• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
মানি লন্ডারিং ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে : গভর্নর
দেশে বাণিজ্য ভিত্তিক মানি লন্ডারিং ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে ‘ব্যাংকসমূহের প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ‘গত ২ বছরে দেশের ব্যাংকিং সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে এবং প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার এলসি খোলা হয়েছে’ উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, প্রতিদিন এসব এলসি নজরদারি করা হচ্ছে। অর্থ পাচার করা হচ্ছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি ওভার ইনভয়েসিং খুব একটা পাওয়া যায় না। এলসি খোলার সময় সন্দেহজনক  ওভার ইনভয়েসিং হলে কাস্টমসের সঙ্গে সমন্বয়  করা হচ্ছে। এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে কাজ করছে। ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থপাচার ধীরে ধীরে ইতিহাসে পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন গভর্নর। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘গত দুই বছরে ব্যাংকিং কালচারে বড় পরিবর্তন এসেছে। টাকা পাচার হচ্ছে কিনা তার ওপর বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এলসি খোলা কঠিন হয়ে গেছে, এতে করে টাকা পাচার অত সহজ হচ্ছে না।’ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী আলোচনায় আব্দুর রউফ তালুকদার আরও বলেন, ‘সন্দেহজনক এলসি দ্রুত কাস্টমসে পাঠানো হয়। এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে মানি লন্ডারিং বন্ধে কাজ করছে।’ সম্মেলনে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ বাংলাদেশে কার্যরত ৬১টি ব্যাংকের প্রধান ও উপ-প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৭

ডেপুটি গভর্নর হচ্ছেন খুরশীদ-হাবিবুর
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. খুরশীদ আলম ও ড. মো. হাবিবুর রহমান। দুই শূন্য পদের বিপরীতে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়োগসংক্রান্ত নথিতে সই করে আদেশ জারির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি আদেশ জারি করা হয়েছে। খুরশীদ আলম বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক-১ হিসেবে কর্মরত। ড. হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ। এখন দুজনকেই নিয়মিত চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে ডেপুটি গভর্নরের চুক্তিভিত্তিক পদে যোগদান করতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি এ কে এম সাজেদুর রহমান খান এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি আবু ফরাহ মো. নাছেরের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর এ দুটি পদ খালি হয়। খুরশীদ আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের স্নাতকোত্তর এবং পরে এমবিএ করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। খুরশীদ আলম ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, কৃষি ঋণ বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস্ ডিপার্টমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন, এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট, সচিব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অপরদিকে হাবিবুর রহমান বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার খিরাতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. রহমান ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএইড) বৃত্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায়োগিক অর্থনীতিতে যথাক্রমে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ, মানিটারি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইউনিটে (বর্তমানে মানিটারি পলিসি বিভাগ) কাজ করেছেন। পরে তিনি বিশ্ব ব্যাংকের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্টের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি অ্যানালাইসিস ইউনিটে সিনিয়র রিসার্চ ইকোনমিস্ট হিসেবে নিয়োজিত হন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে উপমহাব্যবস্থাপক এবং সর্বশেষ গভর্নর সচিবালয়ের পলিসি সাপোর্ট উইংয়ে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৫

মূল্যস্ফীতি নিয়ে সমস্যায় আছি : গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এখন আর নতুন ফান্ড বা তহবিল দেওয়া যাবে না। কারণ এই মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কাউকে টাকা দিলে মানি ক্রিয়েশন হয়। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মাইক্রো ফাইন্যান্স ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২৬ সালের মধ্যে আমাদের ৭৫ শতাংশ লেনদেন ক্যাশলেস-ভিত্তিক হয়ে যাবে। তাই তথ্যের জন্য অনলাইন-ভিত্তিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুবই জরুরি।  ক্ষুদ্র ঋণদাতা এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহের অনুরোধের ওপর ভিত্তি করে গভর্নর বলেন, এই মুহূর্তে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আলাদা কোনো তহবিল দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমরা এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ে সমস্যায় আছি। বাংলাদেশ ব্যাংক কাউকে টাকা দিলে মার্কেটে মানি ক্রিয়েশন হয়। এর ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কোন সিস্টেমকে ডিজিটাল করলেই, তার কাজ শেষ হয়ে যায় না। সিস্টেমকে মেইনটেন্যান্স করাটা প্রধান সমস্যা বলে উল্লেখ করেন গভর্নর। এসময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের প্রতি সার্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান আব্দুর রব তালুকদার।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়