• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হাবিপ্রবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতৃত্বে অধ্যাপক ড. ফাহিমা-শ্রীপতি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষকদের অন্যতম সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন উদ্ভিদ শরীরতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার। রোববার (১০ মার্চ) উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৪-২০২৬ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মেহেদী ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন ও রুবাইয়্যাত আল ফেরদৌস নোমান। মোট ১৬২ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৫৮টি এবং অফলাইন ও অনলাইন উভয় মাধ্যমেই ভোট প্রদানের সুযোগ ছিল বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মেহেদী ইসলাম বলেন, বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এটাই আমাদের সব থেকে বড় অর্জন। আমরা নির্বাচনকে জয় পরাজয় বলবো না। এটা হবে আমাদের নেতৃবৃন্দের কমিটমেন্ট। আমি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নয় একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে সকল প্রার্থীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি যেন তারা সঠিকভাবে পালন করে এটাই প্রত্যাশা করি। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মেহেদী ইসলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম, সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেইরি অ্যান্ড পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী ও অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক ড. উম্মে সালমা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উদ্ভিদ শরীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজউল ইসলাম ও জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম। নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী আমাদের শিক্ষকদের এই সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাফল্যের লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতায় কাজ করার চেষ্টা করবো। শিক্ষকদের মূল্যায়ন করে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার বলেন, আমাদের সংগঠন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষক সংগঠন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষনা এগিয়ে নেওয়া সহ শিক্ষকগনের যৌক্তিক দাবি পূরনের লক্ষ্যে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে আসছে। সামনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।  কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন কোষাধাক্ষ পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. খালেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল মোমিন সেখ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোহরাব হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন দুরুদ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ওবায়দুল্লাহ সাদ্দাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে উদ্ভিদতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে ফসল শরীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান, অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ, অধ্যাপক ড. তারিকুল ইসলাম, ডা. সাব্বির হোসেন সবুজ, মীর তুহিন বিল্লাহ, ডা. নাজমী আরা রুমি, কে এইচ নাজমুল আহসান, মো. বেলাল হোসেন এবং ইয়াসমিন আরা। দশ নম্বর সদস্য পদে মো. রাশিদুল হক ও সৌরভ পাল চৌধুরী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় এখনও অমীমাংসিত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ১০ টি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন এবং অন্যান্য পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সভাপতি ও সহ-সভাপতি মোট ৪টি পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নি।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

আটাব নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট পূর্ণ প্যানেলে জয়ী
ট্রাভেলস ব্যবসায়ীদের একমাত্র সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল অ্যাজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) দ্বি-বার্ষিক (২০২৩-২৫) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছেন আবদুস সালাম আরেফ ও আফসিয়া জান্নাত সালেহের নেতৃত্বাধীন আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনে তিনটি প্যানেল অংশ নেয়। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৮৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আফসিয়া জান্নাত সালেহ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮১৪ ভোট পান আবদুস সালাম আরেফ। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আটাব সম্মিলিত ফোরামের প্যানেল প্রধান ফরিদ আহমেদ মজুমদার পেয়েছেন ৫৮৯ ভোট এবং আটাব গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্টের প্যানেল প্রধান পেয়েছেন ৩৯০ ভোট। আরেফ-আফসিয়ার গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে ঢাকার হয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন- মোস্তাফিজুর রহমান হিরু, মোহাম্মদ তোয়াহা চৌধুরী, লায়ন মো. শফিক উল্লাহ নান্টু, দিদারুল হক, মো. মনসুর আলম পারভেজ, সবুজ মুন্সি, আতিকুর রহমান, মো. শাহীন উজ জামান, মো. ফজলুল হক, আবুল কালাম আজাদ, কালাম সিকদার, মো. ইফতাখার আলম ভূঁইয়া, এসএম বিল্লাল হোসেন সুমন, এটিএম খোরশেদ আলম ও এএমএম কামাল উদ্দিন। এবারে ঢাকা আঞ্চলিক থেকে সকল প্রার্থী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন মো. জাহাংগীর আলম, মো. গোলাম আজম সৈকত, মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. আমির হোসেন, মো. সোলায়মান, আশরাফ উদ্দিন, মো. মাহমুদুল আলম সিদ্দিকী, মো. খোকন, শাহীন মিয়া, বোরহান উদ্দিন, সাকিল ইসলাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, মিজানুর রহমান, একেএম মঈনুল হক ও মাহফুজুর রহমান। আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্যানেল প্রধান আবদুস সালাম আরেফ বলেন, সকল সদস্যদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট আটাব গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ডসহ সকল সরকারি দফতরের সাথে সুসম্পর্কের মাধ্যমে সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষন অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কাজ করে যেতে চাই। আটাবের বর্তমান কমিটির কালচারাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ তোয়াহা চৌধুরী বলেন, আমাদের নির্বাচনী শ্লোগান ছিলো, 'স্মার্ট আটাব বিনির্মাণে, চলো একসাথে, স্বপ্নের পথে, আগামীর দিনে'। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবো। ঢাকা আঞ্চলিক থেকে নির্বাচিত সদস্য মো. গোলাম আজম সৈকত বলেন, এবারের নির্বাচন ছিল অতীতের সকল নির্বাচন থেকে অধিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ। এখানে তিনটি প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। আমরা (আরেফ-আসফিয়া) প্যানেল বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করেছি। আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অহ্মরে অহ্মরে পালন করবো। স্মার্ট আটাব গঠন ও সকল সদস্যদের ব্যবসায়ীক স্বার্থ রক্ষা করাই হবে আমাদের মুল দায়িত্ব। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২১:০২

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশে উন্নয়ন হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। এটাই প্রমাণিত সত্য যে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে উন্নয়ন সম্ভব। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত, ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার আগে জুডিশিয়ারিতে কোনো নারী অংশগ্রহণ করতে পারত না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেন। সুপ্রিম কোর্টে যাতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায়বিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করেন। কিন্তু ক্ষমতালোভীরা তাকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টেই বন্দি করে রাখে। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করি। কিন্তু উচ্চ আদালতের ক্ষমতা আবার ২০০১ সালে বিএনপি কেড়ে নেয়। এরপর ২০০৯ সালে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম দেশের মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবো। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশ থেকে চিরতরে দূর করবো। আমরা সেই কথা রাখতে পেরেছি। শেখ হাসিনা বলেন, এখন বিচার ব্যবস্থা অনেক ফাস্ট হয়েছে। মামলা জট কমেছে। মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে। ডিজিটাল থেকে বিচার বিভাগকে আমরা স্মার্ট করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমি চাই দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, কেউ যেনো পনেরোই আগস্ট স্বজনহারা আমাদের মতো বিচারহীনতায় না ভোগে। সংবিধানে বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। ১৫ আগস্ট আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ন্যায়বিচার পেতে আমাকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এ আমার ছোট বোন আর আমি বিদেশে ছিলাম। তখন ভারতই আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। যারা গুলি খেয়ে বেঁচে গিয়েছিল, যারা স্বজন হারা ছিল, যাদের জীবন ছিল অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ তারাও কিন্তু ওই ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। কাজেই ’৭৫-এর পরে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল-সেটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কী চেয়েছিলেন? চেয়েছিলেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে। বাঙালি জাতিকে ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি দিয়ে একটু উন্নত জীবন দিতে। এই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই তিনি আজীবন সংগ্রাম করেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেন। তারই নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৭

গণতান্ত্রিক সূচকে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ
২০২২ সালের তুলনায় ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে দুই ধাপ নিচে নেমেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৩তম, যা বর্তমানে ৭৫তম। বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকীর ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত ডেমোক্রেসি ইনডেক্স ২০২৩ এ এমনটিই বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দশটি দেশের মধ্যে আটটি—বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, পাকিস্তান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র, ২০২৪ সালে দেশব্যাপী নির্বাচন করেছে। এর অর্ধেক দেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নয় এবং বাকস্বাধীনতাসহ আরও অনেক গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত অনুপস্থিত ছিল। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার নির্বাচন, যেখানে বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার। সরকার পরিবর্তন বা গণতন্ত্র আনবে না। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে 'হাইব্রিড শাসন' হিসেবে উল্লেখ করে আসছে ডেমোক্রেসি ইনডেক্স। প্রতিটি দেশের শাসন ব্যবস্থাকে এই ইনডেক্সে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—পূর্ণ গণতান্ত্রিক, ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক, হাইব্রিড শাসন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং রাজনীতিতে বহুত্ববাদ, সরকারের কর্মপ্রণালী, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে একটি দেশের শাসন ব্যবস্থাকে বিচার করে এই ইনডেক্স। বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর নাগরিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণে। আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রয়েছে সর্বোচ্চ স্কোর। জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা, ভোটারদের নিরাপত্তা, সরকারের ওপর বিদেশি শক্তির প্রভাবের মাত্রা এবং নীতি বাস্তবায়নে সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতাও মূল্যায়ন করে এই ইনডেক্স। এই ইনডেক্স সেইসব দেশকে হাইব্রিড শাসন ব্যবস্থার তালিকায় রাখে যেসব দেশে অনিয়মের কারণে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় না। বিরোধী দল ও প্রার্থীদের ওপর সরকারের চাপ থাকে। ব্যাপক দুর্নীতি এবং আইনের শাসন দুর্বল। সুশীল সমাজ দুর্বল। সাংবাদিকদের হয়রানি করা হয়, তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। ইনডেক্সে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর স্কোর উপমহাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন, আরও পিছিয়ে গেছে  বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এই ইনডেক্স অনুযায়ী, পাকিস্তান বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার দেশ হিসেবে বিবেচিত। ভুটান ও নেপালের স্কোর বাংলাদেশের চেয়ে কম। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে বিবেচিত শ্রীলঙ্কা।যার স্কোর বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। তালিকায় সবচেয়ে নিচে আফগানিস্তানের অবস্থান। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ কর্তৃত্ববাদী শাসনের দেশ হিসেবে আফগানিস্তানকে তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ারও নিচে রয়েছে মিয়ানমার। সূচক অনুসারে, পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে কানাডা, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে । আর যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে  রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র।    
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৩

গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে বিএনপি : কাদের 
তথাকথিত আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার বিএনপির রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি ২৮ অক্টোবরের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।  এ সময় বিএনপির আন্দোলন স্পষ্ট নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলন স্পষ্ট নয়, একবার তারা আন্দোলন অংশ হিসেবে নির্বাচন অংশগ্রহণ করে, আবার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে। আসলে বিএনপি  বারবার তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনকে হাসি তামাশায় পরিণত করেছে। বিএনপির নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলে আমরা বাধা দেব না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার আছে। এটা গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির বাইরে নয়। কিন্তু যদি তারা আন্দোলনের নামে সংঘাত, কর্মসূচির নামে সহিংসতার আশ্রয় নেয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রযোগকারী সংস্থা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে। রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করব। এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৭

‘বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত’
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার (৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ঠিক দুদিন আগে এই ঘটনাটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উৎসব, সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করার চূড়ান্ত অভিপ্রায়। বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পিত এই নিন্দনীয় ঘটনা নিঃসন্দেহে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত করেছে। আব্দুল মোমেন বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানো, মানুষ পোড়ানোর মতো সহিংসতার বৈশিষ্ট্য আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি। এটি আমাদের সমগ্র সমাজ এবং প্রকৃতপক্ষে সমগ্র বিশ্বের বিবেককে হতবাক করেছে। এটি গণতন্ত্রের অপমান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আক্রমণ এবং নাগরিক অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। শুক্রবারের এই নাশকতায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং অপরাধীকে দেশের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। জনগণের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের চেতনা ও আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকদের উৎসাহী অংশগ্রহণের অপমাণস্বরূপ। প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে চলন্ত অবস্থায় আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পদ্মা সেতু হয়ে যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকায় আসা বিরতিহীন এ ট্রেন সবশেষ থেমেছিল ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে। সেখান থেকে ছেড়ে আসার পর শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গন্তব্যস্থল কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার আগে আগুনের কারণে থেমে যেতে বাধ্য হয় ট্রেনটি। আগুনে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে যায় এবং উদ্ধার করা হয় দুই শিশুসহ চারজনের মরদেহ। নিহতদের তিনজনই একই পরিবারের, যারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১

মানুষকে জিম্মি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না : নাছিম
মানুষকে জিম্মি ও টার্গেট করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে ইমাম, মোয়াজ্জিন ও আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা নির্বাচন করতে চায় না তারাই নানা ধরনের সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। বাংলাদেশে গুটি কয়েক দল রাজনৈতিক সংঘাত সৃষ্টি করছে। তারা নির্বাচনে সহিংসতা ও রাজনৈতিক সহিংসতা করছে।  তিনি বলেন, নির্বাচন যখন আসে সেটাকে সুষ্ঠু এবং সুন্দর করার দায়িত্ব সবার। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের অবস্থান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর পাশাপাশি যে দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তারাও এ দায়িত্ব পালনে অংশীদার হয়। মানুষের সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর সরাসরি সম্পর্ক তাই এ কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো ও বোঝানোর মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক দল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। আমার ভোট আমি দেব সেখানে কোনো ভয় থাকবে না। আমরা সবার কাছে ভোট চাই। আমরা চাই যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  ওলামা-মাশায়েখদের উদ্দেশে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আপনারা মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরা বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় কার্যক্রম করে থাকেন। মুসল্লিদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক অনেক গভীর। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য আপনারা কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি আমি যেহেতু একজন প্রার্থী, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে নৌকায় মনোনয়ন দিয়েছেন, তাই আপনারা আমাকে একটু সহযোগিতা করবেন। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে আছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সকল ধর্মকে মর্যাদা দিয়েছে। অনেকেই অপপ্রচার চালায় যে এদেশে ইসলামিক ব্যক্তিদের সঙ্গে অবিচার করা হয়। এটা একটা অপপ্রচার। এর মাধ্যমে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করে একটি গোষ্ঠী। আমি আপনাদের কথা দিতে চাই, যেকোনো অন্যায়ের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত থাকি। আপনারা যদি আমায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, আমি কাজের মধ্যদিয়ে কথার প্রমাণ দেব।  তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন গড়েছেন। আজকে বাংলাদেশে সেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মধ্যদিয়ে সারাদেশে মসজিদ, ইসলামিক কালচারাল সেন্টার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। ইসলামের প্রতি তার যে অনুরাগ, তা আমি আর বলতে চাই না। আপনারা এই সম্পর্কে যথেষ্ট ভালো জানেন।  নাছিম বলেন, ইসলামে যেমন জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার সুযোগ নেই, তেমনি ইসলামকে ব্যবহার করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করে তারও সুযোগ নেই। তাই আমি বলতে চাই, যারা অপপ্রচার এবং সংঘাতের রাজনীতি করে, মিথ্যাচার করে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়