• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কুমিল্লাকে হারিয়ে প্লে-অফে বরিশাল, কপাল পুড়লো খুলনার
চলমান বিপিএলে জয় আসর শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে প্লে-অফ খেলতে কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি হয় তামিমের দল। কিন্তু লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ১৪১ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা। জবাব দিতে নেমে দুই বল ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। এতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তামিম-রিয়াদরা। বরিশালের এই জয়ে কপাল পুড়েছে খুলনার। প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে বিজয়ের দল। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বরিশাল। ৭ বলে ১ রান করে আউট হন আহমেদ শেহজাদ। এরপর কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার তামিম ইকবাল। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল। ২৫ বলে ২৫ রান করে আউট হন মায়ার্স। মুশফিক হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন   এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। কিন্তু ৪০ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিক। ২৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন মুশফিক। ৪৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তরমিম। শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের ৬ রান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১১ বলে ১২ রানের ইনিংসে ভর করে দুই বল ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন মুশফিক হাসান। এ ছাড়াও আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ এনামুল একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে কুমিল্লা ব্যাটিংয়ে নামলে দুর্দান্ত বোলিং করে লিটন-নারিনকে চেপে ধরে মিরাজ-তাইজুলরা। ১৮ বলে ১৬ রান করে আউট হলে সুনিল নারিন আউট হলে ১২ বলে ১২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।  চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মঈন আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ২৬ বলে ২৫ রান করে তিনি। এরপর মঈনকে সঙ্গে দেন রাসেল। ২২ বলে ২৩ রান করে মঈন আলী আউট হলে ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন আন্দ্রে রাসেল। ম্যাথিউ ফোর্ড (০) এবং এনামুল ৩ রান করে আউট হলে ব্যাট চালাতে থাকেন জাকের আলী। শেষ পর্যন্ত জাকেরের ১৭ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পেল কুমিল্লা।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৪

সংসার বেশি ভাঙছে খুলনার নারীদের
দেশে বিবাহিত মানুষের হার যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমন তালাক এবং বিধবার সংখ্যাও বেড়েছে। খুলনার নারীদের সংসার বেশি ভাঙছে। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে বেড়েছে অবিবাহিতদের সংখ্যা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২ (এসভিআরএস) এ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এটি সম্প্রতি ওয়াবসাইটে প্রকাশ করে সংস্থাটি। এসভিআরএস প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে তালাক, দাম্পত্য বিচ্ছেদের হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে পুরুষের তুলনায় নারীরা তালাক ও বিচ্ছেদের পথে বেশি এগিয়েছেন। বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, খুলনা বিভাগের নারীরা ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি তালাক ও দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের পথে এগিয়েছেন। অন্যদিকে, দেশে বিবাহিত মানুষের হার বেড়েছে। বর্তমানে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহিত নারী-পুরুষের ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বিপরীতে দেশে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ বিয়ের বয়স হওয়ার পরও বিয়ে করেননি। তবে সিলেট বিভাগে অবিবাহিত মানুষের হার সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ পুরুষ ও ৪৪ দশমিক ৯১ শতাংশ নারী বিয়ে করেননি। আর বয়স হওয়ার পরও বিয়ে না করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম বিভাগ। এখনো বিয়ে করেননি এ বিভাগের ৫৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

বিজয়-হাবিবুরের ব্যাটে খুলনার চ্যালেঞ্জিং পুঁজি
ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন এভিন লুইস ও এনামুল হক বিজয়। তবে সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত বিজয়-হাবিবুরের ব্যাটে ভর করে সিলেটকে ১৫৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছে খুলনা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো কিছুই আভাস দিচ্ছিলেন খুলনার দুই ওপেনার এভিন লুইস ও এনামুল হক বিজয়। কিন্তু দলীয় ১৯ রানেই ধাক্কা খায় দলটি। ১০ বলে ১২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লুইস।  এরপর তিনে নেমে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে দলীয় ৫০ পার হওয়ার পরই ফেরেন এই ব্যাটার। ফেরার আগে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে খেলেন ২৪ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। চারে ব্যাট করতে নেমে মোটেই সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ৬ বলে ১ রানে টপ-অর্ডার এই ব্যাটার ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে খুলনা।  তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে সেই চাপ সামাল দেন দলপতি বিজয়। জয় ফেরার পর দলপতির সঙ্গে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তরুণ হাবিবুর রহমান সোহান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দ্রুতই চলতি আসরের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন বিজয়। অর্ধশতক হাঁকালেও কিছুটা ধীরগতির ইনিংস সাজান তিনি। অন্যদিকে খুলনার সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেন সোহান। উইকেটে খানিকটা থিতু হয়েই বেনি হাওয়েলের এক ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকান হাবিবুর। তানজিমের করা পরের ওভারে আরও দুটি বাউন্ডারির মালিক বনে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৯৯ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা।  ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ বলে বিজয় ৬৭ এবং ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩০ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। সিলেটের হয়ে সামিত প্যাটেল, সানজামুল ইসলাম ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৭

শেষের ঝড়ে খুলনার চ্যালেঞ্জিং পুঁজি
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৮৮ রানেই ৭ উইকেট হারায় খুলনা। তাই দলটির ১০০ রান পার করা নিয়েও শঙ্কা ছিল। তবে শেষের ঝড়ে খুলনাকে শক্তিশালী পুঁজি এনে দিয়েছেন দুই পাকিস্তানি ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছে খুলনা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিল খুলনা। তবে ১৩ বলে ১২ রানে থাকা অধিনায়ক বিজয়কে উইকেটে থিতু হতে দেননি আকিফ জাভেদ। পাকিস্তানি পেসারের ফুল লেংথের ডেলিভারি মিস করে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর রান আউট হয়ে মাত্র ২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন হাবিবুর রহমান সোহান। এরপর শোয়েবের টসড-আপ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে পড়েন একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা ইমন। এতে ২৪ বলে ৩৩ রানে শেষ হয়েছে ইমনের ইনিংসের। এরপর আফিফকেও ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।  মাহমুদুল হাসান জয়কে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে ১৩ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন জয়। পরের ওভারে দাসুন শানাকাকে বোল্ড করেছেন তাইজুল। প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হন নাহিদুলও। মোহাম্মদ ইমরান জুনিয়রের লেংথ বলে মাত্র ৫ রানেই বোল্ড হন তিনি। শেষ দিকে দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ বাড়িয়েছেন খুলনার পুঁজি। তাদের ব্যাটে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে দলটি।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩২

রংপুরকে হারিয়ে খুলনার তৃতীয় জয়
বিপিএলের দশম আসরে দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে খুলনা টাইগার্স। ঢাকা পর্বে অপরাজিত থেকে সিলেট পর্বেও বেশ ছন্দে রয়েছে এনামুল হক বিজয়ের খুলনা টাইগার্স। সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সকে ২৮ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) টস জিতে খুলনা টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ে আন্ত্রমণ জানায় রংপুর রাইডার্স। ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব-সোহানদের ১৬১ রানের লক্ষ্য দেয় বিজয়ের দল। জবাবে দিতে নেমে শুরুতে খুলনার বোলিং তোপে পড়ে রনি-বাবররা। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানে অলআউট হয় রংপুর। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। দলীয় ১১ রানের দুই বিদেশি ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর। ৮ বলে দুই রান করে স্বদেশি ওয়াসিম জুনিয়রের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন বাবর আজম। আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও রান তুলতে পারেননি ব্যান্ডন কিং। ১ রান করে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে বোল্ড আউট হন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। তবে শামীম পাটোয়ারীকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার রনি তালুকদার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ব্যাটারও। ২৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি। অপর প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে ২২ বলে ৩০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন শামীম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নবি। শামীমের আউটের পর মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফগান তারকা আজমতুল্লাহ ওমারজাই। শেষ দিকে ব্যাটে এসে দলকে রক্ষা করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। ৪ বলে মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন তিনি। শেষ দিকে মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন নবি। ২৪ বলে রংপুরে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬২ রান। ৮ বলে ১২ রান করে মাহেদী আউট হলে পর পর দুই বাউন্ডারি মেরে ক্যাচ আউট হন রিপন মন্ডল। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন নবি। এতে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন এই আফগান অলরাউন্ডার। পরের বলে নবি ক্যাচ আউট হলে ১৩২ রানের অলআউট হয় রংপুর রাইডার্স। এতে ২৮ রানের জয় পায় খুলনা। খুলনা টাইগার্সের হয়ে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন দাসুন শানাকা। এ ছাড়াও মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজ দুটি করে উইকেট নেন। এক উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬

রংপুরের সামনে খুলনার লড়াকু পুঁজি
এভিন লুইসের ঝোড়ো এক ইনিংসের পরও ৬৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা টাইগার্স। তবে লঙ্কান দাসুন শানাকা ও পাকিস্তানি মোহাম্মদ নওয়াজের দুর্দান্ত জুটিতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে দলটি। রংপুরের রাইডার্সের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলেছে তারা। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ধাক্কা খায় খুলনা। এদিন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সুইংয়ের কাছে কিছুটা খাবি খাচ্ছিলেন দলপতি বিজয়। ফলে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন এই ওপেনার। শেখ মেহেদীর টসড-আপ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে রানের খাতা খোলার আগেই রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েছেন খুলনার দলপতি। বিজয় ফিরলেও দ্রুতই রান তুলতে থাকেন লুইস। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। মেহেদীর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাত্র ৭ রানে লং অনে ব্রেন্ডন কিংয়ের তালুবন্দি হয়েছেন তিনি।  চারে নেমে আফিফ হোসেনও সুবিধা করতে পারেননি। হাসানের লেংথ ডেলিভারিতে কাঁটা পড়েছেন তিনিও। পুল করতে গিয়ে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর লুইসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ওয়েস্ট উইন্ডিজের এই ব্যাটারকে হাফ-সেঞ্চুরি করতে দেননি হাসান মাহমুদ। এরপর দলের রানের চাকা সচল রাখেন শানাকা ও নওয়াজ। এই জুটিতে আসে ৭৭ রান। হাসানের ফুলটস ডেলিভারিতে স্কুপ করতে গিয়ে ফেরেন শানাকা। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে ৪০ বলে আসে ৪০ রান। লঙ্কান এই ব্যাটার না পারলেও ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন নওয়াজ। ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। এতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলে খুলনা। রংপুরের হয়ে হাসান তিনটি ও মেহেদী দুটি উইকেট নিয়েছেন।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪১

খুলনার ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বরিশাল
সাকিবের রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বিপিএলের দশম আসর শুরু করেছে তামিমের ফরচুন বরিশাল। তবে সেই জয় ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি বরিশাল। নিজেদের দ্বিতীয় ভালো খেলেও খুলনার টাইগার্সের কাছে হারতে হয়েছে তাদের। বিপরীতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বিজয়-আফিফরা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল খুলনা। ব্যাটিংয়ে নেমে বিজয়দের সামনে ১৮৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় তামিম-মুশফিকরা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ বল ও আট উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন খুলনা টাইগার্সের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ইভেন লুইস। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে মাত্র চার ওভারেই দলীয় ৫০ রান পূরণ করে খুলনা। ২১ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন ইভেন লুইস। এর পরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার বিজয়। ৩৫ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। অন্যদিকে অধিনায়কের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট চালাতে থাকেন আফিফও। তবে নয় রানের জন্য ফিফটির দেখা পাননি তিনি। ৩৬ বলে ৪১ রান করে ক্যাচ আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার। কিন্তু দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন অধিনায়ক বিজয়। তাকে সঙ্গ দেন সাই হোপ। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হার না মানা ৪৪ বলে ৬৩ রান এবং সাই হোপের ১০ বলে ২৫ রানের ভর করে ১২ বল ও আট উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও, ইনিংস বড় করতে পারেনি আফগান তারকা ইব্রাহিম জাদরান। ১৬ বলে ১১ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর পিচে এসেই ব্যাট চালাতে শুরু করেন সৌম্য সরকার। ১০ বলে ২২ রান করে রান আউট হন এই টাইগার ক্রিকেটার । তবে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক অভিজ্ঞ বাটার তামিম ইকবাল। ৩৩ বলে ৪০ রান করে তামিম আউট হলেও, অপর প্রান্তে থিতু হন মুশফিক। ৩২ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১৯ বলে ২৭ রান করে আউট হন এই রিয়াদ। শেষ দিকে শোয়েব মালিকের ৫ বলে রান এবং মুশফিকুর রহিমের ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৮ রানে ভর করে চার উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানের বড় পুঁজি পায় ফরচুন বরিশাল। খুলনার জয়ের জন্য দরকার ১৮৮ রান। খুলনা টাইগার্সের হয়ে মুকিদুল ইসলাম, ওশানে থমাস ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০২

চট্টগ্রামকে হারিয়ে খুলনার দুর্দান্ত শুরু
বিপিএলের দশম আসরের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয়েছিল খুলনা টাইগার্স। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া চট্টগ্রামকে চার উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে এনামুল হক বিজয়ের দল। শনিবার (২০ জানুয়ারি) টস জিতে চট্ট্রগ্রামকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় খুলনা। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয় তারা। জবাব দিতে নেমে ৯ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স। জবাবে দিতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন খুলনার দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় এবং ইভেন লুইস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ৬ বলে ১২ রান করে লুইস আউট হলে, ৮ বলে ৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন বিজয়। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার শাই হোপ। ১১ বলে ৯ রান করেন তিনি। তবে মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে খুলনা শিবিরে হাল ধরেন আফিফ হোসেন। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ে পথে এগিয়ে জেতে থাকে খুলনা। ২৬ বলে ২৮ রান করে আফিফ আউট হলে, ৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হাবিবুর রহমান সোহান। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ে পথে এগিয়ে নেন জয়। ৪৪ বলে ৩৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে জয় আউট হলে, ফাহিম আশরাফের অপরাজিত ১৫ রানে ভর করে ৯ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতে জয়ে বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রামের হয়ে আল আমিন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও বিলাল খান ও নাহিদুজ্জামান একটি তরে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে  ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বন্দরনগরীর দলটি। ৯ বলে ৮ রান করে নাহিদুল ইসলামের বলে আউট হন আভিষ্কা ফার্নান্দো। পরের বলেই ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন ইমরানুজ্জামান। এরপর চ্যালেঞ্জার্স শিবিরের হাল ধরার চেষ্টা করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তবে মাত্র ১৯ রান করেই আউট হন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছাড়াতে পারেননি আগের ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক শাহাদাত হাসান দিপুও। ১০ বলে ৬ রান করে স্পিনার নাসুমের বলে বোল্ড হন তিনি। অধিনায়ক শুভাগত হোম ২ রানে আউট, অপর প্রান্ত থেকে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তবে এই আফগান ব্যাটারও পিচে বেশি সময় থাকতে পারেনি। ২২ বলে ২৪ রান করে নাহিদুলের তৃতীয় শিকার হন জাদরান। এরপর শুরু হয় চট্টগ্রামের উইকেট মিছিল। কার্টিস ক্যাম্ফার (৭), নাহিদুজ্জামান (৯) এবং বিলাল খান আউট হন এক রানে। ২০তম ওভারে শেষ বলে শহিদুল ইসলাম আউট হলে ১২১ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে স্কোর বোর্ডে লড়াকু পুঁজি যোগ করেন শহিদুল।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়