• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কান উৎসবে বিচারক হয়ে যাচ্ছেন ঢাকার ঋতি
একাধারে তিনি সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি। এবারও তিনি আসন্ন কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফিপ্রেসকি জুরি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। জানা যায়, এর আগে তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবার কানের জুরি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৭৭তম কান উৎসব থেকে দ্বিতীয়বার ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে ঋতি বলেন, কান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। জুরি হিসেবে দ্বিতীয়বার আমন্ত্রণ পাওয়া একটি অবিশ্বাস্য সম্মান। জুরি বোর্ডে আমাদের চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়মিত উপস্থিতি বিশ্ব চলচ্চিত্রকে ইউরোকেন্দ্রিক লেন্স থেকে সরে এসে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলেস থেকে চিত্রনাট্যে পড়াশোনা শেষ করে ঋতি বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবের জুরির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতালি, ভারত, ইংল্যান্ড, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে। তিনি দেশের ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ওয়েস্ট মিটস ইস্ট স্ক্রিনপ্লে ল্যাবের সহ-প্রধান। ঋতি ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ভোটার এবং ২০২০ সালে বার্লিনালে ট্যালেন্টসে প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র সমালোচক হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ফিল্ম ইন্ডিপেনডেন্ট এবং লোকার্নো ওপেন ডোরস এর সাথে মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে চার্লস ওয়ালেস ফেলোশিপের অংশ হিসাবে তিনি ২০২৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পরাবাস্তব চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে পড়ান।   চিত্রনাট্যকারের ভূমিকায় ঋতিকে দেখা গিয়েছে নুরুল আলম আতিকের ওয়েব সিরিজ ‘আষাঢ়ে গল্প’তে। তার দুটো শর্ট ফিল্ম অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছে। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ১৪-২৫ মে, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের কান সৈকতে। এর আগে বাংলাদেশ থেকে আহমেদ মুজতবা জামাল ২০০২, ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে কান উৎসবে ফিপ্রেসকি জুরি ছিলেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৮

বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খালিদ
আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ‘চাইম’ ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর শহরের এস এম মডেল গভর্নমেন্ট হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ গেটপাড়া কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। জানাজার আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহসিন উদ্দিন এবং খালিদ হোসেনের বড় ভাই মেজবা উদ্দিন হাসান গুণী শিল্পীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এর আগে ভোর ৪টায় শিল্পীর মরদেহ গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায়। তার আগে সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ।  তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন বলে জানা গেছে। আশির দশকের প্রথম দিকে জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইমের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন খালিদ। ব্যান্ডটির হয়ে বেশ কিছু অ্যালবামে গেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নব্বই দশকে সলো ক্যারিয়ারেও সফলতা পান। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’, ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, ‘কীর্তনখোলা নদী’, ‘ঘুমাও’– এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ। প্রিন্স মাহমুদ, জুয়েল-বাবুর সুরে তার গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে আগেই। তবে ২০১০ পরবর্তী সময়গুলোতে গানে অনিয়মিত ছিলেন খালিদ। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান নিউইয়র্কে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৫

সহকর্মীদের চোখের জলে ভাসিয়ে বিদায় নিলেন খালিদ
বাংলা সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’র মতো অনেক গান দর্শকদের উপহার দিয়েন তিনি। তবে হুট করেই যেনো সংগীত জগতে নেমে এলো অন্ধকার। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেখে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় এই  সংগীতশিল্পী।   জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতসহ শোবিজ অঙ্গনে। হুট করেই তার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সহকর্মীরা। নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খালিদের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি ও তার গানের লাইন শেয়ার করে জানাচ্ছেন বিদায়। চাইছেন আত্মার শান্তি। নগর বাউল জেমস খালিদের কালজয়ী গান ‘কোনো কারণে ফেরানো গেলো না তাকে’ এই গানের দুই লাইন শেয়ার করে লেখেন, সে যে হৃদয় পথের রোদে, একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই। সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী খালিদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। কান্না ভেজা কণ্ঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি আর খালিদ একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। ওর এমন অকাল মৃত্যু আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। তার আত্মার শান্তিকামনা করছি। সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর খালিদের মৃত্যুর সংবাদ কিছুতেই মানতে পারছেন না। এরপর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একযুগ আগের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, কোনো বাঁধনে বাঁধা তো গেল না তাকে, সে যে হৃদয় পথের রোদে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই। গানের দুটি লাইন শেয়ার করে তিনি আরও লেখেন, নিজের গাওয়া প্রিন্স মাহমুদের অমর গানের সঙ্গে হারিয়ে গেলেন চাইম ব্যান্ডের প্রিয় ভোকালিস্ট খালিদ ভাই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রেখে গেলেন একরাশ মায়া। খালিদ ভাইয়ের মায়াবী কণ্ঠ একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কৈশোর ও যৌবনের প্রিয় গায়ক খালেদ ভাইয়ের এই মৃত্যুতে আমি হারিয়ে ফেললাম খুব প্রিয় একটা কণ্ঠ! জাতি হারালো নিভৃতচারী এক কিংবদন্তিকে! আমি আমরা শোকাহত। খালিদ ভাইয়ের আত্মার শান্তিকামনা করি। মহান আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক বইবার শক্তি দিন। আমিন। ছবিটি আমার বিয়ের একযুগপূর্তিতে তোলা ১০/০৭/২০০৪, সেদিন মিতালী মুখার্জি দিদিও ছিলেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ খালিদের দুটি লাইন, কোনো বাঁধনেই বাঁধা তো গেল না কিছুতেই, লিখে তার আত্মার শান্তিকামনা করেন। এ ছাড়া শূন্য ব্যান্ড, আর্টসেল, ওয়ারফেজ, শিরোনামহীন, অর্থহীনসহ দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো তার আত্মার শান্তিকামনা করে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ। তার জন্ম গোপালগঞ্জে। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়েছে। তার স্ত্রী ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা সংগীতশিল্পী খালিদের। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন তিনি। ছিলেন চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট হিসেবে। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। প্রায় প্রতিটি গানই এখন ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যমে ফ্রিতেই শুনতে পারেন শ্রোতারা। তবে একসময় চাইমের খালিদের গলার সেই সুর শুনতে সিডি প্লেয়ার, ক্যাসেট ইত্যাদি কেনার ধুম লেগে যেত বাঙালি শ্রোতাদের।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪০

সংগীতশিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে, দুপুরে জানাজা
আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে তার মরদেহ এসে পৌঁছায়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী খালিদ। গতকাল রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ নিয়ে রাতেই গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদে খালিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।  পরে শহরের গেটপাড়ার কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবার নিশ্চিত করেছে। ‘হিমালয়, সরলতার প্রতিমা, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’ শিরোনামের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এ শিল্পীর মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ১৯৬৫ সালের ১ আগস্টে গোপালগঞ্জে জন্মেছিলেন সংগীতশিল্পী খালিদ। ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি পান খালিদ। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫১

‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ আর নেই
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী খালিদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।   সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খালিদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ব্যান্ডশিল্পী ঈশা খান দূরে।  জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতসহ শোবিজ অঙ্গনে।  ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’—এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদ। যার গান একসময় পাড়া মহল্লার বিভিন্ন শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে। যাকে আশির দশকে মানুষ চিনত ‘চাইম’ ব্যান্ডের খালিদ নামে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৮

নিজের নকশা করা ভবনেই যেতে নিষেধ করলেন স্থপতি
গাউসিয়া টুইন পিক। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনা। ফেয়ার ফেস কংক্রিট ও গ্লাসে আবৃত বহুতল ভবনটির ডিজাইনার প্রখ্যাত স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশের প্রতিষ্ঠান ভিসতারা আর্কিটেক্টস। বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর নিজের নকশা করা এই ভবন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থপতি নিজেই। নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কেউ যেন সেখানে না যান ফেসবুকে এক পোস্টে সেই বার্তা দিয়েছেন তিনি।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের কোজি গ্রিন কটেজ বহুতল ভবনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় যখন মানুষের মাঝে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে সেই সময় দেশের অগ্নিনিরাপত্তার ঝুঁকি ও এ নিয়ে উদাসীনতার চিত্র তুলে ধরলেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ। শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘PLEASE DON’T USE THIS BUILDING FOR YOUR OWN SAFETY’   স্থপতি মুস্তাফা খালিদ লিখেছেন, প্রতিনিয়ত এই ভবনটি নিয়ে সত্যি উৎকণ্ঠায় থাকি। নকশা ও অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে সমূহ অগ্নিঝুকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থপতি হিসেবে শেষ যে ক্ষমতাটুকু রাজউক দিয়েছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য- সেই রিপোর্ট স্বাক্ষর করার তোয়াক্কাও এখানে করা হয়নি। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে দেদার ব্যবসা। যেহেতু ভবনটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ব্যত্যয় করে ব্যবহার শুরু হয়েছে তাই স্থপতি হিসেবে রিপোর্ট ও এজবিল্ট ড্রইং প্রদান থেকে বিরত থেকে জমির মালিক ও ডেভেলপারকে বারবার লিখিত বার্তায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়নি। অর্থের কাছে আমার আহাজারি বারবারই নিস্ফল হচ্ছে। ডেভেলপারকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে তাদের নাকি ফায়ার লাইসেন্স আছে। কি করে সম্ভব সেটা? কপি চাইলে নিরুত্তর। জমির মালিককে বললে উত্তর- ভাড়া হয় না তাই আর কি করা! তাদের এও জানানো হয় যে, সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবনের স্থপতি হিসেবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করা হবে। তিনি আরও লিখেছেন, উদ্ভট সব যুক্তির বেড়াজালে একজন স্থপতি হিসেবে নিজেকে অসহায় না ভেবে গত মাসে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন মাস্টারকে এক বার্তায় এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান। আমার ঘনিষ্ট ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন ডিজিকেও তার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করলে তিনি সাধ্যমতো তা করবেন বলে জানান। আজ আবার স্টেশন মাস্টারকে বিস্তারিত তথ্য লিখলাম। দেখা যাক কি হয়। যতদূর জানি- এ ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার অবস্থা ক্রমান্বয়ে ভয়াবহভাবে অবনমিত করা হয়েছে। ফায়ার ডোর খুলে ফেলা হয়েছে, ফায়ার স্টেয়ার স্টোররুম হয়েছে, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। একজন সচেতন স্থপতি তো বটেই একজন শহরবাসী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই দ্বায়ীত্ব দৃশ্যমান অশনিসংকেতের মোকাবেলা করা।   প্রসঙ্গত, স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ ডেলভিস্তা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ভিসতারা আর্কিটেক্টসের প্রধান। তিনি স্থাপত্যবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ডট’-এর সম্পাদক এবং এর পাশাপাশ চিত্রশিল্পী হিসেবেও সমাদৃত। ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, জিপি হাউজ, র‌্যাংগস ব্যাবিলনিয়া, ওয়েস্টিন হোটেল, চট্টগ্রামের রেডিসন বে ব্লু হোটেলসহসহ দেশের বহু উল্লেখযোগ্য নান্দনিক স্থাপনার স্থপতি তিনি। একসময় তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। পরে নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থাপত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। পলাশের সহোদর শিমুল মুস্তাফা দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৩:১১

‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় চলে গেছে’
বাংলাদেশ ও ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলের (পিআইডব্লিউটিটি) আওতায় আজ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে ‘সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল’ এবং ‘সুলতানগঞ্জ-মায়া’ নৌপথে নৌযান যাত্রার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি এ নৌযান যাত্রার উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ প্রটোকলের আওতায় চালু হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের মায়া নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল। প্রথমদিন দিন সাড়ে ১১টন গার্মেন্টস ঝুট এ পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাঠানো হয়। এ উপলক্ষে সুলতানগঞ্জ হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যদি না হতো তাহলে আমরা সুলতানগঞ্জে আসতে পারতাম না, বাংলাদেশের মানুষ আতঙ্কে থাকত, উন্নয়নের চাকা ৭৫-এর মত উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিত।  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অর্থবহ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।  তিনি বলেন, এই নির্বাচনে অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার ডাইনামিক নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এ নীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় চলে গেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। সৌদিআরবসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়‌। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য একটি মহল তৎপর ছিল। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবং বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো. সেলিম ফকির। সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলাধীন সুলতানগঞ্জ মৌজাভূক্ত পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। ‘সুলতানগঞ্জ-মায়া’ ২০ কিলোমিটার দূরত্বের সুলতানগঞ্জ-মায়া প্রটোকল রুটে সারাবছরই স্বল্প নাব্যতার নৌযান দ্বারা উভয় দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনা করা সম্ভব হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ মেগা প্রকল্পসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলোর নির্মাণ কাজে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় পাথরের চাহিদা রয়েছে।  নির্মাণাধীন এসব প্রকল্পগুলোর জন্য আরিচা-রাজশাহী-গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-মায়া-ধুলিয়ান রুটের একাংশ অর্থাৎ মাত্র ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথটি চালু হলে দু’দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে বাণিজ্য প্রসারের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দু’দেশের বাণিজ্য প্রসারের বিষয়টি বিবেচনায় এনে গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌ-প্রটোকল রুটটি স্বল্প নাব্যতা সম্পন্ন নৌযানের পরীক্ষামূলক যাত্রা আজ শুরু করা হলো।  সুলতানগঞ্জ হতে সড়ক পথে রাজশাহীর দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। সুলতানগঞ্জ হতে সমগ্র উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর এবং পশ্চিম-দক্ষিণ বঙ্গের ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, যশোর এর সঙ্গে সড়ক পথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে। ভারতের মায়া পোর্ট অব কল এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানিকৃত সকল ধরণের পণ্য-মালামাল অনায়াসেই উল্লিখিত জেলাগুলোতে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং অনুরূপভাবে উল্লিখিত জেলা হতে বড় বড় কনসাইনমেন্টের বাল্ক কার্গো-মালামাল সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এর মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।  সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল চালু হওয়ার পরে সুলতানগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে মালামাল পরিবহণ, সংরক্ষণ এবং স্থানান্তরের জন্য জেটি-গ্যাংওয়ে, গোডাউন, ডাম্পিং এরিয়া, পার্কিং এরিয়া এবং আধুনিক মালামাল হ্যান্ডলিংয়ের ক্রেন, কনভেয়ার বেল্ট ইত্যাদি অবকাঠামো গড়ে উঠেবে। গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী রাজশাহী এলাকায় ব্যাপক নৌ-বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। আজ প্রথম দিন বাংলাদেশ থেকে ‘সাইফ-সিয়াম-সাফিন-১’ নামক একটি কার্গো সাড়ে ১১ মেট্রিক টন গার্মেন্টস ওয়েস্ট নিয়ে সুলতানগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে মায়াতে পৌঁছায়। মায়া থেকে ১০০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে পাথর ‘দেশবাংলা’ নামক একটি কার্গো মায়া থেকে সুলতানগঞ্জ এসে পৌঁছায়। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা ও কূটনৈতিক সফলতার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকল (পিআইডব্লিউটিটি) ১৯৭২ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান রয়েছে। গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জকে  পোর্ট অব কল নৌপথ শুল্ক স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৬

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শপথ নিলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
পুনরায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ১৯৭০ সালে ৩১ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার, ধনতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুর রৌফ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনৈতিক এবং সমাজ সেবক হিসেবে খ্যাতিমান। তাঁর পিতা ১৯৫২ সালে দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে সিরাজগঞ্জে কারাবরণ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বৃহত্তর দিনাজপুর (ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়) ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা আন্দোলন এবং ৬৬তে ৬-দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে বাংলাদেশের সরকার প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহম্মেদ এর দূত হিসেবে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় দেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আখচাষী ফেডারেশনের সভাপতি এবং কৃষকলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যান, ১৯৮১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করার পর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব ছিলেন, এ সময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) এর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৯ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী চলাকালে বিএনপি-জামাত সরকারের পুলিশ বাহিনী দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হন এবং শারীরিকভাবে আর পুরোপুরি সুস্থ্য জীবনে ফিরতে পারেননি। ২০০৭ সালে ২১ অক্টোবর তিনি নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী’র মাতা রমিজা রৌফ চৌধুরী একজন গৃহিণী এবং সমাজসেবী। বর্তমানে আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশন এবং আব্দুর রৌফ চৌধুরী প্রতিবন্ধী আশ্রয় কেন্দ্রের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জাতীয় মহিলা সংস্থাসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাবা-মা’র একমাত্র পুত্র সন্তান। তিনি ১৯৮৪ সালে সেতাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, দিনাজপুর হতে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৮৯ সালে বিকম পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ১৯৯২ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এর অধীনে ক্যাপস্টোন কোর্স সম্পন্ন করেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। প্রথমেই স্কুল ছাত্রলীগ এবং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে ছাত্ররাজনীতি শেষ করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছাকাছি থাকার সুযোগ হয়, পাশাপাশি ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব লাভ করেন। ২০০৭ সালে ১১ জানুয়ারি (১/১১) সেনা সমর্থিত সরকারের সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার পর তার মুক্তি, দলকে সংগঠিত রাখার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ উপজেলা) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালে জাতীয় কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মত সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার একই আসন হতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ১১শ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বার দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ উপজেলা) আসন হতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এই সকল দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি ষ্ট্রেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে লিডারশীপ প্রোগ্রামে ২০১০ সালে আমেরিকা ভ্রমণে যান। সেখানে অবস্থান কালে কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাসহ আমেরিকার জাতীয় নির্বাচন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবহিত হন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দুইবার চীন সফর করেন, কমিউনিস্ট পার্টির কার্যক্রম ও দেশ পরিচালনার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন। এছাড়াও চীনের গুয়াজিং প্রদেশের নেনিং শহরে আইক্যাপ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। উক্ত সম্মেলনে ২৫টি দেশের প্রায় ৫২টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এছাড়াও তিনি ভারত, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, হল্যান্ড, বেলজিয়াম ও কাতারসহ বিভিন্ন দেশে সরকার, দল এবং সংসদীয় প্রতিনিধি হিসেবে ভ্রমণ করেন। ৯ম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সরকারী প্রতিশ্রুতি কমিটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং ১০ম জাতীয় সংসদে রেলপথ ও সংসদ কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বর্তমানে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবার দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ উপজেলা) আসন হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন এবং পুনরায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন। তিনি ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর হতে বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের জনক। একমাত্র মেয়ে তুষারাদ্রী মাহমুদ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত। স্ত্রী মোসাম্মৎ রশীদুন আরা হাসনিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনের প্রথমেই একটি বে-সরকারী সংস্থায় চাকরি জীবন শুরু করেন, পরবর্তীতে একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং যুক্তরাজ্যের এ্যঞ্জেলিনা রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে একটি বে-সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড-এর সদস্যের দায়িত্বে আছেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পেশাগত জীবনে কৃষি ও ব্যবসার সাথে জড়িত। খেলাধুলা ও বই পড়া তার প্রিয় সখ। মাঝে মাঝে সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে লেখালেখিও করেন।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়