• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সম্পর্ক জোরদারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। বৈঠকে দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। বুধবার (২০ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনু‌ষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়াদি, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, কোরিয়া পরিচালিত প্রকল্প, চুক্তি, প্রযুক্তি বিনিময় নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা হয়। এ সময় প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি পণ্যকে অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশের অনুমতি ও দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি দেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বর্ণনা করে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানান তিনি। ড. হাছান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (ইপিএ) মতো দ্বিপাক্ষিক উপকরণকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ‘এলডিসি’ থেকে উত্তরণের পর ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও এর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা কোইকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে আলোচনায় কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) স্কিমের অধীনে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য কোটা বাড়ানোয় ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, ভাষা শেখার সমস্যার কারণে বাংলাদেশ গত বছর ১০ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ করতে পারেনি। তবে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়টির সমাধানকল্পে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দুটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) মনোনীত করেছে, যেখানে কোরিয়ার প্রশিক্ষকরা ভাষা ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। পাশাপাশি ম্যান-মেইড ফাইবার, দক্ষতা, প্রযুক্তি বিনিময়, দ্বৈত কর পরিহার, বিমান পরিষেবা চুক্তির সংশোধন, উচ্চ-পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সফর এবং সরাসরি ও যৌথ  বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত।   
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়