• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
নারায়ণগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৮
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমির ব্যবসা নিয়ে পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশুসহ অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- ৯ বছরের শিশু মো. আরিফ, মুক্তার হোসেন (৬০), মো. আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), নুর হোসেন (২৪) ও রোমান (২০)। তারা সবাই মোশারফ হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় রফিকুলের অনুসারী কারও আহত হওয়ার খবর জানা যায়নি। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত ব্যক্তিরা শটগানের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার রাতে রফিকুল ইসলামের অনুসারী নাওড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হোসেন নামে এক তরুণকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করলে এর জেরে সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন। তিনি বলেন, পুরোনো বিরোধ থেকে রোববার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জেরে আজ সকালে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এ ঘটনায় আটজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন বলে জেনেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাওড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত, গুলিবিদ্ধ ১ 
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত কিশোর সাদ্দাম (১৩) উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়ইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। আহত হয়েছেন ওই গ্রামের মৃত সাদই মিয়ার ছেলে ছিদ্দেকুর রহমান (৩৬)। জানা যায়, রোববার বিকলে নিহত সাদ্দাম তার পরিবারের গৃহপালিত দুটি গরু আনতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে যান। এ সময় সাদ্দাম তাদের গরু আনতে গেলে সীমান্ত এলাকার ৪৩ নম্বর মূল পিলারের কাছে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর উনকোটি জেলার মাগুরউলি এলাকায় বিএসএফের একটি টহল দল তাকে মারধর করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সাদ্দাম মারা যান। এ সময় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ছিদ্দেকুর রহমান নামের আরও এক ব্যক্তি।  আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হরি জীবন বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো এখন বিএসএফের সঙ্গে আছি।  কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, নিহত সাদ্দাম ও আহত ছিদ্দেকুর রহমান এলাকায় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে স্থানীয় সবশ্রেণির মানুষকে নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় করা হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র চোরাচালান কাজ বন্ধ করেনি।  কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। যতটুকু জেনেছি সাদ্দামকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। এ দিকে আহত ছিদ্দিককে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০১:০০

বাংলাদেশে পালিয়ে এলেন ১৭৯ বিজিপি, দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ মেম্বার
মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে পর্যুদস্ত হয়ে আবারও বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে এ পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ১৭৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১১ বিজিবির অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের দেখতে গিয়ে বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর জামছড়ি ওয়ার্ডের মেম্বার সাবের আহমদ। স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার বিকেলে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের দেখতে সীমান্তবর্তী জামছড়ি এলাকায় ভীড় করেন উৎসুক জনতা। এ সময় হঠাৎ মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া একটি গুলি এসে লাগে মেম্বার সাবের আহমদের কোমরের ডান পাশে। সাবের আহমদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এবং বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনও। আহত এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।  এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মি ও স্বাধীনতাকামী নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর যৌথ স্বশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের জান্তা সমর্থিত সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
১২ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৬

কুমিল্লায় কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ, তিনজন গুলিবিদ্ধ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় কুমিল্লা নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের মুন্সি এম. আলী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশেই ঘোড়া প্রতীকের সমর্থিত জহিরুল আহমেদ ও তুহিন নামের দুই ব্যক্তিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।  এদিকে দুপুর ১২টায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপাড়া এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সুজন দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়। আহতদের প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এর মধ্যে গুরুতর আহত তুহিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।  এ ঘটনায় আহত জহির বলেন, ভোট ক্যাম্পের পাশে আমি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কিছু সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে।   এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, বিষয়গুলো জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৬

কুমিল্লায় ভোটকেন্দ্রের পাশে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচনে নগরীর একটি ভোটকেন্দ্রের পাশে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ দুইজন আহত হয়েছেন।  শনিবার (৯ মার্চ) ভোটগ্রহণ চলাকালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার হাসান আহমেদ কামরুল বলেন, ঘটনাটি ভোটকেন্দ্রের সীমানার বাহিরে ঘটেছে। আমি বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছি।  রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  উপনির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন।  কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে লড়ছেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার ও হাতি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম।  নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনকালে নিরাপত্তার জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ টিমে ৯৩৯ জন র‍্যাব সদস্য, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে ১ হাজার ৩৩৯ জন ও ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে আছে। এর বাইরে দুই থানার দুটি টিম রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে আছে।  
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩০

গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় একটি মাছ ধরার ছোট ডিঙি নৌকায় নাফ নদী পার হয়ে তারা কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছান। জেটিঘাটের ঝুপড়ি দোকানদার মো. সেলিম জানান, মিয়ানমারের একটি ডিঙি নৌকা শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছায়। তাতে একজন গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন। নৌকায় ওই রোহিঙ্গা নারীর শরীরে স্যালাইন চলছিল। এ বিষয়ে শাহপরীর দ্বীপের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, বিকেলে একটি ডিঙি নৌকায় মিয়ানমার থেকে পাঁচ রোহিঙ্গা এসে আমাদের জেটি ঘাটে পৌঁছেন। শুনেছি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। টেকনাফ থানার পরিদর্শক ওসমান গণি বলেন, মিয়ানমারের ওপার থেকে ছোট ডিঙি নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে ৫ জন রোহিঙ্গা শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে  চলে এসেছে। এর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ নারীও রয়েছেন শুনেছি। তবে এ বিষয়ে টেকনাফ বর্ডার গার্ড-বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী কয়েক মাস গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। এসব রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সরকার নানানভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪৪

সাজেকে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ, শিশু গুলিবিদ্ধ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গণ্ডাছড়া এলাকায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসিত ও জেএসএস সন্তুলারমা দলের সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সাজেক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার ও শিয়ালদালুই মৌজার হেডম্যান জৈপুইথাং ত্রিপুরা গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ৩টা থেকে থেমে থেমে আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে বাহির থেকে দৌড়ে ঘরে যাওয়ার সময় রোমিও ত্রিপুরা নামে একটি শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজিবির শিয়ালদালুই বিওপিতে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়িতে পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ রোমিও ত্রিপুরা গণ্ডাছড়া এলাকার ফবেন ত্রিপুরার ছেলে। সাজেক থানার সার্কেল অফিসার ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহত শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি পাঠানো হয়েছে। এদিকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তবে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস সন্তুলারমার দলকে দায়ী করে ইউপিডিএফ। এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন তিন দিনের অবকাশ যাপনে সাজেক অবস্থান করছেন। এ কারণে সাজেকসহ আশপাশের এলকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি নজরধারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এএসপি আবদুল আওয়াল।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২২

সীমান্তে একদিনে ৫ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ও থাইংখালী এলাকায় চারজন এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কক্সবাজারের আহতরা হলেন পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকার আয়ুবুল ইসলাম, রহমতেরবিল এলাকার আনোয়ার হোসেন, পুটিবনিয়া এলাকার মোবারক হোসেন ও মো. কালা। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ও মোবারকের অবস্থা গুরুতর।  এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে সৈয়দ আলম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি আহত হন। গোলাগুলির কারণে নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি প্রথমে গাছে লাগার পর সৈয়দ আলমের কপালের পাশ দিয়ে চলে যায়। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, মিয়ানমারে সংঘাত বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি, মর্টারশেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাইশ পারি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ২০ পরিবার, ভাজাবনিয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, তুমব্রু কোনার পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, ঘুমধুম পূর্ব পাড়া থেকে ২০ পরিবার, তুমব্রু হিন্দু পাড়া থেকে ১০ পরিবার  নিরাপদ আশ্রয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৮

গুলিবিদ্ধ মিয়ানমারের ৯ সীমান্তরক্ষীকে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের জান্তা সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাদের নাম জা নি মং, নিম লাইন কিং, ক্যে থিন সিন, ইয়ো ফো, মং র, মুলিউন থং, কিন মং জ এবং আরও ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। আরও বেশ কয়েকজনকে কুতুপালংয়ের এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির অন্তত ৯৬ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। শরীফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ঢুকে পড়া বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বিজিবি। তাদের মধ্যে আহত ১৫ জন বিজিপি সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৬

সীমান্তের ওপারে তুমুল যুদ্ধ, গুলিবিদ্ধ ৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে ৩ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের গোলাগুলির সময় ছোড়া গুলির আঘাতে তুমব্রু হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা রবীন্দ্র ধর, কোনার পাড়ার বাসিন্দা শামসুল আলম ও এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সবাই হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া। গোলাগুলিতে কোনাপাড়ার কয়েকটি ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ দিকে জানা যায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান যুদ্ধে অনেকটাই কোণঠাসা সামরিক জান্তা। তাদের সামরিক জান্তা বাহিনীর বিওপি বা চেকপোস্ট দখল করা নিয়ে মরিয়া বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত থেকে থেমে থেমে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তাদের ছোড়া গুলি, মর্টারশেল ও রকেট লাঞ্চারের বিস্ফোরিত অংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকায় বসতঘরের ওপরে এসে পড়ে।  আজ ভোর থেকেই মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লাঞ্চারের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা। তুমুল লড়াইয়ের এক পর্যায়ে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির লাগাতার আক্রমণে ক্যাম্প ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় সামরিক জান্তা বাহিনীর সদস্যরা। বিকেল নাগাদ জান্তা বাহিনীর ৫৮ বিজিপি সদস্য ক্যাম্প ছেড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহআল মাসরুকি। এ দিকে ব্যাপক এ গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পুরো এলাকার বাসিন্দারা। ভয়ে ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। অনেকেই প্রাণের ভয়ে নিরাপদে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত ঘরে বসেই কাঠিয়েছে। ভয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছে না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজ করতেও ভয় পাচ্ছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুম-তুমব্রুতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা জনিত কারণে ৫টি বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের চলাচল সীমিত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়