• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
৬০ সেকেন্ড পার হলেই জরিমানা, ক্রিকেটের নতুন আইন
প্রায়ই নতুন নতুন আইন চালু করছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-আইসিসি। কয়েকদিন আগেই ‘স্টপ ক্লক’ আইন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি। এতদিন পরীক্ষামূলকভাবেই চলেছে আইনটি।  ২০২৩ সালের নভেম্বরে সংস্থাটি জানিয়েছিল, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ‘স্টপ ক্লক’ পদ্ধতি চলবে।  এবার আইসিসি জানিয়েছে, চলতি বছরের জুনে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে ‘স্টপ ক্লক’ আইনটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্থায়ী করা হবে। এক প্রতিবেদনে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, নিয়মটি ক্রিকেটের সাধারণ প্লেয়িং কন্ডিশনেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শুরুর দিকে সাদা বলের ক্রিকেটে অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ম চালু করা হবে। সময় মতো ম্যাচ শেষ করতেই এই নিয়মটি চালু করা হচ্ছে। প্রতি ওভার শেষে নতুন ওভার শুরুর আগে ৬০ সেকেন্ড সময় পাবে ফিল্ডিং দল। অর্থাৎ এই সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন ওভার শুরু করতে হবে। আর নিয়মভঙ্গের কারণে পেনাল্টির ব্যবস্থা থাকছে।  দুইবার ফিল্ডিং দলকে সতর্ক করবেন ফিল্ড আম্পায়ার। আর তৃতীয়বার এই নিয়ম ভাঙলে ৫ রান জরিমানা করা হবে। তৃতীয়বার থেকে প্রতিবার প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করা হবে। ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে ৬০ সেকেন্ডের টাইমার চালু করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। তবে ব্যাটার, ডিআরএস কিংবা কোনো কারণে এই নিয়মে ব্যত্যয় ঘটলে ফিল্ড আম্পায়ার চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করবেন। ক্রিকবাজ জানিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে ফল পাওয়ায় নিয়মটি চালু করতে যাচ্ছে আইসিসি। সাদা বলের প্রতিটি ম্যাচেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৫

টেস্ট ক্রিকেটের ‘দুর্দশার’ জন্য যাকে দায়ী করলেন ডি ভিলিয়ার্স
ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজটি দুই ম্যাচে শেষ হওয়ার কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। টেস্ট ক্রিকেটের এমন দুর্দশার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে দায়ী করেছেন তিনি। সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে কেপটাউনে নাটকীয় এক টেস্ট ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। দুই দিনে শেষ হওয়া এই টেস্টে ৭ উইকেটের ব্যবধানে জিতে সিরিজ ভাগাভাগি করেছে ভারত। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত ডি ভিলিয়ার্স বলেন, তৃতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আমি খুশি নয়। এর জন্য আইসিসি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ও শিডিউলকে আপনার অবশ্যই দায়ী করতে হবে। আমি জানি না আসলে কাকে দোষারোপ করব।  ‘কিন্তু আমি বুঝতে পারছি, এখানে ভুল কিছু ঘটছে। আপনি যদি সবগুলো দলকে প্রতিযোগিতায় নামাতে চান এবং সেরা দলকে বাছাই করে নিতে চান, তাহলে অবশ্যই কিছু জিনিসে পরিবর্তন আনতে হবে।’ এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ৭ নতুন মুখ নিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার জন্য দলের মূল ক্রিকেটাররাই নেয়। এ ছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা নেইল ব্রান্ডকে অধিনায়ক করেছে প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের এমন সিদ্ধান্তে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এমন সমস্যা সমাধানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বনিম্ন তিন ম্যাচের সিরিজ বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিক হকলি। এ বিষয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড ঘোষণা ক্রিকেটবিশ্বকে একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। যা দ্বারা প্রমাণ হয়েছে ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেট আসলেই চাপে আছে। সবকিছু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে নিয়ে আবর্তিত হচ্ছে। খেলোয়াড়, বোর্ড এবং কোচ যেদিকে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবে, সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছে। আপনি তাদের ভবিষ্যৎ এবং পরিবার নিয়ে ভাবনাকে কোনোভাবেই দোষারোপ করতে পারেন না।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়