• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আজ ছুটির দিনেও যে কারণে ব্যাংক খোলা
তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা পরিশোধ এবং রপ্তানি বিল বিক্রির সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও তিনদিন সীমিত প‌রিসরে তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা আজ ৫ এপ্রিল (শুক্রবার), ৬ ও ৭ এপ্রিল (শনি ও রোববার) খোলা থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রপ্তানি বিল বিক্রয় ও শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৫, ৬ এবং ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৫ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। তবে মাঝে জুমার নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ৬ ও ৭ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে মাঝে জোহরের নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪২

গায়ক অনুপমের স্ত্রীর মুখ খোলা নিষেধ
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক অনুপম রায়। গত ২ মার্চ দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি বিয়ে করেন কণ্ঠশিল্পী প্রস্মিতা পালকে। বিয়ের পর থেকে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই তারকা দম্পতি।   অনুপমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে প্রস্মিতা। আর এই জনপ্রিয়তা উপভোগও করছেন তিনি। এরপরেও নাকি প্রস্মিতার মুখ খোলা নিষেধ।  তবে কী কারণে মুখ খোলা নিষেধ প্রস্মিতার, এমন প্রশ্ন রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে তার ভক্তদের মনে।   সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে নতুন দাম্পত্য জীবন এবং কাজের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রস্মিতা। এ সময় গায়িকা জানান, কাজ দিয়েই মানুষের ভালোবাসা পেতে চান তিনি।  ‘হাইওয়ে’ সিনেমায় প্রথম অনুপমের সঙ্গে গান গেয়েছিলেন প্রস্মিতা। গানের শিরোনাম ছিল— ‘তোমায় নিয়ে গল্প হোক’। গানের কথাই যেন সত্য হয়ে গেল। একে অপরের প্রেমে বাধা পড়লেন দুজন। বিয়ের আগে এক বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন অনুপম-প্রস্মিতা। তারপরেই গাঁটছড়া বাঁধেন তারা।      এদিকে স্বামীর পরিচয়ে জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসাতে চান না প্রস্মিতা। গায়িকার ইচ্ছে, মানুষ তাকে গানের জন্য ভালোবাসুক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একজন দায়িত্বপূর্ণ মানুষ হতে চাই। তাই আশা করব, মানুষ যেন আমাকে আমার কাজের জন্য ভালোবাসেন।    অনুপমের সঙ্গে বিয়ের পর কী সঙ্গীত জগতে আপনার কাজের দুয়ার খুলে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রস্মিতা বলেন, আমার সেটা মনে হয় না। কারণ, ইন্ডাস্ট্রিতে এভাবে কাজ হয় না। আর সেটা হওয়াও উচিত নয়। আমি কার স্ত্রী বা কার সঙ্গে রয়েছি, সেটা কিন্তু সঙ্গীত পরিচালকদের কাছে বিচার্য বিষয় নয়। শিল্পই শেষ কথা বলে। নতুন কাজের প্রসঙ্গে প্রস্মিতা বলেন, কয়েকটা সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেছেন। নতুন অনেক কাজের কথাও চলছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে এখনই মুখ খোলা নিষেধ। প্রসঙ্গত, প্রথম সংসার ভাঙার পর পিয়া চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছিলেন অনুপম। তবে গায়কের সেই সংসারও খুব বেশিদিন টেকেনি। পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে কয়েক বছর। গেল বছরের ২৭ নভেম্বর অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জিকে বিয়ে করেন পিয়া। অন্যদিকে তৃতীয়বারের মতো প্রস্মিতাকে বিয়ে করেন অনুপম। তবে গায়িকার এটি দ্বিতীয় বিয়ে।  সূত্র : আনন্দবাজার 
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:১৫

ঈদের আগে ছুটির মধ্যেও ৩ দিন খোলা থাকবে ব্যাংক
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঈদের আগে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও ৩ দিন সীমিত পরিসরে তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। আগামী ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা খোলা থাকবে। রোববার (৩১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রফতানি বিল বিক্রয় ও শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৫, ৬ এবং ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।   এতে আরও বলা হয়, ৫ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত। তবে মাঝে জুম্মার নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ৬ ও ৭ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে মাঝে জোহরের নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।    কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩০

শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর
আগামী বছর থেকে সপ্তাহের শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ  ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামীতে সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে সারা বছর শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে।    পবিত্র রমজান মাসে স্কুল খোলা থাকা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে, আমরা আগামীতে চেষ্টা করবো এই বিতর্ক এড়াতে। বছরে ৫২টি শনিবার আছে। এ দিনগুলোতে বিদ্যালয় খোলা রেখে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে তা বন্ধ করার চেষ্টা করবো। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো, যেন আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে এসে এ ধরনের অপচেষ্টা কেউ আর না করতে পারে।  প্রসঙ্গত, এ বছর রমজানে স্কুল ছুটির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল মন্ত্রণালয়। রমজানের আগের দিন তারা আপিল করে বসে। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন। এ সময় চেম্বার বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে?  পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়, যেখানে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

রমজানে যত দিন খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়
দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রমজানে স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা রইল না। এরপরেই মাহবুব রহমান তুহিন দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ রমজান পর্যন্ত খোলা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫২

রমজানে স্কুল খোলা থাকবে কি না, জানা যাবে আজ
পবিত্র রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে কি না সে বিষয়ে আপিল বিভাগে আজ শুনানি হবে। ফলে আজই জানা যাবে, রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে কি না। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়টি শুনানির জন্য রয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার জজ আদালত গতকাল সোমবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেননি। আদালত এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিন ঠিক করেন। আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ (এসকে) মুহাম্মদ মোর্শেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। এর আগে রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেটি চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হয়। রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে পুরো রমজান মাসে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে সেদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও আইনজীবী মাহমুদা খানম। এ বিষয়ে রিটকারীর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করে এবং একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধনপূর্বক আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। এরপরে বিষয়টি নিয়ে একজন অবিভাবক রিট আবেদন করেন ওই রিটের শুনানি নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এদিকে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। ওই রিটের শুনানি এখনো হয়নি বলে জানান আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল নিজে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯

মঙ্গলবার স্কুল খোলা বা বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন,  ‘আমরা যে সিদ্ধান্তটা দিয়েছি, তার বিরুদ্ধে রায়ের কোনো কপি আমাদের কাছে আসেনি। এজন্য আমরা কোনো মন্তব্য করবো না।’ সোমবার (১১ মার্চ) রাতে ‘রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রথম রোজার দিনে স্কুল বন্ধ নাকি খোলা থাকবে?’- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ‘সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কয়দিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না, এটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।’ তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলকে আমাদের আইনি অবস্থানের কথা জানিয়েছি। এটা আমরা সর্বোচ্চ আদালতে আগামীকাল উপস্থাপন করবো।’ মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে, এটা নির্বাহী এখতিয়ার, এখানে আইনি হস্তক্ষেপ করার অধিকার আদালতের আছে কি না, সেটা দেখার বিষয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে এটা নির্বাহী এখতিয়ার, এটা আদালতের এখতিয়ার নয়।’
১২ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬

পবিত্র রমজানে কলেজ খোলা যতদিন
এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের মতো রমজান মাসে খোলা থাকছে কলেজ। প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলো ৩০ দিন ছুটি রেখে বার্ষিক ছুটির তালিকা প্রকাশের পর সেই তালিকা সংশোধন করা হয়। শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশোধিত নতুন তালিকা অনুযায়ী, ১০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত কলেজের ক্লাস-পরীক্ষা হবে। ২৫ মার্চ থেকে কলেজগুলো বন্ধ থাকবে। এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে রমজানের প্রথম ১০ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ক্লাস চলবে। জোহরের নামাজের জন্য সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে। মাদরাসায়ও একইভাবে ছুটির তালিকা সংশোধন করেছে সরকার। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চলবে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং বেসরকারি এবতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসার জন্য ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা আংশিক সংশোধনক্রমে ৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালুর রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। বছরের শুরুতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে রমজানে ৩০ দিন ছুটি রেখে বাৎসরিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৫

কিস্তির টাকা না পেয়ে ঘরে তালা, খোলা আকাশের নিচে পরিবার
এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় পরিবহন ও পোশাক শ্রমিক দম্পতির ঘরে তালা দিয়েছে এনজিও কর্তৃপক্ষ। ওই দম্পতি বিকেল থেকে ঘরে ঢুকতে না পেরে তিন সন্তান নিয়ে ঘরের দরজার সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া (ফকির বাড়ি জামে মসজিদ) এলাকায়।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় আম্বালা ফাউন্ডেশন ওই দম্পতির ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।     পরিবহন শ্রমিক আলাউদ্দিন (৩৪) বাসের সুপারভাইজার এবং তার স্ত্রী ঋণ গ্রহীতা শামীমা আক্তার (২৮) স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক। শামীমা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের দেওয়ানিবাড়ি গ্রামের আলা উদ্দিনের স্ত্রী এবং তার শ্বশুরের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়িকে দেখে বাসায় ফিরে তাদের ঘরের দরজায় তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন চলতি মাসের ঋণ দিতে না দেওয়ায় এনজিও কর্মীরা তার ঘরে তালা দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে শামীমার শ্বশুর আবুল বাশার শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরের বাড়িতে থেকে শামীমা পাশের গিলাবেড়াইদ এলাকার ভিনটেজ ডেনিম লিমিটেড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। সম্প্রতি ওই কারখানা থেকে তার চাকরি চলে যায়। তার স্বামী আলাউদ্দিন এনা পরিবহন সুপারভাইজার। তাদের আমি এখন আমার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে শাহরিয়া আফরিন (১৫), ছেলে মিনহাজ (১৩) মাদরাসায় লেখাপড়া করছে, আরেক মেয়ে আলভি (৬) রয়েছে। শামীম আক্তার জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময় আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখা থেকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ওই ঋণের বিপরীতে তাকে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। নিয়মিত ঋণের টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে পোশাক কারখানা থেকে তার চাকরি চলে গলে সে ফেব্রুয়ারি মাসের ঋণ পরিশোধ করতে পারে নাই। পরিবারের অপর সদস্য হয়ে, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসা চালিয়ে তার স্বামীর একার পক্ষে ঋণ পরিশোধ করা সম্বভ হয়নি।   তিনি বলেন, এক লাখ টাকার বিপরীতে তারা (আম্বালা ফাউন্ডেশন) আমাকে ৩২ হাজার টাকা মূল্যের একটি সেলাই মেশিন ধরিয়ে দেয়। সেলাই মেশিন নিতে না চাইলে তারা ঋণ দেওয়া হবে না বলে জানায়। ঋণ ও যাবতীয় খরচসহ সঞ্চয় বাদে আমাকে এক লাখ টাকা না দিয়ে ৫৮ হাজার টাকা দেয়। প্রতি মাসে যথা নিয়মে কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি বকেয়া থাকায় এনজিও অফিসের লোকজন আমার ঘরে তালা দিয়ে গেছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়ায় সময়মতো ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি পরিশোধ করতে পারিনি। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানায় কিস্তির টাকা জমা না দেয়ায় এনজিও কর্মীরা ঘরে তালা দিয়েছে। শামীমার স্বামী আলাউদ্দিন বলেন, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আম্বালা ফাউন্ডেশন  শ্রীপুর শাখার মাঠকর্মী কবির হোসেন বলেন, আমাদের লোনটা নিতে গেলে এক লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিতে হয়। এর মধ্যে এক হাজার টাকা বীমা, আনুষঙ্গিক ২৬৫ টাকা খরচ আছে। ঘরে তালা লাগানোর বিষয়ে বলেন, ঋণ গ্রহীতা বাসায় থাকেন না। ফোন দিলে রিসিভ করে না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের বাসায় গিয়ে না পেয়ে জামিনদারের উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আশিকুল ইসলাম বলেন, ঋণের কিস্তি শামীমা আক্তারকে সঠিক সময়ে পরিশোধ করছিল না। কিস্তি দেওয়ার সময় প্রতি মাসেই পাঁচ’শ এক হাজার টাকা কম দিতো। কিস্তির টাকা আনার জন্য মাঠ কর্মী বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা খোলা থাকলেও শামীমাকে বাসায় পায়নি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও না আসলে ঋণের জামিনদারকে ডেকে এনে তার উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার টিটু চক্রবর্তীর বলেন, কিস্তি দেওয়ার কথা বলে কর্মকর্তাদের বসিয়ে রেখে বাড়ি থেকে চলে যায় ঋণ গ্রহীতা। ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, কিস্তি না দেওয়ায় ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়