• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সঞ্চয় ও গহনা বিক্রির অর্থ দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করলেন জাহানারা
নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ জমিয়ে এবং নিজের শখের প্রায় ৭০ ভরি স্বর্ণের গহনা বিক্রির প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এলাকাবাসীর জন্য মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কলিমোহর ইউনিয়নের দর্শনদিয়া গ্রামের মহীয়সী নারী উদ্যোক্তা মোছা: জাহানারা খাতুন। শুক্রবার (৮ মার্চ) জুম্মার নামাজের আগে মহরম আব্দুল জলিল বায়তুল নূর জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা উদ্বোধন করেন পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম। সাদা ধবধবে সুন্দর কারু শৈলীর মসজিদটি দেখার ও প্রথমদিন নামাজ পড়ার জন্য বিপুল সংখ্যক নামাজী উপস্থিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারী উদ্যোক্তা মোছা: জাহানারা খাতুন ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহানারা খাতুন বলেন, যখন থেকে আমি ব্যবসা শুরু করি তখন থেকে আমি নিয়ত করি একটি মসজিদ নির্মাণ করব। তখন থেকে তিল তিল করে সঞ্চয় করতে থাকি। আর আমার শখের জন্য প্রায় ৭০ ভরি স্বর্ণের গয়না জমিয়ে ছিলাম। সেই স্বর্ণগুলো বিক্রি করে ও আমার দুটি বাড়ি আছে সেখান থেকেও কিছু ভাড়া আসে, সেই বাড়ি দুটির দেড় বছরের ভাড়া দিয়ে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছি। এছাড়াও আমার পরিবারের সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছে। তিনি আরও বলেন, এই মসজিদ ও মাদরাসা পরিচালনার জন্য এলাকাবাসী উপযুক্ত কমিটি করে নেবে। আর আমি সাধ্যমতো সহযোগিতা করে যাব। আজকের জুমায় আগত মুসল্লিরা ওই নারীর জন্য দোয়া করেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৩১

পীর বাবা ৩ লাখ টাকার গহনা নিয়ে গায়েব
মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার পথে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার সোনার অলংকারসহ নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন খুইয়েছেন এক গৃহবধূ। পীর পরিচয় দিয়ে ওই গৃহবধূকে কৌশলে ধর্মীয় কথাবার্তার আড়ালে এসব হাতিয়ে নেয় চারজনের এই প্রতারক চক্র। রোববার বিকেলে ফরিদপুর শহরের উত্তর কমলাপুরমুখি সড়কের মোড়ে ঘটে এ ঘটনা। এ বিষয়ে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী।  ভুক্তভোগী শহরের উত্তর কমলাপুরের বাসিন্দা কামরুন নাহার কনা (৪২)।  ওই নারীর স্বামী মো. আজিজুর রহমান মিলন একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।  এ ঘটনায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। ভুক্তভোগী নারী জানান, সংঘবদ্ধ চক্রটি নাটকীয়ভাবে একজনকে বড় ধরনের পীর সাজিয়ে কথাবার্তার ফাঁকে তাকে সম্মোহন করে ফেলে। তারপর তাদের কথামতো নিজেই তার হাত ও গলায় থাকা দুই ভরি ওজনের দুটি চুরি ও ১২ আনা ওজনের একটি গলার চেইন খুলে তুলে দেন পীরের হাতে। যার বাজার মূল্য প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকা। প্রতারকরা কামরুন নাহারের ভ্যানিটিব্যাগে থাকা দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনও নিয়ে নেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাটি তদন্তে গিয়েছিলেন। পীর সেজে ওই গৃহবধূর মালামাল নিয়ে গেছে প্রতারকরা।  তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়