• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দাম বাড়ল গ্যাসের, বিদ্যুতেও আছে দুঃসংবাদ
গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে জ্বালানি বিভাগ। আর সচিবালয়ে বিদ্যুতের নতুন দাম নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।  নতুন দাম নির্ধারিত হলেও গ্রাহক পর্যায়ে অবশ্য আগের মতোই থাকবে গ্যাসের দাম। গ্যাসের এই দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে। তবে, বিদ্যুতের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হতে যাচ্ছে গ্রাহকদের ওপরও।   জ্বালানী বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে৷ একইসঙ্গে কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুতের গ্যাসের দামও প্রতি ঘনমিটার ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ দাম কার্যকর বলে গণ্য হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের নতুন দাম হবে ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা। অন্যদিকে শিল্পের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম হবে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা। প্রজ্ঞাপন জারির আগে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।  তার বক্তব্য অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়েও প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। আর এ নতুন দাম কার্যকর হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য দাম সমন্বয় করা হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের এই নতুন দাম কার্যকর হবে। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩১

রমজানের আগেই দাম বাড়ছে বিদ্যুতের 
আসন্ন মার্চ থেকে আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের দাম। এই দফায় দাম বাড়বে ৫ শতাংশ। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে আগামী মাস থেকেই। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে দেশেও ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম।  এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দামও বাড়ানো হবে। তবে আবাসিকে গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকবে।   আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করার প্রয়াস হিসেবে রমজান শুরুর আগেই এ পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।   মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে বাড়লেও গ্যাসের দাম শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনেই বাড়বে।  মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে গেছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে। আগে ডলার ৭৮ টাকায় পাওয়া যেত, এখন প্রায় ১২০ টাকার মতো হয়ে গেছে। প্রতি ডলারে প্রায় ৪০ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। এতে বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম সমন্বয় জরুরি হয়ে পড়েছে।  তবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বড় গ্রাহকদের জন্য দাম বাড়ানো হবে যাতে কম ব্যবহারকারীরা ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ পায়। জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, মার্চ মাস থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে জ্বালানি তেলের দাম। নতুন দর মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কার্যকর হবে। আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করতে হবে। সরকারও এ ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪

‘গ্যাসের সংকট দু-একদিনের মধ্যে দূর হবে’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও ঢাকার গ্যাস সংকট আগামী দু-একদিনের মধ্যে দূর হবে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের (এফএসআরইউ) মধ্যে একটিকে মেরামতের জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। তা দেশে ফিরেছে তবে কাজ শুরু করার সময় কিছু সমস্যা দেখা গেছে। আমাদের দ্বিতীয় এফএসআরইউটিতেও সমস্যা দেখা গেছে। আজকে দুটি এফএসআরইউ-ই চালু থাকলেও একটি আবার ডকিংয়ে চলে যাবে। যেটি মেরামত হয়ে এসেছে, সেটি পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, আশা করি আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট পরিস্থিতি ভালো হবে। সংকটটি একটা আকস্মিক বিষয়। এমনিতেই শীতের সময় বিশেষ করে বাসা বাড়িতে গ্যাসের রান্নাবান্নার কাজে সমস্যা দেখা দেয়। নসরুল হামিদ বলেন, এ মুহূর্তে গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৮০০ এমএমসিএফ। আমরা ৩ হাজার ২০০ এমএমসিএফের মত সরবরাহ দিতে পারি। শিল্প এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের একটা গ্যাপ রয়েছে। গ্যাস না থাকায় আমাদেরকে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। আমরা আশা করছি, এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। ‘নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের শিল্প কারখানাগুলো কোনো গ্যাসই পাচ্ছে না’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন,  আজকের দিনটা একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগামীকাল সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই এলপিজি ব্যবহার করে। শিল্প কারখানা বাদে আমাদের গ্যাসের গ্রাহক ২০ থেকে ২৫ লাখ। তাদেরকে ধীরে ধীরে আমরা মিটারের মধ্যে নিয়ে আসছি। ইতোমধ্যে সাড়ে চার লাখ মিটার লাগানো হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে সব মিটার লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থের জন্য গ্যাস মিটার লাগাতে দেরি হচ্ছিল, সেই অর্থের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি এবং জেবি ফাইন্যান্স করছে। এরই মধ্যে ঢাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ, জালালাবাদ ৫০ হাজার ও কর্ণফুলীতে আড়াই লাখ মিটার লাগানোর কাজ চলছে। নসরুল হামিদ বলেন, বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপরও আবার অবৈধ লাইন হচ্ছে। এসব অবৈধ লাইনের কারণে বড় এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাসা-বাড়ির পাইপ লাইনের গ্যাস এবং এলপিজির সিলিন্ডারে দামের মধ্যে পার্থক্য নিরসনে বিইআরসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া ১০০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি খবর নিব।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৫

‘মার্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় চালু হবে। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের জন্য স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণ শুরু হবে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ও যুদ্ধের কারণে জ্বালানি আমদানিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, আমদানি কমিয়ে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ শুরু হলে পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে। তিনি বলেন, সামনের গ্রীষ্মে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ছাড়াতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দিতে পারলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে। আর এর জন্য অর্থের জোগান একটা বড় বিষয়। এ মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ মোটামুটি একটা জায়গায় আসবে। আগামী সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।  গ্যাস সংকটের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাস আমাদের সামনে একটি বৃহৎ চ্যালেঞ্জ। শীতের প্রকোপে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাসের চাপ একটু কম থাকে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এফেসারিও (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) চালু হবে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে আগামী মার্চের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা। সামনে আমাদের রমজান মাস আসছে, রমজানকে সামনে রেখে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, কোনো দিন বা তারিখ ঠিক না করে আমরা কাজের গুরুত্বের স্তর ঠিক করে ফেলছি। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভালো সংবাদ এই যে, ইতোমধ্যে আমরা যে কয়টি কূপ খনন করেছি সবগুলোতেই গ্যাস পেয়েছি। অনেক কূপ ছোট হলেও ভালো অবস্থায় রয়েছে। ভোলা থেকে বরিশাল পাইপলাইন তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ কাজ এ বছরই শুরু করব। তিনি আরও বলেন, ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। আশা করছি ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। নিজস্ব গ্যাসের উত্তোলন ও সরবরাহ বৃদ্ধিতে এ বছর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। আমরা চাইছি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ ৪৬টি কূপের খনন কাজ শেষ করতে, পরে আরও ১০০ কূপ খনন করতে। ২০২৪ ও ২৫ সালের মধ্যে আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের জোগান দিতে পারব। ২০২৬ ও ২৭ সালের দিকে আমাদের আরও দুটি এফেসারিও সংযুক্ত হবে। নসরুল হামিদ বলেন, আমরা মনে করছি ২০২৭ সালের দিকে আমাদের চাহিদা প্রায় ৬ হাজার এমএমসিএফডি বাড়বে। যেভাবে শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের চাহিদা থাকবে সেভাবে ম্যানেজমেন্ট করা হবে। পেট্রোবাংলা এ সংক্রান্ত ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন মাস্টারপ্ল্যানে হাত দিয়েছে। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে এটা শেষ হবে। নতুন করে আমাদের আরও ১.৬ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এগুলো নিয়েও কাজ চলছে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০২

রমজানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের
পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে আগামী মার্চের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্য স্থির করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, গ্যাস আমাদের সামনে একটি বৃহৎ চ্যালেঞ্জ। শীতের প্রকোপে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাসের চাপ একটু কম থাকে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এফেসারিও (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) চালু হবে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে আগামী মার্চের মধ্যে  নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা। সামনে আমাদের রমজান মাস আসছে, রমজানকে সামনে রেখে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, কোনো দিন বা তারিখ ঠিক না করে আমরা কাজের গুরুত্বের স্তর ঠিক করে ফেলছি। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে খুব ভালো সংবাদ, আমরা যে কয়টি কূপ খনন করেছি সবগুলোতেই গ্যাস পেয়েছি। অনেক কূপ ছোট হলেও ভালো অবস্থায় রয়েছে। ভোলা থেকে বরিশাল পাইপলাইন তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ কাজ এ বছরই শুরু করব। তিনি আরও বলেন, ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। আশা করছি ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। নিজস্ব গ্যাসের উত্তোলন ও সরবরাহ বৃদ্ধিতে এ বছর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। আমরা চাইছি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ ৪৬টি কূপের খনন কাজ শেষ করতে, পরে আরও ১০০ কূপ খনন করতে। ২০২৪ ও ২৫ সালের মধ্যে আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের জোগান দিতে পারব। ২০২৬ ও ২৭ সালের দিকে আমাদের আরও দুটি এফেসারিও সংযুক্ত হবে। নসরুল হামিদ বলেন, আমরা মনে করছি ২০২৭ সালের দিকে আমাদের চাহিদা প্রায় ৬ হাজার এমএমসিএফডি বাড়বে। যেভাবে শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের চাহিদা থাকবে সেভাবে ম্যানেজমেন্ট করা হবে। পেট্রোবাংলা এ সংক্রান্ত ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন মাস্টারপ্ল্যানে হাত দিয়েছে। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে এটা শেষ হবে। নতুন করে আমাদের আরও ১.৬ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এগুলো নিয়েও কাজ চলছে।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়