• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনুস থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। ওই অঞ্চলে এরইমধ্যে স্থানীয়রা ফিরতে শুরু করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জাননিয়েছে। সেনাদের শারীরিক ক্লান্তি ও অসুস্থতা থেকে পুনরুদ্ধার করতে এবং ভবিষ্যৎ অভিযানের জন্য প্রস্তুত করতেই সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এদিকে, দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও রাফাহ নগরীতে অভিযান চালানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানান, রাফাহে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে ভাবছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সূত্র : আল-জাজিরা  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৪

গাজা ও রাশিয়ায় পারমাণবিক বোমা ফেলার আহ্বান মার্কিন কংগ্রেসম্যানের 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ও রাশিয়ায় পারমাণবিক বোমা ফেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো অবস্থা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন টিম ওয়ালবার্গ নামে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির এক কংগ্রেসম্যান। সম্প্রতি নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা সভায় এ ধরনের আহ্বান জানান তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিশিগানের রিপ্রেজেন্টেটিভ টিম ওয়ালবার্গ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েল ও ইউক্রেনের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাজার অবস্থা নাগাসাকি ও হিরোশিমার মতো হওয়া উচিত। এই সমস্যা দ্রুত শেষ করুন। একই অবস্থা হওয়া উচিত রাশিয়ারও। এ সময় গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানোর কঠোর বিরোধিতা করেন ওয়ালবার্গ। তিনি বলেন, ‘গাজায় ত্রাণসহায়তার জন্য আমাদের আর একটি পয়সাও ব্যয় করা উচিত নয়। এই পয়সা উল্টো ইসরায়েলের জন্য ব্যয় করা উচিত। কেননা, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে, যেকোনো ইস্যুতে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র।’  উল্লেখ্য, টিম ওয়ালবার্গ নামে রিপাবলিকান পার্টির এই কংগ্রেসম্যান একজন ধর্মযাজক ছিলেন রাজনীতিতে আসার আগে। গণসংযোগকালে তার মুখে উচ্চারিত এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে। ওয়ালবার্গের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রগতিশীল রাজনৈতিক মহলও। একজন সাবেক খ্রিষ্টান যাজক হয়ে তিনি কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন এই নিয়ে জোর সমালোচনা চলছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র। বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেসম্যানের এ বক্তব্যকে ‘গণহত্যার স্পষ্ট আহ্বান’ আখ্যা দিয়েছে কাউন্সিল অন আমেরিকান–ইসলামিক রিলেশনস (কাইর)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক দাউদ ওয়ালিদ ওই বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সব আমেরিকানের উচিত ওয়ালবার্গের বক্তব্যের নিন্দা করা, যারা মানুষের জীবন এবং আন্তর্জাতিক আইনকে মূল্য দেয়।’  এদিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসার চেষ্টা করছেন টিম ওয়ালবার্গ। রোববার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে মার্কিন এ কংগ্রেসম্যান জানান, তার মন্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে মিডিয়া। তার দাবি, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেননি তিনি। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি শুধু ইসরায়েল এবং ইউক্রেনের যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে একটি রূপক ব্যবহার করেছেন। ওয়ালবার্গ এরপর বলেন, ‘যত দ্রুত ইসরায়েল ও ইউক্রেন হামাস ও রাশিয়াকে পরাজিত করবে, তত বেশি নিরপরাধ মানুষের প্রাণ বাঁচবে।’ 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩০

ত্রাণের জন্য অপেক্ষারতদের ওপর হামলা, হতাহত দেড় শতাধিক
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গাজার পৃথক দুটি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েল এই হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ২৯ নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গাজা উপত্যকায় দুটি আলাদা হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে প্রথম হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি এবং অপর হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ঘটনায় মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত ক্যাম্পে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।  এরপর দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তর গাজার একটি গোলচত্বরে ত্রাণবাহী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ে ইসরাইলি বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে অন্তত ২১ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আহতরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে মেঝেতে পড়ে আছে। দুর্বল চিকিৎসা সক্ষমতার কারণে চিকিৎসা সেবা দানকারী দলগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অক্ষম। অবশ্য ত্রাণ কেন্দ্রে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে হামলার এসব রিপোর্টকেও ‘মিথ্যা’ বলে বর্ণনা করেছে তারা। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, যেহেতু আইডিএফ সকল ঘটনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খতার সাথে মূল্যায়ন করে, আমরা মিডিয়াকে একই কাজ করার এবং শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ওপর নির্ভর করার আহ্বান জানাই।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:০১

গাজা সংঘাত অবসানে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গাজার সংঘাতের অবসান ঘটাতে ও গাজার মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি সম্ভাব্য বিকল্প বিবেচনায় এনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সৌদি আরবের জেদ্দায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিষয়ে অর্গাইনাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের ১৯তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মানবিক করিডোর উন্মুক্ত রাখার বিষয় নিশ্চিত করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তিনি ফিলিস্তিনিদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফিন্যান্সিয়াল সেফটি নেটের ওপর জোর দেন। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নীতি ও অনুশীলন থেকে উদ্ভূত আইনি পরিণতি সম্পর্কে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই অঞ্চলে শিগগিরই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। যা মুসলিম উম্মাহর দাবি। মন্ত্রী বলেন, এ জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী ইস্যুতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি সংস্থার সচিবালয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ড. হাছান মাহমুদ দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ এবং আগামী দিনে এ সহযোগিতা আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।  
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩১

গাজার পরিস্থিতি ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ : ব্লিঙ্কেন
গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।  ওয়াশিংটনে কাতারের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে ষষ্ঠ কাতার-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সংলাপের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সম্ভাব্য প্রতিটি উপায় এবং সম্ভাব্য প্রতিটি পদ্ধতি সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। ফিলিস্তিনের জনগণকে আরও ত্রাণ সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিনই ইসরায়েলকে ‘চাপ দেবে’ জানান অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। লোহিত সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে ইয়েমেনে হুতিদের অব্যাহত হামলার নিন্দা জানিয়ে ব্লিঙ্কেন এই অঞ্চলের পরিবেশ ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। এসময় শেখ জসিম আল থানি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি পেতে, সব বন্দীকে ফেরাতে এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করবে কাতার।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

ইসরাইলের হামলা চলছেই / গাজা উপত্যকায় মৃত্যু বেড়ে ৩০ হাজার ৫৩৪
গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৫৩৪ জনে। আহত হয়েছে মোট ৭১ হাজার ৯২০ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে অন্তত ১২৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হয়েছেন ২১০ জন।  সোমবার (৪ মার্চ) এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ জনে। এর মধ্যে ৩০২ জন সেনা বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এদিকে জাতিসংঘের মতে, গাজার ওপর ইসরায়েলি যুদ্ধ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দাকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। পাশাপাশি ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এখনও হামলা অব্যাহত আছে এবং মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য সহায়তা বিতরণ অত্যন্ত অপর্যাপ্ত রয়ে গেছে। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫২

ইসরায়েলি হামলার ১০০ দিন / গাজা যেন মৃত্যুপুরী
ইসরায়েলি হামলার ১০০ দিন ছিল রোববার। ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাতের ১০০তম দিনেও গাজায় এখনো চলছে নির্বিচার হামলা। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৬৮ ফিলিস্তিনি। আহত ৬০ হাজার ৫৮২ জন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের তথ্যমতে, গাজায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫০ জন নিহত হচ্ছেন। যাদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। আরও পড়ুন : তানজানিয়ায় স্বর্ণের খনিতে ভূমিধস, ২২ জনের প্রাণহানি   জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএর হিসাবে উপত্যকাটির ৩ লাখ ৫৯ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। সেখানে ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৯ লাখই এখন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। খাবার, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৫টি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। গাজায় সংঘাতের শুরু গত ৭ অক্টোবর। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলে হামলা চালান সেদিন। হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি ইসরাইলি নিহত হয়। এ ছাড়া প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেন হামাস যোদ্ধারা। এর পর থেকে গাজায় নির্বিচার আকাশ, জল ও স্থলপথে হামলা চালানো হচ্ছে। আরও পড়ুন : হাসপাতালে রোগীর চাপ, বাড়ছে শিশুমৃত্যুও   রোববার (১৪ জানুযারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘জয় না পাওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব। রোববারও গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দক্ষিণের রাফা থেকে শুরু করে খান ইউনিস ও দেইর আল–বালাহ এলাকা, মাঘাজি ও বুরেজি শরণার্থীশিবির এবং মধ্যগাজার সালেহ আল–দিন সড়কে হামলার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলা নিহত হয়েছেন ১২৫ জন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫০

ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবে থাকবে গাজা : যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজা এবং তা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবেই থাকবে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা জানান। স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব সময়ই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে এসেছি- গাজা ফিলিস্তিনি ভূমি এবং তা ফিলিস্তিনি ভূমি থাকবে। হামাস আর ভবিষ্যতে এই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে হুমকি দিতে সক্ষম হবে না। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পাশাপাশি থাকবে এবং বিশ্বের স্বার্থে আমরা এটাই চাই। এ ছাড়া গাজা ছেড়ে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে চলে যাওয়া এবং উপত্যকায় নতুন ইসরায়েলি বসতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ম্যাথিউ মিলার ওই দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন।     সম্প্রতি ওই দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেছেন, তারা মনে করেন গাজা থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। গাজায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ফেরত পাঠানো উচিত বলেও মনে করেন তারা। এদিন তাদের বক্তব্যকে ‘প্রদাহজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যা দেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীসহ ইসরায়েল সরকার বারবার এবং ধারাবাহিকভাবে বলেছে যে এই ধরনের বিবৃতি ইসরায়েল সরকারের নীতিকে প্রতিফলিত করে না। তাদের এ ধরনের বক্তব্য অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ইসরায়েল একতরফাভাবে গাজা থেকে তাদের সর্বশেষ সেনা এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নেয়। এর মধ্য দিয়ে ১৯৬৭ সাল থেকে তাদের দীর্ঘ অবস্থানের অবসান হয়। তবে সেনা সরিয়ে নিলেও গাজা সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে থেকে যায়। তবে গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল সরকার গাজার মানুষদের উৎখাত কিংবা উপত্যকায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। গাজার জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধে সেখানকার ৮৫ শতাংশ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়