• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
জিম্মি নাবিকদের খাবারের অভাব হবে না, জলদস্যুদের আশ্বাস
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। যখন জাহাজটি এ দুর্ঘটনায় পড়ে তখন সেটিতে ২৫ দিনের খাবার ও পানি মজুত ছিল। গত ১০ দিন সেই খাবার ও পানিতে ভাগ বসায় জলদস্যুরা। ফলে দ্রুত সেগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল নাবিকরা। এ খবরে তাদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। জাহাজ জিম্মির ৮ দিন পেরোনোর পর বুধবার (২০ মার্চ) জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দূর হয় সেই উৎকণ্ঠা। কারণ, জিম্মি নাবিকদের খাবার ও পানির অভাব হবে না বলে জানিয়েছে দস্যুরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাবিকদের সঙ্গে আমাদের আজও যোগাযোগ হয়েছে। জিম্মি থাকলেও তারা সবাই সুস্থ আছেন। এখন জাহাজে যে খাবার ও পানি আছে, তা বেশি দিন যাবে না। কিছুদিনের মধ্যে এটা ফুরিয়ে যাবে। তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে জলদস্যুরা উপকূল থেকে এনে প্রয়োজন মেটাবে বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মিজানুল ইসলাম বলেন, সোমালিয়া উপকূলে জিম্মি থাকা অনেক জাহাজকে এক বছরও অপেক্ষা করতে হয়। এটা নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপর। তখনও কেউ খাবার ও পানির কষ্ট করে না। জলদস্যুরা নিজ দায়িত্বে এটার ব্যবস্থা করে। তারপরও আমরা বিকল্প পথে এগোচ্ছি। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে খাবার ও পানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। এদিকে জিম্মি জাহাজে খাবার ও পানি পাঠাতে কেনিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের সাহায্য চেয়েছে মালিকপক্ষ। সেই সঙ্গে কয়েকটি বীমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তারা। তবে জলদস্যুরা সরাসরি যোগাযোগ করায় বিষয়টি সহজ হয়েছে। এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এ যাবত ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফলও হয়েছে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
২২ মার্চ ২০২৪, ০২:২৫

রোজায় খাবারের তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সাহরি খেয়ে দিনভর খাদ্য ও পানীয় বর্জন করে সংযম পালন করবেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। এ সময়টা যেহেতু অনেক লম্বা, সে ক্ষেত্রে কী খেলে দিনটা ভালো কাটবে, তা জানা জরুরি। এবারের রোজা হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের সময়ে। তাই শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পানি, মৌসুমি ফল ও সবজির জুস বা স্মুদি এ ধরনের তরল, ঠাণ্ডা খাবার ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জুস বা খাবার না খেয়ে প্রাকৃতিক খাবার থেকে এনার্জি নেওয়াই ভালো। এই মাসে চা, কফি পানের মাত্রা কমাতে হবে। তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তাই এসব যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। এ সময় অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। তৈলাক্ত খাবার খেলে লিপিড প্রোফাইল খারাপ হয়ে যেতে পারে, মানে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। যারা রোজায় চর্বিজাতীয় খাবার মেনে চলবেন, তারা এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এমনকি যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে, এ নিয়ম মেনে চললে তারা ভালো হয়ে যেতে পারেন।  খাবার পরিমিত খেলে রোজায় সুস্থ থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তারা অবশ্যই খাবার গ্রহণে সচেতন থাকবেন। কারণ যাদের কিডনি রোগ বা গেটে বাত (ইউরিক অ্যাসিড) আছে, তাদের ডালজাতীয় খাবার পরিমাণে খুব কম খাওয়া বা একেবারেই না খাওয়া উচিত। রোজার সময় অনেকের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। এটি সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণের জন্য হয়। তাই তারা চাইলে রোজ ইফতারে দই-চিড়া খেতে পারেন। কারণ দই রয়েছে প্রোবাওটিক, যা পেটের গাট ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করে। এই সময়ে খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খাবেন, যা আপনার হজমে সহায়ক হবে। ইফতার ও সাহরিতে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করুন। গ্লাস গুনে পানি খেতে অসুবিধা হলে সমপরিমাণ পানি বোতলে ভরে রাখুন এবং ইফতার থেকে সাহরির সময়ের মধ্যে তার পুরোটা পান করুন।  যা খাবেন সাহরিতে-  রমজানে সুস্থ থাকতে ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহরিতে পরিমিত খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহরিতে সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। সাহরি খেতে হবে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে। চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে বদহজম না হয়।   অতিরিক্ত তেল, ঝাল, চর্বিজাতীয় খাবার মোটেও খাওয়া  যাবে না। অনেকের ধারণা মনে করেন, যেহেতু সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে, তাই সাহরির সময় প্রচুর খেতে হবে। এই ধারণা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ, চার–পাঁচ ঘণ্টা পার হলেই খাদ্যগুলো পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে হজম হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না খাওয়াই ভালো বরং মাত্রাতিরিক্ত খেলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। সাহরিতে ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ অথবা মাংস খেতে পারেন। রাখতে পারেন দইও। অনেকে ভাত খাওয়ার পর হালকা চিড়ার সঙ্গে দই খান, এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এতে পানির তৃষ্ণাও মেটে।  পিপাসা নিবারণ হয়, সেই পরিমাণ পানি নিজের অভ্যাস অনুযায়ী পান করতে হবে। দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং পানিশূন্যতার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়।  অনেকেই সাহেরির সময় একসঙ্গে বেশি পানি খেয়ে ফেলেন, এটা করা যাবে না। ইফতারের পর থেকে রাত পর্যন্ত অল্প অল্প করে পানি বা অন্যান্য তরল খেয়ে দেহকে আর্দ্র রাখতে হবে।ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করবেন।  অনেকে পানির পরিবর্তে লেমন অথবা রোজ ওয়াটার, শরবত, ভিটামিন ওয়াটারসহ নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় পান করেন। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদদের অভিমত, রোজাদারদের শুধু বিশুদ্ধ পানি পান করাই ভালো। রোজাদারদের প্রচুর সবুজ শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। সাহরিতে সবচেয় ভালো হয় যদি লাল ভাতের সঙ্গে মিক্সড সবজি যেমন লাউশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদি ১ কাপ, মাছ বা মুরগি ১ টুকরা, ডাল আধা কাপ, সঙ্গে দই বা লো ফ্যাট দুধ ১ কাপ খাওয়া যায়। সঙ্গে ১-২টি খেজুর খেলে সারাদিনের ক্যালরি পূরণ হবে। 
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩০

খাবারের স্বাদ বদলে তৈরি করুন মাংসের আচার
মধ্যবিত্ত বাড়ির রান্নাঘরে উঁকি দিলেই হরেক রকম আচারের বয়াম দেখতে পাবেন। লেবুর আচার, আমের আচার কিংবা মরিচের আচার এই সব কিছুই দেখা যায়। কিন্তু এত আচারের মধ্যে কখনও কি চিকেনের আচার আপনি দেখেছেন? এই অন্যরকম চিকেনের আচারে কী কী থাকে তা জানেন? কীভাবেই বা বানানো হয় এই আচার? চলুন সেটাই দেখে নেওয়া যাক। এই আচার তৈরির জন্য আপনার কী কী প্রয়োজন জেনে নিন- মুরগির মাংস–৫০০ গ্রাম (কুচি করে কাটা), পেঁয়াজ– ৩টি (মিহি করে কাটা), রসুন– ১০০ গ্রাম (কিমা করা), আদা– ১০০ গ্রাম (গ্রেট করা), মরিচ গুঁড়ো– ১ কাপ, সরিষার তেল– ২৫০ মিলি.লি, লবণ– স্বাদমত, ধনিয়া গুড়ো– ১/২ চামচ, ভিনিগার– ২ চা–চামচ। এবার দেখে নিন কীভাবে তৈরি করবেন চিকেনের আচার- কড়াইতে প্রথমে সরিষার তেল ভালো করে গরম করে নিতে হবে। যতক্ষণ না মুচমুচে হচ্ছে ততক্ষণ চিকেনগুলো ভালো করে ভাজতে হবে। ভাজা চিকেনগুলো একটি পাত্রে তুলে রাখুন। এবার কড়াইয়ের তেলে পেঁয়াজ, আদা বাটা এবং ধনিয়া গুড়ো দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। তার পাঁচ মিনিট পর লবণ আর রসুন দিয়ে দিন। মশলা ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে ভাজা চিকেনগুলো তাতে দিয়ে দিতে হবে এবং ভালো করে মশলার সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। ওপর থেকে মরিচ গুড়ো ছড়িয়ে দিন। তার কিছুক্ষণ পর চুলা নিভিয়ে দিন। একদম শেষে মনে করে আচারের ওপর থেকে একটু ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে চিকেনের আচার। এবার আপনি যদি এই চিকেনের আচার অনেকদিন রেখে খেতে চান, ঘরের সাধরণ তাপমাত্রাতেই রাখতে পারেন। আচারটি বানানোর পর প্রথমে ঠান্ডা করে তারপর একটি পরিষ্কার বয়ামে রেখে দিতে হবে। তাহলে প্রায় একমাসও এই চিকেনের আচার খেতে পারবেন। আর যদি রেফ্রিজারেটরে রাখেন তাহলে দুই থেকে তিন মাস ভালো থাকবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১১

সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের খাবারের প্রকল্প ‌‘ভাগ করে খাই’
চাও-মেন রেস্টুরেন্ট, সিলেট স্ট্রাইকারর্স এবং জেসিআই ঢাকা প্রিমিয়ারের উদ্যোগে রাজধানীর বনানীতে উদ্বোধন হলো সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের খাবার খাওয়ানো প্রকল্প ‘ভাগ করে খাই’। এ প্রকল্পের আওতায় চাও-মেন রেস্টুরেন্টে বসে যতজন গ্রাহক খাবার খাবে, ঠিক একই সংখ্যক সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে পরদিন রেস্টুরেন্টটির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় গত বৃহস্পতিবার (৮  ফেব্রুয়ারি)।  জাতীয় ক্রিকেট দল এবং সিলেট স্ট্রাইকারর্সের খেলোয়াড় নাজমুল হোসেন শান্ত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ‘ভাগ করে খাই’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনসিলেট স্ট্রাইকারর্সের মালিকপক্ষ, ব্যবস্থাপনা কমিটি ও খেলোয়াড়রা।  আরও উপস্থিত ছিলেন চাও-মেন রেস্টুরেন্টের মালিক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন ও আসহাবুস সাফা, জেসিআই ঢাকা প্রিমিয়ারের পক্ষ থেকে লোকাল প্রেসিডেন্ট আসহাবুস সাফা, লোকাল এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী নাইম মনজুর, লোকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইদ জিয়াউল আহসান, কমিটি চেয়ার আইমান বিন নাসিম, সেক্রেটারি জেনারেল গাজী শাহরিয়ার মৃদুল এবং অনেকে। ‘ভাগ করে খাই’ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বছর অসংখ্য অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের খাবার খাওয়ানো সম্ভব হবে যা সমাজে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন করবে বলে বিশ্বাস করেন এর উদ্যোক্তারা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ঘরের মালামাল লুট
মাদারীপুরে খাবারের সঙ্গে চেনতানাশক খাইয়ে ঘরের মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভোরে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের উত্তর বাখরেরকান্দি গ্রামের মিজানুর রহমান মৃধার বাড়িতে এভাবে লুট করা হয়। মিজানুর রহমান মৃধা ওই গ্রামের ইব্রাহীম মৃধার ছেলে। স্বজনরা জানায়, রাতের খাবার খেয়ে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ে মিজানুরের পরিবারের সবাই। সকালে ঘরের দরজা না খুললে প্রতিবেশিরা ডাকাডাকি করে। এতে সাড়া না দিলে তাদের সন্দেহ হয়। পরে টিনশেট ঘরের বেড়া কাটা দেখতে পান তারা। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর সব এলোমেলো দেখে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ সময় অসুস্থ তিনজনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রাতে কৌশলে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরে টিনশেট ঘরের বেড়া কেটে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মুঠোফোন নিয়ে যায়।  শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার হালদার জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫

খাবারের খোঁজে লোকালয়ে বন্যহাতি, আক্রমণে বৃদ্ধার মৃত্যু
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির দল তাণ্ডব চালিয়ে রেস্ট হাউজ তছনছ করে দিয়েছে। অপরদিকে লংগদু উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত বৃদ্ধার নাম মাহিতারা বেগম (৬৫)।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার সময় উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়নের আমতলীপাড়া এলাকায় পাহাড়ে গরু আনতে গিয়ে হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মাহিতারা বেগম।  ভাসান্যদম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান, মাহিতারা বেগম ভাসান্যদম ইউনিয়নের মো. আইচ্ছা মিয়ার স্ত্রী।  তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো আজকেও বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পাহাড় থেকে নিজেদের গৃহপালিত গরু আনতে যান মাহিতারা। এ সময় হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান মাহিতারা বেগম।  লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভাসান্যাদম ইউনিয়নের আমতলীপাড়া এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে একজন বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ গিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জনানো হবে। অপরদিকে কাপ্তাইয়ে লোকালয়ে বন্যহাতির দল বিএফআইডিসির আওতাধীন লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্সের (এলপিসি) রেস্ট হাউজে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়