• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কুমিল্লায় ক্ষতিকর স্কিন ক্রিমের বিষয়ে বিএসটিআই’র সচেতনতামূলক অভিযান 
  কুমিল্লা জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেটে ক্ষতিকর ত্বক ফর্সাকারী স্কিন ক্রিমের বিষয়ে সচেতনতামূলক সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবর (২৮ মার্চ) জেলার নিউমার্কেট, কান্দিরপাড়, আদর্শ সদরে বিএসটিআই কর্তৃক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  অভিযানে মার্কেটের ১৬টি কসমেটিক দোকানে বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত স্কিন ক্রিমসমূহের তালিকা, ক্ষতির কারণ ও নেতিবাচক প্রভাব সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।  অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের অফিস প্রধান ও উপপরিচালক (সিএম) কে এম হানিফ। এ সময় উপস্থিত  ছিলেন বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের ফিল্ড অফিসার আফছানা হোসেন, ইকবাল আহাম্মদ ও কাজী মো. শাহান। জানা গেছে, জনস্বার্থে বিএসটিআইয়ের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২২:০৩

ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার, মিষ্টি কানন সুইটসকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
ময়মনসিংহ নগরীর দুর্গবাড়ী রোড এলাকায় মিষ্টা কাননের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় মিষ্টি তৈরিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারসহ নানা অসঙ্গতি পাওয়ায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসীর হাসান এই অভিযান পরিচালনা করেন।   জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মির্জা শাহরান হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মিষ্টি কানন সুইটস কারখানাতে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায় তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করছে। এ সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তাদের তৈরী মিষ্টিতে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কাপড়ে দেওয়ার রং ব্যবহারসহ নানা ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এই জরিমানা আদায় করে।   তিনি আরও জানান, খাদ্য তৈরী ও বিপননে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। আগামী রমজান মাসজুড়ে এই অভিযান চলমান থাকবে। অভিযানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাবৃন্দসহ র‌্যাব-১৪ এর কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০

ট্রাফিকের হাতে ক্ষতিকর লেজার লাইট, বাড়ছে দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা  
সন্ধ্যা নামতেই প্রতিদিন ময়মনসিংহ নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ে সবুজ রঙের ক্ষতিকর আলোকরশ্মি। যানজট নিয়ন্ত্রণে এই আলোকরশ্মির ব্যবহার করছে খোদ ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সদস্যরা। এতে ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক সদস্যদের সুবিধা হলেও দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও যান চালকদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলে।   সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ট্রাফিক মোড়, নতুন বাজার, পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়, রহমতপুর বাইপাস, মাসকান্দা বাইপাস মোড়সহ নগরীর সড়ক ও মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যা নামতেই ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর লেজার লাইট। অথচ এই লাইট ব্যবহারে রয়েছে আইনগত বিধিনিষেধ। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত খোদ পুলিশ সদস্যরাই মানছে না এই বিধিনিষেধ। ফলে পুলিশের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে পাড়া-মহল্লার শিশু-কিশোরদের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ক্ষতিকর লেজার লাইট। প্রকাশ্যে খোলা বাজারে বিক্রিও হচ্ছে নগরীর অলিগলি বা মেলার স্টলগুলোতে। যা ব্যবহারে মনের অজান্তেই নীরবে ক্ষতি করে চলছে মানুষের দৃষ্টি শক্তির।       এ নিয়ে নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ও পাটগুদাম এলাকায় কথা হয় কয়েকজন অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে। অটোরিকশাচালক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক পুলিশের লেজার লাইট চোখে পড়লে কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। এরপর চোখ স্বাভাবিক হলেও অস্বস্তি লাগে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। মোশারফ হোসেন নামে অপর এক অটোরিকশাচালক বলেন, এই লাইটের আলো চোখে পড়লে খুব খারাপ লাগে। কিন্তু এইটা ক্ষতিকর কি না, তা আমি জানি না। তবে চোখ অনেক সমস্যা করে, আমি নিজেই এর প্রমাণ পেয়েছি।     এ সময় মোটরসাইকেলচালক ও বেসরকারি চাকরীজীবী তানভীর আহম্মেদ বলেন, লেজারের আলো চোখে পড়লে গাড়ির ব্রেক না কষে কোনো উপায় নেই, তখন চোখে আর কিছু দেখা যায় না। এতে হঠাৎ করে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। তাছাড়া লেজারের আলো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই আমি জানি কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ ব্যবহার করলে আমাদের কিছু বলার থাকে না।   একই ধরনের মতামত দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মো. ফেরদৌস হাসান।   তিনি বলেন, লেজারের আলোকরশ্মি চোখের রেটিনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে চোখের ম্যাকুলা বার্ন হয়। ফলে চোখে কম দেখাসহ স্থায়ী অন্ধত্বের শঙ্কা রয়েছে। কেউ উদ্দেশ্য করে এই আলোকরশ্মি চোখে মারলে চোখ ডেমিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই লেজার লাইট ব্যবহারে সতর্কতা অপরিহার্য।       একই বক্তব্য মমেক হাসপাতালের একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞের। তাদের ভাষ্য লেজার লাইটের আলো চোখে এসে পড়লে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। যা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। এতে অনেক সময় চোখ জ্বালাপোড়াসহ স্থায়ী অন্ধত্বের ঝুঁকি তৈরি হয়।   এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (যানবাহন) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, লেজার ব্যবহারের কারণে পথচারী ও যান চালকদের ক্ষতি হয়। তাই এক সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে লেজার লাইট ব্যবহার করা হলেও এখন করা হয় না। অনেক আগেই লেজার ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও যদি কিছু থাকে সেগুলোও অতি দ্রুত ক্লোজ করা হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৫

বাংলাদেশে সীসার ক্ষতিকর প্রভাব জরিপে যুক্তরাষ্ট্র
সীসার বিষক্রিয়ায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রতি দুই শিশুর একজন আক্রান্ত হয় এই বিষক্রিয়ায়। এ নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের রক্তে সীসার মাত্রা পরীক্ষা করা হবে। এ জন্য ১.১ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে মার্কিন একটি সংস্থা। সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম চলাকালে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সামান্থা পাওয়ার এ ঘোষণা দেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক মিডিয়া নোটে এ ঘোষণার কথা জানায়।  বাংলাদেশে ইউএসএআইডি এর মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান বলেন, সীসার সংস্পর্শ বাংলাদেশের শিশুদের কতটা আক্রান্ত করে তা পরিমাপ করা এবং সারাদেশে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের এ বিষাক্ত পদার্থ থেকে রক্ষার পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সীসার বিষক্রিয়ায় প্রতি বছর কমপক্ষে ১.৬ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়, যা এইচআইভি এবং ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর চেয়েও বেশি। এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে। সীসা একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন, কোনও মাত্রাতেই এর সংস্পর্শে আসা নিরাপদ নয়। সীসার বিষক্রিয়া মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, শিক্ষা অর্জনকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভবিষ্যতের উৎপাদনশীলতা কমাতে পারে। ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষাগত ব্যবধান এক পঞ্চমাংশ বাড়াতে ও বিশ্ব অর্থনীতি কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে সীসার সংস্পর্শে আসার কারণে। তা সত্ত্বেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সীসা প্রশমনের প্রচেষ্টায় দাতাদের অর্থায়নের পরিমাণ প্রতি বছর প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলো যাতে রং, মশলা এবং প্রসাধনীর মতো ভোগ্যপণ্যে সীসার ব্যবহার কমাতে বাধ্যতামূলক নীতি প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে পারে, তার সমর্থনে একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগের পরামর্শ দেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাওয়ার। শুধু এই পদক্ষেপগুলোই প্রতি বছর বাঁচাতে পারে কয়েক হাজার জীবন, প্রতিরোধ করতে পারে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতা এবং লাখ লাখ শিশুর শিক্ষাগত ফলাফল উন্নত করতে পারে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভোগ্যপণ্য থেকে সীসা অপসারণের ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা ব্যয় সাশ্রয়ী ও সীমিত তহবিল দিয়ে অনেক জীবন বাঁচানোর একটি বড় সুযোগকে প্রতিফলিত করে। এ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাওয়ার আরও ঘোষণা করে যে ইউএসএআইডি সীসাযুক্ত রং নির্মূল করার জন্য বৈশ্বিক জোটে যোগ দেবে। এ জোটের অংশীদারিত্ব প্রায় ৪০টি দেশে সীসাযুক্ত রঙের ওপর আইনত বাধ্যতামূলক নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করছে। ইউএসএআইডি এই জোটে যোগদানকারী প্রথম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা, যেখানে এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সরকারি সংস্থার সদস্য যেমন ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এবং এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি (ইপিএ) এর অংশীদার হবে। ইউএসএআইডি-এর প্রচেষ্টাগুলো সীসামুক্ত ভবিষ্যতের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্রে এবং সারাবিশ্বের সব মানুষকে সীসার সংস্পর্শ থেকে রক্ষা করা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকার।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১২

ক্ষতিকর ৯টি অ্যাপস নিয়ে গুগলের সতর্কবার্তা
ক্ষতিকর অন্তত ৯টি অ্যাপস প্লে স্টোর থেকে অপসারণ করেছে গুগল।  এগুলোর বেশিরভাগ ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন পরিচালনা অ্যাপস। আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কোনো ধরনের ক্রিপ্টো অ্যাপ ব্যবহার করে থাকলে এসব অপসারণ করা উচিত। না হলে স্মার্টফোন বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে বলছে গুগল। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনে একের পর এক বিপত্তি ও কেলেঙ্কারি ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে গুগল তাদের স্টোর থেকে এসব  ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ অপসারণের সিদ্ধান্ত নিলো।  গুগল যেসব অ্যাপস ডিলিট করেছে বাইন্যান্স (Binance) বিটফেনেক্স (Bitfenex) কুকয়েন (Kucoin) হুওবি (Huobi) ক্রাকেন (Kraken) গেট.আইও (Gate.io বিট্রেক্স (Bittrex) বিটস্ট্যাম্প (Bitstamp) এমইএক্সসি গ্লোবাল (MEXC Global) গুগল বলছে, এসব অ্যাপস অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং রেগুলেশন লঙ্ঘন করেছে, তাই তাদের স্টোর থেকে এসব ডিলিট করা হয়েছে। এছাড়া  এসব অ্যাপসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, এগুলো গ্রাহকদের তথ্য চুরিরও অভিযোগ রয়েছে।  তাই ফোনের নিরাপত্তা হিসেবে আপনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হলে  এবং  এই ৯টি অ্যাপসের মধ্যে  কোনো একটি থাকলেও এখনই আনইনস্টল করা উচিত।  ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একটি ডিজিটাল মুদ্রা, যা এনক্রিপশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি অর্থপ্রদানের একটি বিকল্প পদ্ধতি। ক্রিপ্টোকারেন্সি, ভার্চুয়াল কারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি নামেও পরিচিত। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩০

ক্ষতিকর উপাদানের বাহক বিট লবণ
কমবেশি সবারই প্রিয় খাবারের তালিকায় দেখা যায় চাটনি, সালাদ, বোরহানি, ফুচকার নাম। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, এ খাবারগুলোর সঙ্গে আপনার দেহে যাচ্ছে ভয়াবহ টক্সিক উপাদান। হ্যাঁ, এসব খাবারে দেওয়া বিট লবণই এই ক্ষতিকর উপাদানটি বহন করছে। বিট লবণ-  বিট লবণ এক ধরনের খনিজ লবণ, যা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের হিমালয়ের আশপাশের লবণসমৃদ্ধ মাটির নিচ থেকে পাথর আকারে উত্তোলন করা হয়। এই লবণ মূলত সোডিয়াম ক্লোরাইড ও অল্প সোডিয়াম সালফেট, সোডিয়াম বাইসালফেট, সোডিয়াম সালফাইড, আয়রন সালফাইড এবং হাইড্রোজেন সালফাইডের অপদ্রব্য দিয়ে তৈরি। বিট লবণের নোনতা স্বাদটি সোডিয়াম ক্লোরাইড থেকে আসে। আয়রন সালফাইডের উপস্থিতির কারণে লবণটি গাঢ় বেগুনি রঙের হয়। সালফারের মিশ্রণগুলো বিট লবণের সুস্বাদের পাশাপাশি একটি অতি বৈশিষ্ট্যসূচক গন্ধ দেয়। পচা ডিম ও নষ্ট দুধের গন্ধের জন্য হাইড্রোজেন সালফাইড মূলত দায়ী। আম্লিক বাইসালফেট বা বাইসালফাইটগুলো একটি হালকা টক স্বাদ দেয়। বিট লবণ আমাদের দেশে মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার রন্ধনপ্রণালিতে বিট লবণ খুব পরিচিত নাম। এটি কালো লবণ বা সুলেমানি লবণ নামেও পরিচিত। চাটনি, সালাদ, ফল, জুস, বোরহানি, ফুচকাসহ প্রায় সব ধরনের ভারতীয় ও চাইনিজ খাবারে বিট লবণ যোগ করা হয়। খাবারকে চটজলদি সুস্বাদু করলেও বিট লবণের রয়েছে নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব, যা অনেকেরই অজানা। বিট লবণের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ফেরিক অক্সাইড, ফেরাস সালফেট ও ফ্লুরাইড ইত্যাদি। অনেকের ধারণা, সাধারণ লবণের চেয়ে বিট লবণে সোডিয়াম কম থাকে বলে তা হয়তো উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও শরীরের পক্ষে ততটা ক্ষতিকর নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, যে সব লবণে সোডিয়াম কম থাকে, সেগুলোতে আবার পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। পাটাশিয়াম (Potassium) শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। তবে যে কোনও খনিজই শরীরে বেশি মাত্রায় জমতে থাকলে সমস্যা বাড়ে। শরীরে পটাশিয়াম বেশি গেলে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে। তাই কিডনির সমস্যা (Kidney problem) থাকলে কম সোডিয়াম দেওয়া লবণ না খাওয়াই ভালো। ফ্লুরাইড ও বিট লবণ-  বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিট লবণে প্রায়  প্রতি মিলিয়নে রয়েছে আড়াইশ শতাংশ পরিমাণ ফ্লুরাইড। এটি পটাশিয়াম বা সোডিয়াম যেকোনো ফ্লুরাইড হতে পারে। যা প্রচুর টক্সিন সমৃদ্ধ। ৪.৯ গ্রাম অর্থাৎ, প্রতি চা চামচ বিট লবণে রয়েছে ০.৫৬ গ্রাম ফ্ল‍ুরাইড। ফ্লুরাইড থাইরয়েড গ্রন্থি, হাড়, জয়েন্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এটি এমন একটি উপাদান যা সীসা, পারদ ও রেডন গ্যাসের (radon gas) মতোই বিষাক্ত। ফ্লুরাইড কি- দাঁত ও হাড়ের গঠনে ফ্লুরাইড প্রয়োজনীয় উপাদান। মানবদেহে ফ্লুরাইডের সহনীয় মাত্রা ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম। কিন্তু তা যদি ৪ মিলিগ্রামের ওপরে চলে যায় তাহলে তা বিষে পরিণত হয়। খাবার পানিতেও ফ্লুরাইড রয়েছে। এক লিটার পানিতে ০.৫ থেকে ১.০ মিলিগ্রাম ফ্লুরাইড থাকে। এর বেশি মাত্রায় থাকলে তা দূষণ পর্যায়ে চলে যায়। শরীরে ফ্লুরাইডের অতিরিক্ত মাত্রা ফ্লুরোসিস নামের রোগ তৈরি করে। ফলে ওজন হ্রাস পায়, ত্বকে প্রদাহ দেখা দেয়, দাঁতের ক্ষতি হয় ও চুল পড়া থেকে শুরু করে নানা সমস্যা দেখা দেয়।  ভারতের দিল্লির ফ্লুরোসিস গবেষণা ও পল্লী উন্নয়ন ফাইন্ডেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে বিট লবণ খাওয়ায় ভারতে ফ্লুরাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ৬৬ মিলিয়নেরও বেশি। এই গবেষণার পর প্রতিষ্ঠানটি বিট লবণ ও বিট লবণ দিয়ে তৈরি স্ন্যাকস বা আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ২.৩ গ্রামের কম ও পঞ্চাশোর্ধ্বদের ১.৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে লবণে যদি ফ্লুরাইড থাকে তাহলে তা হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা সৃষ্টি করে, রক্তস্বল্পতা, রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি ও পাকস্থলির ঝিল্লির ক্ষতি করতে পারে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৯

শীতে ক্ষতিকর হতে পারে রুম হিটার
দেশজুড়ে হাড় কাঁপানো শীত। এ সময় উষ্ণতা পেতে মানুষ প্রায়ই রুম হিটার ব্যবহার করে। অনেকে রাতে এটি চালিয়ে ঘুমান, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। রুম হিটার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ১. স্বাস্থ্যের ওপর রুম হিটারের প্রভাব শীতকালে বাতাস এমনিতেই শুষ্ক থাকে। স্পেস হিটারগুলো বাতাসের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। ফলে যাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা আছে কিংবা হাঁপানির রোগে ভুগছেন, তাদের স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক নয়। সারারাত বদ্ধ ঘরের মধ্যে রুম হিটার ব্লোয়ার চালিয়ে রাখলে কার্বন-ডাই-মনোক্সাইড (CO) উৎপন্ন হতে পারে, যা শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমনকি ঘুমের মধ্যে মৃত্যুও হতে পারে। কারণ কার্বন মনোক্সাইড রক্তের অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তাপের ক্রমাগত প্রভাবের ফলে ত্বকে ক্ষতি সৃষ্টি হতে পারে। শুষ্কতা, চুলকানি, টোস্টেট স্কিন সিনড্রোম ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে জটিলতা তৈরি করতে পারে।  গরম জায়গা থেকে ঠান্ডা জায়গা যাওয়ার সময় তাপমাত্রার হঠাৎ ওঠানামা করে। তাতে ইমিউন সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ২. রুম হিটার ঘরে রাখলে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন রুম হিটার থেকে সব দাহ্য পদার্থ দূরে রাখুন। কারণ অবিরাম তাপের উৎসের কারণে সেগুলো থেকে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। রুম বা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় রুম হিটারের সুইচ বন্ধ করুন। কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে এটিকে আনপ্লাগ করুন। রুম হিটারগুলোকে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। উচ্চস্থানে রেখে বা ব্যবহার না করার সময় তালাবদ্ধ করে রাখুন। ৩. যা করবেন না কাপড় দিয়ে রুম হিটার ঢেকে রাখবেন না। কাপড় লেগে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। পানির পাশাপাশি রাখবেন না। কারণ এটি একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস।  আপনার রুম হিটারগুলো কোনো উঁচু জায়গায় প্লাগ করতে যাবেন না। কারণ এটি ঠিক করে না রাখলে পড়ে গিয়ে আগুন ধরে যেতে পারে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৯

বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর : জয়
পরিবহনের অগ্নিসংযোগ ও ট্রেন লাইনচ্যুত করে বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের নেতৃত্ব দেওয়া সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক স্ট্যাটাসে তিনি এই কথা বলেন।     সংবাদমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় চারশোর বেশি ক্রুড বোমা সরবরাহ করেছেন মুকিত ওরফে মাওলানা।  নির্বাচন বানচাল ও ভোটারদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে দলটি এসব কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উপড়ে ফেলা বিএনপির তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য বলেও উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ। গত ২০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে আটক হয়েছেন মুকিত ওরফে মাওলানা। তাকে কারা এ হামলা করতে বলেছিল সেসব তিনি জানিয়েছেন।  যদিও এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিজেদের কর্মীরা জড়িত নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে বিএনপি নেতা রিজভী এক টুইটে দাবি করেন, এসব সহিংসতায় তাদের দলের নেতাকর্মী জড়িত নয়। সজীব ওয়াজেদ লিখেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও অন্যরা বিশ্বকে বোকা বানাতে প্রতিদিন অস্বীকারের নাটক মঞ্চস্থ করছেন।  রিজভী বাসে হামলায় বিএনপি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও সংবাদমাধ্যমে রিজভীর নেতৃত্বে ৩০ জনেরও কম নেতাকর্মীর মিছিল থেকে চলন্ত বাসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।  রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা রিজভীর মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন। How BNP Senior Leaders Hired Professional Bomb Makers to Inflict Violence and Intimidate Voters What the world should know about @bdbnp78 @BJI_Official combine efforts in undermining pre-polls climate. This video includes some evidences published in several #Bangladeshi… pic.twitter.com/MCegXGhdaQ— Sajeeb Wazed (@sajeebwazed) December 31, 2023   নিজের ভেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে সজীব ওয়াজেদ লিখেন, মুকিতকে কারা নিয়োগ করেছে, তার সঙ্গে কাদের সখ্যতা সেটি এখানে দেখা গেছে। বিএনপি নেতৃত্বের মিথ্যাচারেরও প্রমাণ এটি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য এই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিকর মনে করবে কি না বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি। এর আগে, ঢাকায় বিস্ফোরক দ্রব্যসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই কর্মী আটক হলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কোনো প্রতিক্রিয়া না আসায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সজীব ওয়াজেদ।  রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা বিএনপির নেতৃত্বের ঘুষ, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ প্রশ্রয় দেওয়া এবং রাজনৈতিক বিরোধী নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করা দলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়