• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র গরম থেকে বাঁচার দোয়া
রাজধানীসহ সারাদেশেই চলছে তীব্র তাপদাহ। তাপদাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর অতিরিক্ত গরমের ফলে ডায়রিয়া, ঠান্ডা-কাশিসহ অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নানা বয়সি মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাঁচার জন্য রাসুল (সা.) আমাদের বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় কর। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিশ্বাস। (মিশকাত : ৫৯১) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো (বোখারি, হাদিস : ৩২৬০)। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে- আবু জার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। এক সময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবিজি (সা.) বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবিজি পুনরায় বলেন, গরম কমতে দাও। এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে, আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। এরপর নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা হয় জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় কর। (বোখারি ৫৩৯)। তীব্র গরম থেকে বাঁচার দোয়া: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি'মাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামি'য়ি সাখাত্বিকা অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে। اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ ‏ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন। অর্থ : হে আল্লাহ, আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করুন।
৯ ঘণ্টা আগে

আজ কোথায় কেমন গরম পড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। চলমান এই গরম আরও বেশ কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।  এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে। তবে এ সময়ে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।  
১৯ ঘণ্টা আগে

গরমে বিচারকাজ অনলাইনে করতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর, ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও বাড়িয়েছে। এ কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ অনলাইনে সম্পন্ন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক এ চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজমান, যাতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনজীবীদের অনেকের পক্ষে শারীরিক অসুস্থতা এবং বয়োজ্যেষ্ঠতার কারণে তীব্র গরমে শারীরিকভাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে আইনজীবীরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। একইভাবে বিচার প্রার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে হলেও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালনা করলে আইনজীবীরা এবং বিচার প্রার্থীরা উপকৃত হবেন। চিঠিতে বলা হয়, বিশেষ বিবেচনায় বয়োজ্যেষ্ঠ এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ আইনজীবীদের সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলার বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ প্রদান করলে আইনজীবীরা কৃতজ্ঞ থাকবেন।
২১ ঘণ্টা আগে

গরম নিয়ে নতুন তথ্য দিলো আবহাওয়া অফিস
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া একই সময়ে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। তবে, এ সময়ে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০২

গরম আরও বাড়ার আভাস 
প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ। টানা হিটওয়েভে ওষ্ঠাগত জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ চড়াও যশোর-চুয়াডাঙ্গায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিলই শেষ নয়, এবারের মে মাস হবে আরও উত্তপ্ত। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ১৩ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবনের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন শনিবার (২০ এপ্রিল) গরম আরও বাড়াতে পারে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা বাড়তে পারে এবং অব্যাহত থাকতে পারে। তাই তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৮

যে কারণে গরম আর শীত বেশি চুয়াডাঙ্গায়
শীত ও গরমের আবহাওয়ায় আলোচনায় থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা। কারণ, শীতের সময় হাড় কাঁপানো শীত আর গরমের সময় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয় এ জেলায়। এটি এ জেলার আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গরমে হাঁসফাঁস আর শীতে কাঁপাকাঁপি। কেন এমন হয়?  তাপমাত্রার এমন তারতম্যের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয় বেশ কয়েকটি কারণে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ভৌগোলিক কারণ। চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি। আর এ কারণেই শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলায় গাছপালা কমে যাওয়ায় উষ্ণতা বাড়ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াও অন্যতম প্রধান কারণ। এ জেলায় অপেক্ষাকৃত কম জলাভূমি রয়েছে। জলাভূমি বেশি থাকলে শীতের সময় তা শীত ধারণ করে ঠান্ডা কমিয়ে দিতে পারে। আর গরমের সময় জলাভূমির স্বল্পতার জন্য আর্দ্রতা ধরে রাখা যায় না। তাই বেশি গরম অনুভূত হয়। জামিনুর রহমান জানান, শীত ও গ্রীষ্ম উভয়েই উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশে আসে। অর্থাৎ ভারতের কাশ্মীর, দিল্লি—এসব এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে আসে। আবার পশ্চিমবঙ্গের তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ে এ জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়লে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রাও বাড়ে।  এদিকে, গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তীব্র গরমেরও রেকর্ড রয়েছে এ জেলার। গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ২২ মে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২০১৬ সালে ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫  এপ্রিল ওই বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল ওই তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত চারবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আজ চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৯

গরম নিয়ে সবশেষ যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস
দেশের আট বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, একই সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের বিরাজমান তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি প্রশমিত হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। একই সময়ে চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়  সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪

গরম বাড়তেই ঈদের পর ফের বেড়েছে তরমুজের দাম 
ঈদের আগে তলানিতে নেমেছিল তরমুজের দাম। বড় আকারের তরমুজ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কেজি হিসেবে বিক্রি হয়েছিল ৩০-৪০ টাকায়। ঈদের পরদিন প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন ৬০ টাকায়। তরমুজের বাড়তি দামের বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের মধ্যে সরবরাহ কম ছিল। এছাড়া মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে নতুন করে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। রাজধানীর মালিবাগ বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী শংকর পাল বলেন, পাইকারীতে দাম বেড়েছে, কিছু করার নেই। নিলে নেন, নইলে বাদ দেন।  ক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে মানুষ তরমুজ বয়কট করায় বিক্রি তলানিতে নেমেছিল। এখন নতুন করে দাম বাড়াচ্ছে, মানুষ তরমুজ না কিনলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সোজা হবে। শান্তিনগর বাজারে কথা হয় মাহাবুব হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, ডায়াবেটিস আছে, তাই অন্য ফলের চেয়ে তরমুজটা একটু বেশি খাই। ঈদের আগের তুলণায় আবার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকায় তো মানুষ নেই। তরমুজ কেনার মানুষ নেই। এরপরও বিক্রেতারা দাম ছাড়েনা। রাজধানীর খুচরা বাজারে মার্চের শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। রমজান শুরু হওয়ার পর সে দাম নামে ৮০ টাকায়।  সেই সময় বেশি দাম ও তরমুজ অপরিপক্ব হওয়ায় মানুষ খুব একটা তরমুজ কেনেননি। এর মধ্যে ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ডাক আসে। তখন কমে যায় তরমুজের দাম। তবে গরম বাড়তেই ঈদের পর ফের বাড়ছে তরমুজের দাম।   
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১২

ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, বাড়বে গরম
টানা কয়েক দিন গরমের পর গত দু’দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও হয়েছে ঝড়। বৃষ্টির ফলে গরম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। গতকাল সকাল থেকেও বিভিন্ন স্থানে ছিল মেঘলা আকাশ। তবে বৃষ্টির এমন পরিস্থিতি বেশি সময় স্থায়ী হবে না বলে জানালেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই; বরং বাড়বে গরম। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিক। এর পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। সেই হিসাবে ঈদের দিন (বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার) বৃষ্টি হবে না, বরং ভ্যাপসা গরম থাকবে। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। তাপমাত্রা থাকবে বেশি। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থাকবে। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।  সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, এপ্রিলজুড়েই সারাদেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। ভৌগোলিক অবস্থা আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই আবহাওয়ার এ পরিবর্তন। তিনি বলেন, গত বছর চরম তাপপ্রবাহ ছিল। গত এপ্রিলে সারাদেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

গরম নিয়ে যে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
কয়েক দিনের টানা গরমের পর রোববার (৭ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল হয়েছে। তবে দুদিন পর আবারও গরম বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (৭ এপ্রিল) দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টি কোনো আশঙ্কা নেই। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়