• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বামীর সঙ্গে মুড়ি খাওয়া নিয়ে ঝগড়া, গৃহবধূর আত্মহত্যা
রংপুরে স্বামীর সঙ্গে মুড়ি খাওয়া নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী সাগরকে আটক করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রংপুরের চামড়াপট্টি হাজীপাড়া শাপলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে বৃষ্টির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন সাগর। কিন্তু উভয় পরিবার তাদের প্রেমের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত তাদের। এরই জের ধরে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বাসায় মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বৃষ্টি ও স্বামী সাগরের সঙ্গে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। রাতেই ঘরের ছাদের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বৃষ্টি।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নিহতের স্বামী ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে ও স্বামী সাগরকে আটক করে। এ বিষয়ে উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। বৃষ্টির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮

ছাগলে আম গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
ছাগলে মসজিদের আম গাছের পাতা খাওয়ার জেরে রাজশাহীতে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দিগরাম ঘুন্টিঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন (৪২) ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।     জানা গেছে, ঘুন্টিঘর এলাকার সাদেকুল ইসলামের একটি ছাগল মসজিদের আম গাছের পাতা খায়। বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন সাদেকুলকে ডেকে ছাগল ছাড়তে বারণ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মসজিদ কমিটির সভাপতি নেজাম উদ্দীন মেম্বারের পক্ষের লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুলের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এত রুহুল আমিনকে নামের এক ব্যক্তি নিহতসহ আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। রুহুল আমিন ও নাজিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক রুহুলকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় রাতেই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় সাদেকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত শতাধিক
হবিগঞ্জে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঈদের দিন দুপুরে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্রকরে পশ্চিমবাগ গ্রামের মিজান মিয়ার লোকজনের সাথে একই গ্রামের শামসু মিয়ার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪৪ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে অন্যান্যদের আজমিরীগঞ্জ ও বাণিয়াচং হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্য বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে আজ শিশুদের ফুটবল খেলার নিয়ে পুনরায় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮

গোসল ফরজ হলে কি সেহরি খাওয়া যাবে
চলছে পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস, সংযমের মাস ও ত্যাগের মাস রমজান। এটি ইবাদত-বন্দেগির মাস। এ জন্য এই মাসে পবিত্রতার বিষয়ে সবাই বেশ সতর্ক থাকেন। কিন্তু কখনো রাতে স্বপ্নদোষ বা সহবাসের কারণে গোসল ফরজ হয়ে যায়, তখন কি সেহরি খাওয়া যাবে, এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে। রাসুল (সা.) থেকে এ বিষয়ে দুভাবে বর্ণিত আছে— গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়াদাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হওয়া উত্তম। তবে তা জরুরি নয়। গোসল ছাড়াও খাওয়া যায়। তাই গোসল ফরজ হলেও সেহরি খেতে পারবেন। এদিকে ফকিহবিদদের মত অনুযায়ী, গোসল ফরজ হওয়ার পর গোসল না করে সেহরি করে রোজা রাখলেও রোজা সহিহ হবে। তবে ফজরের ওয়াক্ত থাকা সময়েই গোসল সম্পন্ন করে সময়মতো নামাজ পড়তে হবে। অন্যদিকে, মুসলিম শরিফের ২৫৯২ নম্বর হাদিসে আছে, গোসল ফরজ হওয়ার পরও কোনো কারণ ছাড়াই গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় পার করা মারাত্মক গোনাহ। ইসলামী বিশ্লেষকরা বলেছেন, স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়। আর গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ, তাওয়াফ, কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করা ছাড়া অন্যান্য সবধরনের কাজ করা যায়। -(বুখারী ২৭৯), সুতরাং সেহরিও খাওয়া যাবে। আলেমরা বলেন, তবে মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। সুতরাং, ফজর নামাজের আগেই গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, যার নামাজ কাজা হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ ২৩৬৪২)।   
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৮

সুস্থতায় ইফতারে যা খাওয়া উচিত
তীব্র গরমের এই সময় রোজা রাখা এবং সুস্থ থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। আবহাওয়ার ওপর কারও হাত না থাকলেও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই কঠিন সময়ে আপনি পেতে পারেন স্বস্তি ও প্রশান্তি। এ জন্য ইফতার ও সেহেরিতে বেশকিছু খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম। আবার কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় রাখলে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে রোজা রাখার সময়টা কিছুটা হলেও সহজ হবে বলে আশা করা যায়। রমজানে আপনি যেসব খাবার খেতে পারেন, সেগুলো নিয়ে আজকের আয়োজন। বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা ইফতারে এমন কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন যা উদরপূর্তির পাশাপাশি শরীরের সার্বিক পুষ্টিচাহিদা পূরণেও সহায়তা করে। তিনি পরামর্শ দেন, “গরমকালে সারা দিন শরীর থেকে প্রচুর পানি ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। রোজার দিনে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করা যায় না। তাই ইফতারে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।” পানির চাহিদা পূরণ করতে যে কোনো রসাল বা তরল খাবার যেমন- ফলের রস, শরবত, সুপ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এতে সারাদিনের পানির ঘাটতি কমে আসে।” বললেন এই অধ্যাপক। তিনি আরও বলেন, “একবারে বেশি পানি পান করা ঠিক নয়। ইফতারের পর থেকে খানিকক্ষণ পর পর অল্প পরিমাণে পানি পান করতে হবে।” তবে কোনোভাবেই কৃত্রিম রং মেশানো জুস বা কোমল পানীয় খাওয়া ঠিক নয়। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া সারাদিন কিছু না খেয়ে ইফতারে আজে বাজে খাবার না খাওয়াই ভালো- বলে মনে করেন এই পুষ্টিবিদ। তিনি বলেন, “ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে চাইলে অবশ্যই তেল সমৃদ্ধ ও ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। তাছাড়া অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কেউ চাইলে হালকা মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখতে পারেন। তবে তার পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।” তার দেওয়া অন্যান্য পরামর্শগুলো হল- সরাসরি মিষ্টি না খেয়ে মিষ্টি ফল, পুডিং খাওয়া যেতে পারে। ঠিক ইফতারের সময় দুধের তৈরি মিষ্টি খাবার যেমন- পায়েস, সেমাই ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে ইফতারি শেষে এই ধরনের খাবার খাওয়া যেতে পারে। ইফতারে খেজুর একটি আদর্শ খাবার। মিষ্টি ফল হওয়ায় দ্রুতই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এছাড়াও এটি ডাইজেস্টিভ এনজাইম বিতরণকারী হিসেবে কাজ করে যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কেবল খেজুরই নয় অন্য যে কোনো ফল ইফতারে রাখুন। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা সহজে পূরণ হবে। তাছাড়া ফল আঁশ বহুল হওয়ায় তা অন্যান্য খাবার হজমেও সাহায্য করে। ইফতার ও সেহেরিতে আঁশজাতীয় ফল খাওয়া ভালো। কারণ এই ধরনের ফল বেশিক্ষণ পানি ধরে রাখতে পারে। তাই ফলমূল ও সবজি শরীরকে ‘ডিটক্সিফাইন’ হতে সাহায্য করে। ফলে শরীর সুস্থ থাকে । এই সময় অতিরিক্ত চা বা কফি এবং কোমল পানীয় পান করা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চা ও কফি শরীরের পানি শূন্যতার সৃষ্টি করে। অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়। ইফতারে পেট ঠাণ্ডা থাকে এমন খাবার যেমন দুধচিড়া বা দই-চিড়া অথবা মুড়ি খাওয়া ভালো। দই পেটের সার্বিক সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। অনেকে ইফতারে তেহারি, বিরিয়ানি ধরনের খাবার খান। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কোনোভাবেই এই ধরনের খাবার ইফতারিতে খাওয়া উচিত না। কারণ এইগুলো পেট গরম করে, ফলে নানা রকমের পেটের অসুখ দেখা যায়। তাই সুস্থ থাকতে ইফতারের সময় বেশি করে তরল খাবার ও ফলমূল খেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইফতার শুরু করার সময় খুব বেশি তাড়াহুড়া করে খাওয়া উচিত নয়। একটু সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। প্রথমে, দুতিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করা। তারপর কিছু সময়, আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিরতি দিয়ে ভারি খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কারণ মস্তিষ্কে খাদ্য সংবেদন পৌঁছাতে একটু সময় লাগে। নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি খাওয়া শুরু করা হয় তবে অধিক ভোজনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় যা ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৩

সিগারেট খাওয়া মাকরুহ না হারাম?
পৃথিবীতে প্রতিবছর ৫৮ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় ধূমপানের কারণে, অর্থাৎ প্রতি ১০ জনে ১ জন। ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সাল নাগাদ এর অবস্থা দাঁড়াবে ৬ জনের মধ্যে ১ জন। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। এসব কিছু জেনে শুনেও মানুষ ধূমপানের মতো ধ্বংসাত্মক বিষয়ে জড়িয়ে থাকে। জেনে শুনে নিজের জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ। এছাড়া ইসলাম ক্ষতিকর বিষয় থেকে দূরে থাকার আদেশ দিয়েছে।  আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা নিজের হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। (সুরা বাকারা: ১৯৫) আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, যারা রাসুলকে অনুসরণ করে, তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ জায়েজ করেন এবং অপবিত্র ও খারাপ বস্তু তাদের জন্য হারাম করেন।  আল্লাহ বলেন, যারা সেই নিরক্ষর রাসুলের অনুসরণ করে চলে যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইনজিলে লিখিত পায়, যে মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দেয় ও অন্যায় কাজ করতে নিষেধ করে, আর সে তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ জায়েজ করে এবং অপবিত্র ও খারাপ বস্তু তাদের জন্য হারাম করে। (সুরা আরাফ: ১৫৭) জনসমক্ষে ধুমপান করলে বা ধুমপানের গন্ধ মুখে নিয়ে জনসমাগমে গেলে তা অন্যদের কষ্ট ও ক্ষতির কারণ হয়। এটাও গুনাহের কাজ। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে আল্লাহ তায়ালা ও শেষ দিবসের ওপর ইমান রাখে সে যেন তার আশপাশের মানুষদের কষ্ট না দেয়। (সহিহ বুখারি) আর ধূমপানের কারণে মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে, এ অবস্থায় নামাজে দাঁড়ানো মাকরূহে তাহরীমী। বরং এ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করাও মাকরূহ। হাদীস শরীফে ধূমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্ত্ত কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। অতএব বিড়ি-সিগারেটের তীব্র দুর্গন্ধের সাথে মসজিদে প্রবেশ করা যে নিষিদ্ধ হবে তা তো সহজেই অনুমেয়। অবশ্য এ কারণে নামাজ ত্যাগ করা যাবে না এবং মসজিদে গমনাগমনও বন্ধ করা যাবে না। বরং অতি দ্রুত এ বদ অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। আর নামায আদায়ের পূর্বে এবং মসজিদে প্রবেশের আগে ভালো করে মেসওয়াক বা ব্রাশ করে দুর্গন্ধ দূর করে নিতে হবে। -(ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দাইমা ১৩/৫৬; আলফাতাওয়াশ শারইয়্যাহ ১০/১৪৫; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬১)।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৮

নেহারি খাওয়া হলো না ৩ বন্ধুর
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় নেহারি খেতে যাওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু নিহত হয়েছেন।  শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় উপজেলার বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের দরগাহাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২২), রাকিব প্রামাণিক (১৭) ও মিজান (১৮)। তারা সবাই পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানার ওসি সেলিম রেজা। তিনি বলেন, আজ রাতে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি থেকে উপজেলার কাজীপাড়ার একটি হোটেলে গরুর নেহারি খেতে যাচ্ছিলেন। পথে দরগাহাট পার হয়ে বগুড়া ভান্ডারের সামনে এলে নওগাঁমুখী একটি ট্রাক পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তরিকুল ও রাকিব মারা যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে রাত ৯টার দিকে তিনিও মারা যান। ওসি সেলিম রেজা আরও বলেন, ঘটনাস্থলে নিহত দুজনের মরদেহ ও দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিহত মিজানের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ট্রাকটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যায়নি।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫৬

মিষ্টি খাওয়া নিয়ে ঝগড়া, বাবার হাতে ছেলের মৃত্যু
বগুড়ার শিবগঞ্জে মিষ্টি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবার লাঠির আঘাতে ছেলে ফারাজ আলীর (২৫) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ফারাজ আলী (২৫) উপজেলার পিরব ইউনিয়নের বানিহার গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ফারাজের সঙ্গে তার বাবা সোহরাব হোসেন ও মা রোজিনা বেগমের সম্পর্ক ভালো ছিল না। বুধবার দুপুরে ফারাজের ঘরে রাখা মিষ্টি খেয়ে ফেলে তার ছোটভাই উজ্জল। এতে ফারাজ ছোট ভাইয়ের উপর চড়াও হলে তাদের মা ছুটে আসেন। এ সময় ফারাজ মায়ের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা সোহরাব আলী ফারাজের মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করেন। এতে ফারাজ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেজ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা ফারাজের অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় ফারাজের। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনার পর থেকে সোহরাব পলাতক আছেন। এই বিষয়ে মামলা দায়ের হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬

সিগারেট খাওয়া নিয়ে যা বললেন স্বস্তিকা
নতুন বছরের শুরুতেই নানান পরিকল্পনা করেন তারকারা। ফেলে আসা বছরের ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার পাশাপাশি নতুনভাবে জীবনের ডালা সাজান তারা। এক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। আর তাই তো নতুনভাবে নিজের জীবন সাজাতে এ বছর সিগারেট খাবেন না বলে মনস্থির করেছেন স্বস্তিকা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন এই অভিনেত্রী। স্বস্তিকা বলেন, এখন সব বছরই আমার কাছে আর পাঁচটা বছরের মতো। ছোটবেলায় খুব রেজ্যুলেশন নিতাম। নখ খাব না, ফাস্টফুড খাব না। এ বছর ভেবেছি সিগারেট খাব না। কিন্তু তিন দিন পেরেছি, একদিন পারিনি। পরের দিন আবার খুব সচেতন হয়ে নতুন করে চেষ্টা শুরু করলাম। শেষ দুদিন খাইনি। আজ (১৭ জানুয়ারি) সকালে একটা খেয়ে ফেলেছি। এভাবেই যুদ্ধ করতে করতে একসময় ঠিক পেরে যাব আশা করছি।   নতুন বছরের কাজের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, চলতি বছর হিন্দিতে প্রায় চারটি কাজ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এগুলো সব আগে করেছি। কিন্তু আমাদের এখানে (কলকাতা) যত তাড়াতাড়ি শুট শেষ হয়ে একটা সিনেমা মুক্তি পায়, মুম্বাইয়ে সেটা হয় না। কারণ, ওরা পোস্ট প্রোডাকশনে অনেকটা সময় নেয়।    এছাড়া কলকাতায় ‘নিখোঁজ’ ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজন এবং দেবের সঙ্গে ‘টেক্কা’ সিনেমার কাজ রয়েছে বলে জানান স্বস্তিকা। পাশাপাশি ঢাকায়ও একটি প্রজেক্টে যুক্ত হয়েছেন স্বস্তিকা। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনেক দিন ধরে কাজ করার ইচ্ছা। একটা কাজের কথা চলছিল সেই কোভিডের সময় থেকে। এবার শেষমেশ হচ্ছে। সেটার কাজেই এপ্রিলে ঢাকায় যাব। জানা গেছে, ঢাকার কামরুল ইসলাম রিফাতের পরিচালনায় ‘ওয়ান ইলেভেন’ সিনেমায় অভিনয় করবেন স্বস্তিকা। এতে দেশের গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেনের সঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। সূত্র : আনন্দবাজার   
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়