• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গবেষণা ছাড়া খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসতো না : রুমানা আলী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য গবেষণার ওপর গুরুত্ব এবং পুষ্টি বাগানের ওপর জোর দিয়েছেন। গত ১৫ বছর যাবত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে তা গবেষণা ছাড়া সম্ভব হতো না। সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন গবেষণা।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে আমরা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ গবাদিপশু পালন করি। গরু-ছাগল হাঁস-মুরগি পালনে মা-বোনদের বেশি করে সম্পৃক্ত করতে পারলে তারা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজের শিশু সন্তানকে একটি দায়িত্ব দিয়ে ছেড়ে দেন। বই মেলায় গেলে শিশুদের বই কিনে দিন, বৃক্ষ মেলায় গেলে একটি গাছের চারা কিনে দিয়ে তাকে পরিচর্যার দায়িত্ব দিন। হতে পারে একটি হাঁস, একটি মুরগি কিংবা একটি কবুতর। তা থেকে সে কাজে মনোযোগী হবে। ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি। কৃষি সম্পদের জন্যও সেভাবেই কাজ করে যাব। লেখাপড়া শেষ করে যারা চাকরির পেছনে ঘুরছেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেই একজন উদ্যোক্তা হন। প্রাণিসম্পদ একটি বড় সম্পদ। বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই সম্পদের ওপর নির্ভর করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই আপনারা নিজেই একজন উদ্যোক্তা হয়ে দেশটা এগিয়ে নিতে কাজ করেন। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসার সভাপতিত্বে এবং শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৬

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বিআরটিএর প্রতিবাদ
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) উপস্থাপিত প্রতিবেদন অনুমান নির্ভর, অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করবো। সম্প্রতি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সম্পর্কিত মোটরযান নিবন্ধন-রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ ইস্যু, নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়নে ঘুষ প্রদান নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিআইবি। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বনানী সড়ক পরিবহন ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে বিআরটিএ তীব্র প্রতিবাদ এবং তা প্রত্যাখ্যান করছে। কারণ, এতে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমান নির্ভর তথ্য যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। আমরা টিআইবির কাছে এর লিখিত ব্যাখ্যা চাইব। বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (bsp.brta.gov.bd)-এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের আবেদন ঘরে বসে দাখিল ও ঘরে বসেই সার্টিফিকেট প্রিন্ট করতে পারছেন জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অধিকন্তু, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক প্রদান করে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অনলাইনে প্রযোজ্য ফি জমা প্রদানপূর্বক আবেদন দাখিল করে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ওই দিনই পেয়ে যাচ্ছে যা ব্যবহার করে গাড়ি চালাতে পারছে। এছাড়াও অনলাইনে আবেদন দাখিলের ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাকযোগে আবেদনকারীর কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যেহেতু সেবা পেতে সশরীরে বিআরটিএতে আসার প্রয়োজন হয় না, সেহেতু উল্লেখিত সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত নয় বলে দাবি করেন তিনি। বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, মোটরযান মালিক ডিলার বা শো-রুম থেকে মোটরযান ক্রয়ের পর অনলাইনে মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিজে বা ডিলার /শো-রুম এর মাধ্যমে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল এ দাখিল করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে মোটরযান সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক একই দিনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করা হচ্ছে। সুতরাং এক্ষেত্রে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়া এবং সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখিত গড় ব্যয়িত সময় ৩০ কর্মদিবসের বিষয়টি অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত। তিনি বলেন, রুট পারমিট সার্টিফিকেট ইস্যু/নবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের যাত্রী, ও পণ্য পরিবহন কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআরটিএ থেকে নির্ধারিত সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রুট পারমিট সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ১৫ অক্টোবর ২০২০ থেকে ফিটনেস নবায়নে অনলাইনে অ্যাপয়নমেন্ট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জানিয়ে  বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অ্যাপয়নমেন্ট অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মোটরযান সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে হাজির করে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উপযুক্ততা সাপেক্ষে ফিটনেস সার্টিফিকেট একই দিনে প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে যেহেতু স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে সেহেতু সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:০৫

করোনার কিছু টিকায় সমস্যা বেড়েছে : গবেষণা
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারা বিশ্বে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে মানুষকে। জীবন রক্ষায় এসব টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শুধুমাত্র ইউরোপেই ১০ লাখের বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে করোনার এ টিকা। তবে এ টিকা নেওয়াদের কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছ বিজ্ঞানীরা। ৮টি দেশে করোনার টিকা গ্রহণ করা ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে এমন মন্তব্য করেছেন তারা। ‘গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডেটা নেটওয়ার্ক’-এর নতুন এই গবেষণাটি গত সপ্তাহে ভ্যাকসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। হৃদ্‌যন্ত্রে প্রদাহের বিষয়ে ব্লুমবার্গ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ফাইজার ও মডার্নার মতো ‘এমআরএনএ’ টিকা নিয়েছেন তাদের হৃদ্‌যন্ত্রে প্রদাহের মাত্রা সামান্য বেশি দেখা গেছে। অন্যদিকে যারা ভাইরাল ভেক্টর নামে পরিচিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়েছেন তাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার মতো একটি বিরল ব্যাধির সম্পর্ক পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর এই প্রবণতা সামান্য বেশি দেখা গেছে। প্রাথমিক ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর পেরিকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের চারপাশের টিস্যুগুলোতে ফোলাভাব প্রবণতারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উচ্চ ঝুঁকির সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করে গবেষকরা বলেন, গুলেন ব্যারি সিনড্রোম বা জিবিএস হচ্ছে এমন স্নায়বিক ব্যাধি—যা মাংসপেশিকে দুর্বল করে ধীরে ধীরে শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয়। একপর্যায়ে নড়াচড়ার সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তিরা।  গবেষণায় ৯ কোটি ৯০ লাখ টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ধারাবাহিক তথ্যগুলো পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩টি নির্দিষ্ট অবস্থার ওপর নজর রাখেন। তাদের মতে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রাথমিক ডোজ গ্রহণের ৪২ দিনের মধ্যে গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে ৬৬টি নজির প্রত্যাশিত ছিল, সেখানে ১৯০টি নজির দেখা গেছে। এই টিকা সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিসের তিনগুণ বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত ছিল। এ সিনড্রোম মূলত মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার একটি ব্যাধি। এই ব্যাধির প্রত্যাশিত ২১টি নজিরের বিপরীতে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৯টি নজির শনাক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগে ডেনমার্কসহ একাধিক দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রত্যাহার বা সীমাবদ্ধ করেছে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১২

হাবিপ্রবিতে ফসল চুরিতে ব্যাহত হচ্ছে গবেষণা
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) গবেষণা মাঠের ফসল চুরি হয়ে যাওয়ায় গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। চুরি প্রতিরোধে কোনো কার্যকর উপায় না পাওয়ায় গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।  কে বা কারা প্রতিনিয়ত গবেষণা মাঠের ফসল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। তারের বেড়া ও নেট দিয়ে গবেষণা মাঠ ঘিরে রেখেও আটকানো যাচ্ছে ফসল চুরি। কৃষি অনুষদের বায়োক্যামেস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো আজিজুল হক অভিযোগ করে বলেন, ভালো গবেষণার ফল আসার পর ধরে রাখতে পারলাম না যেইটা সত্যিই দুখঃজনক। চারপাশে নেট দিয়ে ঘিরে রাখার পরও জমির পাশে নোটিশ দিয়ে রেখেছিলাম যাতে কেউ গবেষণার টমেটো সংগ্রহ না করে। এসব তোয়াক্কা না করেই গতকালই এক মণের অধিক টমেটো চুরি হয়ে গেছে। আমার পরিকল্পনা ছিল এই টমেটো থেকে বীজ সংগ্রহ করে গবেষণায় সামনের দিকে অগ্রসর হব । কিন্তু জৈব নিরাপত্তা না পাওয়ায় এই গবেষণার উদ্দেশ্যে পূরণ করতে পারলাম না। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মাঠ থেকে টমেটো, ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবছরই এইরকম গবেষণার ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় । আরেক গবেষক ফসল শরীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের গবেষক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, যে সমস্ত ব্যক্তি গবেষণার স্যাম্পল তুলে নিয়ে গিয়ে গবেষণাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এটা থেকে যেনো সরে আসে। সবার প্রতি একটাই আহ্বান থাকবে যে গবেষণার স্যাম্পল যাতে নষ্ট না করে এবং এই ন্যক্কারজনক কাজ থেকে যেনো বিরত থাকে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ফসল চুরির ব্যাপারে আমি এখনও কোনো অভিযোগ পায়নি। উল্লেখ্য, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ব্যয় করে শ্রম দিয়ে গবেষণা মাঠে গবেষণার ফসল উৎপাদন করেও চুরি হয়ে যাওয়ার কারণে গবেষণার ফলাফল তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটছে, যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়ছেন তারা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪

পুষ্টি নিরাপত্তা রক্ষায় হাবিপ্রবিতে তিসি নিয়ে গবেষণা 
উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তিসির জাত উদ্ভাবন করতে দেশ বিদেশ থেকে সংগৃহীত ২০ টি জিনোটাইপ নিয়ে গবেষণা করছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার। একসময় বাংলাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই রবি শস্যটি প্রচুর চাষ হলেও বর্তমানে অনেক কমে গেছে। সাধারণত ফলন তুলনামূলক কম হওয়ায় এবং রবি মৌসুমের অন্যান্য শস্যের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকার কারণে কৃষকরা তিসি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তিসি তেল ও আঁশ উৎপাদনকারী একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। তিসিগাছ লম্বায় প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এর বেগুনি নীল ফুল ভোরবেলায় ফোটে এবং বিকেলে ঝরে যায়। এর কাণ্ডের বাকল বা ছাল থেকে আঁশ তৈরি করা হয়। বিদেশে সুন্দর লিনেনজাতীয় বস্ত্র তৈরিতে তিসির আঁশ ব্যবহৃত হয়। ওষুধি গুণসম্পন্ন তিসির বীজ থেকে উৎপন্ন হয় ভেষজ তেল যাতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী সব গুণাগুণ। এ ছাড়াও এই তেল বার্নিশ ও চিত্রকলার তৈলচিত্রের উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ছাপাখানার কলিতেও রয়েছে এর ব্যবহার। প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার তার গবেষণা নিয়ে বলেন, আমাদের দেশে ভোজ্য তেলের সংকট দূর করার জন্য তিসির ওপর গবেষণা করছি। তিসি আবহমানকাল থেকেই আমাদের দেশে চাষ হয়ে আসছে। বর্তমানে নানা কারণে এটির চাষ এখন কমে প্রান্তিক হয়ে গেছে। কিন্তু এটি আমাদের দেশের পরিবেশের সঙ্গে উপযোগী একটি শস্য। আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা, ভারত ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে তিসির প্রায় ২০ টি জিনোটাইপ সংগ্রহ করে সিলেকশন পদ্ধতিতে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৩ বছর পর্যবেক্ষণ করে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছি। এতে করে কৃষক তিসি চাষে আগ্রহী হবে এবং এর ঔষুধি গুণের জন্য ভোজ্য তেলে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিসির উৎপাদন ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রম দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক। এসময় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, আমরা আশা করছি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা তিসির একটি উচ্চ ফলনশীল জাত পাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অপ্রচলিত ফসল নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে এই শস্যগুলো ধরে রাখতে পারবো। এই গবেষণা আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক হবে। তিসি গবেষণা মাঠ পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক বলেন, গবেষণা মাঠের তিসি গাছগুলোর অনেক সুন্দর বৃদ্ধি হয়েছে এবং কোনো রোগবালাই নেই। হাবিপ্রবি এধরনের গবেষণার মাধ্যমে এসব শস্যকে ধরে রাখছে। এর দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ন গবেষণার মধ্যমে দেশবাসীর উপকারিতা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাবে এবং এই তৈল জাতীয় শস্যের গ্রহণ যোগ্যতা বাড়বে। তিসি গবেষণার প্রসংশা করে হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, যেহেতু তিসির মেডিসিনাল ভ্যালু অনেক বেশি এর ওপর গবেষণা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। বর্তমানে আমাদের সেন্ট্রাল ল্যাব রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে আশা করি এসব ব্যবহার করে তিসি নিয়ে আরো উচ্চতর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং এর অর্থায়নে ২০২২ সাল থেকে উচ্চ ফলনশীল তিসির জাত নিয়ে গবেষণা করছেন প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার ও তার শিক্ষার্থীরা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩

যত বেশী গবেষণা হবে, দেশ ও জাতি তত উন্নত হবে : উপাচার্য বিআইইউ
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (বিআইইউ) আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মতিঝিলের বিসিআইসি অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ‘ইসলামিক কালচার এন্ড হেরিটেজ, বিজনেস, লিগ্যাল পারস্পেক্টিভ এন্ড ইম্পোরটেন্স অব ইংলিশ এজ এ লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা’ শীর্ষক শিরোনামে দিনব্যাপী দু’টি টেকনিক্যাল সেশনে নয় জন গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। এতে দেশ-বিদেশের ৫ শতাধিক গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষাবিদ ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, গবেষণা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে যত বেশী গবেষণা কর্ম সম্পাদন হবে, দেশ ও জাতি তত উন্নত হবে। প্রকৃত গবেষণাই আদর্শ জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করে।  তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজ কর্তৃক প্রয়োজনীয় অর্থ যোগান অবশ্য করণীয়, আর তা হলেই ছাত্র-ছাত্রীরা সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের যথাযথ আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি বিআইইউ পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সম্মেলনের আহবায়ক ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্টার বদরুল হায়দার চৌধুরী। প্রথম টেকনিক্যাল সেশনে স্ট্যামফোর্ড ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম ইউসুফ আলী, দ্বিতীয় টেকনিক্যাল সেশনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সিজিইডি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর শের মোহাম্মদের পৃথক সভাপতিত্বে প্রথম টেকনিক্যাল সেশনে ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা এবং সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও মনিরুল হক, মালয়েশিয়ার এরটিকা একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক ড. মাহমুদ আহমেদ এ আব্দেল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী মোহাম্মদ কাওসার এবং দ্বিতীয় টেকনিক্যাল সেশনে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের (অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল) প্রফেসর ড. সরদার মাহমুদ হোসাইন, বিআইইউ’র ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাব্বির হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবদুছ সবুর মাতুব্বর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সাঈদ খান গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেশন দুটি পরিচালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত সুলতানা ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম। সম্মেলনের সদস্য সচিব, বিআইইউর প্রক্টর ও সেন্টার ফর জেনারেল এডুকেশনের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০

প্রতিবেদনের নামে টিআইবির এজেন্ডাভিত্তিক গবেষণা
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তাদের গবেষণায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘একপাক্ষিক ও পাতানো’ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দাবি করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক হয়নি বলে জানিয়েছে। তবে টিআইবি’র এই গবেষণায় বেরিয়েছে নানা অসংগতি এবং তথ্যের গড়মিল। তাদের গবেষণা পদ্ধতিকে এজেন্ডাভিত্তিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই তারা ব্যক্তিগত মতামতকে তথ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে।         টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এটি একটি মিশ্র পদ্ধতির গবেষণা। গুণগত ও সংখ্যাগত উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।   গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ৫০টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত প্রত্যক্ষভাবে নিয়েছে। মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার হিসেবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী, দলীয় নেতা-কর্মী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, কমিশনের কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, নির্বাচনী ট্রাইবুনালের কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক, ভোটার, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা জরিপ করেছে টিআইবি।  প্রত্যক্ষ তথ্য যাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক আছেন। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন অসংগতির বার্তা আসেনি। বরং বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে জানিয়েছেন।  টিআইবি পরিমাণগত ফলাফলসহ তার রিপোর্ট দিয়েছে। যদিও মেথোডলজি সেকশন (সেকশন ৩, পৃষ্ঠা ৩) থেকে দেখা যাচ্ছে যে তারা তাদের সিদ্ধান্তে আসার জন্য গুণগত এবং পরিমাণগত উভয় ডেটা ব্যবহার করেছে। তারা কীভাবে পরিমাণগত ফলাফলে এসেছে তার কোনও প্রক্রিয়া উল্লেখ নেই। টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তারা ৩০০টির মধ্যে ৫০টি নির্বাচনী এলাকার তথ্য নিয়েছে। কিন্তু তারা কতোগুলো ভোট কেন্দ্রের তথ্য নিয়েছে তার উল্লেখ নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ৪২ হাজার ৩৫০টি ভোটকেন্দ্র ছিল। তাদের পদ্ধতি কীভাবে কার্যকর ধরা যায়, যখন তারা কতগুলো ভোট কেন্দ্রের তথ্য নিয়েছে, সেই সংখ্যাটিই প্রকাশ করেনি। তাদের ছিল মাত্র ৩ জন গবেষক এবং ৪ জন গবেষণা সহকারী। এত অল্প সময়ে এত ছোট টিম দিয়ে নির্বাচনের পুরো মেকানিজম জরিপ তারা কীভাবে করতে পারলেন এটা নিয়েও প্রশ্ন আছে।  মতামতকে তথ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে টিআইবি। ৩০০ আসনের মধ্যে দৈবচয়নে ৫০টি আসন নিয়ে গবেষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কিসের ভিত্তিতে তারা এই ৫০টি আসন বেছে নিয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করেনি। কাদের কাছ থেকে তারা তথ্য সংগ্রহ করেছে তাও উল্লেখ করেনি। যাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা মূলত অংশীজন। তারা তথ্য নয়, মতামত দিয়েছে। তথ্য এবং মতামতের মধ্যে পার্থক্য আছে। তারা মতামতকে তথ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। টিআইবি ৫০টি আসনের মধ্যে কতোগুলো কেন্দ্র বা পোলিং বুথে তথ্য সংগ্রহ করেছে তারও উল্লেখ নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ৩৫০টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। পোলিং বুথ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫টি। তারা কতোগুলো বুথে গবেষণা করেছে তা উল্লেখ না করে প্রতিবেদনের উপংহারে পৌঁছে বলেছে ৫১ শতাংশ আসনে পোলিং বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেয়া হয়েছে। গায়েবিভাবে তারা এই তথ্য উপস্থাপন করেছে।  তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, আন্তর্জাতিক কোনো জার্নাল তাদের এই গবেষণা প্রকাশ করবে না। কারণ এই গবেষণায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হয়নি। টিআইবির গবেষণা বৈজ্ঞানিক মিসকন্ডাক্টকে (অসদাচরণ) ছাড়িয়ে গেছে। তারা অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।  তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে গবেষণা করবে এবং তার ফলাফল জনগণের সামনে তুলে ধরবে। টিআইবি যেটা করেছে, সেটা গবেষণা না, এটা তাদের মতামত।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনালজি বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘দেশে সমানুপাতিক আচরণের বিষয়টা বেশ অনুপস্থিত। যেমন- একজনের বক্তব্যে যদি কাউকে খারাপ বলা হয় তাহলে সে খারাপ হয়ে গেল। বর্তমানে বাংলাদেশে এক ধরনের সুশীল সমাজ তৈরি হয়েছে যারা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে। এসবের মধ্যে বেশ কিছু ভালো বিষয় থাকলেও তাদের মধ্যে অনেক কিছু আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। বাংলাদেশে নির্বাচন কিংবা তার আগ মুহূর্তে এই বিষয়টা বেশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এক সময় দেখতাম সুশীল সমাজ নির্মোহভাবে বক্তব্য দিতো , এখন আমরা সেই নির্মোহ জিনিসটিকে হারিয়ে ফেলেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘টিআইবি আগে একটি গবেষণা করেছিল। সেই গবেষণার তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে আমরা তিনজন শিক্ষক অসংগতিগুলো তুলে ধরেছিলাম। তার গবেষণাটি করেছিল সংসদ সদস্যদের নিয়ে। সেখানে অজস্র ভুল ছিল, গবেষণায় কোন স্ট্যান্ডার্ড মেথোডলজি ব্যবহার করা হয়নি। এখন টিআইবি’র দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে করা গবেষণা প্রতিবেদন দেখে আমার কাছে খুব আশ্চর্য লাগছে। একটি হচ্ছে তারা যে কথাগুলো বলেছে তার অধিকাংশ হচ্ছে মতামত। মতামত প্রকাশের জন্য কিন্তু গবেষণার প্রয়োজন হয় না। তাদের গবেষণা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য ও সঠিক- তিনটি মানদণ্ডের উপর আমরা বলে থাকি যে একটি গবেষণা কতটুকু মানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য। সেগুলো তো তারা কিছুই উল্লেখ করেনি। আমি গবেষণার কোন কিছুই দেখিনি এর মধ্যে। মূল কথা হচ্ছে- টিআইবি’র গবেষণায় আমরা গবেষণার মূল যে তাত্ত্বিক বিষয় সেটি কিন্তু দেখিনি'। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৯

হাবিপ্রবিতে গবেষণা কার্যক্রমে এগিয়ে কীটতত্ত্ব বিভাগ
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সর্বোচ্চ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন (২০২২-২৩) অনুযায়ী কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগে মোট ১২ টি গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এক বছর মেয়াদী ২ টি বাংলাদেশ সায়েন্স একাডেমী ও ইউএসডিএ অর্থায়নে ৪ বছর মেয়াদী ১ টি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে এক বছর মেয়াদী ৫ টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং এর অর্থায়নে এক বছর মেয়াদী ৪ টি গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে।  প্রকল্পগুলো বিভাগে অধ্যয়নরত এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রীর শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও আন্তজার্তিক বিভিন্ন জার্নালে ৯ টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে বিভাগটি। বিভাগীয় গবেষণার অগ্রগতি নিয়ে কিটতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আদনান আল বাচ্চু বলেন, আমাদের কীটতত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী বিভিন্ন বালাই, পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা করে ফসলের উৎপাদন ও গুণগতমান বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন। সীমিত সুযোগ সুবিধার মধ্যেও আমরা নিরলস ভাবে দেশের কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।  ভাইস চ্যান্সেলর মহাদয়ের সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনায় আমরা গবেষণা কার্যক্রমে সফলভাবে পরিচালনা করে আসছি। আশা করি ভাইস চ্যান্সলর স্যারের সুনজর বজায় থাকলে আমরা গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই কৃষি অনুষদের একটি অন্যতম শিক্ষা বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এ বিভাগ থেকে কৃষি অনুষদের স্নাতক পর্যায়ে লেভেল ১, ২, ৩ ও ৪ এবং এমএস ও পিএইচডি পর্যায়ে পাঠদান ও গবেষণা করা হয়। কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দক্ষ কৃষি গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে জাতীয় পর্যায়ে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কীটপতঙ্গ শ্রেণিবিন্যাস, কীটপতঙ্গ বাস্তুতন্ত্র, পোকামাকড় ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতি শিক্ষা ও গবেষণার লক্ষ্যে তার কার্যক্রম শুরু করে। বিভাগীয় কোর্সগুলি কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা, কীটপতঙ্গ রোগবিদ্যা, কীট বাস্তুবিদ্যা, পোকা জৈবপ্রযুক্তি, রাসায়নিক বাস্তুবিদ্যা, শিল্প কীটতত্ত্ব, কীটপতঙ্গ শ্রেণীবিন্যাস, সংরক্ষিত পণ্য কীটতত্ত্বের ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত।  এ পর্যন্ত এ বিভাগ থেকে ৩ জন বিদেশি শিক্ষার্থীসহ মোট ১১৪ জন এমএস ও ২ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছে। বর্তমানে প্রায় ৪৫ জন এমএস শিক্ষার্থী ও ২ জন পিএইচডি ফেলো বিভাগে গবেষণারত আছে। বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, বিগত অর্থবছরে ১১ টি গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করে ২য় অবস্থানে রয়েছে কৃষি অনুষদের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ এবং ১০ টি গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করে ৩য় অবস্থানে আছেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজার্ভেশন বিভাগ।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়