• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
দুর্গম চরে রমজানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করল প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন
নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে দুর্গম চরে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৯০ টি পরিবার। কুড়িগ্রাম সদর থেকে অটোরিকশা, তারপর ঘোড়ার গাড়ি, সবশেষে নৌকায় করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ইয়ুথনেটে। মূল শহর থেকে অনেক দূর ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা থাকেন নিদারুণ কষ্টে।   শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে সেই দুর্গম চরে দেখা মিললো একদল স্বেচ্ছাসেবীর, যারা রমজানের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছেন সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের জন্য। খাদ্যসামগ্রীতে ছিল ৮ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ৩ কেজি আলু, আধা কেজি চিনি, ১ লিটার তেল ও ১ কেজি ছোলা। অভাব অনটনে থাকা চরের এই মানুষগুলো তাতেই খুশি। ‘বাহে বুটের যে দাম, আইজ ৮ দিন থাকি চাইল ভাজা দিয়া ইফতারি করি। ছোলা বুটের নাগাল না পাই। চাউল, ডাইল, বুট পায়া খুব ভালো নাগছে।’ খাদ্য সামগ্রী পাবার পর এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন চরের বাসিন্দা ছামিনা বেগম।  পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ইয়ুথনেটের সহায়তায় এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন। আর তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করে আজিমুর রোকিয়া রহমান ট্রাস্ট। প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান  বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতেই আমরা কাজ করি। রমজামের শুরু থেকেই তৃপ্তির রমজান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। কুড়িগ্রামের দুর্গম চরের এই মানুষগুলোর পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ যাত্রাপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, ‘এখন জিনিসপত্রের যে দাম, কুড়িগ্রামের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় ঢাকা থেকে এসে এই রমজান মাসে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করল সংগঠনটি। এতে চরের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো খুবই খুশি। এ রকম মানবিক কাজ সবার করা দরকার।’
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:২০

নওগাঁয় কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী জব্দ, আটক ১ 
নওগাঁর মান্দায় মনছুর আলী নামে এক ব্যক্তি গুদামে অবৈধভাবে খাদ্যসামগ্রী মজুতের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছেন। এ সময় গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা আঞ্জুমান বানু।  অভিযুক্ত ব্যক্তি মাসুদ রানা (৩৮) উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে। মাসুদ রানা আটকের পরই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। মালামালগুলোর মধ্যে সয়াবিন তেল ২০ হাজার ৭২ লিটার, গম ১২৮ টন, আটা/ময়দা ৮ হাজার কেজি, অ্যাংকর ডাল ২৭ হাজার ১৭৫ কেজি, চিনি ৪ হাজার ৫০ কেজি, ছোলা-বুট ৪ হাজার ৭০০ কেজি এবং লবণ ১২০০ কেজি। মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, মালামালগুলো মাসুদ এন্টারপ্রাইজের নামে ক্রয় করা হয়। তবে এই নামে বা অন্য কোনো নামে তার কোনো ব্যবসায়ীক লাইসেন্স নেই। মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করাই তার মূল ব্যবসা। তিনি বলেন, অতিরিক্ত মালামাল থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা না করে মামলা দায়ের করা হবে। এ সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানানো হয়।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়