• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের সময় আবেগ-অনুভূতির কারণে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। এই ধাপে বৈধ প্রার্থী ১ হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক। দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ হয়েছে, মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ চলছে ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে। এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন। তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬-৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে। এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে। চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩-১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে। চতুর্থ ধাপের ৯টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলো ব্যালট পেপারের ভোটগ্রহণ করা হবে।
১১ ঘণ্টা আগে

পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে পার্টির চেয়ারম্যানের বাসভবনস্থ কার্যালয়ে কো-চেয়ারম্যানদের জরুরি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রওশন এরশাদ বলেন, কলমের খোঁচায় যখন তখন যে কাউকে বহিষ্কার-অব্যাহতি দেওয়া রহিত করা হয়েছে। পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পার্টিতে নতুন ধারা সূচিত হয়েছে। এখন আর এক ব্যক্তির এক কথায় দল পরিচালিত হবে না। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি ছিল, পার্টিতে গণতন্ত্রের পূর্ণ চর্চা প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সেই দাবির প্রতি শ্রদ্ধা ও সমর্থন রেখেই গঠিত গঠনতন্ত্র দশম সম্মেলনে অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, দশম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকধারা অব্যাহত রেখেই গঠিত হয়েছে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র। গঠনতন্ত্র মেনেই গঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। আর পার্টিও চলবে সেই ধারা মেনে। সভায় জাতীয় পার্টির কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভরায় ও রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে

দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে আ.লীগ : আইনমন্ত্রী 
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খরমপুর মাজার শরিফ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এ সময় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে চাই বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ রক্ষা করবেন এবং সেটিই বহু দলীয় গণতন্ত্র।  এ সময় ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিন্টু খাদেম প্রমুখ।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪০

মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারাদেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে, এখানে মানুষের অধিকার বলতে কিছু নেই, গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। এখানে সংগ্রাম করে চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে কামিয়াব হবো। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া সালেহীয়া দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদরাসা-সংলগ্ন কবরস্থানে বিএনপির সদ্য প্রয়াত জেলা সভাপতির কবর জিয়ারত শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচারী শক্তি বেশিদিন টিকতে পারেনি, হিটলার ও নমরুদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মানুষের পক্ষে না থাকলে বা তার কল্যাণে কাজ না করলে কখনোই টিকে থাকা যায় না।  নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রশাসন আপনাদের নির্যাতন করছে, আপনারা এখনও বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হয়, তারপরও আপনারা মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকাই সবচেয়ে বড় বিজয়। কখনও পরাজিত মনোভাব নেবেন না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশকে দলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। যেখানে নিজেরাই অংশগ্রহণ করেছে, বিরোধী দলের কেউ অংশগ্রহণ করেনি। আওয়ামী লীগ অতিতেও যখন ক্ষমতায় ছিল তখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। এখনও একই কায়দায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন বড় বিষয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪০

‘বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র’
বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।  ব্রিফিংয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে এক বাংলাদেশি সাংবাদিক মিলারের কাছে প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং মানবাধিকারের প্রচারে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।  বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই বলে যে বিশ্বাস, সে ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে? উত্তরে মিলার বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো কিছু আমার হাতে এখন নেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের বাইরে আমরা যেটা স্পষ্ট করে বলেছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির  সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিলো অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৩

গণতন্ত্র নিয়ে কোন দেশ কী বলল তা মুখ্য নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, অনেক দেশই তো অনেক কথা বলে, অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হয় তা সবার জানা। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না। যে পারে সে নির্বাচন করবে। তাই আমরা মনে করি আমাদের দেশে যদি গণতন্ত্রের চর্চা না হয় যারা বলেন, তাদের দেশে কতখানি আছে তা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো দেশে ২০ পার্সেন্ট, ২৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। এবার আমাদের নির্বাচনে ৪২ পার্সেন্ট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলে আর আমাদের কিছু বলার থাকে না। আমাদের একটি সংবিধান রয়েছে। এর ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য জনগণ ও দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বললো তা মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো, জনগণকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব, গণতন্ত্রের চর্চাটা কীভাবে আরও সুন্দর করব। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন প্রমুখ। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৫

গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক, বিদেশ যাচ্ছেন ফখরুল
গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২-দলীয় জোটের নেতারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শনিবার (২ মার্চ)  বিকেল ৪ টায় গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক হয়। জানা গেছে, পৃথক বৈঠকে বিগত আন্দোলন-কর্মসূচির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ছাড়াও চলমান আন্দোলন এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় হয়। প্রথম বৈঠকে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জোট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর সন্ধ্যায় গুলশানে মহাসচিবের বাসায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। এই বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ ছয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জোটের নেতারা কিছু খোলাসা করতে রাজি হননি। বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল। সেই কারণে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের দুই মিত্র জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২-দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন তিনি। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন। আমরা তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছি, এটি মূলত তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ছিল।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৮

ফখরুলের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলের বৈঠক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক ১২ দলীয় জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। এছাড়া সন্ধ্যার পর বিএনপি মহাসচিবের গুলশানের বাসায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। বৈঠকের বিষয়ে ১২ দলীয় জোটের এক শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দীর্ঘদিন কারাগার ভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন। সেজন্য তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ১২ দলের নেতারা। অপরদিকে রোববার (৩ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে সমমনা জোটের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠকের কথা রয়েছে।
০২ মার্চ ২০২৪, ২২:২৮

‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া, গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না’ 
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া, গণমাধ্যমের বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্রের পূর্ণতা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শুক্রবার (১ মার্চ) চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল বাস্তবতায় আমরা গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সকল ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। যতক্ষণ না গণমাধ্যম শক্তিশালীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে আমরা সঙ্গে আছি। সেক্ষেত্রে আমরাও আপনাদের কাছ থেকে একই ধরনের সহযোগিতা চাই। কিভাবে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে, গণমাধ্যম এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয় করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং আরো শক্ত ভিত্তির ওপর আমাদের গণমাধ্যমকে দাঁড় করানো যায় সে চেষ্টা করতে পারি।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কিভাবে সরকারকে সঠিক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে জবাবদিহিতায় আনতে পারে, এমনকি সমালোচনাও করতে পারে সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমি যে কথাটি গত কিছুদিন ধরে বলে আসছি এবং এখনো বলছি, আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ওই গুজব ও অপ্রপ্রচার প্রতিরোধ করতে চাই। এ দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমজাকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সাংবাদিকতায় অনেক সময় নিরপক্ষেতার কথা বলতে গিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়। সবক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হয় না। কারণ হত্যা এবং হত্যাকারীর বিষয়ে অপরাধীর পক্ষ নেওয়া যাবে না। তখন সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা যেন বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখি। অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেবো না। দীপু মনি বলেন, সত্যের পথ অনেক কষ্টের। যে কোন পেশার লোকজনের জন্যই সত্যের পথে থাকা খুবই কঠিন। যুগ পরিবর্তন হচ্ছে, পেশাগত কাজে আমাদের পরিবর্তন আসছে। তাই যারা গণমাধ্যমে কাজ করছেন তাদেরকে প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে। গণমাধ্যমে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিশ্চয়ই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অনুধাবন করেন এবং তা সমাধান করবেন। দীপু মনি বলেন, সাংবাদিকরা আমার খুবই আপনজন। কারণ বাবার কারণে শৈশব কেটেছে দৈনিক ইত্তেফাকের ছাপাখানায় ছুটোছুটি করে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইত্তেফাকে জড়িত ছিলেন। আমি যখন চাঁদপুরে এসেছি তখন থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সেই সম্পর্ক অটুট রয়েছে। চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় চাঁদপুরের কৃতি সন্তান আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার ও সাংবাদিক কবির বকুল এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজমুদারকে। প্রধান অতিথি পরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরী পরিষদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে কবির বকুলের লেখায় প্রেসক্লাবের থিমসং পরিবেশন করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী, এএইচএম আহসান উল্লাহ, বর্তমান সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, দপ্তর সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, ও কন্ঠ শিল্পী সজন সাহা।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৪

‘ফখরুলের মুখে গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বেমানান’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বেমানান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনা ছাউনিতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সূচনা লগ্ন থেকেই বিএনপি অত্যাচার- নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের পথ রুদ্ধ করে রাজনীতি করে আসছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বেমানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নির্বিচারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা হত্যা করেছিল; যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি গোষ্ঠী ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল, যারা দশ ট্রাক অস্ত্র আমদানি করেছিল, যারা অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের দল যখন জননিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে তখন জনগণ আরো ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে কাউকে গ্রেপ্তার করে হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএনপির যে সকল সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা অগ্নিসন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করাটা কোনোভাবেই হয়রানিমূলক হতে পারে না। সন্ত্রাসীদের আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়