• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সমুদ্রের রোমাঞ্চকর গল্প বলেন তারা, শোনান গান
নিঃসীম সমুদ্রে ভেসে চলা নাবিকদের জীবন সমুদ্রের মতোই বৈচিত্রময়। বিশাল বিশাল ফণা তোলা সব ঢেউ। মাঝসমুদ্রে থাকা জাহাজের গায়ে মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে একেকটা ঢেউ। মুহূর্তেই বাষ্পের মতো ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে সমুদ্রের নোনা পানি। ভয়ংকর গর্জনে সমুদ্র তার খ্যাপাটে ভাবের জানান দেয়। এই গর্জনে গায়ে কাটা দেয়। কখনো আবার সমুদ্র থাকে শান্ত। পাটি বিছানো নীল সমুদ্রের দিগন্তরেখায় হেসে ওঠে রংধনু। সমুদ্রের এমন সব বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরেন দুই নাবিক আবদুল্লাহিল মারুফ ও মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকার। সেইল উইথ মারুফ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সেইল উইথ মারুফ’ নামে পরিচিত আব্দুল্লাহিল মারুফ। পেশায় একজন নাবিক। সমুদ্রগামী জাহাজে বসে অবসরে তিনি ভ্লগ করেন। ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে এই তরুণ তুলে ধরেন সমুদ্র, সমুদ্রযাত্রা, সমুদ্রচারী জীবনের নানা দিক। দারুণ গানও করেন মারুফ। জাহাজে বসে তার করা গানে মুগ্ধ হন নেটিজেনরা। তার গান, ভ্লগ লাখো দর্শক দেখেন। তারা তাকে প্রশংসায় ভাসান।  মারুফের শৈশব-কৈশোর কেটেছে জন্মস্থান রাজশাহীতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগে। কিন্তু ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছে থেকে সেই যাত্রা আর দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এরপর ভর্তি হন দেশের একটি বেসরকারি মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে সামুদ্রিক প্রকৌশলবিদ্যার প্রাথমিক দীক্ষা নিয়ে যোগ দেন জাহাজের শিক্ষানবিশ কর্মী হিসাবে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লিভারপুল জন মুর্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন উচ্চতর প্রফেশনাল ডিগ্রি। বর্তমানে তিনি হংকং ভিত্তিক একটি কোম্পানির তেলবাহী জাহাজের সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন। নাবিক হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৫টির বেশি দেশে গেছেন মারুফ। সমুদ্রযাত্রা করেছেন প্রায় ৪০টি। ২০২১ সালের আগস্টে চীন থেকে ভেনেজুয়েলা যাওয়ার পথে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে বড় ঝড়ের কবলে পড়েছিল মারুফের জাহাজ। কী মনে করে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রের ভিডিও ধারণ করেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। হাজারো মানুষ ভিডিওটি দেখেন। তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকে সমুদ্রযাত্রার নানা গল্প জানার আগ্রহ দেখান। এই ঘটনার পরই সমুদ্রযাত্রা নিয়ে ভ্লগ করার ভাবনা মাথায় আসে মারুফের। তিনি বলেন, ‘আমার ভ্লগিংয়ের উদ্দেশ্য হলো, সমুদ্রযাত্রার অজানা দিকগুলো বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে খুব সাধারণভাবে তুলে ধরা।’ ‘সেইল উইথ মারুফ’ নামের ফেসবুক পেজে এখন পর্যন্ত ৪০টির মতো ভিডিও আপলোড করেছেন এই নাবিক। এসব ভিডিওতে সমুদ্র, ঝড়ঝঞ্ঝা, ঢেউ, সমুদ্রযাত্রা, বন্দর, জাহাজের অভ্যন্তরীণ নানা কারিগরি বিষয়, জাহাজ পরিচালনা, নাবিকদের কাজ, খাওয়াদাওয়াসহ হরেক কৌতূহলোদ্দীপক বিবরণ রয়েছে।  মারুফ বলেন, শখের বশেই তার প্রফেশনাল জীবনকে নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা। সাধারণ মানুষের পক্ষে সামুদ্রিক জাহাজের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকৌশল সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় না। তাই এমন কনটেন্টের আগ্রহ বেশি। অবসরে আরেকটা কাজ করেন মারুফ। তিনি জাহাজে বসে হাতে তুলে নেন ইউকেলেলে। দরদভরা কণ্ঠে তোলেন সুর। গেয়ে ওঠেন, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আহারে জীবন’, ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব’, ‘দিন যায়, কথা থাকে’, ‘ওকি একবার আসিয়া সোনার চান্দ মোর যাও দেখিয়া রে’, ‘কি নামে ডেকে বলব তোমাকে’, ‘প্রেমে পড়া বারণ’, ‘যদি হিমালয় হয়ে’ এমন সব গান। হিন্দি গানেও সমান পারদর্শী তিনি। মারুফ অধিকাংশ গান জাহাজের ব্রিজে বসে করেন। সেখান থেকে সহজেই সমুদ্র দেখা যায়। তার গান সমুদ্রের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা মারুফের। তবে গানের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা তার নেই। শুনে শুনে গান রপ্ত করেছেন তিনি। মারুফ বলেন, পরিবার থেকে বহু দূরে, সমুদ্রচারী জীবনের নানা বাঁকে গানই আমাকে উজ্জীবিত রাখে।  হৃদয় দ্য সেইলর : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকারের পরিচয় ‘হৃদয় দ্য সেইলর’। সমুদ্রজীবনের নানা বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন এই নাবিক। হৃদয় কাজ করছেন জাহাজের ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। জাহাজে আসার আগে স্যোশাল মিডিয়ায় টেক ভিডিও কনটেন্ট বানানোর নেশা ছিলো হৃদয়ের। নীল সমুদ্রের স্নিগ্ধ জলে এসেও সে নেশা আর কাটেনি। এখন ভিডিও বানান জাহাজের নাবিক জীবন নিয়ে। নাবিকরা কীভাবে ঘুমান, ইঞ্জিন রুম-ব্রিজে কী কাজ চলে, জাহাজে কেউ মারা গেলে কী করা হয়, জলদস্যু এলে কী করা হয় —এমন সব চমকপ্রদ ঘটনা তার কনটেন্টের বিষয়বস্তু। যা সাধারণ মানুষের কাছে খুবই আগ্রহের।  ফেসবুক আর টিকটকে হৃদয়ের অনুসারীর সংখ্যা সাত লাখের অধিক। ইউটিউব চ্যানেল যেমন (৭ মার্চ পর্যন্ত) ১৩৮টি ভিডিও তুলেছি। আমার এই চ্যানেলে যুক্ত আছেন ১ লাখ ৭১ হাজার সাবস্ক্রাইবার। আর ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখের বেশিবার। দর্শকরা কমেন্ট বক্সে জানতে চান জাহাজের অভ্যন্তরীণ খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে। হৃদয় চেষ্টা করেন সেগুলোকে পরিবর্তী ভিডিওতে যুক্ত করার। মোহাম্মদ রেদওয়ান বলেন, বেশ কয়েক বছর হলো ইউটিউবে আমার আনাগোনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগ্রহ থাকায় এটা নিয়ে ভিডিও বানাতাম। সেগুলো শেয়ারও করতাম। কিন্তু সেটি ছিল অনিয়মিত। তবে কাজটা করতে আমার আনন্দই লাগে। সেই আনন্দই এবার নতুন মাত্রা পায়। ইউটিউবে আমার চ্যানেল ‘হৃদয় দ্য সেইলর’-এ আপলোড করতে থাকি। এখন ‘হৃদয় দ্য সেইলর’ নামেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পেজ ও চ্যানেল আছে। একই ভিডিও সব মাধ্যমেই শেয়ার করি। মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকারের জন্ম, বেড়ে উঠা কুড়িগ্রামে। কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোন হৃদয়। এরপর উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও আগ্রহের জায়গা থেকে ভর্তি হন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। এরপর একাডেমিক এবং শিক্ষানবিস পর্ব শেষ করে ২০২২ সালে জাহাজের পেশাদার জগতে ঢুকে পড়েন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪০

বৈশাখের ‘মেলায় যাইরে’ গান তৈরির পেছনের গল্প
পহেলা বৈশাখ এলেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে যেকোন আড্ডায় বাজতে শোনা যায়  ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি। গানটি ১৯৯০ সালে জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের একটি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল। গান তৈরির হিসেবে এবার ৩৪ বছর হতে চলছে। গানের বয়স বাড়লেও এর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও।  বৈশাখের এই গানের সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী মাকসুদুল হক। ১৯৯০ সালে গানটি যখন প্রকাশ পায় তখন তিনি যুক্ত ছিলো জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের সঙ্গে। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছেড়ে ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন মাকসুদুল হক। কীভাবে গানটি তৈরি হয়েছিল, সেই গল্প শুনিয়েছিলেন গানটির স্রষ্টা মাকসুদ।  মাকসুদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, গানটি লিখি ১৯৮৮ সালে । প্রথমত গানটি আমি একবারে লিখতে পারিনি। আমার সময় লেগেছিল দুই মাস। লেখার পর  সাত-আটবার সংশোধন করেছি। এরপর  সুর করেছি।  স্টেজে আমরা গানটা পারফর্ম করাও শুরু করি। গানটি রেকর্ডিং একদিনে হয়নি। অনেক সময় লেগেছে। আমরা  সেই সময়  ডিজিটালে রেকর্ডিং করেছি। সেজন্যই সময় বেশি লেগেছিল।  ঢাক, ঢোল, মন্দিরার শব্দ লাইভে বাজানো সম্ভব নয়। ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি কত কিছু যে হয়েছে। রেকর্ডিং স্টুডিওতে গিয়েও বেগ পেতে হয়েছে অনেক। পুরো গান তৈরি হতে  প্রায় এক থেকে দেড় বছর সময় লেগেছিল।  গানের জন্মকথা প্রসঙ্গে মাকসুদ দেশের এক পত্রিকায় তার লেখায়  উল্লেখ করেছিলেন, কত সময় ব্যয় করে এর কথা লিখেছি, তার সঠিক হিসাব-নিকাশ হয়তো এখন দেওয়া সম্ভব নয়। এটুকু মনে আছে, গানে সেই চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি, যা প্রতি বৈশাখে আমাদের চোখে পড়ে। অনেক শব্দের কাটিকুটি শেষে বেরিয়ে এসেছিল কিছু ছন্দোবদ্ধ কথা। লেখা শেষে নিজেই তাতে সুর বসিয়েছি। এরপর ফিডব্যাকে সদস্যদের সঙ্গে বসেছি কম্পোজিশন নিয়ে। বাদ্য বাদনেও অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়েছে। এরপর কণ্ঠে তুলি নিয়েছি গান। গেয়েছি মনপ্রাণ উজাড় করে, লেগেছে বাঙালির ঘরে ঘরে এ কি মাতন দোলা, লেগেছে সুরেরই তালে তালে হৃদয়ে মাতন দোলা; বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতে, ফিরে এলো সুরেরই মঞ্জরি; পলাশ শিমুলগাছে লেগেছে আগুন, এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি, মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে...। স্টুডিওতে গিয়ে রেকর্ড করা পর্যন্ত একটি গানের পেছনে কত সময় ব্যয় করতে হয়, তার লেখাজোখা থাকে না। কারণ, সংগীত কোনো কাজ নয়, একধরনের সাধনা। যারা গান করেন, তারা ভালো করেই জানেন, প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে কতটা শ্রম-ঘাম ঝরাতে হয়। যা হোক, “মেলা” গানটি রেকর্ড করার পর আমি, ফোয়াদ নাসের বাবু, পিয়ারু খান, লাবু রহমান, সেকেন্দার আহমেদ খোকা—প্রত্যেকেই অন্য রকম এক সৃষ্টির স্বাদ পেয়েছিলাম। ১৯৮৮ সালে  চট্টগাম মেডিকেল কলেজ হলে ফিডক্যাকের প্রথম কনসার্টে ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি প্রথম গাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মাকসুদ বলেন,   সেই কনসার্টে আমরা প্রথম এই গান গাই। একেবারে নতুন গান। কিন্তু এটা শোনার পর  ডাক্তার ও ছাত্র সবাই একসঙ্গে নেচেছে।  সবার অনুরোধে সেদিন এই গান আমাদের দুবার গাইতে হয়েছিল।   নব্বই দশকে যখন গানটি তুমুল জনপ্রিয় তখনকার একটি ঘটনা উল্লেখ করে এই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বলেন, ১৯৯২ সালে  তো ল্যান্ডফোন ছিল । এক ভদ্রমহিলা বাসার ল্যান্ডফোনের নাম্বারে বারবার ফোন করেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। যখন ফোন করতেন আমাকে তিনি বাসায় পেতেন না। আমার স্ত্রী এটা বলার পর একদিন আমি সেই ভদ্রমহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বললাম।  তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনার  কাছে এই গান  কি  আমি জানি না।  তবে  আমার কাছে  এই গান  অনেক কিছু। আমার কোলে তিন মাস বয়সী শিশু এখন।  তাকে কিছুতেই দুধ খাওয়ানো যেত না। অনেক কষ্ট হতো।  একদিন আপনার গানটা ঘরে বাজছিল তখন আমার বাচ্চা হঠাৎ করেই দুধ  খাওয়া  শুরু করল। এখন এই গান না শুনলে আমার বাচ্চা দুধ খায় না। এই কথা শোনার পর  আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি চলে এসেছিল। এখন মনে হয়, এটুকু ভালো কাজের জন্য ঈশ্বর আমাকে দিয়ে গানটা করিয়েছিলেন। সবার এসব ভালোবাসার  আমার কাছে  গুরুত্বপূর্ণ, ওটা  খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় যে ‘মেলায় যাইরে’  কত হাজার লোক তালি দিল, নাচল।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২১

এবার ঈদে হিন্দি গান শোনাবেন ড. মাহফুজুর রহমান
প্রতি বছরের মতো এবার ঈদেও একগুচ্ছ গান নিয়ে আসছেন বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। তার গান মানেই শ্রোতাদের বাড়তি আগ্রহ। ঈদের বিশেষ একক সংগীতানুষ্ঠানে তিনি প্রায় ১০টির মতো গান শোনাবেন বলে জানা গেছে। এটিএন নিউজে ঈদের দিন রাত ৯টায় এবং দ্বিতীয় দিন একই সময় গান শোনাবেন। দুইদিনের জন্য নির্ধারিত তার সংগীত অনুষ্ঠান দুটির নাম যথাক্রমে দিল মে হো তুম এবং দু চোখে শুধু তুমি। সংগীত পরিচালনা করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। দিল মে হো তুম অনুষ্ঠানে তার সহশিল্পী হিসেবে থাকবেন ভাবনা, সামিয়া, পুনম নীলিমা। অন্যদিকে এটিএন বাংলায়ও ঈদের দিন ও পরের দিন থাকছে মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান। চ্যানেলটিতে ঈদের দিন ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে ‘তুমি শুধু আমারই থেকো’। অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১০ টি গান। অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। বাংলা গানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় কয়েকটি গজল। অ্যালবামে রয়েছে আমায় ভালোবাসো না, তোমার চোখ দুটি, তুমি যে শুধু আমার, যাবে যদি চলে যাও এবং বুকের মাঝে রাখবো শিরোনামের গান। গজলের মধ্যে রয়েছে মেরে মিতুয়া, ম্যায় জিস দিন, জানে কাহা, ম্যায় সায়ের তো নেহি এবং চিটঠি আয়ি হ্যায়। ঈদের পরদিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘লেকে পেহেলা পেহেলা পেয়ার’। একক এবং ডুয়েট হিন্দি গান দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে থাকছে দিল কিয়া কারে, মেরে মেহেবুব, রাজাকো রাণি সে পেয়ার, লেকে পেহেলা পেহেলা পেয়ার, বারিস মে তু, তুহি এ মুঝকো বাতাদে, ধীরে ধীরে সে, হামকো হামিসে, ম্যায় জিস দিন ভুলাদু এবং মিলে হো তুম হামকো শিরোনামের গান।  ডুয়েট গানগুলোতে ড. মাহফুজুর রহমানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন সামিয়া জাহান, নীলিমা, ভাবনা আহমেদ ও মারিয়া চৌধুরী।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫১

নতুনভাবে চিত্রায়িত হলো সালমানের দুই গান
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ অভিনীত ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমা ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। শিবলী সাদিক পরিচালিত সিনেমাটি তখন দারুন ব্যবসাসফল হয়। এরমধ্যে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের গীত, সুর ও সংগীতায়োজনে ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’ এবং ‘তুমি আমার এমনই একজন’ গান দুটি এখনও সমান জনপ্রিয়। সালমানভক্তদের জন্য নতুন খবর হচ্ছে ২৭ বছর পর এই গান দুটিকে নতুন করে সামনে তুলে ধরছেন ডিম এম মাসুদ। তার প্রযোজনায় গান দুটির নতুন করে অমিত চ্যাটার্জির সংগীতায়োজনে কাভার করেছেন মোমিন বিশ্বাস ও স্মরণ। আর এতে মডেল হয়েছেন ডি এম মাসুদ নিজেই। গান দুটির মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন সালমান শাহ অভিনীত শেষ সিনেমা প্রেম প্রিয়াসীর পরিচালক রেজা হাসমত। জানা গেছে, গত ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি মধুপুর লোাকেশনে গান দুটির মিউজিক ভিডিও করা হয়। এ ব্যাপারে মডেল ও প্রযোজক ডি এম মাসুদ বলেন, গানে অরিজিনাল ফ্লেবার দিতে আমরা পুরো টিম নিয়ে মধুপুর গিয়েছি। এখানেই সালমান শাহ তার অমর গান ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’ গানটির সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন। অপর গানটি ‘তুমি আমার এমনই একজন’ গানটির জন্য অরিজিনাল লোকেশান মধুপুর জাতীয় উদ্যানে মিউজিক ভিডিও শুট করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, মহানায়ক সালমান শাহ এবং প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুুলবুলের স্মরণে কাভার সং দুটি উৎসর্গ করা হয়েছে।  কাভার সং দুটি চাঁদ রাতে সন্ধ্যা ৭টায় ডি এম মাসুদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল এম এন এন্টারটেইনমেন্ট-এ মুক্তি পাবে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪১

আমার ছেলে গান না শিখে কোরআন শিখেছে : খালিদের স্ত্রী
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট কণ্ঠশিল্পী খালিদ সবাইকে কাঁদিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তার নিথর দেহ যখন হাসপাতালে পড়ে আছে তখন তার কিশোর সন্তান জুয়াইফা আরিফ যুক্তরাষ্ট্রে নিজের স্কুলে। সেখানে বসেই পান বাবার মৃত্যু সংবাদ। এরপর তিনিও বাবাকে নিয়ে দেন একটি ভিডিও বার্তা।  একজন সাংবাদিক ও উপস্থাপকের  মাধ্যমে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তা দেন জুয়াইফা আরিফ। সেই ভিডিওতে সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন, আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন। এদিকে ওই ভিডিও বার্তায় তবে খালিদপুত্র ছিলেন স্বাভাবিক। পিতার মৃত্যুর পর তার এই স্বাভাবিক আচরণ নেটিজেনদের অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। কেউ কেউ করেছেন সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন গায়কের স্ত্রী শামীমা জামান। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমি আর আমার ছেলে রোবট। আমরা কাঁদব না। তাতে তোদের কীরে সমাজ? এর আগে তিনি লিখেছিলেন, এই ছেলে ১২ বছর বয়স থেকে নামাজ পড়ে, মাশাআল্লাহ, এই ছেলের গানের গলা থাকা সত্ত্বেও গান না শিখে কোরআন শিখেছে। এই ছেলে বাবাকে নামাজ পড়তে বলতে বলতে হতাশ হয়েছে। সে তার অসুস্থ মায়ের সেবা করেছে ৭ মাস, রাত ৪টা পর্যন্ত বায়েজিদ বোস্তামির মতো দাঁড়িয়ে থেকে। ছেলে তার মায়ের মৃত্যুর অপেক্ষায় একা একটি বাসায় কাটিয়েছে। এরপর তিনি লেখেন, এই ছেলে তার আল্লাহর হুকুম পালন করতে আমেরিকান মেয়েদের আহ্বান সত্ত্বেও একটা প্রেম করেনি। এই ছেলে তেমন বন্ধু হয় না যখন সে দেখে বন্ধুগুলো গাজা খায়। এই ছেলে প্রতিটি কাজে আগে আল্লাহর বিধান কি জেনে নেয়, আমেরিকার স্কুলের হারাম চিকেন দেখলে না খেয়ে থাকে তবু হারাম পেটে দেয় না, এই ছেলেকে তার বাবার টাকা দিতে হয় না, তার মা তার জন্য যথেষ্ট উপার্জন করে। তার বাবার চিন্তা এই ছেলেকে নিয়ে নয় যতটা, তার গান আর ভক্ত শিষ্যদের নিয়ে। তাই খুব খেয়াল করে আমার ছেলেকে নিয়ে না জেনে একটা খারাপ কথা উচ্চারণ করলে ওপর আল্লাহ তার বিচার করবেন। সবশেষে শামীমা লিখেছিলেন, আরিক স্কুল থেকে এসে বুঝতেও পারছে না আসলে কি ঘটে গেছে, ও স্মার্ট তো তাই হঠাৎ করে খ্যাত হয়ে কীভাবে কথা বলবে? যত্তসব। আর সানগ্লাস? উন্নত দেশে কান্না লুকাতেও সানগ্লাস পরে মানুষ। শুধু সাংবাদিক তানভীর তারেকের অনুরোধে ও এই কথাগুলো বলতে রাজি হয়েছে। বড়দের সম্মান করে বলে, নয়তো মিডিয়ায় কথা বলতে বা কাজ করতে ও পছন্দ করে না। প্রসঙ্গত, ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন খালিদ। সেসময় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান খালিদ চলে গেছেন, তাকে ফেরানো গেল না কিছুতেই।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

সরলতার প্রতিমাসহ খালিদের শ্রোতাপ্রিয় যত গান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খালিদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ব্যান্ডশিল্পী ঈশা খান দূরে। ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা সংগীতশিল্পী খালিদের। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন তিনি। ছিলেন চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট হিসেবে। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। প্রায় প্রতিটি গানই এখন ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যমে ফ্রিতেই শুনতে পারেন শ্রোতারা। তবে একসময় চাইমের খালিদের গলার সেই সুর শুনতে সিডি প্লেয়ার, ক্যাসেট ইত্যাদি কেনার ধুম লেগে যেত বাঙালি শ্রোতাদের। সোনালি দিনের এই শিল্পীর হৃদয়ছোঁয়া ১০টি গানের মধ্যে রয়েছে :  ১. কোনো কারণেই ২. আবার দেখা হবে ৩. মনে পড়ে না ৪. সরলতার প্রতিমা ৫. কিছু না নিয়ে ৬. যদি হিমালয় হয়ে ৭. হয়নি যাবার বেলা ৮. এই জোছনা ধারায় ৯. কিভাবে আমায় তুমি কাঁদাবে ১০. মেঘলা ভালোবাসা
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৫

আসছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান ‘ইনবক্সে’
বাংলা সঙ্গীতভুবনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম আইয়ুব বাচ্চু। গিটারের জাদুকরও বলা হয় এই কিংবদন্তিকে। ২০১৮ সালে হুট করে সবাইকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। গেল বছর প্রয়াত রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান প্রকাশ ও তাকে ট্রিবিউট করে কনসার্টসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে এশিয়াটিকের সঙ্গে চুক্তি হয় আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের। সেই চুক্তি অনুযায়ী আসন্ন রোজার ঈদে প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান ‘ইনবক্সে’। ‘ইনবক্সে ঝিমায় বসে, বোকা শব্দের দল/ফেসবুকে লুটোপুটি খায়/সস্তা চোখের জল’ কথায় গানটি লিখেছেন নিয়াজ আহমেদ অংশু। সুর-সংগীত করেছেন আইয়ুব বাচ্চু নিজেই। সম্প্রতি গানটির ভিডিও নির্মাণ করছে কোলাহল কমিউনিকেশন। গীতিকার নিয়াজ আহমেদ অংশু বলেন, আমাদের কাছে বাচ্চু ভাইয়ের একাধিক অপ্রকাশিত গান রয়েছে। এলআরবির গিটারিস্ট মাসুদ গানগুলো খুব যত্ন করে রেখেছেন। সেখান থেকেই গানগুলো ধারাবাহিকভাবে মুক্তি দেয়া হবে। এলআরবি’র গিটারিস্ট আবদুল্লাহ মাসুদ বলেন, বসের একাধিক গান রয়েছে এবি কিচেনের হার্ডডিস্কে; যার রেকর্ড ধারণ থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ আমিই করতাম। বস একটি অ্যালবাম করলে অনেকগুলো গান রেকর্ড করতেন। এরপর সেখান থেকে বাছাই করে অ্যালবামে প্রকাশ করতেন। বাকি গানগুলো রয়ে যেত। সেই অপ্রকাশিত গানগুলো নিয়েই কাজ করছে এবি ফাউন্ডেশন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪২

কক্সবাজারে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেমের ফায়ারিং অনুষ্ঠিত
দেশে প্রথমবারের মতো ১২ কিলোমিটার রেঞ্জ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৫ মিলিমিটার টুইন ব্যারেল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেমের ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো কক্সবাজারে। এ গান সিস্টেম ৪ কিলোমিটার দূরত্বে নিখুঁতভাবে স্থল ও আকাশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে অবস্থিত এডি ফায়ারিং রেঞ্জে এ ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ফায়ারিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথমবারের মতো ১২ কিলোমিটার রেঞ্জ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৫ মিলিমিটার টুইন ব্যারেল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেমের ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হলো। যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা। এ গান সিস্টেম চার কিলোমিটার দূরত্বে নিখুঁতভাবে স্থল ও আকাশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল, সামরিক সচিব, চিফ কনসালট্যান্ট জেনারেল, অ্যাডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়াসহ সেনাসদর এবং কক্সবাজার এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮

নেট জগতে সাড়া ফেলেছে শিল্পী বিশ্বাসের গান
পাল্টে গেছে যুগ, বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। একটা সময় মানুষ রেডিও কিংবা টেলিভিশনে গান শুনত। আর বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইউটিউব। সম্প্রতি শিল্পী বিশ্বাস তার নিচের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন নতুন গান ‘রাগ কইরো না মনের মানুষ’। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশ সাড়া ফেলছে ভালোবাসার মানুষের রাগ-অভিমান ভাঙানোর এই গান। গানের ভিডিওতে মডেল হিসেবে রয়েছেন নাফিসা নুসরাত প্রনমি ও জেরি। গানটি প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি ৫৫ মিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়েছে গানটি। অর্ধ মিলিয়ন ভিউ উপলক্ষে ১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরায় জমকালো অনুষ্ঠানের আয়জোন করা হয়। এ সময় আনন্দের মুহূর্ত ও গানের সাফল্য নিয়ে কথা বলেন গানের কণ্ঠশিল্পী শিল্পী বিশ্বাস। শিল্পী বিশ্বাস বলেন, এত মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউস নিজস্ব চ্যানেলে আমি আশাও করতে পারিনি। যেখানেই যাচ্ছি 'রাগ করোনা মনের মানুষ’ গানটি করতে হচ্ছে। আমার মেয়ে এ ইউটিউব চ্যানেলটি খুলে দিয়েছিল। হঠাৎ এভাবে সাপোর্ট পাবো জানা ছিলো না। কিন্তু গানটি দর্শকের মন ছুয়েছে এটায় বিশাল ব্যাপার। নিজেদের সাবলিল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে গানটিকে আরো বেশি প্রানবন্ত করে তুলেছেন মডেল প্রনমি ও জেরি। মডেল প্রনমি বলেন, গানটি শুনছে এবং মানুষ ভালোবাসা দিচ্ছে। এ ব্যাপারটি অসংখ্য বড় একটি অনুভূতি যা বলে প্রকাশ করার মত নয়। আমার প্রথম গান কালাচাঁন সেই ভিডিওটি প্রথম পছন্দ করেছিল। দ্বিতীয়টি হল 'রাগ করোনা মনের মানুষ' এই গানটিও সবার পছন্দ করেছে। পরপর দুটি গানই এত সুন্দর করে গ্রহণ করেছে, যা আমার আশা ছিল না। আর দ্বিতীয়ত গানটি ৫৫ মিলিয়নের অধিক ভিউ হয়েছে এজন্য আমি অত্যন্ত খুশি। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হওয়ায় জেরি জানান, ২০২৪ সালে এই গানটি আমার জন্য সবচেয়ে বড় অউটপুট এবং এচিভমেন্ট। আমরা কিন্তু অনেক ধরনের মজার গান করতে পারি, টিকটক বানাতে পারি, রিলস বানিয়ে ছাড়তে পারি। কিন্তু এই গানটি কোন প্রস্তুতি ছাড়াই এত সাপোর্ট পাবো ধারণা করতে পারিনি। সামনে আরো ভালো ভালো কাজ করার ইচ্ছা আছে, শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে।  গানটি লিখেছেন কাব্যিক পলাশ।
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:১৭

আট গান নিয়ে রুমনের আট মিনিটের অভিনব অ্যালবাম
দুই যুগের বেশি সময় ধরে পেশাদার সংগীতের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন পার্থিব ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য রুমন। তবে মাঝে কিছু সময়ের জন্য গান প্রকাশে অনিয়মিত ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে ‘ঝাপসা’ গান প্রকাশের মাধ্যমে ফের নিয়মিত হন সংগীত জগতে। একের পর এক নতুন গান নিজের প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করতে থাকেন। এবার আট গান নিয়ে আট মিনিটের অভিনব এক অ্যালবাম প্রকাশ করলেন রুমন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অপ্রচলিত’ নামের অ্যালবামটি প্রকাশ করেন রুমন। আটটি গান নিয়ে তৈরি করে হয়েছে অ্যালবামটি। এর দৈর্ঘ্য আট মিনিট। শুধু তাই নয়, অ্যালবামটিতে আলাদা আলাদা গল্পের ভিডিও রয়েছে। আর এই অ্যালবামটি দিয়ে সবার সামনে নতুন ভাবনার পরিচয় করালেন রুমন। রুমনের ইউটিউব চ্যানেলসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে শোনা যাবে গানগুলো। রুমনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ব্যান্ড তারকাদের মধ্যে হাজির হয়েছিলেন— মাকসুদুল হক, ফুয়াদ নাসের বাবু, শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, হামিন আহমেদ, লাবু রহমান, মানাম আহমেদ, টিপুসহ অনেকেই। এ প্রসঙ্গে রুমন বলেন, এক মিনিট দৈর্ঘ্য বা তারও কম সময়ের গান থাকতে পারে। আছেও নিশ্চয়ই। কিন্তু আটটি গান দিয়ে আট মিনিটের একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম পৃথিবীতে এর আগে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সে জন্যই অ্যালবামের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপ্রচলিত’। প্রকাশের জন্যও ২৯ ফেব্রুয়ারি দিনটি বেছে নেওয়ার কারণ— এটা বিশেষ দিন, চার বছর পরপরই একবার আসে। জানা গেছে, সংগীতজীবনের শুরুতে ইগনিয়াস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পার্থিব ব্যান্ড দিয়ে শ্রোতা-দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন রুমন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে ব্যান্ডের রেকর্ডিং এবং স্টেজ শোর পাশাপাশি টুকটাক বিজ্ঞাপনচিত্র, নাটক ও চলচ্চিত্রের গানেও কাজ করেছেন রুমন। অ্যালবামের দৈর্ঘ্য মাত্র আট মিনিট হলেও এটি তৈরি করতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। তবে গেল বছরের মাঝামাঝিতেই রুমনের মাথায় এই ভাবনাটা এসেছিল। সেই গল্পটা উল্লেখ করে রুমন বলেন, গেল বছরের একদিন ড্রামার ও ছোট ভাই সামিউল মাশুক এন্টনি কথায় কথায় আমাকে বলে, আমাকে গানের একটা প্রজেক্ট তৈরি করতে বলে। যেখানে সব গানের ডিউরেশন হবে এক মিনিটের। যদিও সেসময় আমি হেসে উত্তর দিয়েছিলাম, করাই যায়। তবে সত্যি বলতে কি, ব্যাপারটা তখন সিরিয়াসলি নেইনি আমি। এর বা দুই-এক মাস পর গীতিকবি বাপ্পী খান ভাইয়ের ওয়ালে একটা ছোট্ট লেখা— ‘এই মেঘলা সুন্দরী রাতে’ দেখি। লেখাটা ভীষণ ভালো লাগে। সুর করি সঙ্গে সঙ্গেই। বাপ্পী ভাইকে পাঠাতেই তিনিও ভীষণ পছন্দ করেন। এই গায়ক আরও বলেন, তখনই এন্টনির সেই ভাবনা আবার মাথায় আসে। শুরু হয় এই প্রজেক্ট। বাপ্পী ভাইয়ের ছোট ছোট লেখায় আমি একের পর এক সুর করতে থাকি। সঙ্গে যোগ হতে থাকে গালিব, মারুফ আর মেঘলার লেখা। সেই অনেকগুলো গান থেকে আটটা বেছে নিয়ে তৈরি হয় ‘অপ্রচলিত’ অ্যালবামটি। গানকে এক মিনিটে আনার জন্য কোনো লেখাকেই সামান্যতম কাটছাঁটও করা হয়নি। এতটুকুই ছিল প্রতিটি লিরিক।   ‘অপ্রচলিত’ অ্যালবামে স্থান পাওয়া গানগুলো হলো— ‘অন্য ভুবন’, ‘ঝুম’, ‘একটি প্রেমের গল্প’, ‘সে তুমি আর কে?’, ‘প্রসঙ্গ প্রিয়তম’, ‘জলের সিঁড়ি’, ‘নিদারুণ গুনগুন’ ও ‘মেঘলা সুন্দরী রাতে’। অ্যালবামটি নিয়ে রুমন আরও বলন, ‘প্রতিটি গানের আলাদা আলাদা ধাঁচের, শ্রোতা-দর্শকদের নিয়ে যাবে আলাদা ভাবনায়। কখনো জীবনের গভীরে মগ্ন, কখনো ঝুম বৃষ্টিতে বাস্তবে ফেরা। এর মধ্যেই শেষ হবে পুরো অ্যালবাম!’
০২ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়