• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তরমুজের সঙ্গে বা পরে খাবেন না যেসব খাবার
তরমুজ খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে তরমুজ খাওয়ার পর কিছু জিনিস খাওয়া উচিত নয়। এতে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। তরমুজ খাওয়ার পর বা একসঙ্গে কোন খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন জেনে নিন। জেনে নিন- >> তরমুজ খাওয়ার পর বা এর সঙ্গে কখনোই লবণ খাওয়া উচিত নয়। এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। তরমুজের সঙ্গে লবণ খেলে এর পুষ্টিগুণ শরীরে ঠিকমতো শোষিত হয় না, যা রক্তচাপ বাড়া বা কমিয়ে হার্টের সমস্যা বাড়াতে পারে। >> তরমুজ খাওয়ার পর কখনোই দুধ পান করা উচিত নয়। এটা করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। >> তরমুজে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা দুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে। এতে ফোলা সমস্যা হতে পারে। বদহজমও হতে পারে। তাই তরমুজ ও দুধের মিশ্রণকে ভালো বলে মনে করা হয় না। >> তরমুজ খাওয়ার পর কখনোই উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন না। নাহলে খারাপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে শরীরে। >> চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি তরমুজে স্টার্চও থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। এটি আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। >> তরমুজ ও ডিম কখনোই একসঙ্গে খাবেন না। আসলে, উভয়ের প্রকৃতিই আলাদা, যা ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। >> উভয়েই একে অপরকে পেটে হজম হতে দেয় না। এতে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগে

ঈদের দিন কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবার
কারাগারে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। ঈদুল ফিতরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিন মুড়ি, পায়েস, পোলাও-মাংসসহ বেশ কয়েকটি পদ থাকছে কারাবন্দিদের জন্য। ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কারা সূত্রে জানা যায়, সকালে কারাগারের ময়দানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে কর্মকর্তা স্টাফসহ বন্দিরা একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। যে বন্দিরা ময়দানে আসেননি, তারা ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে নামাজ আদায় করেছেন। ঈদের দিনের শুরুতে বন্দিরা খেয়েছেন মুড়ি ও পায়েস। দুপুরের থাকছে পোলাও, মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য থাকছে খাসির মাংস। পাশাপাশি দেওয়া হবে মিষ্টি, কোমল পানীয় শসা ও লেবু। সবশেষে থাকছে পান-সুপারি। রাতে দেওয়া হবে ভাত, মাছ, আলুর দম ও ডিম।   এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কারাবন্দিদের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাড়ে ৮ হাজার বন্দির হিসাব করে এবার ঈদে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেক বন্দিকে দেয়া হবে ৩০০ গ্রাম গরুর মাংস। সাধারণ দিনের চাইতে ঈদের দিন মাংসের পরিমাণ বেশি থাকবে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৯

‘যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি খাবার নষ্ট করে বাংলাদেশিরা’
বাংলাদেশে গড়ে একজন ব্যক্তি বছরে ৮২ কেজি খাবার অপচয় করছেন। বাংলাদেশিদের খাবার অপচয়ের এই হার ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচি ইউনেপের ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ২০২২ সালে বাসাবাড়ি, খাদ্য সেবা ও খুচরা পর্যায়ে মোট খাদ্যের প্রায় ১৯ শতাংশ অর্থাৎ একশ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে; যার প্রায় ৬০ শতাংশই অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে হয়েছে। এ ছাড়া গড়ে একজন মানুষ বছরে ৭৯ কেজি খাবার অপচয় করেছেন। জাতিসংঘের হিসেবে বাসাবাড়িতে এক ব্যক্তি বছরে গড়ে বাংলাদেশে  ৮২ কেজি, ভারতে ৫৫ কেজি, যুক্তরাজ্যে ৭৬ কেজি, যুক্তরাষ্ট্রে ৭৩ কেজি ও রাশিয়ায় ৩৩ কেজি খাবার অপচয় করেছেন। সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় হয়েছে মালদ্বীপে ২০৭ কেজি। আর সবচেয়ে কম ১৮ কেজি হয়েছে মঙ্গোলিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের চেয়েও বাংলাদেশে কেন বেশি খাদ্য অপচয় হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অপচয়বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশে একেবারে উচ্চ আয়ের পরিবারগুলোতে বেশি খাদ্য নষ্ট বা অপচয় হয়। আমরা ‘এস্টিমেশন অব ওভারঅল ফুড লসেস অ্যান্ড ওয়েস্ট এট অল লেভেলস অব দ্য ফুড চেইন’ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখেছি, উচ্চ আয়ের বাসাগুলোতে সপ্তাহে একজন মানুষ দুই কেজির বেশি খাবার অপচয় করে থাকেন। এ ছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ ক্যাটাগরির রেস্তোরাঁগুলোতেও সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য অপচয় হয়ে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্ডার দেওয়া এবং সব খাবার একটু চেখে দেখার প্রবণতাই রেস্তোরাঁগুলোতে খাবার অপচয়ের বড় কারণ বলে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে। গবেষকরা মনে করেন, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশি নজরদারি বা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় খাদ্য অপচয় প্রতিরোধে উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে ভালো করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, খাবার অপচয় প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া আমাদের তেমন কিছু করার নেই। আমরা ভোক্তা পর্যায়ে কেউ নষ্ট বা মানহীন খাবার দিলে ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু কেউ খাবার নষ্ট বা অপচয় করলে আমাদের কিছু করার নেই।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৮

‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ পুষ্টিকর খাবার কাটছাঁট করছেন’
মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষ প্রতিদিনের খাবার খরচে পুষ্টিকর খাবার কাটছাঁট করছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।  অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে দেশের একটা বড় অংশের মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। অনেকে চিকিৎসা খরচ মেটাতে পারছেন না। প্রতিদিনের খাবারের খরচে একটু একটু করে বাদ যাচ্ছে পুষ্টিকর খাবার। এসব খাবারের জায়গায় আরেকটা খাবার ঢুকছে। প্রকৃত আয় কমায় আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের দুরবস্থার জন্য নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াও চাঁদাবাজি দায়ী। কারণ, চায়ের দোকান বা হকার, ভ্যানগাড়ি নিয়ে যারা চলে তাদেরকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। এর পরিমাণ শতকোটি টাকা। অর্থনীতির এ অধ্যাপক বলেন, আর এসবের সুবিধাভোগী ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতাসীন সংগঠন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো প্রশাসন। আনু মুহাম্মদ বলেন, যখন থেকে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তখন থেকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। আর সবকিছু একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি; যা দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এটা বড় কারণ। তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ ও চাহিদা বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়তেই পারে। কিন্তু সবজি থেকে শুরু করে সব কৃষিপণ্যের সরবরাহে সমস্যা নেই তবুও দাম বাড়ছে। কয়েকটি গোষ্ঠী বা চোরের হাত উৎপাদন বা বিতরণ—কোনো কাজে না থেকেও দ্রুত টাকা বানাচ্ছে।     নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ও দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। এতে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান প্রমুখ সমাবেশে সংহতি জানান।
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৪

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে। জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশনস এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্যের এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি। প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্য প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি।  সূত্র : সিএনএন
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

জিম্মি জাহাজের খাবার শেষ হলেও যে কারণে চিন্তার কিছু নেই
সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজে খাবার কমে আসছে। তবে খাবার কমলেও নাবিকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ তীর থেকে দস্যুরা জাহাজে খাবার সরবরাহ করছে। বুধবার (২৭ মার্চ) জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।   এ বিষয়ে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, জিম্মি নাবিকেরা সুস্থ আছেন। জাহাজে নাবিকদের খাবার কমলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ তীর থেকে দস্যুরা জাহাজে খাবার নিয়ে আসছে।  নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, দস্যুরা নিজেদের স্বার্থেই খাবার নিয়ে আসে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজেও তেহারিজাতীয় খাবার নিয়ে আসার খবর পেয়েছি। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। দস্যুদের সঙ্গে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছানোর আশা করছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘দস্যুদের সঙ্গে দ্রুত সমঝোতা করে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের তৎপরতা চলছে।’   নাবিকদের সংগঠনের একজন নেতা জানান, সমঝোতা কখন হবে তা দস্যুদের ওপর নির্ভর করে। কারণ তারা তাদের দাবিতে অনড় থাকলে সমঝোতায় পৌঁছাতে দেরি হতে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত সমঝোতা হতেও পারে। জলদস্যুরা জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল। এরই মধ্যে জিম্মিদশার ১৬ দিন পার হয়েছে। এ সময় নাবিকদের পাশাপাশি দস্যুরাও জাহাজের খাবার খাওয়া শুরু করে। ফলে দ্রুতই শেষ হচ্ছে খাবার। এর আগে ২০১০ সালে জিম্মি করা এমভি জাহান মণি জাহাজেও খাবার ফুরিয়ে আসার পর দস্যুরা সরবরাহ করেছিল। ওই ঘটনায় প্রায় ১০০ দিনের মাথায় নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হয়। সেই জাহাজে থাকা নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, জিম্মি করার পর একপর্যায়ে জাহাজের ফ্রিজ বন্ধ থাকায় হিমায়িত খাবার নষ্ট হয়ে যায়। জিম্মিদশার শেষ দিকে খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার পর তীর থেকেই খাবার সরবরাহ করত দস্যুরা। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটিকে সবশেষ সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছে। জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধারে নানানভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠানটি।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৯

ঋণ করে খাবার কিনছেন দেশের ৪ কোটি মানুষ
চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের কারণে দেশের চার কোটি মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাচ্ছে ঋণ করে। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্য নিরাপত্তা জরিপে সংকটের এমন চিত্র উঠে এসেছে। ২০২২ সালের জুনের ১৫ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার খানার ওপর এই জরিপ চালায় সংস্থাটি। বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, দেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ মানুষ ঋণ করে তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাচ্ছেন। এতে গ্রামের ২৮ শতাংশ এবং শহরের ২৪ শতাংশ ও সিটি করপোরেশনের ১৫ শতাংশ মানুষ রয়েছেন। সংস্থাটি বলছে, ২২ শতাংশ পরিবার মাঝারি বা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ কৃষক পরিবারের সমস্যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন অবস্থার জন্য অর্থনৈতিক সংকট এবং লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাকেই দায়ী। এই অবস্থায় তাল সামলানোর বেশি চাপে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। বিআইআইসিসির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর বলেন, অর্থনৈতিক চাপ ও মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এ সময়ে কর্মসংস্থান হলেও তা গুণগত নয়। ফলে পর্যাপ্ত আয়-উপার্জন না থাকায় মানুষ ঋণ করছেন। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এই তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি কতটা ভঙ্গুর। প্রয়োজন মেটাতে ঋণ করে চলছেন অনেকে। যারা দরিদ্রসীমার ওপরে আছেন, তাদেরও যে আয় বেশি সেটা কিন্তু নয়। তারাও আরামদায়ক পরিস্থিতিতে নেই।   এটা বাংলাদেশের জন্য রেড অ্যালার্ম জানিয়ে বিআইআইসিসির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর বলেন, যদি দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় থাকেন, তবে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষগুলো জনসম্পদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯

ইফতারে যেসব খাবার পেট ঠান্ডা রাখবে
চলছে রমজান মাস। সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে ইফতারের পর ক্লান্ত লাগতে পারে। আবার গরমের কারণে সব ধরনের খাবার হজমও হয় না ঠিকভাবে। এই সময়ে পেট ঠান্ডা রাখা খুবই জরুরি। মাঝে মাঝে বৃষ্টি এসে স্বস্তি দিলেও গুমোট গরমে নাজেহালও হতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় পেট ঠান্ডা থাকলে আপনি অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবেন। পেট ঠান্ডা থাকলে শরীরও ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকবে। হজম ভালো হলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। খাবার থেকে পুষ্টি মিলবে শরীরে। সেজন্য প্রতিদিন খেতে হবে কিছু খাবার। এই খাবারগুলো আপনার পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে- ইফতারের পুষ্টিকর খাবারের বিষয়ে নিউট্রিশনিস্ট্ররা চিড়া, কলা, টকদই, ঝোলা গুড় বা মধু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। চিড়া, কলা, গুড়, মধু আয়রনের চমৎকার উৎস। শুধু ইফতারেই নয় বরং কখনো সেহরি বা রাতের খাবারেও এটি রাখতে পারেন। যাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তাদের জন্যও খুব ভালো এ খাবারগুলো। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারাও রোজায় এ খাবার খেতে পারে। রোজা ব্যতীত অন্যান্য সময়ে কোনো এক বেলার খাবারের পরিবর্তে এ খাবার খেতে পারেন। তবে অবশ্যই পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আধা কাপ চিড়া, কলা একটি, টক দই পরিমাণমতো, আধা চা চামচ গুড় বা মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্বাদে ভরপুর ও পুষ্টিকর এক খাবার। যাদের খালি পেটে টকদই খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় তারা সামান্য মিষ্টি দই দিয়ে খেতে পারেন। এ পুষ্টিবিদ জানান, এ খাবার যেকোনো কমার্শিয়াল আয়রন ফর্টিফায়েড খাবারের তুলনায় অনেক বেশি আয়রন দিতে পারে শরীরে। এমনকি পেট শান্ত ও ঠান্ডা রাখে এ খাবার।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৮

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী যে খাবার
মানবশরীরের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কথা বলা ও চলাফেরা থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজের নির্দেশ আসে এখান থেকে। তাই মস্তিষ্ক ভালো থাকলে সবকিছু ঠিকঠাকমতো চলে। এ জন্য মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়াতে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খাদ্যের তালিকাও প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।  এ তালিকায় রয়েছে- ডার্ক চকোলেট: প্রতিদিন এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আখরোট: মস্তিষ্কের জন্য আখরোট খুবই উপকারী। এতে বাদামের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি মস্তিষ্ককে যে কোনো রোগ থেকে রক্ষা করে। ওটস খেতে হবে নিয়মিত: ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। এটি পেটের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারে এই ওট্স। তাই বাচ্চা-বুড়ো সবারই প্রতিদিন ওটস খাওয়া উচিত। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ওটস খেতে ভালো না লাগলে ওটসের কুকিজ, কেক, বিস্কুট খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ ভিটামিন ই-এর ভালো উৎস। সঠিক মাত্রার ভিটামিন ই আমাদের মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তাই প্রতিদিনের ডায়েটে শুকনো ফল যেমন- আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিল বীজ রাখতে পারেন। টমেটো: আমাদের দেশে একটি সহজলভ্য সবজি টমেটো। এই সবজি এখন বাংলাদেশে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে টমেটো। স্যামন ও সামুদ্রিক মাছ: মানুষের মস্তিষ্কের ৬০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। তাই এটিকে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজন ফ্যাটি অ্যাসিড। সামুদ্রিক মাছ- যেমন স্যামন, টুনাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে বেশ উপকারী। কারণ এই খাবারগুলোতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানটি আলজইমার রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পালংশাক: পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের সংযোগশক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে।  তৈলাক্ত মাছ: তৈলাক্ত মাছ খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের মাছ মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী। যে সব মাছে তেল বেশি থাকে, তেমন কিছু বড় মাছ নিয়মিত খেলে বুদ্ধি বাড়বে দ্রুত। গ্রিন টি: গ্রিন টি এখন বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। গবেষকরা বলছেন, গ্রিন টি মস্তিষ্কের সংযোগ ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া এটি পারকিনসনের হাত থেকে রক্ষা করে। চিনি ছাড়া দিনে তিন কাপ সবুজ চা মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। ব্লু বেরি: বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা বাড়াতে ব্লু বেরির জুড়ি নেই। এতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস। এ ছাড়া এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে এটি। পারকিনসনস বা আলজইমার থেকেও রক্ষা করে ব্লু বেরি।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৮

বাংলাদেশি নাবিকদের খাবার খেয়ে নিচ্ছে জলদস্যুরা
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়নি এখন পর্যন্ত। তবে, জাহাজে থাকা তাদের সীমিত খাবারে ভাগ বসাচ্ছে দস্যুরা। ফলে দ্রুতই খাবার ফুরিয়ে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া অস্ত্রের মুখে দস্যুদের সব কথা মেনে চলতে হচ্ছে বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে, যে কারণে মানসিক একটা চাপ ও ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে কাটছে তাদের। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় এসব তথ্য জানান অপহরণের শিকার জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নোঙর করা আছে। জিম্মি নাবিকদেরকে জাহাজের ভিতরেই রাখা হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে অবস্থান করছে ৬০-৭০ জন জলদস্যু।   পরিবারের কাছে পাঠানো অডিও বার্তায় আতিকুল্লাহ খান বলেন, ‘নাবিকদের সামনে দিয়ে দস্যুরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশপাশে নেভি জাহাজ দেখলেই ওরা মাথায় অস্ত্র ঠেকাচ্ছে। মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা আমাদের জিম্মি করে রাখছে। আমি যেখানে ঘুমাই সেখানে পাশ ফিরলেই দেখতে পাই আমার দিকে বড় বড় মেশিনগান তাক করে রেখেছে। এই অবস্থায় ঘুম যা হওয়ার তাই হচ্ছে। মানসিকভাবে চাপে থাকলেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি।’ জাহাজে থাকা খাবার দ্রুত ফুরিয়ে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখনও খাবার আছে। কিন্তু, জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে। তাই এই খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন যেতে পারে। এরপর খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেলে খুব কষ্টে পড়ে যাব।’ জলদস্যুরা এখনও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেনি জানিয়ে আতিকুল্লাহ খান অডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) আমরা সোমালিয়া এলাম। ওদের সঙ্গে আমাদের একটু ভালো সম্পর্ক হয়েছে। ওদের বলে কয়ে আমরা একটু কেবিনে এলাম। কিন্তু আবার ব্রিজে চলে যেতে হবে। সবাইকে দোয়া করতে বলো, আমরা যেন নিরাপদে আসতে পারি। আল্লাহ যেন আমাদের সময়টা সহজ করে দেন, রোজার উসিলায়।’ উল্লেখ্য, ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। ভারী অস্ত্রশস্ত্র হাতে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে ২৩ নাবিকসহ পুরো জাহাজটিকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয় জলদস্যুরা।  ওইদিনই সন্ধ্যার পর জিম্মি জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীর কাছে ফোন করে বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।’
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়