• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেখান থেকে আসে গরমের তীব্রতা
গত কয়েক দিন ধরে দেশে গরমের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে এবং দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। গরমে বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগ। গরম প্রসঙ্গে হাদিসে কী বলা আছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো (বোখারি, হাদিস : ৩২৬০)। প্রচণ্ড গরমের সময় রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের নামাজ কিছুটা বিলম্বে আদায় করতেন। তাই বেশি গরম পড়লে জোহরের নামাজ দেরিতে আদায় করা সুন্নত। এ প্রসঙ্গে হজরত আবু জার রা. বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। একসময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পুনরায়) বলেন, গরম কমতে দাও।   এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। অতঃপর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা আসে জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় কর (বুখারি ৫৩৯)। গরমের তীব্রতা মূলত জাহান্নামের তীব্রতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই প্রচণ্ড গরমে জাহান্নামের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া উচিত।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়