• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কায়সার কামালকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন ব্যারিস্টার খোকন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।  সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হল রুমে করা এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইন সম্পাদক ও ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালকে একহাত নিয়েছেন ব্যারিস্টার খোকন। তিনি বলেন, কায়সার কামাল সরকারের এজেন্ট হয়ে বার নির্বাচনে কাজ করেছে। সে একটা অর্বাচীন ও কুলাঙ্গার। সময় এসেছে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার। এ সময় কায়সার কামালের নৈতিক স্খলনের বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়ে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এর আগে, রোববার (২১ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আপনাকে মনোনীত করে। বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দু’জন প্রার্থী, প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মজুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে ৮ মার্চ সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দু’জন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরাম নেতাকে আসামি করে গত ৯ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালনকারী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী ও ওই নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) যথাক্রমে গত ৯ ও ১০ মার্চ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার করে তাদের ডিবি অফিসে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা উভয়েই দুই সপ্তাহ কারাভোগ করেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাকে সভাপতি পদে ও অ্যাডভোকেট ফাতিমা আকতার, অ্যাডভোকেট মো: শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফজলে এলাহী অভিকে নামকাওয়াস্তে সদস্য পদে বিজয়ী দেখানো হয়। উপরোক্ত পরিস্থিতি নিয়ে গত ২৪ মার্চ আপনার উপস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সম্পাদকদের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনিসহ বিজয়ী ঘোষিত তিনজন সদস্যকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২০২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে বিগত ২৭ মার্চ তারিখে দেওয়া এক চিঠিতে আহ্বান জানানো হয়। সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্য পদে বিজয়ী ঘোষিত তিনজন ফোরাম সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেও সংগঠনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আপনি (খোকন) গত ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এছাড়া, আপনি একই দিন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে দল থেকে বহিষ্কৃত ও দলছুট কিছু সদস্যকে দিয়ে দল ও এর দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে বিষোদগার করিয়েছেন। এছাড়া আপনি আপনার বক্তব্যে আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে অবমাননাকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে ঘোষণা করেছেন, অবৈধভাবে ঘোষিত আওয়ামী লীগ দলীয় তথাকথিত একজন সম্পাদকের হাতে হাত রেখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/ সম্পাদকদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে আপনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আপনার এহেন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থী হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মতভাবে আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৭

ব্যারিস্টার খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের এমন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সুপ্রিম কোর্ট বারের বিদায়ী সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে বিএনপির প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত তিনজন দায়িত্ব গ্রহণের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কোনো পদধারী নেতা দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। শুধু ব্যারিস্টার খোকনের অনুসারী বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/ আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদকালের দায়িত্বগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি/আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।’ ফলাফল ঘোষণার পর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সভাপতির দায়িত্ব না নেওয়ার আহ্বান জানায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। গত ২৭ মার্চ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সই করা চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়। দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে এই প্যানেল থেকে জয়ী নির্বাচিত অন্য তিন সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৬

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বারের দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার খোকন
পুনর্নিবাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নেওয়া দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই সুপ্রিম কোর্ট বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ (১ নম্বর হল রুমে) হলে নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার সমর্থকরা এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। পরে ব্যারিস্টার খোকন নিজে সংবাদ সম্মেলন করে বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন বলে জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়ালি উর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মেহেদী, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা। এর আগে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নতুন বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে গত ২৭ মার্চ চিঠি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠির অনুলিপিটি দলের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের (দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত) কাছে পাঠানো হয়। গত ৬ ও ৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এবারের বার নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে সভাপতিসহ চারটি পদে বিজয়ী হয় বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাদা প্যানেল। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত) সভাপতি পদে বিজয়ী হন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হন সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ এই চারজনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাঠানো ২৭ মার্চের চিঠিতে বলা হয়, বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দুজন প্রার্থী প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মঞ্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দুজন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরামের নেতাকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলায় ওসমান চৌধুরী, সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা দুই সপ্তাহের মতো কারাভোগ করেছেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদের নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। চিঠিতে এরপর বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে ২৪ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ৯ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের (খোকনসহ চারজন) এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা খোকন
দুই মাস ১০ দিন কারাভোগের পর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর খোকনকে কারা ফটকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিএনপি, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রদলের সহসভাপতি মোহাম্মদ আরিফুল হক আরিফ, মাহবুব মিয়া, কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিংকু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মোমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল, সাবেক ছাত্রনেতা রামপাল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জহুরুল হক হলের সভাপতি আব্দুল জলিল আমিনুল, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন সোহেলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে রাজধানীর মগবাজারে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের এক নেতা জানান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খোকন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সম্রাটসহ তার মগবাজার নয়াটোলার বাসায় যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তার পথ রোধ করেন। এ সময় তারা বলেন, ‘তুই ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খোকন না?’ এ কথা বলেই ছাত্রলীগের কর্মীরা এলোপাতাড়ি খোকনকে মারতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলযোগে ছাত্রলীগের আরও কর্মী এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন।  এরপর পাঁচ মিনিট পর পুলিশের পোশাকে চারজন দুটি মোটরসাইকেলে এসে আহত খোকনকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সম্রাট দৌড়ে পালিয়ে যান।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৭

কম দামে মাংস বিক্রি করায় ক্ষোভে মামুনকে খুন করেন খোকন
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ভোক্তা অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করায় খোকন ও মামুনের মধ্যে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। এর জের ধরে গত ২০ জানুয়ারি খোকন ছুরি দিয়ে মামুনকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান মামুন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত খোকনকে গতকাল রোববার মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে রাজশাহীর বাঘা থানার আড়ানী বাজারে ন্যায্যমূল্যে গরু মাংস বিক্রি করায় একজন মাংস ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে অন্য এক মাংস ব্যবসায়ী। পরে স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে রাজশাহীর বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় র‌্যাব-৫ ও ৮ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান খোকনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত খোকন রাজশাহী বাঘার মৃত খোদা বক্সের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন হত্যাকাণ্ডে নিজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন তিনি। কমান্ডার মঈন আরও বলেন, ভুক্তভোগী মামুন খোকনের নিকটআত্মীয়। তারা আড়ানী বাজারে একসঙ্গে গরু মাংস বিক্রি করতেন। সম্প্রতি ভোক্তা অধিদপ্তর, মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিত বৈঠক করে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে আলাদাভাবে মাংস বিক্রির ব্যবসা আলাদা করে মামুন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। নির্ধারিত ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরুর পর তার দোকানে ক্রেতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে বেশি দামে মাংস বিক্রির কারণে খোকনের দোকানে কমে যায় বিক্রি। তিনি বলেন, নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করা নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি খোকন ও মামুনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে খোকন মাংস কাটার ছুরি দিয়ে মামুনকে প্রকাশ্যে পেটে ও বুকের ডান পাশে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যান। খোকন পালিয়ে প্রথমে রাজশাহীর তাহিরপুরে তার এক আত্মীয় বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় তার পূর্বপরিচিত এক বন্ধুর মাধ্যমে সেখানে ড্রেজার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। তিনি আরও বলেন, খোকন মাংস ব্যবসার পাশাপাশি মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। খোকনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩

‘জনগণ এই প্রতারণার নির্বাচন বাতিল চায়’
দেশের মানুষ এই প্রতারণার নির্বাচন বাতিল চায় বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের এক কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এই নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়নি। এটা কোনো নির্বাচন নয়। দেশের মানুষ এই প্রতারণার নির্বাচন বাতিল চায়। সারাদেশে ভোটকেন্দ্রে কোনো লাইন ছিল না। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। হতে পারে না। আওয়ামী লীগ সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করেছে। অবিলম্বে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। জনগণের দাবি মেনে নিন।’ এর আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী ও সরকারবিরোধী আইনজীবীরা। এ সময় ইউরাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার ১৫ বছর দেশে নির্যাতন চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সালে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ডামি নির্বাচন পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।’ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি ইলেকশন হয়নি, সিলেকশন হয়েছে। তারা নিজেরাই বলছে নির্বাচন হয়নি। আমরা আন্দোলন করছি আইনের শাসনের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আজ শুনলাম গার্মেন্টসের অবস্থা খারাপ, জনশক্তি রপ্তানির অবস্থা খারাপ। আপনারা দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, চালের দাম বেড়েছে। জনগণকে আর কত কষ্ট দেবেন আপনারা? দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে বিদায় হোন।’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করি। আমাদের এই আন্দোলন চলছে, চলবে। কোনো ধরনের বাধা আমাদের এই আন্দেলন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই আদালতকে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা দেব।’ তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আজ চোরদের দখলে। কোনো নির্বাচন না হওয়ায় অবৈধভাবে তারা জোর করে দখল করে আছে। এর সবই আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে।’
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪

ঘোড়ায় চড়ে ভোট চাইলেন সাঈদ খোকন
পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ঘোড়ায় চড়ে গণসংযোগ করেছেন ঢাকা-৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে এ ব্যতিক্রমী গণসংযোগ বের হন তিনি। আরও পড়ুন : নির্বাচনে সহায়তায় দুর্গম পাহাড়ে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার   দেখা যায়, কর্মসূচির শুরুতেই সু-সজ্জিত ঘোড়ায় চড়েন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন ও নৌকা প্রতীকে ভোট চান। মিছিলটি সূত্রাপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এই বর্ণাঢ্য মিছিলে দলীয় হাজারও নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তারা নৌকা প্রতীক এবং সাঈদ খোকনের পক্ষে স্লোগান দেন। ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।পরে মিছিলটি বংশালের ইংলিশ রোড হয়ে নর্থ-সাউথ রোডে গিয়ে শেষ হয়। আরও পড়ুন : টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী!   এ সময় সাংবাদিকদের মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন। আর আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে জনগণের সুখ-দুঃখের কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরার মাধ্যমে নাগরিকদের খেদমত করবো, ইনশাআল্লাহ। আরও পড়ুন : ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়তে পারে গোটা দেশ   সাঈদ খোকন বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি আমরা নিজেরা ভোট দেব, আমাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবো। ওইদিন বিকালে আল্লাহ যদি সহায় হোন তাহলে আমরা নেত্রীর হাতে বিজয় তুলে দেব, ইনশাআল্লাহ।  তিনি বলেন, আপনাদের দোয়া-সমর্থন নিয়ে এবং আপনাদের ভোটে জয়ী হতে পারলে আপনাদের সুখে-দুঃখের কথা মহান সংসদে গিয়ে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। যেভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকা অবস্থায় আপনাদের পাশে ছিলাম, সঙ্গে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকবো, ইনশাআল্লাহ।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২১

বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতেই আন্দোলন : খোকন
বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্যই আন্দোলন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) চতুর্থ দিনের মতো আদালত বর্জন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।  ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচার বিভাগ আমাদের প্রাণ। দেশের বিচার বিভাগের প্রতি আঘাত আসছে বলে আমরা মনে করছি। এখানে যদি আঘাত আসে এবং দুর্বল হয়, তাহলে আমরাও দুর্বল হয়ে যাব। বিচার বিভাগ শক্তিশালী হলে ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা হতো না। বিচার বিভাগ শক্তিশালী থাকলে গণতন্ত্রের এ অবস্থা হতো না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ‘জগাখিচুড়ির’ নির্বাচন করছে। আমরা বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে চাই। এ জন্যই আমাদের আজকের আন্দোলন। বিচার বিভাগ শক্তিশালী হলেই দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে, দুর্নীতি বন্ধ হবে। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আইনজীবীরা যে আদালত বর্জন করেছেন তার প্রমাণ হচ্ছে এনেক্স বিল্ডিংয়ে একটি কোর্টে আইনজীবীর অভাবে বিচারিক কার্যক্রম চলছে না। আমার জানা মতে অনেক আদালতে আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে বিচারকরা অলস বসে আছেন। আমরা মনে করি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা যে ন্যায়সংগত আন্দোলন করছেন, তাতে আদালত বর্জনের কর্মসূচি শতভাগ সফল। তিনি বলেন, এ কথা সত্য, ট্যাক্সের টাকায় যাদের বেতন হয়, যারা রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলবে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, আইনের শাসনের পক্ষে কথা বলবে, তারা তথাকথিত দলীয় আওয়ামী লীগের ক্যাডারের মতো করে রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রের বেতন শুধুমাত্র সেই সব কতিপয় ব্যক্তি ছাড়া কেউ আদালতে উপস্থিত হননি। সাধারণ আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিকে শতভাগ সফল করেছেন। এর আগে সকাল থেকে আদালতের কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কয়েকশ’ বিএনপিপন্থী এবং সরকারবিরোধী আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশ করেন। এতে অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের এডহক কমিটির আহ্বায়ক মহসিন রশিদ, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ইউনাইটেড লইয়ার্ ফ্রন্টের (ইউএলএফ) সমন্বয় সৈয়দ মামুন মাহবুব, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, সুপ্রিম কোর্টে বারের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোরশেদ আল মামুন লিটন, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, কেএম জাবির, মো. আক্তারুজ্জামান, সগীর হোসেন লিওন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার মো. কামাল হোসেন, নাসরিন আক্তার, আইনজীবী রেজাউল করীম রেজা, কামরুজ্জামান মামুন, শামিমা সুলতানা দিপ্তী, জহিরুল ইসলাম সুমন, শহীদুল ইসলাম সপু, মাহবুবুর রহমান খান, একেএম রেজাউল করীম খন্দকার, মিজানুর রহমান, মো. পারভেজ হোসেন, ফাতেমা আক্তার, মো. মাকসুদ উল্লাহ, একেএম এহসানুর রহমান, মু. কাইয়ুম, নূরে এরশাদ সিদ্দিকী এবং জামিউল হক ফয়সাল প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগসহ সব আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়