মৃত্যুর কারণ জানা গেল মহাসড়কে পড়ে থাকা সেই হাতির
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকা মৃত হাতিটি লিভার ডিসফাংশনে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন ভেটিরিনারি সার্জন। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটির মরদেহ গজারি বনে পুতে রাখা হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার পর হাতিটিকে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ২ নম্বর গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মৃত হাতিটির বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর হবে। এটি ছিল পুরুষ হাতি। দুপুরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশে ঘটনাস্থলেই হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় মৃত হাতিটির মাথায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে, দাঁতগুলো কে বা কারা উঠিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হওয়ার পর এখানে এনে ফেলে রেখেছে। হাতির দাঁতের মূল্য রয়েছে। হাতির দাঁতের জিনিস কেনাকে ‘গুড ইনভেস্টমেন্ট’ বলে ধরেন অনেকে। কারণ, এটি বিরল ও টেকসই। তাই মারা যাওয়ার পর হাতিটির দাঁত খুলে নেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিভার ডিসফাংশনের কারণে হাতিটি মারা গেছে। পোস্টমর্টেমের সময় লিভার, ফুসফুস ও পেরিটোনিয়াম নষ্ট পাওয়া গেছে।
উদ্যানের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুরে এলাকায় মৃত হাতিটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হায়দার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান যৌথভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভাওয়াল গজারি বনের ভেতর হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে