অতিরিক্ত ভর্তুকি হ্রাসের জন্য এবং রাজস্বে চাপ কমাতে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সার্বিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য প্রতি ঘনমিটার ১৪.৭৫ টাকা (বৃদ্ধির হার ৫.৩৬%) এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা হতে ৩০.৭৫ টাকা (বৃদ্ধির হার ২.৫০%) নির্ধারণ করা হয়েছে। এই অতিরিক্ত মূল্যের কারণে প্রতি মাসে প্রায় ৮৬.২৫ কোটি টাকা আয় বাড়বে যেটি বাড়তি এলএনজি ক্রয়ে সহায়ক হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৩

গ্যাসের সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসবে : জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
আগামী চার বছরের মধ্যে দেশের সব গ্যাসের গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই কথা জানান তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী এই বিতরণ কম্পানির প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেটের ৫০ হাজার গ্রাহককে ইতোমধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। আরও দেড় লাখ গ্রাহককে অচিরেই প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই পরিকল্পনা দিকেই এগোচ্ছে জালালাবাদ গ্যাস। পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগের সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে।  নসরুল হামিদ বলেন, এখানে প্রিপেইড মিটারের জন্য একটি ডাটা সেন্টার চালু করা হয়েছে। গ্রাহকরা কখন কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করছেন, এই ডাটা সেন্টারের মাধ্যমে এর একটা ধারণা পাওয়া যাবে। কেউ হিসাবের বাইরে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে সেটাও এর মাধ্যমে বোঝা যাবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে। অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে যাচ্ছি বিতরণ কোম্পানিগুলোকে। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় গ্যাসের ৩০ লাখ মিটার স্থাপন করবে। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের তিন দিনের এই সিলেট সফরে সিলেট অঞ্চলের প্রত্যেকটি গ্যাস ফিল্ড ও প্রসেস প্লান্ট পরিদর্শন, মডেল পেট্রোল পাম্প উদ্বোধন, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধনসহ একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৮

টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোক করেন ইভ্যালির গ্রাহক
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাওয়া টাকা ফেরত পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ১৫০ জন গ্রাহক। এরমধ্যে একজন টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ জনের হাতে চেক তুলে দেন। বাকিরা বুথ থেকে চেক সংগ্রহ করেন। টাকা ফেরত পাওয়ার পর কুষ্টিয়া থেকে আসা সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, ইভ্যালিতে দুটি অর্ডার করেছিলাম। সেটির অর্ধেক টাকা আজ ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা সামনের কিস্তিতে পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে। ভাবতেই পারিনি যে টাকাগুলো ফেরত পাব। এখন আমি অনেক খুশি। আমি মাঝখানে মালয়েশিয়া চলে গিয়েছিলাম। টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোকও করেছি। কামরুল হাসান নামে আরেক গ্রাহক বলেন, আমি ২০২১ সালে অর্ডার করেছিলাম। কখনো ভাবিনি যে টাকা ফেরত পাব। ভেবেছিলাম এই টাকা জীবনেও তুলতে পারব না। তবে সবার প্রচেষ্টায় সেটি সম্ভব হয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা চাচ্ছি ধারাবাহিকভাবে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করে গ্রাহকের টাকা যেন পরিশোধ করা সম্ভব হয়। ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে আমরা আশা করি সময়সাপেক্ষ হলেও পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে পারব। ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল বলেন, ইভ্যালির কাছে পাওনা রয়েছে এমন প্রতিটি গ্রাহকের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন, অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।  এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগ) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন ও উপপরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিনসহ ইভ্যালির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়