• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেট্রোরেলে সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুটের ক্যান্টিন ভাড়া মাত্র ১ হাজার টাকা!
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের স্টাফ ক্যান্টিন মাসিক এক হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নামমাত্র মূল্যে এত অল্প টাকায় ক্যান্টিন ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানান সমালোচনা। গত ১৪ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায় এ তথ্য।  যেখানে দেখা যায়, ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভাড়া হিসেবে মাসিক এক হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত সর্বমোট ১২ হাজার টাকা মূল্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দাখিলকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজের দরপত্রটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। এই নোটিশ জারি করার সাত দিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত রয়েছেন মর্মে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান করা হয় ডিএমটিসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে।  এ ছাড়াও কার্য সম্পাদন জামানত হিসেবে তিন লাখ টাকা আগামী ২৮ মার্চ জমা দিতে বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৭

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় / ৫ বছর ধরে টাকা না দিয়ে খাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা
খাবারে তেলাপোকা ও মাছি ফেলে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে গত ৫ বছর ধরে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে টাকা না দিয়ে খাবার খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া হলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে গত তিন মাস ধরে ডাইনিং থেকে দুপুর-রাত দুবেলা টাকা ছাড়াই খাবার খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই হলের আরেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলেন হবিবুর রহমান হল ক্যান্টিনের মালিক মো. আলতাফ হোসেন ও একই হলের ডাইনিং কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তরা হলেন, হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও হলের বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।  অভিযুক্ত আরেক ছাত্রলীগ নেতা সোহান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হবিবুর রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। সোহান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী। এ বিষয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন মালিক আলতাফ হোসেন বলেন, হলে ওঠার পর থেকে আমার ক্যান্টিনে বাকি খাচ্ছে মিনহাজ। বাকির টাকা লিখতে লিখতে হতাশ হয়ে গেছি আমি; তাই এখন আর তার বাকির টাকা লেখিনা। একবার টাকা চেয়েছিলাম বিধায় হুমকি দিয়েছিল তেলাপোকা ও মাছি মেরে খাবারে দিয়ে দিবে। এরপর থেকে আর টাকা চাইনি আমি। প্রভোস্টদের জানিয়েও সমাধান পাইনি; তারা শুধু বাকি দিতে মানা করেন। আমি শারীরিকভাবে হার্টের রোগী, আমার শরীরে তিনটি রিং বসানো হয়েছে, প্রতিদিন অনেক টাকার ওষুধ লাগে—এসব বিষয় বলার পরেও তারা কোনো কেয়ার করে না। হবিবুর রহমান হলের ডাইনিং কর্মচারি আব্দুস সামাদ, জামাল উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন নিপু, আলাউদ্দিন, শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, প্রায় তিনমাস ধরে প্রতিদিন দুজনকে চারটা খাবার পাঠান তারা। খুব কষ্টে ক্যান্টিন চালানোর পর আর এভাবে পারছেন না ডাইনিং কর্মচারীরা। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত যে ভর্তা শাক থাকে সেগুলো তাদেরকে দিতে হয়। এমন চলতে থাকলে নিজেরা মারা যাবেন বলে জানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। টাকা না দিয়ে খাবার খাওয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ক্যান্টিনে আমার এতো টাকা বাকি নেই। বাকি খাচ্ছি এবং মাঝে মাঝে টাকা পরিশোধও করছি। তিন-চারশত টাকা হয়তো বাকি থাকতে পারে। ডাইনিং থেকে কখন আমার রুমে খাবার আসে বিষয়টি আমার জানা নেই। আরেক অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহান আহমেদ বলেন, এমন অভিযোগ দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার রুমে কোনো ধরনের খাবার আসে না। এসব অভিযোগ এনে ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আমার সামনের ক্যারিয়ারকে নষ্ট করতে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা গতকাল রাতে বসেছিলাম। আমরা উভয়পক্ষকে ডেকে এটার সমাধান করে দিয়েছি। কিছু টাকা বাকি ছিল, সেটা আমরা দিয়ে দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বাকি খাওয়ায় ঘটনায় মিনহাজের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, এক দুই হাজার টাকা একটা হলের ছেলে বাকি খেতেই পারে। আমি সেটার সমাধান করে দিয়েছি। সোহানের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, আমি তার কাছে জেনেছি সে একজন প্রতিবন্ধী আর সাংবাদিকতার এক শিক্ষার্থীর জন্য এটার ব্যবস্থা করেছে। আমি সেটা হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বসে লিখিত আকারে করতে বলেছি। তবে টাকা না দিয়ে খাবার নিয়ে প্রতিবন্ধী ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীকে খাওয়ানোর বিষয়টি অবগত নন বলে জানান হবিবুর রহমান হল ডাইনিংয়ের প্রধান বাবুর্চি আব্দুস সামাদ। শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শরীফুল ইসলাম বলেন, ডাইনিং ও ক্যান্টিনের কর্মচারীরা এ বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি তাদেরকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বাকি বা ফ্রিতে খাবার দিতে নিষেধ করে দিয়েছি। তবুও কেন তাদেরকে তারা বাকি বা ফ্রিতে খাবার দিয়ে থাকে সেটা আমি জানি না।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

‘শিক্ষার্থীরা চাইলে হাবিপ্রবির হলের ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে’
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি-২ হলের ক্যান্টিন দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় হল সুপার প্রফেসর ড. মো রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যান্টিনের দায়িত্ব নিজেরাই নিতে পারে। ক্যান্টিন পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও আমরা লোক খুঁজছি ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য।  এ দিকে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হলে অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাওনের সঙ্গে। তিনি বলেন, হলে উঠার সময় ক্যান্টিনটি জাঁকজমকভাবে চলতে দেখা গেলেও গত কয়েকমাস যাবত সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ রয়েছে ক্যান্টিনটি। প্রয়োজনের সময়ও আমাদের অন্য হলের ক্যান্টিনে যেতে হয়। শীতের রাতে আবার বাঁশেরহাটও যেতে হয় ।  রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চয়ন রায় বলেন, ডরমেটরি-২ হল হাবিপ্রবির অন্যতম একটা হল। যেখানে সর্বাধিক সংখ্যক ছাত্র অবস্থান করেন। এই বড় হলের ক্যান্টিন সর্বদায় বন্ধ থাকে। রাতে এবং সকালে নাস্তার প্রয়োজনে হলের বাহিরে যেতে হয়, যেটা অনেকটা বিরক্তিকর। মানসম্মত খাবার যেখানে প্রয়োজন সেখানে ক্যান্টিন সবর্দাই বন্ধ থাকে। খুব শিগগিরই এটার সমাধান হওয়া উচিত। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।ডরমেটরি-২ হলের ক্যান্টিন পরিচালনায় যারা দায়িত্ব নিয়েছিল কেউ স্থায়ী ছিল না। প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীদের একটি মাত্র ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় প্রায় সময়ই ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিন বন্ধের বিষয়ে ডরমেটরি-২ হলের হল সুপার আরও বলেন, কিছু ছাত্রের বিরূপ আচরণের জন্য ক্যান্টিনের দায়িত্বরত লোক ক্যান্টিন বন্ধ করে চলে যান। তারপর থেকেই ক্যান্টিনটি বন্ধ রয়েছে। আমরা লোক খুঁজছি এক্ষেত্রে ছাত্রদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়