• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি
দেশে শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি বিয়ে হচ্ছে। একইসঙ্গে তালাকের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে গ্রামের লোকজন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল প্রতি হাজারে ১২টি। আর গ্রামে এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৮। এ ছাড়া ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে বিয়ের হার ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল।  গ্রামে শুধু বিয়ে নয়, তালাকের হারও বেশি। ২০২৩ সালে গ্রামে তালাকের হার ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। শহরে তালাকের হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২২ সালে গ্রামে তালাকের হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহরে তালাকের হার ১ শতাংশ ছিল। তালাকের কারণ হিসেবে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদি রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে বিয়ের হার ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিয়ের হার কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। পাশাপাশি তালাকের হারও কমেছে। দেশে ২০২২ সালে তালাকের হার ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ।
৪ ঘণ্টা আগে

শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে রোজা শুরু
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও শরীয়তপুরের প্রায় ৩০টি গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা আজ সোমবার থেকে রোজা রাখা শুরু করেছেন। রোববার (১০ মার্চ) রাতে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরীফে পবিত্র রমজান উপলক্ষে তারাবির নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  রাত ৮টায় শুরু হওয়া প্রথম জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা জুলহাস উদ্দিন এবং সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল কাদির। জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সুরেশ্বরের ভক্ত ও অনুরাগীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করেন। এর মধ্যে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধ, চন্ডিপুরসহ ৩০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি রয়েছেন। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে তারা রোববার রাতে তারাবির নামাজ পড়ে ভোর রাতে সাহরি খেয়েছেন। আজ থেকে রোজা পালন শুরু করে আবার একদিন আগেই পবিত্র ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবেন তারা। এ বিষয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদীনশীন পীর শাহ মুজাদ্দেদী সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহিন নূরী বলেন, পৃথিবীতে চাঁদ একটাই। তাই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা তারাবি, রোজা ও ঈদ পালন করি। সুরেশ্বর দরবার শরীফের দুইটি মসজিদে প্রায় ১০০ বছর ধরে তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় জামাত মিলে প্রায় এক হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে এসেছেন।  তিনি বলেন, সুরেশ্বরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ৩০টি গ্রামের ২০ হাজার মুসল্লি সোমবার থেকে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১০:১৫

চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে রোজা শুরু
প্রতি বছরের মতো এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে রোজা শুরু হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ পড়ে সোমবার (১১ মার্চ) রোজা রেখেছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এসব গ্রামের মধ্যে রয়েছে- সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল, সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, গারাঙ্গিয়া, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়া। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এসব গ্রামে যারা রোজা পালন করছেন তারা মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারী। এ দরবারের অনুসারীরা দীর্ঘ ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের একই সঙ্গে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের ধারণা এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে এভাবে রোজা, ঈদ পালন করে আসছেন। মির্জারখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই’শ বছর আগে মির্জারখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাঁগীরি (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। এর ফলে অনুসারীরা সেভাবেই ধর্মীয় রিতিনীতি বা উৎসব পালন করে আসছেন।  এর আগে, মির্জাখীল দরবারের বর্তমান পীরের ভাই জালালুল হাই বলেছিলেন, আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী রোববার রাতে আমরা সেহেরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করব। সোমবার থেকে আমাদের প্রথম রোজা শুরু হবে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১০:০৩

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে আজ সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা পালন করা শুরু হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন দরবার শরীফের অনুসারীরা। হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল মহরম আলী ওয়ার্কফ এস্টেট জামে মসজিদের মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. হাবিব উল্লাহ জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে সেহরি খেয়ে আজ সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু করেছে। সাদ্রা দরবার শরীফের  পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, আগাম রোজা এবং ২ ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশ সমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাল্লাহ আজ সোমবার থেকে আমাদের গ্রামে রোজা পালন শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালন করে আসছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৭

চাঁদপুরে ৫০ গ্রামে রোজা শুরু সোমবার
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল সোমবার থেকে রোজা শুরু হবে। রোববার (১০ মার্চ) রাতে সৌদিতে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়া যায়। এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরিফের পিরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯৩২ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পির সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তিনি বলেন, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ, সোমবার থেকে আমাদের গ্রামে রোজা শুরু হবে। সোমবার থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা রোজা পালন শুরু করবেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৯

ফিলিপাইনে সোনার খনির গ্রামে ধস, মৃত ৫
ফিলিপাইনে দাভাও দে ওরো প্রভিন্সে প্রবল বৃষ্টির ফলে ধস নেমেছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৭ জন। উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে। দক্ষিণ ফিলিপাইনে মাসারা বলে যে গ্রামে ধস নেমে এই কাণ্ড হয়েছে, গ্রামটি সোনার খনির গ্রাম বলে পরিচিত। বুধবার সেখানে এই ধস নামে। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩১ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১১ জনের আঘাত গুরুতর। মাসারা গ্রামে বহু বাড়ি ও দুইটি বাস কাদামাটির স্রোত ও পাথরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ার ফলে এই ধস নামে। আঞ্চলিক বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থেমে যায়। রোদ ওঠে। তাই এরকমভাবে ধস নামবে, তা ভাবা যায়নি। উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য সেনা নামানো হয়েছে। তিনজন গুরুতর আহতকে চিকিৎসার প্রয়োজনে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই অঞ্চলে রাস্তা বলে আর কিছু নেই। সেলফোনের সিগন্যাল নেই। এখানে কাজ করাটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের।  মাসারা ও তার আশপাশের চারটি গ্রামের ২৮৫টি পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে বন্যা ও ধসের জন্য এখানে ১৮ জন মারা গিয়েছিলেন বলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১

মেয়েকে নিয়ে আর গ্রামে ফিরবেন না বাবা
'গ্রামের বাড়িতে গিয়া কী করবাম? মাইনষে নানা কথা কইবা। এইসব তো আমার ছেড়ি (মেয়ে) সইতা পারতা না। মাইনষের মুখ তো আর বাইন্দা রাখতাম পারতাম না। সবডাই আমারার মতা গরিবের দুর্ভাগ্য।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমনভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা বলছিলেন এক বাবা। গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভুলবশত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে ধর্ষণের শিকার হয় তার কিশোরী (১৪) মেয়ে। গতকাল দুপুরে লালমনিরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মেয়েটি। এরপর বিকেলে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাকে। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে লোকলজ্জার ভয়ে আর গ্রামে ফিরতে চাইছেন না অসহায় বাবা। সমাজের মানুষের কটু কথা থেকে মেয়েকে বাঁচাতে মুখ লুকাতে চান অচেনা মানুষের ভীড়ে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। মা–বাবার সঙ্গে সে গাজীপুরের জয়দেবপুরে থাকে। গত মঙ্গলবার রাতে তার জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুলবশত ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে উঠে পড়ে মেয়েটা। দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী তার টিকিট দেখতে আসেন। টিকিট না থাকায় আক্কাস গাজী তাকে একটি আসনে বসিয়ে দেন। এরপর আনুমানিক সকাল সাড়ে আটটার দিকে অ্যাটেনডেন্ট আসন থেকে তাকে কেবিনে এনে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করার পর আক্কাস গাজীকে (৩২) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা আক্কাসের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মামলাও করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত বুধবার আক্কাস গাজীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে গতকাল তার এক বাক্‌প্রতিবন্ধী ভাই ছাড়া অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। যাত্রীবাহী ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা। অপরাধীর দ্রুত ও কঠোর বিচারের দাবি জানানোর পাশপাশি কিশোরীর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা।  শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কিশোরীর বাবা জানান, মেয়েকে নিয়ে তিনি  আর গ্রামের বাড়িতে যাবেন না। শারীরিক ধকলের পর তার অবুঝ মেয়েটি কারও কটু কথা সহ্য করতে পারবে না। চলে যাবেন কোন অজানা শহরে, যেখানে কেউ চিনবেন না তাদের।    
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়