• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আমাকে সারাজীবন ভুলের খেসারত দিতে হবে : ড. ইউনূস
দশ সপ্তাহের ভুলের খেসারত আমাকে সারাজীবন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২ মার্চ) বিবিসি বাংলা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। আর সেখানেই তিনি এ দাবি করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার রাজনৈতিক দল ‘নাগরিক শক্তি’ গঠনের উদ্যোগ ভুল ছিল। তখন সেনা সমর্থিত সরকারের অনুরোধের পরও সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেননি তিনি। পরবর্তীতে সবার অনুরোধে রাজনৈতিক দল খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উদ্যোগটি শুরুর পর ১০ সপ্তাহের মধ্যেই সেখান থেকে সরে আসেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।  ওয়ান ইলেভেনের পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে একটা রাজনীতির চেষ্টা চলছিল। সেসময় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি দল গঠনের আলোচনাও ছিল জোরালোভাবে। সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সব প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেন তিনি। নোবেলজয়ী বলেন, সেসময় সেনাবাহিনী তো আমার কাছেই আসলো। তারা আমাকে বললো, আপনি সরকার প্রধান হওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আমাকে বলেছিল, বাংলার মসনদ আপনার হাতে। আপনি এটাতে বসেন। আমি বলেছি, না আমি তো বসবো না। আমি তো রাজনীতি করি না। আমি তো রাজনীতির মানুষ না। বার বার আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলো। কখনো ভয় দেখানো হলো, কখনো উৎসাহ দেয়া হলো যে, এটা মস্ত বড় সম্মানের বিষয়। আমি প্রতিবারই জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি এ দায়িত্ব গ্রহণ করবো না। তবুও আসার কথা বললো। কিন্তু আমার অবস্থান পরিবর্তন করবো না বলেই জানিয়েছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিক শক্তি নামে একটি দল গঠনের উদ্যোগের কথা তিনি জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, আমাকে নানা রকম চাপের মধ্যে ফেলা হলো। তখন আমি সবাইকে চিঠি দিলাম, সবার মতামত নিতে থাকলাম। পক্ষে বিপক্ষে নানা মত আসলো। তখন দলের নাম কী হবে সেটা নিয়ে কৌতূহল ছিল। আমি একটা নাম দিলাম নাগরিক শক্তি। পরবর্তী একটা সময় বলে দিলাম না আমি আর এ রাজনীতিতে নাই। আমি রাজনীতি করতে চাই না। তবে রাজনৈতিক দল গঠনের সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সম্প্রতি শেষ হলো বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আসছেন বলেও নানা বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল দেশের রাজনীতিতে। তবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জানান, ওই সময় যা শোনা যাচ্ছিল সবই ছিল গুজব। এসবের কিছুই জানতেন না বলেও দাবি করেন। নির্বাচনের পর সরকার গঠন হলেও তিনি মনে করেন, দেশে এখনও গণতন্ত্র নিয়ে এক ধরনের সংকট রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা এখন গণতন্ত্রহীন অবস্থায় আছি। আমি ভোট দেই নাই। অনেকেই ভোট দেয় নাই। আমি তো ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। অনেকে পারে নাই। ভোট যদি আমি না দেই। অংশগ্রহণ যদি না করতে পারি। তাহলে সেটা কোন গণতন্ত্র? এটা শুধু মুখে বললেই হবে না। আমি যদি ভোটটা দিতে পারতাম, তাহলে তো বলতে পারতাম এটাই ঠিক। আমাকে তো কাউকে পাস করার জন্য চয়েজ দেওয়া হয়নি। তাহলে এটা কীসের গণতন্ত্র? পদ্মসেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ তোলেন অধ্যাপক ইউনূস প্রভাবিত করার কারণেই আটকে গিয়েছিল অর্থায়ন। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনুসের বলেন, আমার বাধা দেওয়ার তো কোনো কারণ নাই। দেশের মানুষের স্বপ্ন পদ্মাসেতু। এটা বাধা দেয়ার প্রশ্ন আসছে কেন? বিশ্বব্যাংক তো আমার প্রভাবিত করার জন্য অপেক্ষা করে নাই। তারা তো বলছে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি হয়েছে এমন কারণ দেখিয়ে তখন বিশ্বব্যাংক বিভিন্নজনকে প্রকল্প থেকে সরানোর কথা বলেছে। সরকার তাদের সরিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত একজনকে সরাতে রাজি হলো না সরকার। তখন পরিষ্কারভাবে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, না সরালে টাকা দেবে না। সরকার তখন রাজি হলো না। তারা টাকা বন্ধ করে দিল। তাহলে এখানে আমাকে কেন দোষ দেওয়া হচ্ছে? পদ্মাসেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ হয়নি। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। তাতে সাজা হয়েছে। জামিনে আছেন একটি মামলার সাজায়। এর প্রভাব ব্যক্তি জীবনেও পড়ছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী একজন ডিমেনশিয়া রোগী। সে আমাকে ছাড়া কাউকেই চিনতে পারে না। তার দেখাশোনার দায়িত্ব সব আমার। এ অবস্থায় জেলে থাকতে হলে স্ত্রীর কী অবস্থা দাড়াবে? ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অর্থপাচারসহ শতাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এসব মামলার কারণে আমার অনেক সময় ব্যয় করতে হয় আইনি লড়াইয়ে। আমি কোনও প্ল্যান-গ্রোগ্রাম করতে পারছি না। আমার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার জন্য এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে। গ্রামীণের এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তারা কোনও বেতন-ভাতা নেন না। অবৈতনিকভাবে কাজ করেন সেখানে। এসব প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে আমি গেলাম। আমার সংসার গেলো। আমার ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত গেলো। আমাকে দেখলে লোকে ভয় পায়। আমি আসামি মানুষ। গ্রামীণ টেলিকম এবং গ্রামীণ কল্যাণসহ আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা এখানে আছি। তবে ভবিষ্যতে কী হবে আমরা জানি না। হঠাৎ করে একদল লোক আমাদের এখানে আসলো। চেঁচামেচি করে ঢুকলো। নিয়মকানুন কিছু মানলো না। সবাইকে হুকুম দিতে আরম্ভ করলো। ড. ইউনূস জানান, তারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে চিঠি আনার দাবি করে চেয়ারম্যান থেকে সবকিছু পরিবর্তনের কথা বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভীতসন্ত্রস্ত করে দিয়েছিল। এর মাধ্যমে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করলেও তিনি জানিয়েছেন, ‘দখলে আসা ব্যক্তিদের’ আর এখন ওই প্রতিষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। এখন কি জবরদখল অবস্থার অবসান হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপাতত তেমন কিছু আমরা চোখে দেখতে পারছি না। ভেতরে থাকলেও থাকতে পারে। আমরা তো জানি না পরের দিন কি হবে।’ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একটি প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তির মধ্যে বৈরি সম্পর্ক কেন হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেন, এটা অদ্ভূত একটা বিষয় না? কী গভীর সম্পর্ক হওয়ার কথা ছিল। এখন সেই প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে জঙ্গিভাবে হামলা করতে আসছে। কেন এমন হচ্ছে? ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব ছাড়েন অধ্যাপক ইউনূস। এর এক যুগেরও বেশি সময় পরে গত ফেব্রুয়ারিতে সেই গ্রামীণ ব্যাংক দখলের চেষ্টা চালায় একটি পক্ষ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নোবেল পুরস্কার আসলো। সবার মনে এত আনন্দ। বহুদিন এটা ছিল দেশের মানুষের মধ্যে। স্মৃতিটা গভীরভাবে গেঁথে গেছে সবার মনে। নোবেল তো এমন একটা জিনিস না যে এটা আমি আবিষ্কার করেছি। পৃথিবীর মধ্যে গ্রহণযোগ্য একটা জিনিস। এ বৈরি সম্পর্ক কাটাতে কোনও উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল কিনা? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, না আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি। আমাদের দিক থেকে সম্পর্কে কোনও ছেদ পড়েনি। ক্ষুদ্র ঋণের ধারণার মাধ্যমে সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে গ্রামীণ ব্যাংক। অধ্যাপক ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ ধারণার কারণে তিনি ও গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতে ২০০৬ সালে। কিন্তু এরপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বক্তব্যে তাকে সুদখোর বলেছেন বলেও বিভিন্ন সময় খবর প্রচারিত হয়েছে। এ বক্তব্য নিয়েও সাক্ষাৎকারে কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা রক্তচোষা। ঠিক আছে আমরা না হয় সেটা। যখন ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি, তখন লোকে বলতো রক্তচোষা। এখন তো এ ব্যবসা সবাই করছেন। সরকারও করছে। সরকার টাকা দিচ্ছে। নিয়ম নীতি করে দিচ্ছে। এখন কে কার রক্ত চুষছে? আমাকে বহুবার সুদখোর বলা হয়েছে। খুব কষ্ট লাগে। যে লোকটা দেশের জন্য নোবেল পুরস্কার এনে দিলো, তাকে নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন হেলা করবেন, অপমান করবেন- এটা তো কারো ভালো লাগার কথা না। এতে দেশের মানুষেরও ভালো লাগার কথা না। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, একটা কথা বারবার বললে মানুষের মনে গেঁথে যাবে তো। মানুষ মনে করবে লোকটা তো খারাপ। দেশের অনিষ্ট করছে। মানুষ তো আমার দিকে তাকালে বলবে লোকটা সুদখোর, ধর তাকে। আমারও জানতে ইচ্ছা করে কেন তারা এ কথাগুলো বলে। এটা মানুষকে হেয় করা ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য তো দেখি না। অন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংক সুদের হারের পার্থক্য তুলে ধরেন ড. ইউনূস। তিনি প্রশ্ন রাখেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৭৫ শতাংশ মালিকানা তো সদস্যদের। তো সুদ যদি খেয়ে থাকে গরিব মানুষই খাচ্ছে, নারীরা খাচ্ছে। মাঝখান থেকে আমি সুদখোর হয়ে গেলাম কেন? আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কেন সুদখোর বলা হচ্ছে? গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার হলো সর্বনিম্ম। সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব মাইক্রোক্রেডিট অথরিটির কাছে। যেটা সরকারেরই প্রতিষ্ঠান।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৩

‘উপজেলা নির্বাচনে না আসলে বিএনপিকে খেসারত দিতে হবে’
জাতীয় নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে, সেই একই ভুল উপজেলা নির্বাচনে করলে বহুদিন খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিজ বাড়িতে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। এবারের জাতীয় নির্বাচনেও নৌকা মার্কা ছিল, এর বাহিরে যারা স্বতন্ত্র করতে চেয়েছে তাদেরকেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার ডাকে ৪২ শতাংশ মানুষ ভোটে অংশ নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে এর চেয়েও বেশি ভোটারের উপস্থিতি হবে।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচনে না এসে বিএনপি যদি আন্দোলন করে, নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে তাহলে ২৮ তারিখের মতো তাদের আবারও পালাতে হবে। এ সময় নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সাংসদ মোরশেদ আলম, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯

‘আ.লীগ সরকারকে ভুলের খেসারত দিতে হবে’
আওয়ামী লীগ সরকার অনেক ভুল করেছে, এজন্য তাদেরকে খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লা‌বের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ছেই। আজকে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয় চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য। এটা ভাবতে পারেন! আসলে কোনো কিছুর ওপরই তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্বাচনেও তারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দিয়ে গণ্ডগোল লাগিয়েছে। আসলে পতনকালে এমন ভুল হয়। এই সরকার অনেক ভুল করেছে। এজন্য তাদেরকে খেসারত দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি এবং জনগণও আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। তবে কিছু সময়ের প্রশ্ন থাকে। তাদের পতন হতেই হবে। খুব দ্রুত আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্ত হব। যারা কারামুক্ত হয়েছেন তারা রক্তাক্ত বাঘ। তাদের পায়ে তো শিকল পরানো যাবে না। আন্দোলনও বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে। সম্প্রতি নির্বাচনের নামে যে খেলা হলো তা আমরা কেউই চাইনি। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই খেলায় যুক্ত হয়নি। যারা ক্ষমতায় আছে বলে দাবি করে, তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে। তারা জনগণের সরকার নয়। নিজেদের স্বার্থ বিকিয়ে অন্যের সাহায্যে ক্ষমতায় আছে। সরকার যেসব দেশের সহায়তায় ক্ষমতায় আছে তাদের প্রত্যেককে অবৈধ সুবিধা দিয়েছে। জনগণ এটা মানবে না। আন্দোলন আরও বেগবান এবং সফল হবে ইনশাআল্লাহ। সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার যা ইচ্ছা তাই করতে পারে না। ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো ভোট হয়নি। ওই ভোট আওয়ামী লীগকে ভেঙে দিয়েছে। এমনকি সেদিন দেশবাসী প্রমাণ করেছে যে, তারা নিরঙ্কুশভাবে এই সরকারকে ঘৃণা করে। আর সরকার বলছে তারা নাকি বিএনপিকে নিয়ে নয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু সেটাতেও কিছু করতে পারেনি। কারণ, আওয়ামী লীগের চাপার জোর বেশি। তিনি বলেন, কদিন পরই রোজা। এ সময়েও ৪টি অতি নিত্যপণ্যের দামও কমেনি। আজকে সরকার ভয়ে আছে। তাদেরকে কেউ সমর্থন দেয়নি। তবে আমাদের লড়াই চালু আছে। আমাদের ডাকে লাখো জনতা রাস্তায় নেমেছে। কারণ, আমরা জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ে লড়াই করছি।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়