• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তামিমকে সুজনের খোঁচা
সবশেষ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তামিম ইকবালকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় ৭ মাস। এখনও লাল-সবুজের জার্সিতে জাতীয় দলে ফেরা হয়নি দেশসেরা এই ওপেনারের।  এদিকে অভিমানী এই ওপেনারকে দলে ফেরাতে বেশ তৎপর দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবি। দলে ফিরতে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার। তবে বিষয়টি মোটেই ভালো লাগেনি সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের। সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।  তামিম প্রসঙ্গে সুজনের মন্তব্য, দেখুন, তামিমের অভিজ্ঞতা নিয়ে, পারফরম্যান্স নিয়ে কারও তো কোনো কথা নেই। মিডিয়ায় আমিও শুনি। তামিমের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। এবারের বিপিএলে তামিমের সঙ্গে আমার শুধু হাত মেলানো হয়েছে, খেলা শেষে। ওইভাবে বসে কথা হয়নি। আমি বলতে পারব না ও (তামিম) কী চাচ্ছে, কী চাচ্ছে না। যেহেতু ও (তামিম) বিশেষভাবে প্রেসিডেন্টের (স্যার) সঙ্গেই বসতে চাচ্ছে, এখানে আমার কথা না বলাই ভালো। বিসিবির এই পরিচালক যোগ করেন, কথা বলুক, কেন খেলতে চাচ্ছে না, কী হলে খেলবে, এটা ওর (তামিম) প্রেসিডেন্টকে (স্যার) পরিষ্কার করাটাই ভালো। এটার মধ্যে আমাদের থার্ড পারসন না যাওয়াটাই ভালো। আমরা সবাই চাই, তামিম ফিরে আসুক। খেলতে চাইলে অবশ্যই খেলবে। কিন্তু শর্ত দিয়ে খেলবে, এই কথাটা শুনতে যেন কেমন শোনায়। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলব। দেশ, জাতীয় দল এসব অনেক আগে, অনেক ঊর্ধ্বে। এখানে আসলে শর্ত থাকবে কী থাকবে না, এই কথাটা শুনতেই খারাপ দেখায়।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৫

ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ নিয়ে খোঁচা দিলেন রোহিত শর্মা
গত কয়েক মাস ধরেই টেস্ট ক্রিকেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ইংল্যান্ডের বাজবল তত্ত্ব। মূলত আগ্রাসী ক্রিকেটই এই তত্ত্বের মূলমন্ত্র। তবে চলমান ভারত সিরিজে সেই বাজবল তত্বের সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশরা। তাই সময় বুঝেই বাজবলকে খোঁচা দিয়েছে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে যাত্রা শুরু হয় বাজবলের। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম হেড কোচ এবং বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর পাল্টে গেছে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের চেহারা। মাঠের ক্রিকেটে স্টোকসের আক্রমণাত্মক মনোভাব আর ড্রেসিংরুমে ম্যাককালামের মাস্টার মাইন্ড। সবমিলিয়ে সেই সিরিজ দিয়ে নতুন যুগে পা রাখে ইংলিশদের টেস্ট ক্রিকেট। ম্যাককালামের ডাকনাম 'বাজ' এর সঙ্গে মিলিয়ে তাদের এই আগ্রাসী ক্রিকেটের নাম দেয়া হয় 'বাজবল তত্ত্ব'। এরপর থেকে যতগুলো টেস্ট সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড, সবগুলোতেই তাদের আধিপত্য ছিল। এমনকি টেস্ট হারলেও আক্রমণাত্মক মনোভাব বজায় ছিল তাদের। তবে চলমান ভারত সফরে যেনো সেখানে ছেদ পড়েছে। টানা তিন হারে পাঁচ টেস্টের সিরিজটি এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-১ ব্যবধানে হেরে যায় স্টোকসের দল। সিরিজের শেষ ও পঞ্চম টেস্টে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, আমি সত্যিই জানি না, বাজবলের মানে কী। ক্রিজে গিয়েই মারমুখী ব্যাটিং করা নাকি রক্ষণাত্মকভাবে খেলা এবং আলগা বলের জন্য অপেক্ষা করা। আমি একজনকেও দেখিনি, যে খুব মেরে খেলেছে। তাই আমি আসলে জানি না, এই শব্দের মানে কী। রোহিত আরও বলেন, অবশ্যই তারা গতবার এখানে যে ক্রিকেট খেলেছে তার চেয়ে ভালো করেছে। আর তাদের দুজন ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, যারা এখানে বড় সেঞ্চুরি করেছে, ভালো খেলেছে। তারা সাফল্য পেতে তাদের পদ্ধতি প্রয়োগ করে এবং সেই সাফল্য পেয়েছেও। কিন্তু এর বাইরে বাজবলের অর্থ কী আমি জানি না।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫১

‘লঞ্চ থুইয়া কুম্মে গেলা’, বরিশালকে রংপুরের খোঁচা
প্রায় শেষের দিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে শেষের দিকের ম্যাচগুলো একটু বেশিই গুরুত্ব পাচ্ছে। আর এতে জমে ক্ষীর পয়েন্ট টেবিলও। এদিকে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হাইভোল্টেজ এক ম্যাচ দেখেছে ক্রীড়াপ্রেমীরা। ২২ গজে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের বড় দুই বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নতুন করে ফের আলোচনা এসেছিল সাকিব-তামিমের দ্বৈরথ।  তবে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচে শেষ ওভারে সাকিব বাহিনীর কাছে হেরেছে তামিম-মুশিরা। বরিশালের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজির জবাবে ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রংপুর। এই ম্যাচে তামিম-সাকিবের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের গল্পও বাড়তি রঙ ছড়িয়েছে। সাকিবের প্রথম স্পেলেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন ‘খান সাহেব’। অন্যদিকে সাকিবের আউটে ব্যঙ্গাত্মক উদযাপন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ চট্টলার এই ওপেনার। সাম্প্রতিক সময়ে জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফটোকার্ড শেয়ার একটি স্বাভাবিক বিষয়ই। বিসিবি কিংবা যেকোনো ক্রিকেটারকেই এমনটা করতে দেখা যায়। তবে এবার তামিম-সাকিব দ্বৈরথে একটু বাড়তি ঘি ঢালতেই দেখা গেল রংপুর রাইডার্সকে। নিজেদের জয় উদযাপনে বরিশালকে খোঁচা দিতে ভুলল না সোহানের দল। জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেছে রংপুর। যেখানে লেখা, এই মনু লঞ্চ থুইয়া কম্মে গেলা...।  বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় দেওয়া পোস্টটির অর্থ দাঁড়ায়, লঞ্চ রেখে কোথায় গেলে। তবে এখানেই শেষ নয়, ছবির ক্যাপশনেও বরিশালকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, মনু রে মনু, জেতছে ব্যাডা...? এমনকি জয়ের মুহূর্তের ভিডিও'র ক্যাপশনে লেখা, মনুদের লঞ্চ ডুবিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। উল্লেখ্য, সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রানের পুঁজি পায় বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ১৯ ওভার ৩ বলে ৯ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৮

অনুশীলনে ফিরতেই নেইমারকে ভক্তদের খোঁচা
নেইমার আর ইনজুরি যেন একে অপরের পরিপূরক। ক্যারিয়ারের বেশি ভাগ সময় ইনজুরি সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। দীর্ঘ ৪ মাস ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ করে আবারও মাঠে ফিরেছেন ব্রাজিলিয়ান পোস্টারবয় নেইমার জুনিয়র। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিজের ক্লাব আল হিলালে যোগ দিয়েছেন নেইমার। এদিন অনুশীলনে ফিরে ক্লাব সতীর্থদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন নেইমার। এমন সময় তার বেশ কিছু ছবি তোলা হয় এবং সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। এর মধ্যে একটি ছবি দ্রুতই ভাইরাল হয়। যেখানে নেইমারকে দেখে মনে হচ্ছে তার ওজন বেড়ে গেছে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের কারণেই হয়তো এমনটি দেখা গেছে। এতে আল হিলাল ভক্তরা প্রতিক্রিয়াও জানান। নেইমারের বাড়তি ওজনের কারণে, তাকে খোঁচাও দিয়েছেন সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটির সমর্থকরা। যদিও অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, নেইমারের ওজন ঠিকই আছে। সত্যিকারই যদি তার ওজন বেড়েই থাকে, তবু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে তাকে ওজন কমাতে হবে না। গত ১৭ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে চোট পান নেইমার। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান নেইমার। ব্যথায় মাঠে শুয়েই কাতরাতে থাকেন তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার।  এরপরে ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তের হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার করা হয় তার পায়ে। অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার। এরপর অনেক কষ্ট করেই মাঠে ফিরেছেন। কারণ, কয়েক মাস আগে এক ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। যেখানে ফিজিওর সাহায্যে তিনি পা ওঠানো-নামানোর চেষ্টা করছেন। বিছানায় শুয়ে-বসে সেই কাজটি করতেই নেইমারকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। কখনও ব্যথায় চিৎকার করছেন, কখনও সেটি সহ্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। অবশেষে সকল খারাপ সময়কে জয় করে মাঠে ফিরেছেন তিনি।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়