• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পরিবারের খোঁজ নিতে কারাবন্দি নীরবের বাসায় রিজভী
পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে কারাবন্দি যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের বাসায় গেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নীরবের গুলশানের নিকেতনের বাসায় যান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলা ও জামিনের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ নেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রিজভীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:১১

প্রতিদিন আমার খোঁজ নিতে হবে মামুনি : পূজা চেরি
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের নিজবাসায় মারা যান তিনি। মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পূজা। হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছেন এক বেদনার্ত পোস্ট। মায়ের শেষ কীর্তি সম্পন্ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন পূজা। সেখানে পূজা চেরি লেখেন, শেষ, একটা আবদার তোমার কাছে, চলে গেছ বলে ভুলে যাবে তা কিন্তু হবে না প্রতিদিন আমার খোঁজ নিতে হবে। হয়তো মেসেন্জারে প্রতিদিন কল দিয়ে জিজ্ঞাস করবে না, ‘পূজা আসতে কি দেরি হবে? আমার পাশে এসে বসো তাতেই আমি বুঝে নেব।  আর আরেকটা কথা শোনো ওইখানে কিন্তু বেশি মিষ্টি খাবে না  সুগার বেড়ে যাবে। আচ্ছা তাহলে থাকো মামুনি।  দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন পূজার মা। কয়েক সপ্তাহ আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ফলে মিরপুরের একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিউতে রাখা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে বাসায় আনা হয় তাকে। তারপরও শেষরক্ষা হলো না।   
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪০

৯ ঘণ্টা পর ডেমরার আগুন নিয়ন্ত্রণে, খোঁজ চলছে ভবন মালিকের
প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাজধানীর ডেমরাতে একটি কাপড়ের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ চলছে এখনও।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় ডেমরার প্রেস এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার গোডাউনটিতে খেলাধুলার পোশাকসামগ্রী রাখা ছিল বলে জানা গেছে। আগুনের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট। কিন্তু তাদের ৫ ঘণ্টার চেষ্টাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে যোগ দেয় নৌবাহিনীও।  এদিকে কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনেই আগুন লাগা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে গিয়ে তারা দেখতে পায়, কোনো ফায়ার এক্সিট নেই ভবনটিতে, ভেতরে ঢোকার সিঁড়িও খুবই সংকীর্ণ। পাশের অন্য ভবন থেকে পানি দেওয়ার সুব্যবস্থাও নেই, কারণ ভবনগুলো সব লাগোয়া। শুধু তাই নয় ভবনটির নিচে ছিল না নিজস্ব কোনো ওয়াটার রিজার্ভও। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ভবনটির নিচে যে ওয়াটার রিজার্ভ থাকার কথা ছিল সেটি আমরা পাইনি। শুধু তাই নয়, এই আগুন লাগা ভবনের আশপাশে যেসব ভবন রয়েছে সেখানেও আমরা পানির রিজার্ভ পাইনি। এসব কারণে আগুন নেভাতে খুব বেগ পেতে হয়েছে আমাদের।  ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, ভবনটি ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করেছি, দেখেছি। ভবনের যে অবকাঠামোগত স্ট্রেন্থ সেটা আর নেই। একেবারে কমে গেছে। ভবনটির এক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কারণে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগুন লাগার পর কাঠামোগত শক্তি একেবারেই হারিয়েছে ভবনটি। আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মো. রেজাউল করিম। তবে তিনি বলেছেন, কারো অবস্থা গুরুতর নয়। কেউ সামান্য আহত হয়েছেন। কেউ শ্বাস কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির মালিক কে তা এখনও জানা যায়নি; তাকে খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ভবনের মালিক কে তা আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি। তাকে খোঁজা হচ্ছে, যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।  
২২ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

সন্তানের খোঁজ না নেওয়ায় রাজকে নিয়ে যা বললেন পরী
ঢাকাই চলচ্চিত্রের গ্ল্যামার নায়িকা পরীমণি। ভালোবেসে অভিনেতা রাজকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাস পাঁচেক হলো শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে পরীমণির। পরী-রাজের ঘরে আছে সন্তান রাজ্য। বিচ্ছেদের পর রাজ্যের কোন খোঁজ নেননি রাজ। এমনকি রাজ্য অসুস্থ হলেও খোঁজ নেননি ছেলের। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেছেন পরীমণি।  রাজকে নিয়ে পরী বলেন, আমার মনে হয় এটা সবার জানা উচিত। যে নিজের সন্তানের কোনো দায়িত্ব বহন করে না, কিন্তু আমার বাচ্চা বলে বেড়ায় তাকে আমি ছেড়ে দেব না। যারা মা, তারা নিশ্চয় বুঝতে পারবেন আমি কোন জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি। এই নায়িকা আরও বলেন, সে এখন পর্যন্ত আমার বাচ্চার একটা খোঁজখবর নেয়নি। আমার বাচ্চার খোঁজখবর ও কেন নেবে? এটা তো আমার বাচ্চা। আমার বাচ্চার খোঁজখবর এবং দায়িত্ব প্রথম থেকে আমিই নিয়েছি এবং আমারই থাকবে। এটার জন্য আর কাউকে দরকার নেই। আমি আর কারও নামই উচ্চারণ করতে চাই না। এই নামটার সঙ্গে এখন আর আমার কোনো রাগ, ক্ষোভ, অভিমান ছাড়া কিছুই নেই। ভালোবাসা, সম্মান তো দূরের কথা, কিছুই নেই।   অভিনেত্রী বলেন, যে মানুষটা আমার বাচ্চার বাবা তাকে আমি কোনোভাবেই অসম্মানিত করতে চাই না। কিন্তু যতটুকু অসম্মান তার প্রাপ্য সেটুকু আমি করব, সেটা থেকে তাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। সেই অসম্মানটা পুরো দুনিয়া না, আমি তাকে করব। কারণ, সে এটা ডিজার্ভ করে। কিছুদিন আগে পরীমণির ছেলে রাজ্য বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সন্তানের চিকিৎসার জন্য পরীমণি বাংলাদেশ-ভারত করলেও রাজ শুধুমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দায় সেরেছিলেন। এ নিয়ে পরীকে প্রশ্ন করা হয়, কিছুদিন আগে যখন সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় ছিলেন, তখন শরিফুল রাজ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে পদ্মকে নিয়ে। বিষয়গুলো কীভাবে দেখেন? উত্তরে পরী বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস ছিল আমার বাচ্চার জন্য এবং আমার জন্য। কারণ, এই স্ট্যাটাসটা না দিলে তো আমার বাচ্চা ভালোই হতো না। আমরা খুব উপকৃত হয়েছিলাম (হাহাহা)।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যায় তাদের ঘর। 
১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৮

খোঁজ মিলল ৩৭০০ বছরের পুরোনো লিপস্টিকের
প্রাচীন সংস্কৃতি এবং নারীদের সাজসজ্জার উদাহরণ মিলেছে আবারও। আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেও মহিলারা লিপস্টিক ব্যবহার করতেন। আর সম্প্রতি তারই প্রমাণ মিলেছে। ইরানের প্রত্নতাত্ত্বিকদের হাতে এসেছে তেমনই বহু পুরোনো লিপস্টিক। বিগত দু’দশক আগে মাটি খুঁড়ে এক ধরনের বোতলের সন্ধান পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ইরানের দক্ষিণাংশে জিরোফত এলাকায় এই প্রসাধনীর সন্ধান মিলেছে। ২০০১ সালেই জিরোফত এলাকা থেকে একটি বোতলের ভিতরে লিপস্টিকের সন্ধান পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। উজ্জ্বল ক্রিমসন বর্ণের লিপস্টিক সেটি। প্রসাধনীর সন্ধান পেলেও তার বয়স নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না প্রত্নতত্ত্ববিদরা। প্রায় দু’দশক ধরে গবেষণা করে তারা এই প্রসাধনীর সঠিক বয়স নির্ধারণ করে ফেলেন।  গবেষণায় জানা যায়, বোতলের ভিতর রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো লিপস্টিক। রেডিও কার্বন পদ্ধতিতে বয়স নির্ধারণ করে তারা জানতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো লিপস্টিক এটি। যার বয়স ৩৭০০ বছর। তবে এই লিপস্টিকটি ১৬৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি করা হয়েছিল বলে ‘জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে। এই লিপস্টিক মূলত হেমাটাইট নামের খনিজ দিয়ে তৈরি। লিপস্টিকের লাল রঙের নেপথ্যে রয়েছে হেমাটাইট নামের অক্সাইড খনিজের উপস্থিতি। এই খনিজ থেকেই উজ্জ্বল লাল বর্ণের উৎপত্তি। এই লিপস্টিকটি একটি সুন্দর খোদাই করা বোতলের মধ্যে রাখা। কী থেকে তৈরি করা হয়েছিল এই লিপস্টিকটি? লিপস্টিকটি তৈরি করা হয়েছিল হেমাটাইটের মতো খনিজ থেকে। এই লিপস্টিকটি হেমাটাইটের মতো খনিজ থেকে তৈরি একটি লাল পদার্থ, যা ম্যাঙ্গানিজ এবং ব্রাউনাইট দিয়ে গাঢ় করা হয়েছে। এতে অল্প পরিমাণে গ্যালেনা এবং অ্যাঙ্গলেসাইট রয়েছে। ৩৭০০ বছরের পুরোনো লিপস্টিকের রং এবং মোমের টেক্সচার সমসাময়িক লিপস্টিকের মতো। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই লিপস্টিকের মালিক খুব সম্ভবত এটি একইভাবে ব্যবহার করেছেন, ঠিক যেভাবে আধুনিক যুগের মানুষ আজ এই লিপস্টিক ব্যবহার করে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অনুসারে, অতীতেও আজকের মতোই লিপস্টিক ব্যবহার করা হত। শিশিটির সরু আকৃতি এবং পুরুত্ব ইঙ্গিত দেয় যে এটি অন্য হাতে আরামে ধরে রেখে তামা/ব্রোঞ্জের ডিক্যানটার দিয়ে সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। লুটপাটের কারণে, কখন লিপস্টিকটি তৈরি হয়েছিল বা কোথা থেকে তৈরি হয়েছিল তা বলা খুব কঠিন। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এটি প্রাচীন মার্সাসি, ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা থেকে এসেছে। তবে লিপস্টিকের মালিক ও উদ্ভাবন সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। লিপস্টিকের উৎপত্তি-  এই আবিষ্কার প্রাচীন ইরানের ব্রোঞ্জ যুগের মানুষের কথা বলে। সে কালের মানুষ কীভাবে সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার করতেন, তার একটি আভাস দেয়। যাইহোক, মহিলাদের ঠোঁটের রং ব্যবহার করার প্রথম প্রমাণ খ্রিস্টপূর্ব ১২ শতকের দিকে পাওয়া গিয়েছিল। মিশর এবং এখন ইরানে পাওয়া তুরিন প্যাপিরাস দেখিয়েছে যে ব্রোঞ্জ যুগেও মেকআপের চল ছিল।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৩১

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে ফের শিশুর মৃত্যু, খোঁজ নেই ডাক্তার-স্টাফদের
রাজধানীতে আবারও সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে আহনাফ তাহমিন আয়হাম নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি শিশুটির। পরিবারের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে আয়হাম। বুঝতে পেরে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান ডাক্তার-স্টাফরা। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার কিছু পর রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালের অপারেশন রুমে সুন্নতে খতনার জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয় শিশুটিকে, যাতে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় আয়হাম। পরিস্থিতি খারাপের দিতে যেতে থাকলে আরেকটি হাসপাতাল থেকে আনা হয় চিকিৎসক। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায়, চিরঘুমে চলে গেছে আয়হাম। মৃত শিশু আয়হাম মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। পড়াশোনায় মনোযোগী থাকায় তাকে ঘিরে ছিল বাবা-মার আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। কিন্তু আয়হাম এখন দূর আকাশের তারা। আয়হামের বাবা বলেন, আমি তাদের পা পর্যন্ত ধরেছি। বলেছি, কিছু একটা ব্যবস্থা করেন। তারা বলে ঠিক হয়ে যাবে, এই যে দেখেন নিশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এর আগেই ডেট।  ঘটনার পর আয়হামের মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় হাসপাতালের স্টাফরা। পরে হাসপাতালটির দুই কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পুলিশ বলছে, যে দুজন হাসপাতালে উপস্থিত ছিল, তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগীর লোকজন যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৯

কথা দিলেও দেড় বছর প্রতিবন্ধী ভক্তের খোঁজ নেন না অনন্ত জলিল
সময়টা ২০২২ সালের ১৪ জুলাই। ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ঢাকাই সিনেমার আলোচিত দম্পতি অনন্ত জলিল ও আফিয়া নুসরাত বর্ষা অভিনীত সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’র প্রচারণায় বগুড়ায় যান। সেখানে গিয়েই ঘটে একটি মানবিক ঘটনা। রানা নামের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ভক্ত আলোচিত নায়ক আনন্ত জলিলের আগমন উপলক্ষে সেদিন আগে থেকেই বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার কালিপাড়া ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রামবাসীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে এই তারকা দম্পতি গ্রামবাসীকে অবাক করে রানাকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা করানোর আশ্বাস দেন অনন্ত, সেইসঙ্গে অনুষ্ঠান আয়োজন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা বাবদ দুই লাখ টাকাও দেন। আর্থিক সহায়তা ও  থাইল্যান্ডে চিকিৎসা করানোর আশ্বাস দেয়ার পর কেটে গেছে দেড় বছর। কিন্তু মাঝখানের এই দীর্ঘ সময়ে ওই ভক্তের আর কোনো খোঁজ নেননি অনন্ত। শুধু তাই নয়, নায়কের মোবাইলে বারবার কল দিয়েও কোনো সাড়া পাননি রানা। এদিকে অতীতে বিভিন্ন সময়ে যারা প্রতিবন্ধী রানার পাশে ছিলেন অনন্ত জলিলের প্রতিশ্রুতির পরে সরে দাঁড়িয়েছেন তারাও। বর্তমানে পরিবারের বোঝা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে প্রিয় নায়ককে নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এই প্রতিবন্ধী। রানা জানান, অনুষ্ঠান আয়োজন ও প্রাথমিক চিকিৎসা বাবদ সেদিন রানাকে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলেন অনন্ত এবং গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন প্রথমে ঢাকায় এনে পাসপোর্টসহ যাবতীয় কাজ করবেন অনন্ত। নায়কের সে আশ্বাস অনুযায়ী কিছুদিন পর নায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাননি। এছাড়া তাকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাবতীয় চিকিৎসার যে আশ্বাস দিয়েছিলেন অনন্ত জলিল সেটিও করেননি। আক্ষেপের কন্ঠে রানা বলেন, অনন্ত জলিল যদি সে সময় চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা না দিতেন তাহলে হয়তো অন্য কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি আমার পাশে দাঁড়াতেন। কিন্তু তার ঘোষণা দেওয়ার পর সবাই ভেবেছিল অনন্ত জলিল অসম্ভবকে সম্ভব করে, আমার জন্যও কিছু করবে। এজন্য আমার পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। আমার এত বড় ক্ষতি অনন্ত করল, আমি যে তাকে এতটা ভালোবাসি, তার কোনো মূল্যই দিল না। সে আমাকে এমনভাবে ধোকা দিয়েছে যে মানুষের কাছে আমি মুখ দেখাতে পারি নি। রানা আরও বলেন, আমার সাথে যখন এমনটা করছে, আমি যখন ঘুমাতে যাই কষ্টে দু’চোখের পানিতে বালিশ ভিজে যায়। এত কষ্ট হয়েছে, এটা ভেবে যে আমার পাশে কেউ নেই আমি একা। তবে প্রিয় নায়ক আশ্বাস দিয়ে না রাখলেও তার প্রতি ভালোবাসা কমেনি রানার। রানার বলেন, সে আমাকে উপকার করুক বা না করুক আমি তাকে আগেও ভালোবাসতাম এখনও বাসি। আমি প্রতি বছর রমজান মাসে তার নামে সেবামূলক কাজ করি। এবার রমজান মাসেও করবো। আমি চাই অনন্ত জলিলকে সবাই চিনুক, জানুক তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। এদিকে মাঝখানের দেড় বছরে বগুড়ার সেই প্রতিবন্ধী রানাকে অনেকটা ভুলেই গেছেন ‘কিল হিম’ সিনেমার নায়ক। মুঠোফোনে অনন্ত জলিলের কাছে রানার কথা জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে ওই প্রতিবন্ধীকে চিনতেই পারেননি তিনি। নানা ইঙ্গিতে বগুড়ার প্রতিবন্ধী রানাকে আশ্বাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে অনন্ত জানান, এখনও থাইল্যান্ড নেননি ভক্তকে। রানার সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা বা তার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন কিনা? এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল বলেন, এগুলো আমি পরে বলতে পারব। আমার সামনে এখন বায়াররা আছে। কলটি কেটে দেওয়ার ৪ মিনিট পর কলব্যাক করে অনন্ত বলেন, আশ্বাস নাতো, ওই ছেলেকে (রানাকে) আমি দুই লক্ষ টাকাও দিয়েছি চিকিৎসা করানোর জন্য। টাকা ছাড়াও থাইল্যান্ডে নিয়ে চিকিৎসা দিতে চেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে অনন্ত বলেন, থাইল্যান্ড নেওয়া সহজ নাকি, এতো ইজি নাকি এগুলো। ও ছোটবেলা থেকে প্রতিবন্ধী। ছোটখাট হলে থাইল্যান্ডে ঠিক করা যায়। আমাদের যে ডাক্তার আছে তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি, তারা বলেছে, এভাবে করাতে পারবেন না।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩১

ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের চেষ্টায় প্রত্যয়, খোঁজ মেলেনি হুমায়ুনের
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পাটুরিয়া পৌঁছেছে। তবে ফেরি উদ্ধারে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তারা ডুবে যাওয়া ফেরির বিভিন্ন স্থানে রশি দিয়ে বাঁধার কাজ করেছেন। ফেরির ভেতরে ১০টি এয়ার লিফটিং ব্যাগ ঢুকিয়ে ওই ব্যাগে বাতাস দেওয়া হচ্ছে। এতে ফেরিটি উপরের দিকে উঠবে। বিআইডব্লিউটিএর নৌ-সংরক্ষণ সার্ভিসের পরিচালক মোহাম্মদ সাজাহান জানান, ‘আউট অব ক্যাপাসিটি’ এখন বিকল্প সাপোর্ট দিয়ে ফেরিটি উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর জানান, ফেরিতে থাকা সবকটি যান উদ্ধারে তাদের চেষ্টা থাকবে। সরকারি উদ্ধারযান দিয়ে ফেরিটি যদি না উদ্ধার করতে পারে, তাহলে ফেরিসহ যানবাহন উদ্ধারে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। এদিকে ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবীরের খোঁজ এখনো মেলেনি। বিআইডব্লটিসির আরিচা এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, হুমায়ুন কবীরের সন্ধানে পদ্মার নদীর ভাটিতে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। জীবিত তো দূরের কথা এখন লাশ শনাক্ত করাই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান দুর্ঘটনার দিন বলেছিলেন ফেরিটি একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নোঙর করা অবস্থায় ডুবে যায়। কিন্তু তার সেই অবস্থান থেকে সরে এসে এবার বলছেন, হয়তো ফেরির তলদেশ ফুটো হয়ে ফেরিটি ডুবে যেতে পারে। তবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ৯টি ট্রাক নিয়ে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৫

এখনও খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুনের
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ৫নং ফেরিঘাটের কাছে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধার ডুবির ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি ফেরিটির দ্বিতীয় মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের (৩৯)। ফেরি ডুবির সময় অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও নিখোঁজ আছেন হুমায়ুন। তবে ফেরিতে থাকা ২০ জন ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রাকের চালক ও হেলপার। নিখোঁজ হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। তার পরিবারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন। সাত মাস আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিতে যোগ দেন। হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন। বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মহসিন ভূঁইয়া ৩৬ ঘণ্টায়ও তার কোনো খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে ফেরি ডুবি নিয়ে একাধিক উদ্ধারকারী দল ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। সন্দেহ আরও বেড়েছে। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালালউদ্দিন বলেন, দুঃখজনক হলো ফেরি সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুনকে জীবিত বা মৃত্যু উদ্ধার করা যায়নি। তিনি বলেন, ফেরি ডুবির অল্প কিছু সময় আগে দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে থাকা সবাইকে আত্মরক্ষার জন্য হুমায়ুন সজাগ করলেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় নিচে ফেরির মধ্যে আটকে গেছেন।  এদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়। গত বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। বুধবার সকাল ৮টার দিকে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়ার ৩১ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মালবোঝাই একটি ট্রাকটিকে উপরে তুলে নিয়ে আসে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খালেদ নেওয়াজ। এ দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।   
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়