• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া 
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে সুস্থ বোধ করছেন এবং তিনি আপাতত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দুপুরের পর থেকে একটু অসুস্থতা বোধ করছিলেন। ইফতারের পর মেডিকেল বোর্ড বেশ কয়েকবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। সার্বিক দিক বিবেচনায় তারা মনে করছেন, তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। সেজন্য আপাতত তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, এখন দুপুরের চেয়ে, সন্ধ্যার চেয়ে, অনেকটাই তিনি সুস্থ বোধ করছেন, যদি কোনো কারণে প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে আবার হয়তো যে কোনো সময় হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হতে পারে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত বছরের ৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। বেগম জিয়ার চিকিৎসা দিতে গত ২৫ অক্টোবর মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল ঢাকায় আসে। তারা লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার ট্রান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনকে ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১২

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।    বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা চেয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন। তবে, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দেননি তারা। বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ যাচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীর; ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে শারীরিক অবস্থার।  এর আগে গত ১৩ মার্চ জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। পরে সেখানে তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থতা জেঁকে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছুদিন বিরতি দিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৮

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হবে। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না। এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। সে সময় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।  ৭৮ বছর বয়সী বিএনপির এই নেত্রী হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। এরপর দেশে করোনা শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন এবং প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:০১

বাড়ছে সাজা স্থগিতের মেয়াদ, বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ছে। তবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় উপধারা ১ এ যে আবেদন ছিল সেটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সেই আবেদনের পরে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার নেই শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। ঠিক সেই কারণেই মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়ে দিচ্ছি। মানবিক কারণে তাকে বিদেশে পাঠানো যাবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন বলেন, না, যাই করতে হবে আইনের মাধ্যমে করতে হবে। ‌যে আইনে তাকে বের করা হয়েছে, সে আইনে এ (বিদেশে পাঠানো) সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির ভেতর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি প্রধানকে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার কারাদণ্ড স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে মুক্তির মেয়াদ নির্বাহী আদেশে আটবারের মতো বাড়ানো হচ্ছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৮

খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পাশাপাশি আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ প্রসঙ্গে সোমবার (১৮ মার্চ) আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নাগাদ সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এর আগে, এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। শর্ত ছিল, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ১৩ মার্চ রাতেও তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন তিনি বাসায় ফিরে যান। দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথমদিকে কারাবন্দি ছিলেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে যাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।  সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করে তার পরিবার।  এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনও ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন।  তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এবারের মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।  আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই। আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর অনুমতিও চাওয়া হয়। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের বিষয়ে কী করা হবে, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এছাড়া, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। আমার কাছে আজকে সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবার) কী আবেদন করেছেন, সেটি দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতিসত্বর নিষ্পত্তি করব। আগামীকাল (মঙ্গলবার) নাগাদ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আনিসুল হক বলেন, ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, দেখতে হবে। তবে, একটা বিষয় বলতে পারি, সেটি হলো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।  এর আগে, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না— এ দুটি শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। এই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা শেষে গত ১৪ মার্চ গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর আগে, ১৩ মার্চ রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে। এরপর একই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার সাজা আরও ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর আরও ৭ মেয়াদে বাড়ে তার এই মুক্তির মেয়াদ। 
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:২১

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি এবং তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেছে তার পরিবার। বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কাদার গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করেন বলে রোববার (১৭ মার্চ) জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। তবে আবেদনের ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তার জীবন রক্ষায় দেশের বাইরে চিকিৎসা দরকার। এর আগেও খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে কয়েক বার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। সবশেষ গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তবে প্রতিবারই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে তা নাকচ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে তার। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে বেশ কয়েক বার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তার চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২১:০২

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানান  ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। লিভার প্রতিস্থাপনসহ ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার জন্য খালেদাকে আবারও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।   এসব তথ্য নিশ্চিত করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনকে আপাতত বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। হাসপাতালে তার চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও এফ এম সিদ্দিকীসহ মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও ডায়াবেটিকের পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, তার কোনো রোগেরই উন্নতি হয়নি। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসকরা জানান, তাকে আমেরিকার জন হপকিন্স অথবা ওই মানের কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে নিতে পারলে সুস্থ করা সম্ভব। বিএনপি চেয়ারপারসন তরল খাবার ছাড়া কিছু খেতে পারছেন না। শারীরিক নানা জটিলতায় তার ওজন কমেছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ধীরে ধীরে কমছে। দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেওয়া হয়। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। পরে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২০:০৫

খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন 
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় খালেদা জিয়াকে। আজ (১৪ মার্চ) ইফতারের পর হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়