• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বড় খামারিদের কারসাজিতে ৫০০-তে নামছে না গরুর মাংস 
বাজারে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বড় খামারিদের কারসাজিতে। দুর্মূল্যের এ বাজারে স্বল্পমূল্যে যারাই গরুর মাংস বিক্রি করতে চাচ্ছেন, তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে খামারিদের অসাধু চক্র। একদিকে কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে হুমকি আর চাপ এসে হাজির হচ্ছে স্বল্পমূল্যের বিক্রেতাদের জীবনে। খামারিদের এই সিন্ডিকেট ভাঙা গেলে ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস কিনতে পারতো ক্রেতা সাধারণ; আবারও মাসে অন্তত একবার হলেও গরুর মাংসের স্বাদ নিতে পারতো মধ্যবিত্ত পরিবার।  খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বলের মতো স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস বিক্রেতাদের মতো এবার মাংস ব্যবসায়ী সমিতিও স্বীকার করলো, ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব। কিন্তু এর জন্য আগে খামারিদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।  সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দাম বেঁধে দেওয়া ২৯ পণ্যের তালিকায় গরুর মাংস রাখা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।  গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী ফার্মার অ্যাসোসিয়েশন যে কোনো সময় গরু কিনতে পারে, এই সুযোগটাই অসাধু খামারিরা নিচ্ছে। সামনে কোরবানি, খলিল মাংসের দাম কমিয়ে দেওয়ায়, গরুর দাম কমে গেছে। এতে সারা দেশের খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নিয়েছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙলে মাত্র ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব। এদিকে রাজধানীর বাজারে যখন গরুর মাংসের দাম ৭০০-৭৫০ টাকা, তখন শাহজাহানপুরের খলিল গোশত বিতানে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস কিনতে  দীর্ঘ লাইন দিচ্ছেন ক্রেতারা। মাঝে হঠাৎ গরুর দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে ১০০ টাকা বাড়িয়ে মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েও দুদিনের মাথায় তা থেকে সরে আসেন ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। লোকসান হলেও নিজের কথা রাখতে ২০ রোজা পর্যন্ত আগের দামেই বিক্রি করছেন মাংস। দাম ১০০ টাকা বাড়ানোর কারণ হিসেবে খলিল তখন বলেছিলেন, ‘বড় খামারিদের কাছে হেরে গেছি। বড় বড় খামারিরা ঈদ ও কোরবানিকে সামনে রেখে হাট থেকে গরু উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাই ইদানিং গরুর দাম বাড়ছে।’ খলিলের মতো ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে এলেও সম্প্রতি নিজের দোকানে গরুর মাংসের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়েছেন মিরপুর ১১ এর উজ্জ্বল। তার গোশত বিতানে বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকায়। বড় খামারিদের কারসাজির কথা উঠে এসেছে তার বক্তব্যেও।   সপ্তাহ দেড়েক আগেই বাজারে ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তখন তিনি বলেছিলেন, পথের হাটের ইজারা ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পরিবহন সমস্যা দূর করা গেলে ৫০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব। আর সিন্ডিকেট ভাঙতে শাহজাহানপুরের খলিলের মত, ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের অনুমতি যেন দেয় সরকার। অনুরোধ জানিয়ে খলিল সাংবাদিকদের মাধ্যমে বলেন, সরকার যেন মাংস ব্যবসায়ীদের কথা শোনে। অন্তত ১০টা দিনের জন্য ভারতীয় বর্ডার খুলে দেয়। যাতে ভারতীয় গরু দেশে আনা যায়। তাহলে গরুর মাংস ৫০০ টাকাতেও বিক্রি করা সম্ভব।  
৩ ঘণ্টা আগে

ফের ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবেন খলিল
কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসে ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। এতে তার দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ ক্রেতাদের ঢল নামে। কিন্তু ১০ রোজা না যেতেই প্রতি কেজি মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এই মাংস ব্যবসায়ী। তবে এবার সেখান থেকে সরে এসে আবারও ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল বলেছেন, লাভ-লোকসান বুঝি না ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করবো। আমি কথা দিয়েছিলাম সেটা রাখবো। প্রতিদিন ২০টি করে গরু জবাই হবে বিকেল পর্যন্ত। রোববার (২৪ মার্চ) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ‘সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিল। এ সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন, মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বলসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  মাংস বিক্রেতা খলিল বলেন, আমি ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করে আসছিলাম। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমি ১০০ টাকা বাড়িয়েছিলাম। আমার লোকসানের অবস্থা হয়েছিল। আমার স্টাফদের নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছিল এ কারণে দর বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, যেহেতু আমি কথা দিয়েছিলাম তাই আবারও বলছি ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করা হবে ২০ রমজান পর্যন্ত। প্রতিদিন ২০টি গরু জবাই করা হবে। আমার দোকান চলবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এ সময় মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, আমি সেবামূলক কাজ করেছি। ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করেছি আমার সাধ্য অনুযায়ী। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়েছি। আমি সেবা করছি আবার নিজেও লাভ করছি। লোকসান করে বিক্রি করবো না তাই ৬৩৫ টাকা মাংসের দর নির্ধারণ করেছি। যতদিন পারবো আমি এ দামে সেবা দিয়ে যাবো। পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন বলেন, আমি ৫৭০ টাকায় মিক্সড মাংস বিক্রি করেছিলাম। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করবো। আর ঝুলানো মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করবো। এতোদিনে মিক্সড মাংস ছিল ৫৭০ টাকা আর ঝুলিয়ে রাখা মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন ৭০০-৭৫০ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন তিনি কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ তার দোকানে মাংস কিনতে ভিড় করে। গত শুক্রবার তিনি এক কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন বলে জানিয়েছিলেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩১

৫০০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে চান খলিল, বর্ডার খুলে দেওয়ার দাবি
সরকার যদি অন্তত ১০টা দিনের জন্য ইন্ডিয়ান বর্ডারটা খুলে দেয় তাহলে গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন রাজধানীর শাহজাহানপুরের আলোচিত মাংস বিক্রেতা খলিলুর রহমান। শুক্রবার (২২ মার্চ) গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। এতদিন ৫৯৫ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করলেও সম্প্রতি কেজি প্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকা করেছেন তিনি। কিন্তু কেন তিনি ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিলেন, কারো চাপে পড়ে মাংসের দাম বাড়িয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, করো চাপে নয়, ইদানিং গরুর দাম অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়িয়েছি। তবে গরুর দাম বাড়ার পেছনে বড় বড় খামারিদের দায়ী করেছেন। এসব বড় খামারিদের কাছে হরে গেছেন বলেও জানান তিনি। এক্ষেত্রে কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপ ছিল না বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বড় বড় খামারিরা ঈদ ও কোরবানিকে সামনে রেখে হাট থেকে গরু উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাই গরুর দাম বাড়ছে। এতদিন কম লাভ করলেও তার বিক্রির পরিমাণ ছিল কোটির টাকার উপরে। তাই লাভের পরিমাণটাও কম ছিল না।কিন্তু এবার গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের দামে অর্থাৎ ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করে বড় ধরনের লোকসানে পড়েছেন তিনি। দাম বেড়ে যাওয়ার পরও মাত্র ১০ দিন তিনি ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করেছেন। আর এতেই তাকে লোকসান গুনতে হয়েছে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। যদিও তিনি লোকসানের পরিমাণটা গণমাধ্যমকে বলতে চাননি। সরকারের প্রতি তার অনুরোধ, সরকার যেন মাংস ব্যবসায়ীদের কথা শোনে। অন্তত ১০টা দিনের জন্য ইন্ডিয়ান বর্ডার খুলে দেয়। যাতে ইন্ডিয়ান গরু বাংলাদেশে আনা যায়। তাহলে মাংস ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা সম্ভব।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৮

যে কারণে এবার খলিলও বাড়ালেন গরুর মাংসের দাম
প্রথম রোজার দিন থেকে গরুর মাংস কেজিতে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি শুরু করেন শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। ঘোষণা ছিল রমজান মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত তিনি এ দামে বিক্রি করবেন। কিন্তু ১০ রোজা শেষ হওয়ার আগেই গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন খলিল। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে একটি গণমাধ্যমকে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। খলিলুর রহমান বলেন, ‘খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে পোষাতে পারছিলাম না। লোকসানে পড়তে হচ্ছে। ক্রেতাদের ভিড় অনেক। বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৯৫ টাকায় পাওয়া যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আগে কিছুটা কম দামে গরু কিনতে পারছিলাম। কিন্তু এখন আর আগের দামে গরু পাচ্ছি না। আমার নিজের যেহেতু খামার নেই, তাই বাড়তি দামে গরুর কেনা হলে মাংসের দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকে না। আমি ভেবেছিলাম, বর্ডার খুলে দেওয়া হবে। ভারত থেকে গরু আমদানি করা হবে। আর তাতে কম দামে গরু পাওয়া যাবে। সেটা করা হলে আগের দামে মাংস বিক্রি করা সম্ভব হতো। কিন্তু তা না হওয়ায় নানামুখী চাপে আছি।’ বাজারে কেজিপ্রতি গরুর মাংস যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তখন ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেন খলিলুর রহমান। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে তার দোকান থেকে মাংস কেনা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় রোজার প্রথম দিনেই খলিলের বেচাবিক্রির পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় অর্ধকোটি টাকা। তবে সব রেকর্ড ভেঙে যায় গত শুক্রবার। সেদিন তিনি ৫০টি  গরু জবাই করে কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন বলে জানা গেছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২৩:১১

গরুর মাংস ৫০০ টাকার কমে বিক্রি সম্ভব : ভোক্তার ডিজি
চাঁদাবাজিসহ নানা হয়রানি বন্ধ করতে পারলে ৫০০ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে উজ্জ্বল গোশত বিতান পরিদর্শনকালে তিনি এই কথা বলেন। সফিকুজ্জামান বলেন, চামড়ার দাম যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি এবং হাট থেকে গরু কিনে বাজারে আনা পর্যন্ত চাঁদাবাজিসহ নানা হয়রানির মুখোমুখি হতে হয় মাংস ব্যবসায়ীদের। তবে এসব হয়রানি বন্ধ করতে পারলে মাংসের দাম অনেক কমবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় কম দামে মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন অনেকে। অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের মাংস ব্যবসায়ীদের মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান সফিকুজ্জামান। এদিকে শাহজাহানপুরের আলোচিত ব্যবসায়ী খলিলের দেখানো পথে হেঁটে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন মিরপুর-১১ নম্বরের উজ্জ্বল গোশত বিতানের মাংস ব্যবসায়ী উজ্জ্বল। সকাল থেকেই তার দোকানে মাংস নিতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। ক্রেতারা জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে করলে অন্যান্য বাজারেও স্বস্তি মিলবে। এসময় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক আরও জানান, রোজায় কোনো ব্যবসায়ীর মাধ্যমে যেন ক্রেতারা প্রতারিত না হয়, সেজন্য সারাদেশে প্রতিদিন ৫০-এর বেশি টিম কাজ করছে। অভিযানের ফলে বাজারে শসা, লেবু ও বেগুনের দাম কমছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ২২:১৩

যে কারণে ২ জেলায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ
গরুর মাংস বিক্রিতে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রিতে অপারগতা প্রকাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর থেকে খাগড়াছড়িতে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর দুইদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরেও গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবি, খামার বা ব্যাপারীদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ৭২০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। আর খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ৭৫০ টাকা।  এর চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। তাই ব্যবসায়ীরা জেলা শহরের বাজারগুলোতে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদুল আলম বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করলে ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে দাবি করে তারা মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা জনগণের চাহিদা এবং ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি। সরকার আমাদের যে মূল্য ঠিক করে দিয়েছে এ দামে মাংস বিক্রি করলে লোকসান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। প্রসঙ্গত, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাল, ডিম, মাংস এবং পেঁয়াজসহ ২৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। গত শুক্রবার এই দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

বেঁধে দেওয়া দামে অসন্তোষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মাংস বিক্রেতারা।  সোমবার থেকে শহরের মাংস বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ রেখে সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানালেও কেউ তা বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাধা দেওয়া হবে না বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রধান বাজার আনন্দবাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বউবাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত ৩ শতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।  ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ী বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা দরে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, আজ মঙ্গলবার তাদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে। এদিকে বাজারে ক্রেতারা এসে মাংস কিনতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। অন্য শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না কেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:১২

গরুর মাংসের কেজি ৫৭০ টাকা
পুরান ঢাকার কসাইটুলির কেপি ঘোষ স্ট্রিটে ‘বিসমিল্লাহ খাসি-গরুর মাংস সাপ্লাই’ দোকানে নিয়মিত গরুর মাংসের কেজি ৫৮০ টাকায় বিক্রি করেন সেটির পরিচালক নয়ন আহমেদ। তবে রোববার (১৭ মার্চ) থেকে ১০ টাকা কমে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকা কেজি দরে। চলবে রোববার থেকে আগামী পাঁচ দিন। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান তার মাংসের দোকান পরিদর্শনে গেলে তিনি এ ঘোষণা দেন। পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কসাইটুলির কেপি ঘোষ স্ট্রিটে অন্যান্য ব্যবসায়ী ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন গরুর মাংস। সেখানে ‘বিসমিল্লাহ খাসি-গরুর মাংস সাপ্লাই’ দোকানে ৫৭০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস। পুরান ঢাকার ‘বিসমিল্লাহ খাসি-গরুর মাংস সাপ্লাই’ দোকানটি প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সবচেয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আসছে। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে দোকানটিতে হাড়সহ মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া পছন্দ বা বাছাইকৃত গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই দোকানটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দোকানটিতে ৩০ থেকে ৩৫ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। রোববার (১৭ মার্চ) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, নয়ন আহমেদ, খলিল ও উজ্জ্বলরা সমাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখিয়েছেন যে সদিচ্ছা থাকলে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব। দোকানের পরিচালক নয়ন আহমেদ বলেন, আমরা চাই আমাদের বিক্রি বেশি হোক, লাভ কম হোক সমস্যা নাই। কম লাভে আমরা বেশি মাংস বিক্রি করতে পারবো। গরু জবাই করার পর শরীরের সব অংশ একসঙ্গে মেশানো হয়। এরপর ভাগ করে ৫৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। আর কেউ যদি নিজের পছন্দমতো মাংস নিতে চান, মানে দোকানে ঝোলানো মাংস নিতে চান তা ৬৫০ টাকা কেজি।  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী এম এ মান্নান বলেন, নয়ন এক বছর ধরে সাশ্রয়ী মূল্যে এলাকার মানুষের কাছে গরুর মাংস বিক্রি করে আসছিল। আমি নয়নকে এই মানবিক কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাই। 
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১১

গরুর মাংস ৫০০ টাকা 
৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে ফরিদপুরে। রমজানে কম মূল্যে গরুর মাংস কিনতে সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরের দিকে এর উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।  সংশ্লিষ্টরা জানান, পবিত্র রমজানে স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নিয়েছেন ডা. নাহিদ উল হক। শহরের আলীপুরে শেখ রাসেল ক্রীড়া কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের উদ্যোক্তা ডা. নাহিদ উল হক বলেন, আমাদের দেশের মুসলমানদের কাছে গরুর মাংস খুবই প্রিয়। দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কিনতে পারেন না। তাদের কথা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তার এ কাজের অংশীদার হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। ফরিদপুরের মানুষ যাতে এ রমজানে একটু স্বস্তিতে থাকতে পারেন সেজন্যই এ প্রচেষ্টা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, পুরো রমজানে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবো। প্রথম দিনে চারটি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়েছে। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইশতিয়াক আরিফ, সহ-সভাপতি মাসুদুল হক, দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ পিয়ার, সহ-প্রচার সম্পাদক আলী আজগর মানিক, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৫

ঝিনাইদহে ১২ গরুর মৃত্যুর পর অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালা
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা নামক স্থানে অবৈধ সীসা কারখানার বিষক্রিয়ায় বুধবার আরও তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই মালিকের আরও ৫টি গরু অসুস্থ হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে কসাইদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ১০-১২টি গরু মারা গেছে। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর খবর পেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হরিণাকুন্ডুর এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায়। অভিযানের সময় ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে চারাতলা বাজারের পাশে পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ডালিম মন্ডলের জমি ভাড়া নিয়ে এই অবৈধ কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন গাইবান্ধার মশিয়ার রহমান। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরানো ব্যাটারি সংগ্রহ করে সীসা তৈরি করতেন তিনি। এই কারখানা থেকে তীব্র ঝাঝালো এসিডের গন্ধে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়। এ দিকে শিতলী গ্রামের আলো জোয়ারদার অভিযোগ করেন, বুধবার ওই কারখানার পাশে তার ৮টি গরু ঘাস খাচ্ছিল। বিষক্রিয়ায় তার গরুর পাল অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ি আনার পর ৩টি গরু মারা যায়। বাকি ৫টি গরু তড়িঘড়ি করে স্থানীয় ইবাদত কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মকলেছুর রহমান জানান, এর আগে ভালকী গ্রামের খেলাফৎ ও পায়রাডাঙ্গা গ্রামের কলিম উদ্দীনসহ একাধিক কৃষকের ১০-১২টি গরু মারা গেছে। এসব গরুর দাম প্রায় ১৫ লাখ টাকা হবে। এ অবৈধ সীসা কারখানা উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসী বহুবার হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসন ও ঝিনাাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানালেও তারা অদৃশ্য কারণে বন্ধ করেনি। অবশেষে বিভিন্ন সময় ১০-১২টি গরুর মৃত্যুর পর বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারখানাটি সিলগালা করা হয়। এ বিষয়ে কারখানার পরিচালক মশিয়ার রহমান জানান, ‘তিনি ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে এই কারখখানা চালিয়ে আসছিলেন। আমার টাকা সবার পকেটে আছে। তিনি দাবি করেন ৪০ জায়গায় তিনি মাসিক টাকা দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।’ বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান জানান, আমার লোকবল নেই। একটা অভিযান পরিচালনা করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ। কিন্তু অফিসের কোন বরাদ্দ নেই। তিনি বলেন, বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০১:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়