• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
চাঁদপুরে সাপের কামড়ে আল্লাদী বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আল্লাদী বেগম চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের পর্দানিয়া কান্দি গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী।  পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইফতারের পর ঘরের মাচায় পাটের শলা নামাতে গিয়ে সাপের কাপড়ে আক্রান্ত হন আল্লাদী বেগম। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার স্বামী ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক বিপ্লব সরকার বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

ফেনীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
নোয়াখালীর ফেনীতে ইয়াসমিন আক্তার (২৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের বাদাদিয়া গ্রামের রমজান আলী মিস্ত্রি বাড়িতে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইয়াসমিন ওই বাড়ির ওমান প্রবাসী মেহেদী হাসানের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘদিন ওমানে থাকেন। তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর পর তার স্বামীর পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছে। তবে গৃহবধূর বাবা সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছুট্টু মিয়া তার মেয়েকে শশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদীপ রায় পলাশ। তিনি বলেন, কীভাবে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৭

দরজা ভেঙে গৃহবধূর ঘরে যুবক, অতঃপর...
যশোরে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ঈমাম হোসেন (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার (৯ মার্চ) জেলার শার্শা উপজেলার এ ঘটনা জানাজানি হয়। গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবার জানিয়েছে, ওই দিন রাতে পরিবারের সবাই ওয়াজ মাহফিলে যায়। ওই গৃহবধূ অসুস্থ বোধ করায় তিনি ঘরের দরজা আটকে শুয়ে ছিল। এ সুযোগে ঈমাম হোসেন প্রথমে বাড়ির সামনের লাইট ভেঙে ফেলে, পরে ঘরের দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় গৃহবধূর গলায় ধারালো দা ধরে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ইমাম। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৬

তুরাগে স্বামীর হাতে নির্যাতিত গৃহবধূর হাসপাতালে মৃত্যু
রাজধানীর তুরাগে স্বামীর হাতে নির্যাতিত এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম লতিফা (২৮)। স্বামীর নাম রবিউল ইসলাম। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম মোল্লা। এস আই ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, লতিফার স্বামী তাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল তিন নম্বর খুঁটির কাছ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি। দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে দশটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার তারাবুনিয়ারচর গ্রামের ইমন সিকদার এর মেয়ে লতিফা। তার স্বামী রবিউলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:২৮

ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, দেবর আটক
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মেহেরুন্নেছা (২১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের দেবর মো. সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়াডে আলীপুর এলাকার হাজী কবির আহম্মদের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  নিহত মেহেরুন্নেছা ওই গ্রামের বশির আহাম্মদের পুত্র প্রবাসী ওয়াহিদুল আলম মঞ্জুর স্ত্রী এবং উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মিয়া মিস্ত্রীর বাড়ির আবদুল কাদেরের মেয়ে।  পুলিশ সূত্র ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিয়ের পর ছুটি শেষে মঞ্জু দেড় মাস পূর্বে বিদেশে কর্মস্থলে ফিরে যায়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মত খাবার শেষ করে নিজের রুমে ঘুমাতে যায় ওই গৃহবধূ। বুধবার সকালে পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজে চলে যায়।  এদিকে বেলা ১০টা পেরিয়ে গেলেও গৃহবধূ মেহেরুন্নেচ্ছা তার শয়ন কক্ষের রুম না খোলায় পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থা তার দেহ ঝুলছে।  খবর পেয়ে মডেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।  হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক আলি আকবর গণমাধ্যমকে বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেবরকে আটক করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১১

পাথরঘাটায় পারিবারিক কলহে গৃহবধূর আত্মহত্যা 
বরগুনার পাথরঘাটায় পারিবারিক কলহের জের ধরে রিনা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূর চাউলের পোকা দমনের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুক চরদুয়ানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  রিনা বেগম চরদুয়ানী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এমাদুল হকের স্ত্রী। রিনার ভাই শাহ জালাল বলেন, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিনাকে মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এর সূত্র ধরে তার স্বামীও কিছু কথা বললে তা মানতে না পেরে আমাদের বাড়িতে আসেন চলে আসেন রিনা। আমাদের বাড়ির সকলের অজান্তে চাউলের পোকা দমনের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মা রিনাকে এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।  রিনার স্বামী এমাদুল হক বলেন, আমার স্ত্রী রিনা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। কিছুদিন আগেও তাকে খুলনায় নিয়ে চিকিৎসা করেছি। এরপর বাবার বাড়ি গিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।  পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্ষক (ওসি তদন্ত) মো. সাইফুজ্জামান জানান, আমরা চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি রিনা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুরতহাল করা করেছে। পরবর্তী আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৮

খাটের ওপর পড়ে ছিল গৃহবধূর মরদেহ, পলাতক স্বামী
ঝিনাইদহে ঘরের খাটের ওপর পড়ে ছিল এক গৃহবধূর মরদেহ। মুঞ্জরী রানী (৪০) নামের ওই গৃহবধূর মরদেহের পাশেই ছিল তরকারি কাটা বটি। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এমন অবস্থায় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবরে পেয়ে শহরের কাঞ্চনপুর মধ্যপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় ওই গৃহবধূর মরদেহ। এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন মুঞ্জরী রানীর দ্বিতীয় স্বামী ইমন কুমার। মৃত মুঞ্জরী রানী শহরের চাকলাপাড়া এলাকার কালীকিংকর বিশ্বাসের মেয়ে। তিনি কাঞ্চনপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় স্বামী ইমন কুমারের সঙ্গে বসবাস করতেন। ইমনের বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিনদিয়া গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসে কাঞ্চনপুর উত্তর পাড়ার ভাড়া বাসায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস শুরু করেন মুঞ্জরী রানী। রোববার রাতে কিছু একটা শব্দ শুনে ওই বাড়িতে যান এলাকার কিছু মানুষ। পরে ঘরের দরজা খোলা থাকায় ভেতরে গিয়ে দেখা যায় বিছানায় মুঞ্জরী রানীর মরদেহ পড়ে আছে। মুঞ্জরী রানী ও স্বামী ইমন কুমারের মধ্যে কোনো ঝগড়া বিবাদের খবর শোনেননি বলেও জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় পাপড় বিক্রি করতেন মুঞ্জরী রানী। কিছুদিন আগে হামদহ জেলা পরিষদ মার্কেটে একটি দোকান নেন তার স্বামী। কয়েকদিন আগে থেকেই তার স্বামী ইমন দোকানে মালামাল তোলার জন্য শ্বশুরবাড়িতে টাকা চাচ্ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলাও হয়েছে শুনেছি। এসবের জেরেই এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটতে পারে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, মরদেহের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫২

ইজিবাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল গৃহবধূর
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া বকুলতলা এলাকায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধাক্কায় নার্গিস আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই এলাকায় শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত নার্গিস আক্তার হলেন শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া এলাকার আনিসুর রহমানের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া বকুলতলা এলাকায় শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক পার হচ্ছিলেন নার্গিস আক্তার। এ সময় শ্রীপুরগামী ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নার্গিস আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভূষণ দাস। তিনি জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ওই নারীকে নিয়ে আসা হয়। ওরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৮

দাফনের ২ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল হাই খোকন বেপারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে দাফনের করার ২ মাস পর আদালতের আদেশে গৃহবধূ শাহেনা আক্তারের (৩৪) লাশ উত্তোলন করেছে সিআইডি।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমার উপস্থিতে চরজব্বর থানা পুলিশের সহযোগিতায় গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন কর হয়। জানা যায়, মৃত গৃহবধূ শাহেনা আক্তারের পিতা আবুল হাসেম তার মেয়ের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দায়ী করে শাহেনার স্বামী বেলাল হোসেন (৩২) দেবর মাঈন উদ্দিন (১৯), মনোয়ারা বেগম (৩৫), আজাদ হোসেন (৩৮) ও শাশুড়ি মোকছেদা খাতুন (৬০) এদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত লাশ উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় বাদী আবুল হোসেন জানায়, ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত ৩টার সময় আমার মেয়ে শাহেনা আক্তার (৩৭) স্বামীর বাড়িতে মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে যায়। পরে মেয়ের লাশ তার স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ মৃত্যু আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি বলে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটনের জন্য মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও শাহেনার শশুরবাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে, যৌতুক, চিকিৎসায় অবহেলা ও পারিবারিক অশান্তির বিষয়ে মামলায় অভিযোগ করা হয়। গৃহবধূর স্বামী বেলাল হোসেন জানান, ২০১৯ আমার সঙ্গে শাহেনার আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমরা সুখী ছিলাম। আমার প্রথম ছেলে শিশুটি মারা যায়, দ্বিতীয় কন্যা শিশুর বয়স ৪ বছর। বিয়ের পর থেকে মারা যাওয়ার আগপর্যন্ত কোনো অশান্তি ছিল না আমাদের সংসারে। আমরা ভালোবেসে বিয়ে করি। সাংসারিক জীবনে কখনো আমাদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি ও সমস্যা হয়নি। মৃত্যুর পূর্বে আমার স্ত্রী ৮ মাসের গর্ভবতী ছিল। হঠাৎ ১৫ ডিসেম্বর রাতে সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে তার মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে সে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর পর উভয় পরিবার একত্রিত হয়ে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। তখন আমার শ্বশুরপক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি।  এ ছাড়াও উভয় পরিবার এক হয়ে পারিবারিক দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর দেওয়া জমির দখল ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কিছু দিন যাবত আমার শ্বশুরপক্ষ ঝামেলা করছে। জমির ভাগভাটোয়াকে কেন্দ্র করে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করতে এ মামলা করেছে আমার শ্বশুর। এ ঘনটায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নোয়াখালী সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়ে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯

স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে গৃহবধূর আত্মহত্যা
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের চরমহি উদ্দিন গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধুর নাম লিমা আক্তার (১৮) উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের চরমহি উদ্দিন গ্রামের দিনমজুর মো. রাজনের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের হক সাবের মেয়ে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লিমা আক্তারের স্বামী জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ করেন। লিমা বাবার বাড়িতে থাকেন। দুপুরের খাওয়াদাওয়া করে মোবাইল ফোনে তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলার পর সবার অগোচরে বিষ পান করেন লিমা। পরে লিমার মা বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে প্রথমে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গৃহবধূকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে লিমার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে অভিমানের জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন লিমা।   এ বিষয়ে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় চরজব্বর থানার অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়