• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
লক্ষ্মীপুরে শত্রুতার জেরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তারকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ (৫০) সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার সিরাজ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের রবু মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- এরশাদ (১৯), রিপন (২৩), জাকির (২১) রিমন (২৬), রাকিব (১৯), ইব্রাহিম (২৪) ও সাহেরা বেগম (৪০)।   এর মধ্যে রিপন, রাকিব, জাকির ও রিমন প্রধান আসামি সিরাজের ছেলে। এরশাদ ও ইব্রাহিম একই এলাকার মিজানের ছেলে। অপর আসামি সাহেরা মিজানের স্ত্রী।   র‍্যাব ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচকে কেন্দ্র করে ভিকটিম জোসনাদের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জেরে ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আহত অবস্থায় দুইজনকে আশপাশের লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত অবস্থায় আলা উদ্দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে। র‍্যাব-১১ এবং র‍্যাব-৭ এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলার ভিন্ন ভিন্ন থানা এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে মামলার ছয়জন এজাহারনামীয় ও একজন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

বাড়িতে একা পেয়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, প্রেমিক উধাও
পঞ্চগড়ে ঈদের দিন পরকীয়ার জেরে শাহনাজ পারভীন (২৪) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ শাহনাজ ওই এলাকার আবদুল মজিদের স্ত্রী। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সঙ্গে একটি ছুরি ও রক্তমাখা প্যান্ট জব্দ করেছে পুলিশ। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত বা অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এদিকে সকাল থেকেই পরকীয়া প্রেমিক রাজু পালিয়ে গেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল মজিদ ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজের সুযোগে প্রতিবেশী রাজু (২৭) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। ৮-৯ মাস আগে কিছুদিন নিখোঁজও ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। তবে বাড়ি ফিরলে প্রথমে তার স্বামী তার তাকে গ্রহণ করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে দুজনে সমঝোতায় আবারও সংসার শুরু হয়। এরপর গত চার মাস আগে স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে যান তিনি। তাদের সংসাদের ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও তিন মাসের একটি ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার ঈদের জন্য বাড়ি ফেরেন তারা। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন ঈদের নামাজে গেলে পরকীয়া প্রেমিক রাজু শাহনাজের ঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে এবং গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ সময় শাহনাজের মেয়ে মাইশা আক্তার চিৎকার করলে পালিয়ে যায় রাজু। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত গৃহবধূর মেয়ে মাইশা আক্তার বলেন, মাকে ছুরি দিয়ে মারে। আমি চিল্লাচিল্লি করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় রাজু। গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজুর সাথে আমার স্ত্রী মোবাইলে কথা বলত। চলেও গেছিল তার সাথে। তাকে একটি মোবাইল ফোনও দিয়েছিল সে। পরে আমার নামে মামলা করে। আমি সন্তানদের দিকে চেয়ে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। রাজু দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল যে, আমাকে শাহনাজের সাথে সংসার করতে দেবে না।   দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি ছুরি ও রক্তমাখা আলামত জব্দ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৪

ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
নরসিংদীর পলাশে শোবার ঘরে ঢুকে দেলোয়ারা বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগরদী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় দুর্বৃত্তরা।  দেলোয়ারা ওই গ্রামের মৃত মালেক দেওয়ানের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ারা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারের অভাব ঘোচাতে তার দুই ছেলে বিদেশে পাড়ি জমান। মেয়েদের বিয়ে হওয়ার পর তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর তরকারি কাটছিলেন দেলোয়ারা। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ কক্ষে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে রহস্য উন্মোচন হবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৭

গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যা, স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ আমেনা খাতুনকে (২১) নির্যাতনে হত্যার পর লাশ টয়লেটের ভেতর ফেলে স্বামীসহ শ্বাশুড়ি ও দেবর পালিয়েছে।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মাওনা ইউনয়নের চকপাড়া (সলিংমোড়) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধূ আমেনা খাতুন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কুটিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মাওনা ইউনিয়নের সলিংমোড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। স্বামী আনোয়ার হোসেন মাওনা ইউনিয়নের সলিংমোড় এলাকার মঞ্জুর আলীর ছেলে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। নিহতের মা মনোয়ারা বেগম তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেন। গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেন (২৫), শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৫০), দেবর দেলোয়ার (২২) এবং মামি শাশুড়ি রেনু আক্তার (৩৮) ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন। নিহতের মা মনোয়ারা বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েকে লোকজন নির্যাতন করত। তাদের অব্যাহত নির্যাতনে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার একাধিকবার সালিস বৈঠক করেও কোন সুরাহা করতে পারেনি। শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় মেয়ে মামি শাশুড়ি রেনু আক্তার ফোন করে জানায় আমেনা মারা গেছে। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখি বাড়ীতে কেই নাই। ঘরের ভেতরে টয়লেটে মেয়ের লাশ পড়ে আছে। আশপাশের লোকজনের কাছে শুনেছি শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে স্বামীসহ তার শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর এবং মামি শাশুড়ি আমার মেয়েকে অনেক নির্যাতন করে বাড়ীর পাশে রাস্তায় ফেলে রাখে। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় স্থানীয় আদম আলী গ্রহবধূকে রাস্তা থেকে তুলে এনে বাড়িতে দিয়ে গেলে আবার মারধর করে হত্যা করে লাশ টয়লেটে রেখে তারা পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা তাকে সবসময় নির্যাতন করত। তারা আমার মেয়েকে খুন করে আমার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে এবং দেড় বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। শ্রীপুরের মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মোল্লা বলেন, বসতবাড়ির একটি ঘরের টয়লেটের ভেতর থেকে গৃহবধূ আমেনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল করে লাশের থুঁতনির নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় রহস্য ও সন্দেহ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

সাঁথিয়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩ যুবক
পাবনার সাঁথিয়ায় এক গৃহবধূকে (২৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।  বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান। এর আগে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন সাঁথিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন (৩০), নুহ মোল্লা (২৮) ও সাইফুল ইসলাম (৩০)। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৯ ফ্রেবুয়ারি সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাঁথিয়ার বনগ্রাম বাজার থেকে বাড়িতে যাবার জন্য চরভদ্রকোলা নামক স্থানে অটোরিকশা থেকে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাবার সময় বটতলা নামক স্থানে তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে ও পা বেঁধে ফেলে তিন আসামি। পরে তারা চরভদ্রকোলা গ্রামের ডাঙ্গার চক নামক নির্জন মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে গৃহবধূকে পালাক্রমে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সাঁথিয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র‍্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে সাঁথিয়ার খাইলভরা মোল্লাবাড়ি ও আতাইকুলার ধর্মগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদেরকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাঁথিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:১২

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পেটালেন ইউপি সদস্য, সাংবাদিককে হত্যার হুমকি
নড়াইলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে গেলে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল শেখের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর ডুমুরিয়া গ্রামে মারধরের শিকার হন গৃহবধূ। ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম শান্তা আক্তার (৩৪)। ডুমুরিয়া গ্রামের সাফায়েত মোল্যার স্ত্রী ও যশোর সদর উপজেলার পিয়ারী মোহন রোডের মৃত কুদ্দুস আলীর মেয়ে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটনার দিন রাতে কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।   অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাসেল শেখ ডুমুরিয়া গ্রামের হেমায়েত শেখের ছেলে ও বাঐসোনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তিনি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।   এদিকে হত্যার হুমকি পেয়ে একই সময়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সাংবাদিক আমানত ইসলাম পারভেজ। দুই অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, সাফায়েতের সঙ্গে শান্তার ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী তাকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা শান্তাকে ফেলে সাফায়েত তার ৬ বছর বয়সী সন্তান নিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পালিয়ে ডুমুরিয়া গ্রামে চলে আসেন। যোগাযোগ করতে না পেরে শান্তা শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ডুমুরিয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে আসেন। এ সময় সাফায়েতের সহযোগিতায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল শেখ শান্তার বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে হত্যার হুমকি দেয় এবং তার পরনের কাপড় টেনেহিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। শান্তা আক্তার বলেন, আমার একটি ছেলে রয়েছে আর আমি এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রাসেল মেম্বারের পেটের আঘাতের কারণে আমার গর্ভের বাচ্চা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই ও আমাকে নির্যাতনের বিচার চাই।   সাংবাদিক আমানত ইসলাম পারভেজ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে নড়াগাতি থানায় যাই এবং নির্যাতিত গৃহবধূকে চিকিৎসার সহযোগিতা করতে চাইলে ইউপি সদস্য রাসেল থানার সামনেই আমার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়াসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। শান্তার স্বামী সাফায়েতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।   তবে ইউপি সদস্য রাসেল গৃহবধূকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করলেও সাংবাদিক পারভেজকে গালিগালাজ করার সত্যতা স্বীকার করেন।   তিনি বলেন, শান্তা ইতিপূর্বেও সাফায়েতের বাড়িতে এসেছে এবং নড়াগাতি থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ সেটিকে মীমাংসার চেষ্টা করেছে। শান্তা শুক্রবার আবার সাফায়াতের বাড়িতে গেলে সাফায়াতের বাবার ফোন পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। তবে শান্তার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি আমি। বাঐসোনা ইউপির চেয়ারম্যান মো. চুন্নু শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এর আগেও ওই গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। কালিয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পার্থ বলেন, এই গৃহবধূর পেটে আঘাতের কারণে সামান্য রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয়েছে কিনা পরীক্ষার পর জানা যাবে। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।   নড়াগাতি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৫

গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী আটক
নওগাঁর মান্দায় মল্লিকা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী মোহসীন আলীকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার চকখোপা গ্রামে তাদের শয়নকক্ষে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। মোহসীন আলী উপজেলার চকখোপা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে এবং নিহত মল্লিকা বেগম পার্শ্ববর্তী ভেবড়া গ্রামের মফের আলীর মেয়ে। তাদের একটি ছেলে এবং মেয়ে সন্তান আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মল্লিকা বেগম দীর্ঘদিন যাবত দাঁত এবং কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ থাকায় তাদের পরিবারে অশান্তি বিরাজ করছিল। কিছুদিন আগে তার একটি অপারেশও করা হয়েছিল। এরই জেরে হয়তো আজ ভোররাতে মল্লিকা বেগমের স্বামী মোহসীন আলী তাকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী মল্লিকাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মোহসীন। মল্লিকার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মল্লিকার মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।    
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৬

নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দিপালী রানী (৪২) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্বামী শ্যামল চন্দ্র দাসকে (৫০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বন্দরের লেজাস এলাকার একটি বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে গুরুতর আহত শ্যামল চন্দ্র দাসকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়ির ভাড়াটিয়া ও কেয়ারটেকার ফরিদা বেগম ও তার ছেলে সিয়ামকে আটক করা হয়েছে। তবে ফরিদার স্বামী পলাতক আছেন। নিহত দিপালী রানীর মেয়ে মলি বলেন, সকালে মাকে গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সেইসঙ্গে দেখি বাবা আহত অবস্থায় বেঁচে রয়েছেন। বাবা আমাদের হত্যাকারীদের বিবরণ দিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ফরিদার সঙ্গে গ্যাসের চুলায় রান্না নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল আমাদের। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই আমার মাকে হত্যা ও বাবাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত স্বামীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদা ও তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত বলতে পারবো।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৭

ভোটের রাতে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ : আসামি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন রাতে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।   গ্রেপ্তার মো. মিন্টু ওরফে হেলাল উপজেলার মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে। জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্থানীয় রুহুল আমিনের নেতৃত্বে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অভিযোগপত্র দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন। গত সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ মামলার পলাতক এক মাত্র আসামি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মিন্টু ওরফে হেলালকে র‌্যাব-১০ এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে চরজব্বর থানার পুলিশ। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।    
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯

চোখে-মুখে আঠা লাগিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যা জানাল চিকিৎসক
খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা লাগিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূকে (৪৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চোখ ও মুখের আঠা অপসারণ করা হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল থাকায় তিনি কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসক জানান, চোখে ও মুখে এভাবে আঠা লাগানো অবস্থায় কোনো রোগী আগে দেখিননি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই নারীর ছেলে বলেন, সোমবার রাতে তার মায়ের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তিনি কথা বলতে পারছেন না। কিছু বলতে গেলে ইশারা করছেন। তার মায়ের শরীর এখনও বেশ দুর্বল। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-২-এর সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক মো. কনক হোসেন বলেন, হাসপাতালে যখন আনা হয়, তখন ওই রোগী পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন তেমন নয়। তবে তিনি একটু অবচেতন অবস্থায় ছিলেন। চোখের পাতা ও দুই ঠোঁট শক্ত আঠা দিয়ে লাগানো ছিল। রোগীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়ের দাগ ও ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন ছিল। অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আঠা অপসারণ করা হয়। এরপর রোগীকে পাঠানো হয় চক্ষু ওয়ার্ডে।  তিনি বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ছিল, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাই চক্ষু ওয়ার্ড থেকে তাকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। তবে এর আগে কখনও চোখে ও মুখে এভাবে আঠা লাগানো অবস্থায় কোনো রোগী দেখিনি। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় কেউ মামলা করেননি। তবে অপরাধীদের শনাক্ত করতে অভিযান অব্যাহত আছে। এর আগে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে খুলনার পাইকগাছায় চোখ-মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা দিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় গৃহবধূর কানের দুল ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর ছেলে বাগেরহাট ও মেয়ে খুলনায় থেকে পড়ালেখা করে। রোববার রাতে তার স্বামী ব্যবসায়িক কাজে গড়ুইখালী বাজারে ছিলেন। এ সুযোগে ভোর তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা মই দিয়ে ছাদে যায়। এরপর সিড়ির দরজা ভেঙে গৃহবধূর বেডরুমে প্রবেশ করে তার চোখে ও মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা দিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূর কানের দুল ও গলার চেনসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, গৃহবধূকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়