• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ৮২ হাজার কোটি টাকা : সিপিডি
সরকার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বড় অংকের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের চলমান ধারা পর্যবেক্ষণ করে অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার (১৬ মার্চ) ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও স্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই প্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই। তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়ন হয় এক বছরের জন্য। বাজেটে যে নির্দেশনা থাকবে সেগুলো যেন চ্যালেঞ্জগুলো মেটাতে পদক্ষেপ নিতে পারে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো, টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীলতা রাখা ও দরিদ্র মানুষের স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটই হবে- কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন, গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে, যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায়, রাজস্ব ঘাটতি আগের মতোই চলমান থাকবে যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি। ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকারি ব্যয়ে সংযম লক্ষ্য করছি। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ দেখতে পাচ্ছি। গত বছর ২৭ শতাংশের মতো ছিল। যেখান থেকে আরও কমেছে। নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থা ও আইএমএফের পরামর্শে ব্যয় কমেছে। ওই সময় বাজেট ঘাটতি বেশ কমেছে, বাজেট ঘাটতি ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। যেখানে গত অর্থবছরের এই সময়ে ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাজেট ঘাটতি পূরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রবাহ কমে গেছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটো জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, সরকারি ব্যয় কোথায় করব, প্রাধিকার পরিষ্কার করতে হবে। বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ মাথায় রেখে সেখান থেকে রেহাই দেওয়ার বিষয়টি মনে রাখা উচিত। পণ্যমূল্য কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ও অর্থব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। সেইসঙ্গে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৮

ডিএনএ পরীক্ষায় সেই অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্ত
অবশেষে বেইলি রোডের আগুনে মারা যাওয়া সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) পরিচয় নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) পরীক্ষায় তার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ। অর্থাৎ অভিশ্রুতিই আসলে বৃষ্টি খাতুন। রোববার (১০ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সনাতন ধর্মালম্বী দাবি করেন। অন্যদিকে সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে। বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনও আমাদের কোনোকিছু জানায়নি। ডিএনএ যদি শনাক্ত হয়, তবে অবশ্যই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ জানান, মরদেহ নেওয়ার জন্য এখনও তাদের কিছু জানানো হয়নি। অপেক্ষায় আছেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ২৩:০১

নারী সাংবাদিকের মৃত্যু / বাবা চান দাফন করতে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবি দাহ
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নিহত নারী সাংবাদিকের নাম জটিলতার কারণে লাশ এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তার আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তার বাবা সবুজ শেখ জানান, ইসলামি বিধান মেনে মেয়ের মরদেহ দাফন করতে চান। তবে এই দাবি নাকচ করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা। তারা বলছেন, নিহতের মরদেহ দাফন নয়, দাহ হবে সনাতন রীতিতে। সহকর্মী তুষার হাওলাদারের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই নারী সাংবাদিক। সেসময় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। ওই নারী সাংবাদিকও রয়েছেন তাদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে যাকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে শনাক্ত করেন সহকর্মীরা। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের মর্গে পড়ে আছে মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।  এদিকে আহতদের চিকিৎসায় ১৭ সদস্যের যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, ডা. শারফুদ্দিন তার একজন সদস্য। ওই নারী সাংবাদিকের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, অভিশ্রুতি কিংবা বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়া। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। তবে তার বায়োডাটায় দেখা গেছে তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। বৃষ্টির ফুফু রোজিনা আক্তার জানান, তিনি সাভারে থাকেন। বৃষ্টি তার সঙ্গেই সাভারে থাকতেন। যাতায়াতের দূরত্ব কমানোর চিন্তা করেই বৃষ্টি হোস্টেলে ওঠেন। এখন নাম জটিলতায় তার লাশটিও পেতে পরিবারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন থেকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি তার মা বিউটি বেগমকে ফোন করে জানিয়েছিল অনুষ্ঠান শেষ হলো। সে হোস্টেলে ফিরবে। তারপর রাতে কথা বলবে। কিম্তু আর কথা হয়নি। পরের দিন ১ মার্চ খবর আসলো বৃষ্টি আর নেই। ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি। তিনি মুসলিম। বৃষ্টি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করতেন। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। নিহত সাংবাদিকের বাবা শাবলুল আলম সবুজ রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দরিদ্র পিতার তিনটিই কন্যাসন্তান। বৃষ্টি খাতুন সবার বড়। মেজ মেয়ে শারমিনা সুলতানা ঝর্ণা রাজবাড়ী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ছোট মেয়ে বর্ষা পড়ে দশম শ্রেণিতে। বৃষ্টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়েছেন গ্রামের বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার ইডেন কলেজে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে পড়েছেন। উচ্চশিক্ষা শেষ করার আগে বিসিএস কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। নিহতের ছোট বোন শারমিনা সুলতানা ঝর্ণা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে বৃষ্টির শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয়। তার বোন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে ঝর্ণা বলেন, এটা হতেই পারে না। আমার বোন মনেপ্রাণে একজন মুসলিম। সে কখনই নিজ ধর্ম ত্যাগ করেনি। তবে সম্প্রতি তার বোন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন এবং ওই নামেই সাংবাদিকতা করতেন বলে স্বীকার করেন ঝর্ণা।  
০২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

নড়াইলে ভাষা সৈনিক রিজিয়া খাতুন মারা গেছেন
নড়াইলে ভাষা সৈনিক রিজিয়া খাতুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসায় তিনি মারা যান।  তার মৃত্যুর বিষয়টি ছেলে রাসেল নিশ্চিত করেছেন।  ভাষা সৈনিক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা রিজিয়া খাতুন নড়াইল শহরের, মহিষখোলা এলাকার মরহুম অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুর পর রিজিয়া খাতুনের কফিনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বাদ আসর জানাযা শেষে নড়াইল শহরের আলাদাতপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নড়াইল পৌরসভার ডুমুরতলা এলাকার নুর জালালের কন্যা রিজিয়া খাতুন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের একজন অগ্রজ সৈনিক ছিলেন। তিনিসহ ১০-১৫ জন মিলে শহরের তৎকালীন কালিদাস ট্যাংক (বর্তমান টাউনক্লাব) এর পাশে প্রথম শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের স্বরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯

শ্রীপুরের ভোটকেন্দ্রে অশীতিপর জুবেদা খাতুন
বয়স আমার ৯৫ বছর। জীবনে এ পর্যন্ত কতবার ভোট দিয়েছি সঠিক গণনা করে বলতে পারব না। জাতীয় সংসদের নির্বাচন পাঁচ বছর পর পর হয়। এই নির্বাচনে ভোট দিতে না গেলে নিজের যেন কি হারিয়ে ফেলেছি এরকম মনে হয়। তাই এবারও নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছি।  গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ২নং আনসার টেপির বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় নারী ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা জুবেদা খাতুন এসব কথা বলেন। তার স্বামী টেপির বাড়ি গ্রামের মরহুম আব্দুল হাই মৃধা। জুবেদা খাতুন  বলেন, বয়সের ভারে নুব্জ্য হয়ে একা হাঁটতে পারিনা। শরীরে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে। অন্যের  সহায়তায় ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছি অনেক ভালো লেগেছে। ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের পথে শতশত মহিলা পুরুষদেরকে দেখতে পেয়েছি তারা ভোট দিয়ে ফিরে যাচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ভোটাররা নিজেদের মধ্যে উৎসাহ আনন্দ নিয়ে ভোটের দিনটাকে উদযাপন করেছেন। ২নং আনসার টেপির বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মনিরুল হাসান বলেন, সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা লাইনের দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করেছেন। ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হন।  তিনি জানান, এবারই প্রথম কোন অ্যাপস এর মাধ্যমে ভোট প্রদানের আপডেট গ্রহণ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি অন্যতম পদ্ধতি ছিল অনলাইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে তাৎক্ষণিক ভোটের তথ্য জানানো।  তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ভোটার ও শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোহরাব হোসেন বলেন, একটি অংশের কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে অংশগ্রহণ করা প্রত্যেকটি ভোটারের একটি দায়িত্ব আর সে দায়িত্ব থেকেই ভোটাররা দায়িত্ব সচেতনতার পরিচয় দিতে গিয়ে ভোট প্রয়োগ করেছেন। শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিঙ্গার দীঘি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ভোটার শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, জাতীয় সংসদের এই নির্বাচনটি একটি ভোটের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে মানুষ উৎসব হিসেবে নিয়েছেন। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে যে ভোটের উপস্থিতি থাকে এই নির্বাচনেও এর বিচ্যুতি হয়নি। 
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়