• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সামাজিকমাধ্যমে গুজব প্রতিহতে ব্যবস্থার নির্দেশ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) সভাপতি কাজী কেরামত আলীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা হয় এবং প্রথম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনের চলমান কার্যক্রমসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিগত অর্থবছরগুলোর খাতওয়ারি অর্থ বরাদ্দ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে গঠনমূলক সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের চিত্র তুলে ধরার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। এ সময় কমিটি কর্তৃক সুষ্ঠু ও সুষম বিজ্ঞাপন বণ্টন নীতি বাস্তবায়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। বৈঠকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ সর্বস্তরের স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. শিবলী সাদিক, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আলী আজম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এবং মো. আফজাল হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ, বিটিভির কর্মকর্তারা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৭

গুজব প্রতিরোধে প্রয়োজনে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ করবে সরকার
সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গত ৩১ মার্চ। তবে এর প্রক্রিয়া কী হবে এবং আদৌ সেই পদক্ষেপে সরকার যাবে কী না তা এখনো স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সচিব মো. নূরুল হাফিজ বলেন, মন্ত্রিসভা কমিটির ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা তো বলেছি যদি আমাদের কথা না শোনে তাহলে বন্ধ করে দেব। ৩১ মার্চ মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয় আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ, গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব বন্ধ থাকবে। এদিকে বাংলাদেশ চাইছে মেটা বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করুক। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মেটার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের অনুরোধ করেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সরকার ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর একটা প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। তারা চাইছে তারা যখন চাইবে তখন যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথ্য দেয়। সরকারের আপত্তির কনটেন্ট সরিয়ে ফেলে বা ব্যক্তির ব্যাপারে তথ্য দেয়। কিন্তু বাস্তবে এটি সম্ভব নয়। কারণ ফেসবুকের নিজস্ব নীতি আছে। তারা তার ভিত্তিতে চলে। তবে তারা মনে করেন, ফেসবুকের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস তত ভালো নয়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে ভালো প্রতিকার পাওয়া যায় না। ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি যে ওটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা উচিত নয়। কিন্তু সেটার ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। তবে সরকারের দিক থেকে যে রিকোয়েস্টগুলো যায় সেগুলো যে সব ভ্যালিড রিকোয়েস্ট তা নয়। সরকারের অনুরোধে ফেসবুক যদি সব সরিয়ে ফেলত তাহলে আমরা হয়তো অনেক তথ্য জানতেই পারতাম না। আবার কোনো ব্যক্তির তথ্য প্রকাশ করলে তার নিরপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারত। ব্যক্তির ক্ষেত্রে তারা অত নজর না দিলেও কোনো সরকারের পক্ষ থেকে যখন কোনো রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় তখন তারা সেটাকে গুরুত্ব দেয়, তারা যা করার বুঝেশুনেই করে, বলেন তিনি। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, সরকার যে বলছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাদের কথা শুনছে না, কী শুনছে না তা আমরা জানতে চাই। সরকার কী চায়, কোন ব্যাপারে ব্যবস্থা চায় তা যদি সরকার প্রকাশ করতো তাহলে আমরাও বুঝতে পারতাম সরকারের চাওয়া কতটা যৌক্তিক। তারা (সরকার) এমন কিছু রিকোয়েস্ট পাঠান যা ব্যক্তিকে টার্গেট করে, কোনো ঘটনাকে টার্গেট করে যার মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। সেগুলো তো ফেসুক ইউটিউবের গ্রহণ করা উচিত না। তারা করেও না, বলেন তিনি। তবে তার মতে, সরকারের অনুরোধ তারা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখলেও ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাদের সার্ভিস ভালো না। তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস আরো উন্নত করা উচিত। সুমন আহমেদ সাবির বলেন, সরকার চাইলে ফেসবুক ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া সরকার নিতে পারবে কী না সেটাই প্রশ্ন। দেশের টেলিযোগাযোগও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর হয়ে পড়ছে। এর আগে সরকার নানা ঘটনায় দুই-একবার চেষ্টা করেছে সফল হয়নি। অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, দেশের দুই লাখ ৫০ হাজারের মতো মানুষ এখন ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত। এরমধ্যে অর্ধেক এফ কমার্স। তাই সরকার এটা বন্ধ করতে গেলে দেশের অর্থনীতি বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বে। আর ফেসবুক বন্ধ করলে অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। একটির সাথে আরেকটি যুক্ত। মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল বলেন, ফেসবুক বা মানুষের কথা বলার, মুক্ত চিন্তার কোনো প্ল্যাটফরম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার যদি মনে করে যে তারা যৌক্তিক কথাও শুনছে না তাহলে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা আরো বাড়তে পারে। এখানে আইন কানুনের সমস্যা থাকতে পারে। এই ধরনের প্ল্যাটফরম যদি কোনো অন্যায় করে তাহলে দেশীয় আইনে ধরা না গেলে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা করতে পারে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামেও নিয়ে যাওয়া যায়। আর তা করতে হলে সরকারের অবস্থান সঠিক হতে হবে, মনে করেন তিনি। বাংলাদেশের কিছু আইন নিয়ে ফেসবুকের ভিন্নমত থাকার কারণেই তারা হয়তো এখানে অফিস করতে চায় না। কারণ তখন ওই আইন তাদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হতে পারে। আর তারা যদি মনে করে অফিস না নিয়েই ব্যবসা করা যায় তাহলে তারা অফিস করবে কেন? সরকারের ভাবনা কী? আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিটিআরসি সচিব সচিব মো. নূরুল হাফিজ বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমরা জানা নাই। আমরা সরকারের দিক থেকে এধরনের কোনো নির্দেশনা পাই নাই। তিনি বলেন, মেটা (ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ, বৈঠক এবং আলোচনা হয়। ফেসবুকের সঙ্গে দুই মাস পর পর বৈঠক হয়। আমরা আমাদের বিষয়গুলো শেয়ার করি, আলোচনা করি। ইউটিউব যে দেড় লাখ কনটেন্ট সরিয়েছে তা আমরা বলেছি বলেই সরিয়েছে। তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা যে বিষয়গুলো পাঠাই তার সবই তারা অ্যাড্রেস করে। তবে প্রতিকার পাই শতকরা ৪০ ভাগের মতো।  আর আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা তো বলিনি এখনই বন্ধ করব। যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তারা আমাদের কথা না শোনে তাহলে বন্ধ করব। বন্ধ করার মত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কী না? প্রশ্নটি দুইবার করার পরও তিনি কোনো জবাব দেননি। বাংলাদেশে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি। ফেসবুকের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ বাড়ানোর সঙ্গে অনুরোধের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মেটার কাছে তথ্য চেয়ে ৯৮৮টি আবেদন করে বাংলাদেশ সরকার। এরমধ্যে সরকারের ৬৭ শতাংশ আবেদনে সাড়া দিয়েছে মেটা। একইসময়ে বাংলাদেশের দুই হাজার ২২৭টি কনটেন্টে রেস্ট্রিকশন দিয়েছে মেটা। ওই সময়ে ৯৮৮টি অনুরোধের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ছিলো ৯৫৬টি এবং জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেয়ার অনুরোধ ছিলো ৩২টি। আবেদনের অধীনে মোট এক হাজার ৪৫৪ টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চায় সরকার। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার মেটার কাছে ৮৩৬টি অনুরোধ করেছিল। এদিকে ইউটিউব গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিন মাসে বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালে এক বছরে বাংলাদেশের ছয় লাখ ৩৮ হাজার ভিডিও অপসারণ করেছে তারা। আর টিকটক গত বছরের একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে আপ করা ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও মুছে ফেলেছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৫

ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি : রেলমন্ত্রী
ষড়যন্ত্র করাই বিএনপির কাজ মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, জনগণ জানেন কারা গুজব সৃষ্টি করে, কারা ট্রেনে আগুন দেয়, রেললাইনকে ধ্বংস করে। কিছুদিন আগে গোপীবাগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল বিএনপি। যেটা পুরো জাতি দেখেছে। যে আগুন ধরিয়েছিল সে নিজেই সব স্বীকার করেছে। আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই, এটি গুজব। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আসন্ন ঈদে টিকিট কালোবাজারি রোধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট অনলাইনে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। আমরা এবার প্রতিটি টিকিটের মোবাইল নম্বর যাচাই করব। প্রতিদিনের তালিকা অনুযায়ী এনআইডি নম্বরগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনোরকম অনিয়ম ধরা পড়লে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সহজ ডট কমের সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ১৭ মার্চ রেলের ৯টি কোচ লাইনচ্যুতির ঘটনার সঙ্গে আগুন-সন্ত্রাসী বিএনপি ও বিএনপি সমর্থনকারী জামায়াত জড়িত দাবি করে রেলমন্ত্রী বলেন, যে ব্যক্তি ফিস প্লেট খুলছিল, সে ধাওয়া খেয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেছে। তার আইডি কার্ডসহ কাগজপত্র পাওয়া গেছে। সে মূলত কিছু টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছে। বিএনপি-জামায়াত এগুলো করে জনসমর্থন পাচ্ছে না। বরং আস্তে আস্তে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা জানে মানুষ তাদের ভোট দেবে না, সেজন্যই এসব অপকর্ম করছে তারা যোগ করেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:০৩

প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজব ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে গুজব ঠেকাতে বড় পরিসরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলেও শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এ কারণে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন ও শিখন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অর্থে মেধাবী ও কর্মোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া শুধু বার্ষিক পরীক্ষা কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা নয়, সারা বছর শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হবে। এর আগে, সকাল ১০টা থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। আর বিদেশের ৮ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩

গুজব রটনাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি আরাফাতের
সরকারের গুজব রটনাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতা-বিচ্যুতি নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা করা যাবে, তবে অপতথ্য বা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। তবে তিনি চান, সমালোচনা যেনো ব্যর্থতা-বিচ্যুতি নিয়ে হয়। কোনো অপপ্রচার, অপতথ্য বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ যেন দেশের বিরুদ্ধে কাজ করতে না পারে, সেটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অর্ধসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে দেশ, পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়।  এরপর গণমাধ্যমগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব গণমাধ্যম পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে, তারা টিকবে। যাদের পেশাদারিত্ব নেই, তারা টিকবে না। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের অনুমোদন লাগে। বিশ্বের অনেক দেশেই কোনো অনুমোদন লাগেনা। সেটাও ভাবতে হবে। আরাফাত আরও বলেন, সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি এগিয়েছে, সেটা মেনে নিতে হবে। ছাপা পত্রিকা অনলাইনে এসেছে, সেখানে টকশো করছে। আবার টিভি চ্যানেলগুলোও অনলাইনে নিউজ করছে। এই সবকিছুই মেনে নিতে হবে। তবে তা নিয়মের মধ্যে থেকে করতে হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

‘এসব বলে আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে’
এ প্রজন্মের অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা। একটি মোবাইল ফোন ব্র্যান্ডের ডকুমেন্টারি দিয়ে নতুন বছর শুরু করেছেন তিনি। এবার অভিনেত্রী জানালেন তাকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।   গুঞ্জন উঠেছে অভিনয় থেকে নাকি বিদায় নিয়েছেন আইরিন। তবে বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান তিনি। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত ও কাজের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন আইরিন।  তিনি বলেন, কখনোই কিন্তু অভিনয়কে বিদায় বলিনি আমি। অনেকে এসব বলে আমাকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছেন। আমি নাকি আর কাজ করব না। আসলে যারা এই গুজব ছড়িয়েছেন তারা নিজেরাও কিন্তু আমাকে কখনও কাজে ডাকেননি। মাঝখান থেকে আমার ক্যারিয়ারে আঘাত করে বসলেন। ২০২১ সালেও ‘কাগজ’ করেছি। ২০২২ সালে আরও চার-পাঁচটা সিনেমা করেছি। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যও তো করেছি। এটাকে কি অনিয়মিত অভিনয় বলা যায়? নিজের চাকরির প্রসঙ্গে আইরিন বলেন, আমি একটি চাকরি করতাম। সেই চাকরির পাশাপাশি অভিনয়টা চালিয়ে গেছি। তবে সেই ছেড়ে দিয়ে এখন নতুন চাকরি খুঁজছি। শুধু অভিনয় করে সৎ পথে জীবন যাপন করা খুব কঠিন। নিজের সততা কখনোই বিসর্জন দিতে চাই না।  তাই অভিনয়ের পাশাপাশি একটা ভালো জীবনযাপনের জন্য চাকরিও করতে চাই। অন্যের দ্বারস্থ যেন না হতে হয়। আশা করছি এ বছর আমিও কাজ শুরু করতে পারব।  প্রসঙ্গত, শিগগিরই মুক্তি পাবে আইরিন অভিনীত ও জেসমিন আক্তার নদীর নির্মিত ‘চৈত্র দুপুর’। এ ছাড়া বুলবুল জিলানীর ‘রৌদ্রছায়া’, সাঈফ চন্দনের ‘দুনিয়া’, ‘হৃদ মাঝারে তুমি’ ছবিগুলোও ঈদের আগে একে একে মুক্তি পাবে বলেও জানান তিনি।   
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৯

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ৫৬টি গুজব ছড়িয়েছে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে গত তিন মাসে সর্বোচ্চ ৫৬টি গুজব ছড়ানো হয়েছে।  আর এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম। যদিও এ প্রতিষ্ঠান দুটি নির্বাচনি গুজব ঠেকাতে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল।  রিউমর স্ক্যানার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের মাসভিত্তিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংখ্যার দিক থেকে ডিসেম্বরে ২১৫টি, নভেম্বরে ১৭৫টি, অক্টোবরে ২১০টিসহ মোট ৬০০টি গুজবের ঘটনা চিহ্নিত করা গেছে। যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গত ডিসেম্বরে জানায়, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নির্বাচন সংক্রান্ত মিথ্যা কিংবা উসকানিমূলক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে তাদের ৪০ হাজার কর্মী কাজ করছেন। নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট যেকোনও তথ্যের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৮ নভেম্বর বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নির্বাচন নিয়ে পলিসি ঘোষণা করে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। বিটিআরসি বলছে, গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ফেসবুক, টিকটক ও গুগলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাতে সাড়া দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে গুজব ছড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে ২৪টি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়ে ১৮টি, কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে উদ্ধৃত করে ১৭টি গুজব চিহ্নিত করেছে রিউমর স্ক্যানার। মোট রাজনৈতিক গুজবের ৮৩.৭০ শতাংশ জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক। অক্টোবরে রাজনীতি বিষয়ক ৮৪টি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন তৈরি করেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে নির্বাচনকে জড়িয়ে ছিল ৬৫টি। নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির রাজনীতি বিষয়ক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন ৭৬টি। এর মধ্যে নির্বাচনকে জড়িয়ে ছিল ৬৬টি। সর্বশেষ ডিসেম্বরে তাদের রাজনীতি বিষয়ক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন ১১০টি। এর মধ্যে নির্বাচনকে জড়িয়ে ছিল ৯৫টি। রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র গত তিন মাসে সর্বোচ্চ ৫৬টি গুজব ছড়ানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে। এর বিপরীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে ৭টি, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে জড়িয়ে ৬টি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে নিয়ে ৪টি, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরকে নিয়ে ৪টি, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে নিয়ে ৩টি করে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে ৩টি গুজব ছড়ানো হয়েছে। রিউমর স্ক্যানারের হেড অব অপারেশন্স সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বেড়েছে নির্বাচনকেন্দ্রিক গুজবের সংখ্যা। বছরের শেষ তিন মাসে ইন্টারনেটে রাজনৈতিক ও নির্বাচনকেন্দ্রিক গুজব ছড়ানো হয়েছে ফেসবুক ও ইউটিউবে ভুয়া শিরোনাম ও থাম্বনেইল সংবলিত ভিডিও এবং গণমাধ্যমের আদলে তৈরি ভুয়া ফটোকার্ডের মাধ্যমে। অক্টোবর মাসে ভুয়া ফটোকার্ডের আধিক্য থাকলেও ডিসেম্বর মাসে এসে ভুয়া শিরোনাম ও থাম্বনেইল সংবলিত ভিডিও’র আধিক্য পরিলক্ষিত হয়েছে।’  
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়