• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাবুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় খুন হন মিতু
মেয়ে মাহমুদা খানম মিতুকে খুনের জন্য জামাতা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে দায়ী করেছেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বাবুলের মা নিজে তার কাছে স্বীকার করেছেন বাবুল মিতুকে হত্যা করেছে, তাকে যেন আমরা মাফ করে দিই। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য দেন শাহেদা মোশাররফ। আসামি বাবুলের সামনেই সাক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি। শাশুড়ি বিস্ফোরক বিভিন্ন তথ্যের বিপরীতে একেবারে নীরব ছিলেন বাবুল। আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ বলেন, ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল বাবুল আক্তারের সঙ্গে আমার বড় মেয়ে মাহমুদ খানম মিতুর বিয়ে হয়। তখন বাবুল আক্তার বেকার ছিলেন। বিয়ের পর শুরু থেকেই তাদের সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না, মোটামুটি ছিল। পরে বাবুল পুলিশে যোগদান করে। এরপর কক্সবাজারে এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) হিসেবে বদলি হয়। সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ভিন্ন নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় বাবুলকে দেখে ফেলেন মিতু: শাহেদা মোশাররফ বলেন, একদিন বাবুল আক্তার মিতুকে নিয়ে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ওঠে। পাশের রুমে ওই নারীও ওঠেন। ওই নারীর রুমে বাবুল আক্তারকে আপত্তিকর অবস্থায় মিতু দেখে ফেলে। তখন মিতু জানতে চায় সে এখানে কী করছে? বাবুল মিতুকে বলে, বিদেশে যাওয়ার জন্য ল্যাপটপে কাজ করছে। তাদের দুজনকে এ অবস্থায় দেখে মিতুর খারাপ লাগে। সে কিছুক্ষণ ওখানে ছিল। বাচ্চারা একা থাকায় মিতু তাদের রুমে চলে আসে। বাচ্চারা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর সেও ঘুমিয়ে পড়ে। ‘রাত ৩টার দিকে মিতুর ঘুম ভেঙে যায়। তখনও বাবুল আক্তার মিতুর রুমে ছিল না। মিতু আবার ওই নারীর রুমে গেলে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। মিতু রুমে এসে কেঁদে কেঁদে আমাকে ফোন দেয়। তখন আমি তাকে বলি, তুই চলে আয়। মিতু তখন বলে, আমার ছেলে-মেয়েরা আমাকে খারাপ মনে করবে। তাই আমি আল্লাহর ওপর ভরসা রাখি।’ এক বাসায় আলাদা রুমে থাকতেন বাবুল-মিতু : শাহেদা মোশাররফ বলেন, চট্টগ্রামে বদলি হওয়ার পর আমার মেয়ের সঙ্গে এক বাসায় থাকলেও বাবুল আলাদা রুমে থাকত। বাবুল আক্তার গভীর রাত পর্যন্ত অনেক মেয়ের সঙ্গে কথা বলত। মিতু সেগুলো আড়ি পেতে শুনত। বাবুল ২০১৪ সালে মিশনে যায়। মিশনে যাওয়ার সময় তার একটি মোবাইল বাসায় রেখে যায়। ওই মোবাইলে বাবুল আক্তারকে দেওয়া ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর মেসেজ খুঁজে পায় মিতু। একইসঙ্গে বাবুল আক্তারকে ওই নারীর উপহার দেওয়া দুটি ইংরেজি বই পায়। মিতু মেসেজগুলো দুটি বড় পৃষ্ঠা ও দুটি ছোট পৃষ্ঠায় লিখে রাখে।’ তিন-চারবার ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ মিতুর : শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার ছোট মেয়ের বাসায় মিতু ও তার ছেলেমেয়েরা বেড়াতে যায়। মিতু তখন আমাকে পৃষ্ঠায় লেখা মেসেজগুলো দেয়। এসব আমাদের বলায় বাবুল মিতুর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এরপর মিতু তিন-চারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মিতু চট্টগ্রামের বাসা থেকে ঢাকায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। ২০১৬ সালের জুনের ৪ তারিখ রাতে মিতু আমাকে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে বলে, আম্মা মাহিরের স্কুল থেকে ম্যাসেজ এসেছে। আমাকে খুব ভোরে মাহিরকে নিয়ে স্কুলে চলে যেতে হবে। ৫ জুন সকালে মিতুর বাসার পাশ থেকে একজন নারী আমাকে ফোন দেন।’ ওই নারী আমাকে বলেন, মিতু গাড়ির সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে অ্যাকসিডেন্ট করেছে। আমি বলি, মা তুমি মিতুকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাও। আমি টাকা নিয়ে আসছি। এরপর মাহির (মিতুর ছেলে) একজনের মোবাইল থেকে কল দিয়ে বলে, নানু, আম্মুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়েছে, গুলি করেছে। তখন আমি মাহিরকে বলি, তোমার আম্মু কি কথা বলছে? মাহির বলে, না, আম্মু তাকিয়ে আছে শুধু।’ ‘আমি মাহিরকে বলি, তুমি তোমার বাবাকে কল দিয়েছ? মাহির বলে, হ্যাঁ নানু, ফোন দিয়েছি, তবে বাবা কথা বলে না। আমি মাহিরকে বলি তোমার আম্মুকে চাদর দিয়ে ঢেকে রাখো। এরপর আমি, আমার ছোট দুই দেবর, জা ও ছোট মেয়েকে নিয়ে বিমানযোগে চট্টগ্রাম চলে আসি। মিতুকে যেখানে খুন করা হয়েছে, আমি সেখানে যাই। এরপর আমি মিতুর বাসায় আসি। ওখানে শুনি মিতু (লাশ) হাসপাতালে আছে।’ শাহেদা বলেন, ‘বাসায় যাওয়ার পর মাহির আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলে, নানু আমার মা চলে গেছে। মিতুকে (লাশ) এরপর হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয় পুলিশ লাইনে। সেখানেই তার জানাজা হয়। পুলিশ লাইনে জানাজা হওয়ার পর আমার দুই দেবর মিতুর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা নিয়ে যায়। আমরা ফ্লাইটে করে ঢাকা যাই। এরপর আমাদের বাড়ি মেরাদিয়াতে মিতুর জানাজা হয়। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।’ এসময় তিনি জানান, মিতু মারা যাওয়ার পর ছেলে মাহির বাবুল আক্তারকে তিনবার কল দিয়েছিল। কিন্তু বাবুল কল রিসিভ করলেও কোনো কথা বলেননি। শাহেদাও একবার কল দিয়েছিলেন, কিন্তু বাবুল সেটি রিসিভ করেননি। মিতুর ব্যবসার টাকায় মিতুকে খুন: শাহেদা মোশাররফ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে বলেন, বাবুল আক্তার বিদেশে থাকার সময় তিন-চারবার দেশে আসে। কিন্তু তখন একবারও বাসায় আসেনি। তখন থেকে মিতুকে মারার পরিকল্পনা করে এবং টাকা লেনদেন করে। মিশন থেকে এসে সে চায়না যায় টিম নিয়ে। চায়নাতে বসেও মিতুকে মারার চেষ্টা করেছে। পরিকল্পনা করে। শাহেদা বলেন, মিতুর একটি ব্যবসা ছিল। ব্যবসার তিন লাখ টাকা দিয়েই মিতুকে খুন করায় বাবুল। মিতু মারা যাওয়ার পর বাবুল আক্তার আমাদের বাসায় ওঠে। ছয়মাস আমাদের বাসায় ছিল সে। সেখানে বসে সে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ২৪ জুন (২০১৬) বাবুল আক্তারকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বাবুল সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে আসে। আমি তখন তাকে জিজ্ঞেস করি, চাকরি ছাড়লে কেন? তখন সে বলে, মিতু খুন হওয়ার কারণে আমাকে চাকরি ছাড়তে হয়েছে। আমি তাকে বলি, তোমার চাকরি ছাড়ার বিষয় কি মিতুর খুনের বিচারের জন্য? ‘বাবুল আক্তার মিতুকে খুন করার জন্য মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে দেয়। একথা বলেছে মুসার স্ত্রী। মুসার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, তুমি মিতুকে খুন করেছ ? তখন মুসা তার স্ত্রীকে বলে, আমি খুন না করলে বাবুল আক্তার আমাকে ক্রসফায়ার দেবে। বাবুল আক্তার আমাদের বলেছিল, মিতুর খুনের আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি ক্রসফায়ার দিতে বলেছি।’ শাহেদা আরও বলেন, আসামি ওয়াসিম, আনোয়ার গ্রেপ্তার হয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই ভোলা ধরা পড়ে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে আদালতে জবানবন্দি দেয়, বাবুল আক্তারের নির্দেশেই মুসা মিতুকে খুন করেছে। মিতু মারা যাওয়ার দেড় মাস পর সে যে বাসায় ছিল ওখানে মিলাদ পড়ানোর জন্য আমরা চট্টগ্রাম আসি। এর কিছুদিন পর আসামি কালু ও শাহজাহান গ্রেপ্তার হয়। আমরা চট্টগ্রাম আসার পরে অবস্থা দেখে মনে হয়েছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাবুল আক্তার মিতুকে খুন করেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও নিজেই মিতু হত্যার মামলা করেছে।’ ‘বাবুলের মা বলছেন তার ছেলেকে যেন মাফ করে দিই’ শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘১৫ দিন আগে বাবুল আক্তারের মা আমাকে কল দিয়ে বলেছেন, বেয়াইন, মিতুকে আমার ছেলেই খুন করেছে। তাকে আপনি মাফ করে দিন। আমি তাকে বলি, বাবুল মরলে কি এ কথা বলতেন?’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে এসপি বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।  তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল। এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটিতেও অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। গত বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২০

শাহজাদপুরে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর শাহজাদপুরে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত হাসান মাহমুদ (৫৫) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগ।  গ্রেপ্তারের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, এটিএম বুথ ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, ছেনি ও সাবলসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আসামির নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের আগের দিন (১০ এপ্রিল) ভোরে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারের নিচতলায় মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মী হাসান মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৯

খুনাখুনিতে অশান্ত ময়মনসিংহ, দুই দিনে ৪ খুন
দুই দিনে ময়মনসিংহ জেলায় পৃথক পৃথক ঘটনায় চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুইজন কিশোর, একজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছে। এমন খুনাখুনিতে অশান্ত শিক্ষা, সংস্কৃতির এই জনপদ। এ নিয়ে জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল ময়মনসিংহ মহানগরসহ জেলার গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল উপজেলায় এসব খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে নগরীতে তুচ্ছ ঘটনায় খুন হয় এক কিশোর। গত ১৬ এপ্রিল রাতে ময়মনসিংহ নগরীর মীরবাড়ী রেললাইনে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে খুন হয় মো. সামিউল সামি (১৫) নামে এক কিশোর। এ ঘটনায় নগরীর ইটাখলা এলাকার বাসিন্দা ও নিহতের বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ১৭ এপ্রিল পৃথক পৃথক অভিযানে তিনজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনো এই মামলার এক আসামি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।     ঈশ্বরগঞ্জে গাছের ডাল কাটা নিয়ে মারামারিতে বৃদ্ধ খুন : গত ১৬ এপ্রিল সকালে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমুড়িয়ারচর গ্রামে গাছের ডাল কাটা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে মারাত্মক জখম হন মো. আব্দুল গণী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ। এ ঘটনার একদিন পর গত ১৭ এপ্রিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই বৃদ্ধ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন। এনিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান। গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কিশোর খুন :    গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় খুন হয় মো. মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক কিশোর। সে স্থানীয় পাইবাকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।  গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির পাশে চেয়ারে বসে ছিল কিশোর মোফাজ্জল হোসেন। এ সময় একই এলাকার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন (১৪) মোফাজ্জলকে চেয়ার থেকে উঠতে বলে। কিন্তু মোফাজ্জল চেয়ার থেকে না উঠায় তাকে কিল-ঘুষি দিয়ে অণ্ডকোষে লাথি মারে মোবারক। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এই কিশোর। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। খুব দ্রুত আসামি গ্রেপ্তার করা হবে, সে লক্ষে পুলিশের অভিযান চলমান আছে বলেও জানান ওসি। নান্দাইলে নারীকে কুপিয়ে ধানখেতে ফেলে রাখে দুর্বত্তরা: গত ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নান্দাইল পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারিআনি পাড়া এলাকায় নাজমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে খুন করে ধান খেতে ফেলে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ওই নারী স্থানীয় আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।   নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজন মিয়া জানান, চার সন্তানের জননী নাজমা আক্তার গতরাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে খাওয়া দাওয়া শেষে রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে দোকানে পান কিনতে বের হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হয়ে পাশের ধানখেতে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তার লাশ পায়।   এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল সকালে নিহতের ভাই মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় এই হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন ও খুনিদের গ্রেপ্তারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ। 
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

গৌরীপুরে কিল-ঘুষিতে কিশোর খুন
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কিল-ঘুষিতে মো. মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে স্থানীয় পাইবাকুড়ি উচ্চবিদ‍্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত কিশোর মোফাজ্জল হোসেন মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আল মুক্তাদির বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। শুনেছি চেয়ারে বসা নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।    গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির পাশে বসে খেলাধুলা করছিল একদল শিশু ও কিশোর। এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে স্থানীয় উচ্চবিদ‍্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেনের (১৪) সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও তর্কবির্তক হয় নিহত মোফাজ্জেল হোসেনের। এ ঘটনায় মোবারক হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জল হোসেনকে কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড় ও লাথি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোফাজ্জল।   ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৭

ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক খুন
ময়মনসিংহ নগরীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে মো. সামিউল সামি নামে এক শ্রমিক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ‍্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে নগরীর কলেজ রোড মীরবাড়ী রেললাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর সামি কমিউনিটি সেন্টারের অনিয়মত খাবার পরিবেশক শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পারিবারিক পরিচয় জানা যায়নি।  ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।  তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘লাশ ঘরে’ নেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে এই খুনের মূল কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও ঘটনার নেপথ্যে মাদক সম্পৃক্ততা বা অন‍্য কোন বিষয় আছে কিনা- তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।     এ দিকে খুনের ঘটনায় কলেজ রোড মীরবাড়ী রেললাইন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৬

বরিশাল মেডিকেলে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার এক আসামির হাতে আরেক আসামি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে দু’আসামিকে বেধড়ক পেটান ওই আসামি। পরে আহতদের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১টায় এক আসামির মৃত্যু হয়। নিহত আসামির নাম মো. মোতাহার (৬০)। নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে।  তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। জানা যায়, আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে। হামলাকারী তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নগরের কোতয়ালি মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক। তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী আসামি তরিকুল অপর ২ আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারবো না। এ দিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এ ব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।  দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

ঈশ্বরগঞ্জে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে তরুণ খুন
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠে ছুরিকাঘাতে শাহজাহান মিয়া নামে (১৯) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাহিম (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজিবপুর ইউনিয়নের উজান চর নওপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহজাহান মিয়া ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। শাহজাহান গাজিপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। আটক ফাহিম একই এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে। গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির বলেন, দুপক্ষের মাঝে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদের জন্য পোস্টার লাগায় নুরুল ইসলামের লোকজন। এই নিয়ে বুধবার বিকেলে উচাখিলা বাজারে দুপক্ষের মধ‍্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে মিটিয়ে দেয়।  এ দিকে নিহত শাহজাহান মিয়া গাজীপুর থেকে ঈদের ছুটিতে নিজ বাড়িতে আসেন। ঘটনার দিন সকালে ঈদের নামাজ পড়তে উজান চর নওপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে যায়। নামাজ শেষে খুতবা পড়ার সময় শাহজাহান মিয়া দোয়া না পড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে পড়ে। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মানিক মিয়ার ছেলে ফাহিম ও তার লোকজন শাহজাহান মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শাহজাহান মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। অপর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন মিয়া বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন 
গোপালগঞ্জে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে মাহিন মীনা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাইয়েরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘ্যানাশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মাহিন মীনা ওই গ্রামের মৃত আবুল বাশার ওরফে বাসু মীনার ছেলে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহিন ঢাকায় একটি টাইলসের দোকানে কাজ করতেন। ঈদ করতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ দিন সকালে তার আপন চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম মীনা ও নূরুল ইসলাম সৌখিনসহ বেশ কয়েকজন তাদের যৌথ পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরে নিচ্ছিল। মাহিন তাদেরকে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে চাচাতো ভাইয়েরা দা দিয়ে কুপিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে মাহিনের চাচাতো ভাইয়েরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। মাহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

রাজধানীর শাহজাদপুরে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী খুন
রাজধানীতে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত হাসান মাহমুদ (৫৫) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে দিকে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারের নিচ তলায় অবস্থিত বুথে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ধারণা, এটিএম বুথের টাকা চুরি করতে এসে, বুথ ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় দুর্বৃত্তরা। তাদের কাজে বাধা দিলে হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারে অবস্থিত মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড হাসান মাহমুদকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণের কাজ চলছে।  তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৮

ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, চালক খুন
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় পরিবহনের ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে রাসেল মিয়া (৩৩) নামের এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লিমন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।  অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়া বাড়ি উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের বুজরুখ মোজাহিদপুর। তিনি ওই গ্রামের নান্দু শেখের ছেলে। আসামি লিমন মিয়া একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর বাসিন্দা। ওসি মামলার বরাত দিয়ে মুঠোফোনে জানান, সোমবার রাতে উপজেলার খোর্দ্দকমরপুর গ্রামের লিমন মিয়া একই গ্রামের রাসেল মিয়ার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে। লিমন মিয়া নিজবাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অটোরিকশাটি নিয়ে যাতায়াত করেন। বাড়িতে ফিরে লিমন মিয়া অটোরিকশা ভাড়াবাবদ রাসেলকে ২০০ টাকা দেন। এ সময় চালক রাসেল মিয়া ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা চাইলে লিমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে লিমন মিয়ার কিল-ঘুষিতে রাসেল মিয়া অসুস্থ হয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিমন মিয়াকে আসামি করে নিহতের বাবা নান্দু শেখ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়