• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান
তাইওয়ানে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৮০ বারের বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত থেকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এই সিরিজ ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৮০টিরও বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রটির আবহাওয়া প্রশাসন। এরমধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পন ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। কম্পনগুলোর কয়েকটির আঘাত দেশটির রাজধানী তাইপেইতেও অনুভূত হয়েছে।   তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন বলছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত হুয়ালিয়েন কাউন্টি ছিল ভূমিকম্পগুলোর কেন্দ্রস্থল। চলতি মাসের শুরুর দিকে ওই একই এলাকায় ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। হুয়ালিয়েনের দমকল বিভাগ মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হোটেল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝুঁকে পড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কারণ, কিছুদিন আগে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি বন্ধই ছিল। এর আগে, ২০১৬ সালে দক্ষিণ তাইওয়ানে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তারও আগে ১৯৯৯ সালে এই দ্বীপ ভূখণ্ডে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। দু’টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় প্রকৃতিগতভাবেই তাইওয়ান অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ।
২৩ ঘণ্টা আগে

রাজধানীতে কয়েক দফা বৃষ্টির আশঙ্কা
দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়ার প্রবণতাসহ রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার (২৪ মার্চ) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। রাজধানীতে কয়েক দফা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। এদিকে ঢাকায় ঝড় ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দিনগত মধ্যরাত সোয়া ২টা থেকে ঝড় শুরু হয়ে চলে প্রায় ৩০ মিনিট। ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। এদিন ঢাকাতে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৯২ কিলোমিটার।  অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের তিন অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৫

যে কারণে ভারতের কয়েক প্রদেশে হাওয়াই মিঠাই নিষিদ্ধ
ক্যানসারের উপাদান থাকার সন্দেহে ভারতের কয়েকটি প্রদেশে হাওয়াই মিঠাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে মিষ্টিজাতীয় এই খাবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতের তামুলনাড়ু প্রদেশ। এর আগে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে দেশটির কেন্দ্রশাসিত এলাকা পদুচেরিতে হাওয়াই মিঠাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও খাবারটির নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। হাওয়াই মিঠাইয়ের নমুনা পরীক্ষায় রোডামিন–বি রাসায়নিক শনাক্ত হওয়ায় খাবারটি বিক্রি ও খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের তামিলনাড়ু সরকার। কোনো কিছুতে রোডামিন-বি ব্যবহার করলে তা গোলাপি আভা দেয়। বস্ত্র, প্রসাধনী এবং কালি শুকাতে এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই রাসায়নিক ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ইউরোপ এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় খাবারে এর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভয়ংকর। তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরের খাদ্যনিরাপত্তা কর্মকর্তা ডি সতীশ কুমার বলেছেন, হাওয়াই মিঠাইয়ে যে বিষাক্ত উপাদান রয়েছে, তা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে এবং শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভারতের চেন্নাইয়ের একটি সৈকতে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাদের আটক করেন সতীশ ও তার দলের সদস্যরা। তখন সতীশ জানান, শহরে যারা খাবারটি বিক্রি করে, তারা সবাই নিজেদের মতো করে এটা তৈরি করে এবং এর কোনো নিবন্ধিত কারখানা নেই। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বজুড়ে শিশুদের কাছে হাওয়াই মিঠাইয়ের জনপ্রিয়তা রয়েছে। গোলাপি রঙের এই মিষ্টিজাতীয় খাবারটি মুখে দিলেই গলে যায়। সাধারণত হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাদের স্কুলের সামনে, পার্ক এবং দর্শনীয়স্থানে খাবারটি বিক্রি করতে দেখা যায়।  সূত্র : বিবিসি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৯

কয়েক মিনিটে জুতা-কাপড় শুকাবে এই মেশিন!
মেঘলা দিনে বা খুব দরকারে দ্রুত কাপড় শুকানোটা অনেকটাই ঝামেলাযুক্ত কাজ। তবে যাদের বাড়িতে ওয়াশিং মেশিন আছে, তারা ড্রায়ারে শুকিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু যাদের বাড়িতে নেই, তারাই পড়েন সমস্যায়। আর বাইরে বা পাহাড়ে ঘুরতে গেলে তো কোনও কথাই নেই। কোনোভাবেই জামা কাপড় শুকাতে চায় না। তাই কয়েক মিনিটের মধ্যেই জামা কাপড় শুকানো যায়, এমন কয়েকটি পোর্টেবল ক্লথ (কাপড়) মিনি ড্রায়ারের খোঁজ দেওয়া হলো।  জেনে নিন নামগুলো- AVIRA ইলেকট্রিক পোর্টেবল ক্লথ ড্রায়ার: এই ড্রায়ারগুলো খুব বেশি বড় হয় না। এমনকি আপনি এগুলোকে ব্যাগে ভরে সঙ্গে নিয়েও যেতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই কয়েক মিনিটের মধ্যে জামাকাপড়, জুতা, বিছানা ইত্যাদি সব কিছুই শুকাতে পারেন। Auslese পোর্টেবল ক্লথ মিনি ড্রায়ার: এই ড্রায়ারে আপনি টিউব মুডও পাবেন, যাতে আপনি সহজেই কয়েক মিনিটের মধ্যে জুতা, মোজা, জামাকাপড়, বিছানা ইত্যাদি সব কিছুই শুকাতে পারেন। এটি একটি পোর্টেবল ডিভাইস, যাতে ৪০০ ওয়াট শক্তি সাপোর্ট করে।  ২২০ ভোল্ট বৈদ্যুতিক পোর্টেবল ড্রায়ার: ২৫০ ওয়াট ড্রাইং পাওয়ার সাপোর্ট করে এই ডিভাইসটিতে। এর সাহায্যে আপনি খুব তাড়াতাড়ি জামা কাপড় শুকিয়ে ফেলতে পারবেন। এটিও আকারে খুব ছোট।  Xpressdryr Aurate প্রো ম্যাক্স পোর্টেবল ড্রায়ার: আপনি এই ড্রায়ারে পাবেন অনেক ফিচার। এতে আপনি আপনার শিশুর কাপড়ও আরামে শুকাতে পারবেন। তবে কেনার আগে কাস্টোমার রিভিউ দেখে নেবেন। বিভিন্ন জায়গায় অফার দেখে তবেই কিনবেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩১

দেশে নারীর চেয়ে কর্মহীন পুরুষ কয়েক গুণ
গত ছয় বছরে দেশে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বেকার কমেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বেকার কমেছে। এ সময় পুরুষের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি নারী বেকার কমেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।  সংস্থাটির ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩-এর চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদন থেকে গত বছরের পরিসংখ্যান বের করা হয়েছে।  প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত এক বছরে বেকার কমেছে লক্ষাধিক। এ সময় পুরুষ বেকার কমেছে ২০ হাজার আর নারী বেকার কমেছে ৯০ হাজার। বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বেকার ছিল ২০২৩ সালে। আর ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেকার কমেছে ১ লাখ ১০ হাজার। এছাড়া ২০১৫-১৬ সালে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। সেই হিসেবে গত ৬ বছরে বেকার কমেছে ২ লাখ ৩০ হাজার। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে মোট বেকারের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪০ হাজার। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরে পুরুষ বেকার কমেছে ২০ হাজার। বর্তমানে দেশে নারী বেকার রয়েছেন ৮ লাখ ৩০ হাজার। ২০২২ সালে ছিল  ৯ লাখ ২০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৯০ হাজার নারী বেকার কমেছে। বিবিএস’র বলছে, এ বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পায় না। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৩

আলেশার ২০২০ শতাংশ জমির হদিস, আড়ালে আরও কয়েক গুণ
বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের দুই হাজার ২০ শতাংশ জমির হদিস পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জমিগুলো কেনা হয়েছে গাজীপুরে। স্থানীয় বাসিন্দা, আলেশার নিয়োগ করা তত্ত্বাবধায়ক ও জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা অবশ্য বলছেন, যে পরিমাণ জমির হদিস সিআইডি এখন পর্যন্ত পেয়েছে তা কিছুই না, আলেশার কেনা জমির পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি। শুধু তাই নয়, জমিগুলোর প্রকৃত দাম ও দলিলে উল্লেখিত দামের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য বিদ্যমান।  সিআইডি যে পরিমাণ জমির হদিস পেয়েছে, তার দাম দেখানো হয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। কিন্তু আসলে এই পরিমাণ জমির বাজারমূল্য অন্তত ১৫০ কোটি টাকা বলে ধারণা তদন্ত কর্মকর্তাদের। যেমন এক জায়গায় প্রতি শতাংশ জমির দাম দেখানো হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। অথচ, স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেখানে জমির বাজারমূল্য প্রতি শতাংশ সর্বনিম্ন দুই লাখ টাকা।  গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মাধ্যমেই মঞ্জুর আলম শিকদার এত বিশাল সম্পত্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে ধারণা। কারণ, ২০২১ সালের দিকে যখন আলেশা মার্ট গ্রাহককে বড় ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রির নামে টাকা ওঠাচ্ছিল, তখনই জমিগুলো কেনা হয়। ওই সময় আলেশা মার্ট ছাড়াও বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।   প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার এখন কারাগারে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের একটি মামলার তদন্ত করছে। এ তদন্তেই আলেশার বিপুল পরিমাণ জমি কেনার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে মঞ্জুর আলমের দুই হাজার ২০ শতাংশ (২০ একর) জমি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মনিরুজ্জামান। মঞ্জুর আলম জমিগুলো কিনেছেন আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের নামে। বেশি জমি কেনা হয়েছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া এলাকায়।  ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে ঠাকুরপাড়া সাহেবেরচালা বাজার। শুক্রবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একটি রাস্তার মুখে বড় একটি সাইনবোর্ডে লেখা আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেড। সেই রাস্তা ধরে এক কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে পাওয়া যায় আলেশার নামে কেনা জমি। জমিগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন আলেশার নিয়োগ করা তত্ত্বাবধায়ক নুরুল আলম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা দুজন সেখানে কাজ করেন। তবে চার-পাঁচ মাস ধরে মালিকপক্ষ তাদের কোনো খোঁজ নেয় না। বেতনও পান না। জমিতে শাকসবজি চাষ করে সেগুলো বিক্রি করে চলেন তারা।  সিআইডি দুই হাজার শতাংশের মতো জমির খোঁজ পেলেও তত্ত্বাবধায়ক নুরুল আলম বলছেন, সব মিলিয়ে সেখানে আলেশা হোল্ডিংসের নামে জমি রয়েছে ১৩ হাজার ২০০ শতাংশ। এর বাইরে আশপাশে আরও জমি আছে। তিনি শুনেছেন কিছু জমি বিক্রিও করা হয়েছে।  কালিয়াকৈর উপজেলার মাঝুখান এলাকায় দুটি জায়গায় আলেশা হোল্ডিংসের দুটি সাইনবোর্ড দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে আলেশার জমি রয়েছে প্রায় ২০০ বিঘা। জমিগুলো নিচু, জলাভূমি। স্থানীয় কিছু যুবক ইজারা নিয়ে তাতে মাছ চাষ করেন।  আলেশাকে জমি কিনে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, তারা তিন থেকে চারজন আলেশার জমি কেনার মধ্যস্থতা করেছেন। তিনি নিজে কিনে দিয়েছেন ২০০ বিঘা জমি। সব জমি ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কেনা হয়েছে।  স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০২১ সালে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ জমি কেনা শুরু করে আলেশা। সে সময় তারা বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দাম প্রস্তাব করেছিল। কারখানা করার কথাও বলেছিল। যার ফলে জমি বিক্রিতে উৎসাহিত হয়েছিল মানুষ। আর যার বিক্রি করেননি, তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে আলেশার দালালরা।  এমনই একজন ভুক্তভোগী ঠাকুরপাড়ার নাহিদ স্টোরের মালিক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আলেশা আমাদের বাড়ির পাশের জমিগুলো ২০২২ সালে কেনে। আমাদের জমি কিনতেও বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা বিক্রি করিনি। তারা আমাদের বাড়ির চলাচলের রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে।’ আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম ছিলেন একজন স্বল্পপরিচিত ব্যবসায়ী। তবে আলেশা মার্ট খুলে এবং ব্যাপক প্রচার চালিয়ে পরিচিতি পান তিনি। তার আইনজীবীর দাবি, আলেশা হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল মঞ্জুর আলমের মূল ব্যবসা। সেখান থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট খোলেন তিনি।  আলেশা মার্ট খোলার আগে মঞ্জুরের আয় কেমন ছিল, নিজেদের প্রতিবেদনে তা তুলে ধরেছে সিআইডি। বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীতে মঞ্জুর আলম বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন মাত্র ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।  মানি লন্ডারিং মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আলেশা মার্ট ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসা শুরু করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য বড় ছাড়ে দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিত প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে বিপুল টাকা সংগ্রহ করেছিল তারা। ২০২১ সালের দ্বিতীয় ভাগে কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে পণ্য অথবা টাকা ফেরত দেওয়া বন্ধ করে দিতে থাকে। আর গ্রাহকেরা টাকা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এবং মামলা করা শুরু করেন। এর মধ্যে আলেশা মার্টও ছিল। সিআইডি ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা গ্রাহকের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।  মঞ্জুর আলম টাকা নিয়ে কী করেছেন, তা অনুসন্ধান করে সিআইডি জানতে পেরেছে, আলেশার চারটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যেটা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। গ্রাহকের টাকায় জমি ছাড়াও বিভিন্ন নামে ১০টি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানও খোলে আলেশা মার্ট।  সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, জমির পাশাপাশি মঞ্জুর আলমের নিজের নামে, স্ত্রীর নামে এবং স্বজনদের নামে একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি পাওয়া গেছে। ব্যাংকের পরিচালক হতে আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সহসভাপতি আবুল কাশেমকে প্রায় ১০০ কোটি টাকাও দিয়েছেন তিনি।  পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের করা শতাধিক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি তাকে ঢাকার বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার চেক প্রতারণার মামলায় মঞ্জুর আলম ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত।  মঞ্জুর আলমের আইনজীবী অলিউর রহমান বলেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে আরও কিছু মামলার বিচার চলছে। 
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫০

পার্লারের কক্ষে গোপন ক্যামেরা / গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিকের জামিন
রাজধানীর ধানমন্ডির উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে গোপনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফারনাস আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করে। মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ড পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা পায় পুলিশ। একজন নারী ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ধানমন্ডি শাখা থেকে আটটি সিসি ক্যামেরার ডিভিআর উদ্ধার করে। তখন তিনজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে সেদিন ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেছিলেন, একজন নারী ২৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের শাখায় যান। সেখানে তিনি বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা দেখতে পান। এরপর মৌখিকভাবে থানায় অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ওই শাখায় গিয়ে আটটি সিসি ক্যামেরার ডিভিআর উদ্ধার করা হয়। তখন শাখার তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।  পরে পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিক ও কর্মকর্তাদের আসামি করে মামলা করে। মামলার পর আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।  
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১১

অভিযোগের কয়েক মাসের মাথায় পর্ন তারকার মরদেহ উদ্ধার
সিনেমায় যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগের কয়েক মাসের মাথায় নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পর্ন তারকা থাইনা ফিল্ডসের মরদেহ। গত ৬ জানুয়ারি পেরুর ট্রুজিলোর নিজ বাড়ি থেকে ২৪ বছর বয়সী থাইনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এখনও তার মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি। এই পর্ন তারকার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন সহকর্মী ও নির্মাতা আলেজান্দ্রা সুইট।  তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। থাইনার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। এদিকে ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় আলেজান্দ্রা সুইট লিখেছেন, ‘বন্ধুরা আপনাদের থাইনা ফিল্ডসের জন্য প্রার্থনা করতে বলব।’  এদিকে মৃত্যুর আট মাস আগে এই পর্ন তারকা দাবি করেছিলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমায় বেশ খারাপভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে থাইনা বলেছিলেন, আমি প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমায় কাজ শুরুর পর যৌন হয়রানি এবং অপব্যবহারের শিকার হয়েছি। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন আমাকে দিয়ে যা খুশি তাই করতে পারবে। বিষয়গুলো নিয়ে আমি বাড়িতে এসে খুব কাঁদতাম। এ অভিনেত্রী বলেন, আমার সঙ্গে এমনটা অনেকবার হয়েছে। একজন নারী হওয়া এবং প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমায় কাজ করা বেশ কঠিন কাজ। যখন কিনা সমাজ আক্ষরিক অর্থে কঠোর হয়। সামাজিকমাধ্যমে প্রায় দুই লাখেরও বেশি অনুসারী ছিল থাইনার। তিনি যেসব প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন, সেসব প্রতিষ্ঠান এই তারকার মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছে।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়