• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মাগুরায় ১২০ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ
নিত্যপণ্যের বাজার তদারকির অংশ হিসেবে মাগুরার একটি ফলের গুদামে অভিযান চালিয়ে মজুতকৃত ১২০ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ায় মেসার্স মাগুরা ফল ভাণ্ডারের গুদামে এ অভিযান চালানো হয়।  এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় অভিযুক্ত ফল ব্যবসায়ী গৌতম কুমার বিশ্বাসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ইউএনও মিজানুর রহামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ায় মেসার্স মাগুরা ফল ভান্ডারের গুদামে এ অভিযান চালানো হয়। মজুতকৃত খেজুরের প্রতিটি বস্তায় উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ কালো কালি দিয়ে ভরাট করা ছিল। এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ থাকায় ফল ব্যবসায়ী গৌতম কুমার বিশ্বাস এ কারচুপির আশ্রয় নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। ফল ব্যবসায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছেন, গত ১৩ মার্চ ২০০ বস্তা খেজুর তিনি যশোর রাসেল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি কেজি ১৬৫ টাকা দরে ক্রয় করেন। প্রায় ১০ লাখ টাকার খেজুর কেনা হয়েছিল। তিনি ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ৮০ বস্তা খেজুর বাজারে বিক্রি করেছেন।  তিনি আরও বলেন, এ অপরাধে ফল ব্যবসায়ী গৌতম কুমার বিশ্বাসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।           
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৯

হিমাগারে থাকা ১০০ টন খেজুর খালাসের নির্দেশ
হিমাগারে থাকা ১০০ টন খেজুর আগামী সাত দিনের মধ্যে খালাস করতে নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যদি তা না করা হয় তাহলে তা জব্দ করে নিলামে বিক্রয় করা হবে বলে কোল্ড স্টোরেজ মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত এ অভিযানে রিয়াজুদ্দিন বাজারের একটি কোল্ড স্টোরেজে আনুমানিক ১০০ টন প্যাকেটজাত খেজুর পাওয়া যায়। কয়েকজন আমদানীকারক ও পাইকারি বিক্রেতা গত আগস্ট মাস থেকে হিমাগারটিতে খেজুর মজুত করেছেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই খেজুর বাজারে না ছাড়লে তা জব্দ করে নিলামে বিক্রয় করা হবে বলে কোল্ড স্টোরেজ মালিককে জানানো হয়েছে। হিমাগারে অভিযান ছাড়াও, মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে হিমাগারটিতে অভিযান চালানোর পর এ নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১

সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানছেন না খেজুর বিক্রেতারা
প্রথম রোজার আগেই ইফতারের অন্যতম উপকরণ খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করলেও এ দামে খেজুর বিক্রি করছেন না কোনো ব্যবসায়ী।    অথচ, বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২২০ টাকার নিচে কোনো খেজুরই নেই বাজারে। মাঝারি মানের খেজুর কিনতেও গুনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুর হিসেবে পরিচিত বাংলা খেজুর দোকানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর ইরাকের জাইদি খেজুর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে কেন বিক্রি করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশ বিক্রেতা বলছেন, দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি তারা জানেন না। কয়েকজন বিক্রেতা আবার সরকারের দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাদের দাবি, বেশি দামে খেজুর কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদেরকে। রাজধানী ঢাকার বাজারে উন্নতমানের প্রতি কেজি খেজুর অন্তত এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি। সৌদি মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, আজোয়া এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৬

ভালো খেজুর চেনার উপায়
স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে খেজুর একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত। খেজুর স্বাদেও যেমন সুস্বাদু, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। ইসলামি গবেষকরা বলেন, ইফতারে খেজুর খাওয়া সুন্নত। রমজানে খেজুরের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। ফলে বাজারে এই চাহিদাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি করেন। তাই খেজুর কেনার আগে তাতে কৃত্রিম কোনো উপাদান মেশানো আছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নেবেন। খেজুর চেনার বেশ কিছু উপায় আছে।  চলুন জেনে আসি- ভালো মানের খেজুরের চামড়া সাধারণত একটু কুঁচকানো হয়, তবে শক্ত নয়। আবার উপরের চামড়াও বেশি নরম হয় না, তবে চকচকে ও উজ্জ্বল হয়।আর যদি খেজুরের গায়ে দানাদার কিছু কিংবা তেল বা পাউডারজাতীয় কিছুর উপস্থিতি দেখেন তাহলে বুঝবেন সেটি ভেজাল, মানহীন কিংবা নিম্নমানের খেজুর। ভালো কিংবা খারাপ বা নিম্ন মানের খেজুর কি না তা যাচাই করার আরও এক উপায় হলো খেজুরে উপস্থিত মিষ্টির মাত্রার স্বাদ নেওয়া। খেজুরের প্রাকৃতিকভাবে থাকা মিষ্টি হয় সহনীয় পর্যায়ের। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদের খেজুরে কৃত্রিম কিছু মেশানো থাকতে পারে। খেজুর কেনার আগে কোন দেশেরটা কিনছেন তা জেনে নেওয়া জরুরি। খেজুর উৎপাদনের দিক থেকে মিশর বিশ্বে প্রথম। এরপর ইরান ও সৌদি আরবের অবস্থান তৃতীয়। বিভিন্ন ধরনের খেজুরের মধ্যে আজওয়া, আনবারা, সাগি বা সুগায়ি, সাফাওয়ি, মুসকানি, মরিয়ম খেজুর অন্যতম। আরও আছে খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি। এদেশে আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের চাহিদা বেশি। ভালো খেজুর চেনার আরও এক কৌশল হলো পিঁপড়া ও মাছির উপস্থিতি লক্ষ্য করা। যদি দেখেন খেজুরের সামনে মাছি ও পিঁপড়া ভিড় করছে, তার মানে সেটি ভালো খেজুর না। এটি পরীক্ষা করতে ঘরের কোনো খোলা স্থানে খেজুর রাখুন। তারপর পরীক্ষা করুন। প্যাকিং করা খেজুর কেনাই সবচেয়ে ভালো। এই খেজুরগুলোর প্যাকেটে সাধারণত মেয়াদ লেখা থাকে। এছাড়া খোলা খেজুর কিনতে হলে খেয়াল রাখতে হবে খেজুরে যেন পচা গন্ধ, পোকা ধরা, বেশি কালচে বা শুকিয়ে যাওয়া না হয়। খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে ফ্রিজের নরমালে রাখলে খেজুর সবচেয়ে বেশি ভালো থাকে। সতর্কতা, অনেকেই ৫-১০ কেজি বক্সের খেজুর কিনে থাকেন। পরে দেখা যায়, বক্সের উপরে সাজানো বড় খেজুর ভেতরে এবং নিচে ছোট ছোট খেজুর। তাই বক্সের খেজুর কেনার আগে অবশ্যই বক্স খুলে সেটির উপরে ও নিচে একই ধরনের খেজুর রয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:২২

টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু, ১৫০ টাকায় মিলবে খেজুর
মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ থেকে ভর্তুকিমূল্যে মার্চ মাসের পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পবিত্র রমজান উপলক্ষে এবারের পণ্য তালিকায় সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল ও চালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে খেজুর।  বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনী বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।  দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের-পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে উল্লেখ করে এদিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম আজ থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে। একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ১০০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি। টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:০৩

রোজায় ১৫০ টাকায় খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি
কাল থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পবিত্র রমজানের বিক্রি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে এ কার্যক্রম শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।  বুধবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। এর আওতায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ১০০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করা হবে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনি বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। তবে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কর্মসূচিতে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৯

‘সাধারণ মানুষ খাবে বরই, বিত্তবানরা খেজুর আর মুরগির রান’
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষ বরই দিয়ে ইফতার করবে, আর যারা বিত্তবান তারা খেজুর খাবে, মুরগির রান খাবে। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনগণের সক্রিয়তা দরকার। বুধবার (৬ মার্চ) টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের বিচার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি ও নির্যাতিত নারীকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কথা কে শুনবে। বঙ্গবন্ধু নেই, মাওলানা ভাসানীও নেই। আমরা হয়তো মরলে শুনতে পারে। জনগণ সত্যিকার অর্থে হতাশ হয়ে পড়েছে। আমরা জনগণকে সেভাবে উৎসাহিত করতে পারিনি। প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনকারীর বিচারের জন্য সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, অপরাধীর বিচার না হলে আমি রাস্তার মধ্যে বসে থাকব, আমি একা হলেও বসে থাকব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, আশিক জাহাঙ্গীর, আবু জাহিদ রিপন প্রমুখ।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৩

আমদানির চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর
রমজান সামনে রেখে অস্থির হয়ে উঠেছে খেজুরের বাজার। সরকার ১০ শতাংশ শুল্কও ছাড় দেওয়ার পরও নানান অজুহাতে আমদানি মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।  জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর খেজুরের চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে অর্ধেক চাহিদা থাকে শুধু রমজানে। রোজা সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৩২ হাজার টন শুকনা ও ভেজা খেজুর আমদানি হয়েছে। এসব খেজুরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই আমদানি করেছে ২৫টি প্রতিষ্ঠান। ফলে দেশে খেজুরের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র দুই ডজন ব্যবসায়ী। তাদের হাতেই জিম্মি ভোক্তারা। বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার প্রতি কেজি খেজুরের গড় দাম পড়ছে প্রায় ৮০০ টাকা। কিন্তু কাস্টমসে প্রদর্শিত আমদানিমূল্য, শুল্ক এবং পরিবহন খরচ যোগ করলে প্রতি কেজি খেজুরের গড় মূল্য দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। বাজারে সৌদি আরবের ‘আজওয়া’ খেজুর ৫ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২০০ টাকায়। গত বছর দাম ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা। মেজদুল (আম্বর) খেজুরের ৫ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৮০০ টাকায়। গতবার দাম ছিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা। একইভাবে মেজদুল (সাধারণ) মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার টাকায়। গতবার দর ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা। মরিয়ম খেজুরের ৫ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। গতবার ছিল আড়াই হাজার টাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ডলার রেট বেশি। এ ছাড়া আমদানিও এবার অনেক কম। এজন্য বাজার কিছুটা অস্থির। তিনি বলেন, খুচরা বাজারে কেউ কেউ দ্বিগুণ দামে খেজুর বিক্রি করলেও পাইকারিতে এটা করার সুযোগ নেই। অন্যদিকে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেছেন, এবারও পর্যাপ্ত খেজুর আমদানি হয়েছে। সরকার ১০ শতাংশ শুল্কও ছাড় দিয়েছে। তবে মনিটরিংয়ে দুর্বলতা রয়ে গেছে। এর ফলে খেজুরের বাজার ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, খেজুরের দাম কেন লাগামছাড়া, তা খতিয়ে দেখা উচিত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দেশের ১৬ কোটি মানুষ কষ্ট পাক, এটা আমরা চাই না।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১

ইফতারে কি খেজুর খেতেই হবে? যা বলছে ইসলাম 
আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র রমজান মাস। সারা দিন রোজা রেখে সাধারণত খেজুর দিয়েই ইফতার শুরু করার অভ্যাস প্রায় সবারই আছে। বিশেষ করে বিষয়টি সুন্নত হিসেবেই পালন করে থাকেন রোজাদাররা। পবিত্র হাদিসেও খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথা বলা আছে। খেজুর এনার্জি বাড়ায়-   রোজা রাখলে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খেজুর শারীরিক ক্লান্তি দূর করে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি, যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এই সব গুণ। এ ছাড়া খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময় এনার্জি বজায় রাখে। খেজুর ইফতারের বিশেষ অনুষঙ্গ- খেজুরের পুষ্টিগুণের কারণে এ ফলটি অনেক জনপ্রিয়। এটি স্বাস্থ্যসম্মত ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। হাদিস শরিফেও খেজুর দিয়ে ইফতার করার নির্দেশ রয়েছে। হজরত সালমান ইবনে আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ইফতার করে, সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। কেননা, তাতে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে।’ (মেশকাত ১৮৯৩) আরেকটি হাদিসে রয়েছে, আনাস বিন মালেক (রা.) রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত, তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।’ (তিরমিজি ৬৩২) কিন্তু জানেন কি, রোজা ভাঙতে কেন খাওয়া হয় খেজুর? খেজুরে রয়েছে কোন কোন পুষ্টিগুণ? চলুন জেনে নেয়া যাক খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। রাজধানীর জামিয়া ইউসুফ বানুরীর মুহতামিম ও মাহমুদ নগর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আতাউল করিম মাকসুদ বলেছেন, রাসূল সা. কিছু কিছু কাজ করেছেন নবী হিসেবে- তা উম্মতের জন্য পালন করা আবশ্যক। আবার তিনি কিছু কাজ করেছেন মানুষ বা ব্যক্তি হিসেবে— আল্লাহর রাসূল ব্যক্তি হিসেবে যেসব কাজ করেছেন, তা পালন করা উম্মতের ওপর আবশ্যক নয়, তবে মেনে চলা ও অনুসরণের অনেক বরকত ও ফজিলত রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাদা কাপড় পরতে পছন্দ করতেন। সাদা কাপড় তার ব্যক্তিগত পছন্দ ছিল, তাই তিনি পোশাকের ক্ষেত্রে সাদা কাপড় প্রাধান্য দিতেন, শরীয়তের বিধান হিসেবে কখনো তিনি সাদা কাপড় পরেননি। আমরা সাদা কাপড় পরলে বরকত আছে তবে না পরলে কোনো গুনাহ হবে না। ঠিক তেমনি আল্লাহর রাসূল পুষ্টিগুণ এবং তৎকালীন মদিনার প্রধান খাবার হিসেবে খেজুর খেতেন। শরীয়তের বিধান হিসেবে খেজুর খেতেন না। খেজুর খাওয়া বরকতের কারণ- আল্লাহর রাসূলের সুন্নতের অনুসরণে ইফতারে খেজুর খাওয়া বরকতের কারণ। তবে কেউ বিশেষ কোনো অসুস্থতা বা দাম বৃদ্ধি এবং এ জাতীয় কারণে খেজুর খেতে না পারলে তাকে এ কথা বলার অবকাশ নেই যে, সে সুন্নত ছেড়ে দিয়েছে, সুন্নতের ওপর আমল করেনি- বলেন মাওলানা আতাউল করিম মাকসুদ। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ইফতার সামগ্রী ও খেজুর কেনা কষ্টসাধ্য হলে, বরকত লাভের জন্য পরিমাণ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যেমন, কেউ আগে তিনটা খেজুর খেত, এখন একটা খাওয়া যেতে পারে। সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী- তিনি বলেন, বর্তমানে রমজানে মূল্যবৃদ্ধি একটি জাতীয় সমস্যা। এ কারণে পবিত্র মাসে ইবাদত পালনের আগে খাবার-দাবার নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হয়। অনেকে খাবারের তালিকা কাটছাট করার চেষ্টা করেন। ব্যবসায়ীদের উচিত অধিক মূনাফা লাভের আশা না করে রমজানে মানুষের ইবাদত পালনের বিষয়টি সহজিকরণে সহযোগিতা করা। আল্লাহর রাসূল সা. সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ীদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। অযাচিতভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ও খেজুরের মূল্য বৃদ্ধি না করে ব্যবসায়ীদের আল্লাহর রাসূলের বর্ণিত পুরস্কার অর্জনে প্রতিযোগীতা করা উচিত।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

রোজার আগেই বাজারে আগুন, খেজুর এখন বিলাসী পণ্য
সপ্তাহ দুয়েক বাদেই পবিত্র মাহে রমজান। সংযমের মাস। কিন্তু সিয়াম সাধনার পবিত্র এ মাসটি এলেই যেন বেশি সংযম হারান এদেশের ব্যবসায়ীরা। তাদের ইচ্ছেমতো দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের। ব্যতিক্রম চোখে পড়ছে না এবারও।  রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, তার সবকিছুর দামেই আগুন লেগে গেছে ইতোমধ্যে। ছুঁতে গেলেই যেন পকেট পুড়ে যায় অবস্থা।  এরই মধ্যে আগামী রোববার পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে গরুর মাংসের দাম আরেক দফা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর কোনও বাজারেই ৭৫০ টাকার নিচে মিলছে না গরুর মাংস।  তাল মিলিয়ে মুরগীর দামেও চলছে ডিজিট বাড়ানোর খেলা। একই বাজারে পাশাপাশি দোকানে ১০-২০ টাকার তারতম্য দেখা যাচ্ছে দামে। কোথাও ২০০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না ব্রয়লার মুরগীর। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাজারে কেজি প্রতি দাম চাওয়া হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকা। এছাড়া লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে এ বাজারে।  দামের এই ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির দাম বেশ কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে। কেনা দাম বেশি পড়ায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে মাছের বাজার চড়া অনেকদিন ধরেই।  তালতলা মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, ছোট কাতলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতলা মাছ ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি পাঙ্গাশ মাছের দামও হাঁকা হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা।  এছাড়া আকার ভেদে ইলিশ মাছ ৭০০-১২০০ টাকা, সিলভারকার্প মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ টাকা, বড় কৈ মাছ ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  ছোট মাছের মধ্যে কাচকি মাছ ৪৫০ টাকা, মলা মাছ ৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে সবজির দামও মৌসুমের এই সময়ে সবজির বাজারে স্বস্তি আসার কথা থাকলেও এবার তা কিনতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের। শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমলেও গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলো ১০০ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না ভোক্তারা। শুক্রবার মিরপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে তুলনামূলক বিচারে দেখা যায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়, একেকটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ব্রকলি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া মৌসুমের শেষেও এক কেজি গাজর কিনতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, খিরাই কিনতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও টমেটো কিনতে ৪০ থেকে ৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। প্রায় সব বাজারে আলু ও মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।   এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়,  শসা ১০০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, পটল ১৪০ টাকা এবং সাজনে ডাঁটা ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।   লাগাম টানা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দরেও। দেশি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর সব বাজারে। তাছাড়া রোজার মধ্যে আরেক দফা সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক ক্রেতা।  খেজুর এখন বিলাসী পণ্য পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে সরকার সম্প্রতি চিনি ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমালেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। রোজায় সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্য খেজুর এখন বিক্রি হচ্ছে বিলাসী পণ্যের দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে রোজায়  বিঘ্ন ঘটতে পারে চিনি ও খেজুর সরবরাহে। অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।   গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে উৎপাদিত লাল চিনির দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ২৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। তবে এ ঘোষণার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বর্ধিত এ দাম প্রত্যাহার করে নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। ফলে আগের মতোই প্রতি কেজি দেশি খোলা চিনি ১৩২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪০ টাকায় মিলবে। এ পরিস্থিতিতে এদিন রাজধানীর মৌলভীবাজারে এক অনুষ্ঠানে আসন্ন রমজানে চিনি ও খেজুরের স্বাভাবিক সরবরাহ পাওয়া নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব বলেন, ব্যাংকের সুদহার বেড়ে যাচ্ছে। সুদ না কমালে পণ্যমূল্য কখনোই কমবে না। তা ছাড়া ডলারের সংকটের কারণে ব্যাংক এলসি দিচ্ছে না। এতে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।  ডলারের দর ও শুল্ক বৃদ্ধির কারণে রোজায় খেজুর মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন,  খেজুরে কখনোই এত বেশি শুল্ক ছিল না। গত অর্থবছর থেকে খেজুরকে বিলাসী পণ্য হিসেবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে ১২০ টাকার খেজুরে শুল্ক দিতে হচ্ছে ২০৮ টাকা। তাছাড়া গত বছর ডলারের রেট ছিল ১০০ টাকার কিছু বেশি। এখন ডলারের দর ১২০ টাকার বেশি। তিনি বলেন, কাস্টমসে ১ হাজার ডলারের খেজুরের আমদানি মূল্য আড়াই হাজার ধরে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। এতে অনেক বেশি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। এর সুরাহা করতে হবে। তাঁর অভিযোগ, বন্দর থেকে আগে দু’দিনের মধ্যে খেজুর খালাস করা যেত। এখন ৮ থেকে ১০ দিন লাগে। তাতে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঁচ শতাধিক খেজুর বোঝাই কনটেইনার আটকে আছে। দ্রুত খালাস না করলে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন হতে পারে। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়