• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মাত্র ৭১ দিনে কোরআন মুখস্থ করে আলোচনায় ৯ বছরের নাফিস
পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ৯ বছর বয়সী আবীর ইসলাম নাফিস। এই বয়সে তার কোরআন মুখস্থ করতে সময় লেগেছে মাত্র ৭১ দিন। নাফিস চলতি বছরের ১ জানুয়ারি হতে হেফজ পড়া শুরু করে। সকাল ও বিকেলে দুজন হুজুরের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে থাকে। সর্বশেষ ৭১ দিন পর মার্চের ১১ তারিখে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে সে। আবীর ইসলাম নাফিস টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের উত্তর বিলডগা গ্রামের নজরুল ইসলাম ও নাসিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। তাদের ঘরে আরও দুজন ছেলে সন্তান রয়েছে। ভাইদের মধ্যে নাফিস মেঝো। নাফিসের বাবা নজরুল ইসলাম উপজেলার নলীনের নঈম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা মোছা. নাসিমা আক্তার গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক। জানা যায়, অত্যন্ত মেধাবী নাফিস ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জামতৈল দারুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে ১৬ দিনে নাজেরা সম্পন্ন করেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে সেখানেই হেফজ পড়া শুরু করে। ১৫ দিন মাদ্রাসায় থেকে পড়াশুনা করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়। এরপর বাড়ির একটি কক্ষে বসে পুনরায় হেফজ পড়া শুরু করে নাফিস। জামতৈল দারুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা জোবায়ের হোসাইন এবং গোপালপুর পৌরসভার বারিধারা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতী মাসুদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে নাফিসদের বাসাতেই শুরু হয় হেফজ পড়া। এতে সকাল ও বিকাল ওই দুইজন হুজুর নাফিসের পড়াশুনার দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১১ মার্চ প্রথম রমজানের দিন ৩০ পারা পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করে হেফজ সম্পন্ন করে নাফিস। নূরানী মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবীর ইসলাম নাফিস ২০২৩ সালে নূরানী তা'লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রামের অধীনে ৩য় শ্রেণির পরীক্ষায় সারাদেশের ৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ম স্থানে উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির নূরানি বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্ত। নাফিসের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ছেলের ইচ্ছেতেই এবং আমরা তাকে সার্বিক সহায়তা করার কারণে অল্পদিনেই হাফেজ হয়েছে। ১৫দিন পর অসুস্থ হওয়ায় বাড়িতে চলে আসে সে। এরপর সুস্থ হওয়ার পর বাড়িতেই দুজন হুজুরের তত্ত্বাবধানে পড়াশুনা শুরু হয়। ৭১ দিনে সে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:০৯

আমার ছেলে গান না শিখে কোরআন শিখেছে : খালিদের স্ত্রী
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট কণ্ঠশিল্পী খালিদ সবাইকে কাঁদিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তার নিথর দেহ যখন হাসপাতালে পড়ে আছে তখন তার কিশোর সন্তান জুয়াইফা আরিফ যুক্তরাষ্ট্রে নিজের স্কুলে। সেখানে বসেই পান বাবার মৃত্যু সংবাদ। এরপর তিনিও বাবাকে নিয়ে দেন একটি ভিডিও বার্তা।  একজন সাংবাদিক ও উপস্থাপকের  মাধ্যমে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তা দেন জুয়াইফা আরিফ। সেই ভিডিওতে সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন, আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন। এদিকে ওই ভিডিও বার্তায় তবে খালিদপুত্র ছিলেন স্বাভাবিক। পিতার মৃত্যুর পর তার এই স্বাভাবিক আচরণ নেটিজেনদের অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। কেউ কেউ করেছেন সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন গায়কের স্ত্রী শামীমা জামান। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমি আর আমার ছেলে রোবট। আমরা কাঁদব না। তাতে তোদের কীরে সমাজ? এর আগে তিনি লিখেছিলেন, এই ছেলে ১২ বছর বয়স থেকে নামাজ পড়ে, মাশাআল্লাহ, এই ছেলের গানের গলা থাকা সত্ত্বেও গান না শিখে কোরআন শিখেছে। এই ছেলে বাবাকে নামাজ পড়তে বলতে বলতে হতাশ হয়েছে। সে তার অসুস্থ মায়ের সেবা করেছে ৭ মাস, রাত ৪টা পর্যন্ত বায়েজিদ বোস্তামির মতো দাঁড়িয়ে থেকে। ছেলে তার মায়ের মৃত্যুর অপেক্ষায় একা একটি বাসায় কাটিয়েছে। এরপর তিনি লেখেন, এই ছেলে তার আল্লাহর হুকুম পালন করতে আমেরিকান মেয়েদের আহ্বান সত্ত্বেও একটা প্রেম করেনি। এই ছেলে তেমন বন্ধু হয় না যখন সে দেখে বন্ধুগুলো গাজা খায়। এই ছেলে প্রতিটি কাজে আগে আল্লাহর বিধান কি জেনে নেয়, আমেরিকার স্কুলের হারাম চিকেন দেখলে না খেয়ে থাকে তবু হারাম পেটে দেয় না, এই ছেলেকে তার বাবার টাকা দিতে হয় না, তার মা তার জন্য যথেষ্ট উপার্জন করে। তার বাবার চিন্তা এই ছেলেকে নিয়ে নয় যতটা, তার গান আর ভক্ত শিষ্যদের নিয়ে। তাই খুব খেয়াল করে আমার ছেলেকে নিয়ে না জেনে একটা খারাপ কথা উচ্চারণ করলে ওপর আল্লাহ তার বিচার করবেন। সবশেষে শামীমা লিখেছিলেন, আরিক স্কুল থেকে এসে বুঝতেও পারছে না আসলে কি ঘটে গেছে, ও স্মার্ট তো তাই হঠাৎ করে খ্যাত হয়ে কীভাবে কথা বলবে? যত্তসব। আর সানগ্লাস? উন্নত দেশে কান্না লুকাতেও সানগ্লাস পরে মানুষ। শুধু সাংবাদিক তানভীর তারেকের অনুরোধে ও এই কথাগুলো বলতে রাজি হয়েছে। বড়দের সম্মান করে বলে, নয়তো মিডিয়ায় কথা বলতে বা কাজ করতে ও পছন্দ করে না। প্রসঙ্গত, ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন খালিদ। সেসময় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান খালিদ চলে গেছেন, তাকে ফেরানো গেল না কিছুতেই।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

কোরআন পড়ে মুগ্ধ হয়ে যা জানালেন উইল স্মিথ
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন মার্কিন অভিনেতা ও হলিউড সুপারস্টার উইল স্মিথ। শুধু মুগ্ধই হননি, কোরআন সম্পর্কে নিজের মতামত ও অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন তিনি। পবিত্র কোরআন ভালোবাসায় যেন বাঁধা পড়েছেন উইল স্মিথ। পাশাপাশি কোরআনকে খুবই স্পষ্ট হিসেবে অভিহিত করেছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি এক রেডিও সাক্ষাৎকারে কোরআনের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন উইল স্মিথ। অভিনেতা বলেন, আমি সরলতাকে পছন্দ করি, কোরআন খুবই স্পষ্ট। কোরআন নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির কোনো উপায় নেই। কোরআনের সারমর্ম ছিল খুবই সুন্দ এবং পরিষ্কার।  উইল স্মিথ জানান, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় গ্রন্থও পড়েছেন তিনি। কোরআন, তোরাহ ও বাইবেলের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পাওয়ায় বেশ অবাকও হয়েছেন এই অভিনেতা। তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হয়েছিলাম, যখন দেখেছিলাম এগুলোর মধ্যে কত মিল। আমি কখনও ইব্রাহিমকে পিতা হিসেবে বুঝতে পারিনি এবং এর পর ঈসা ও ঈসমাইলের সঙ্গে তার বিভক্তি। এই অনুধাবনের সমাপ্তিটা খুব সুন্দর ছিল। বর্তমানে সৌদি আরব সফরে রয়েছেন উইল স্মিথ। ওই সাক্ষাৎকারে শুধু কোরআন নয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে নিয়ে নিজের ভালোবাসার কথাও জানিয়েছেন তিনি।  প্রসঙ্গত, বিখ্যাত আলাদিন সিনেমায় দৈত্যের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উইল স্মিথ। গত বছর রমজান মাসে কোরআন শরিফ পড়েছিলেন বলে জানান এই অভিনেতা।  সূত্র : আলআরাবিয়া 
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫

ঢাবির বটতলায় কোরআন তেলাওয়াতের আসর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) বটতলায় এই তেলাওয়াত আসরের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন এবং কোরআন তেলাওয়াত শুনেন। এ সময় অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের মাঝে আরবি সাহিত্য পরিষদের পক্ষ হতে টুপি বিতরণ করা হয়। পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুছ শামিম বলেন, রমজান মুসলিমদের পুনর্জাগরণের মাস। আত্মশুদ্ধির এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের মধ্যে অন্যতম হলো, এ মাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই কোরআন অবতীর্ণের মাসকে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমেই স্বাগত জানাতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পরিষদের সভাপতি আশিক বিল্লাহ বলেন, আল্লাহর রহমতে আমরা কোরআনের মাসকে কোরআন তেলাওয়াতের আবেশে স্বাগত জানিয়েছি। রমজান কেন্দ্রীক আবেগ সকল মুসলমানদের, সেই আবেগকে কোরআনের রস আস্বাদনের মাধ্যমে ফলপ্রসূ করে তোলার আহ্বান জানিয়েই আমাদের এই ছোট্ট পরিসরের ক্বেরাত সম্মেলন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৪

মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আবাসন প্রকল্পের কাজ করার সময় মাটি খুঁড়ে ১৫টি পবিত্র কোরআন উদ্ধার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলার দুধসর গ্রামের আবাসন প্রকল্পের কাজ করার সময় পবিত্র কোরআনগুলো পাওয়া যায়।  স্থানীয়রা জানান, আবাসন প্রকল্পের নতুন ঘর নির্মাণের কাজ চলছিল। প্রকল্পের আওতায় নতুন ঘর নির্মাণের জন্য পুরাতন ঘরগুলো ভেঙে মাটি সরানো হচ্ছিল। মাটির খোঁড়ার সময় কয়েকটি কাপড়ে মোড়ানো ব্যাগ পাওয়া যায়। পরে কৌতূহলবশত এসব খুলে দেখেন স্থানীয়রা। দেখা যায় ওই ব্যাগগুলোতে ছিল ১৫টি পবিত্র কোরআন শরিফ। পরে তারা স্থানীয় মসজিদের ইমামকে খবর দিলে তিনি এসে পবিত্র কোরআনগুলো মসজিদে রেখে দেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম জানান, উদ্ধার করা পবিত্র কোরআনগুলো অনেক পুরাতন। তবে ১৫টি কোরআনের মধ্যে ১৪টি ভালো রয়েছে। শৈলকুপা ইউএনও শেখ মেহেদী ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৫টি কোরআন উদ্ধারের খবর শুনে ওই এলাকায় যায়। এ সময় কোরআনগুলো স্থানীয় মসজিদেসহ আশপাশের মসজিদে পড়ার জন্য বলা হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

১০ মাসে হাতে কোরআন লিখলেন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নুদার
১২ বছর বয়সী নুরে জারিন নুদার। বর্তমান সময়ের ছেলে-মেয়েদের থেকে একটু আলাদা। যে বয়সে মেয়েরা মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত। ওই বয়সে খুদে এ শিক্ষার্থী হাতে কোরআন লিখে পার করছে ব্যস্ত সময়। তার গল্প শুনলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। এই মাদরাসা শিক্ষার্থীর কোনো ক্লাসে পড়তে হয়নি প্রাইভেট। মাত্র ১০ মাসে নির্ভুলভাবে সে পুরো আল-কোরআন হাতে লিখেছেন। তার দৃষ্টিনন্দন হাতের লেখা দেখলে যে কারও চোখ আটকাবে। মনে হবে এটি কম্পিউটারে ছাপা লেখা। চোখ জুড়ানো হাতের লেখায় পবিত্র কোরআন লিখে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সে। বর্তমানে নুদার বসুরহাট দারুল ইহসান গার্লস মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা। তখন ১০ বছর বয়সী নুদার বাড়ির পাশের ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। একদিন হঠাৎ মেয়ের সুন্দর আরবি হাতের লেখা চোখে পড়ে বাবার। এরপর তিনি মেয়েকে উদ্বুদ্ধ করেন পবিত্র কোরআন হাতে লিখতে। যে কথা, সেই কাজ। মেয়েকে প্রথমে এক রিম খোলা সাদা কাগজ এনে দেন তিনি। সেই থেকে শুরু। এরপর আস্তে আস্তে ১০ মাসে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নুদার কোরআন লিখে শেষ করেন। এরপর তার বাবা হাতে লেখা কোরআন শরীফ নিয়ে নুদারের মাদরাসার আরবি শিক্ষক মুফতি মুহা. আবদুল্লাহ আল নোমানের শরনাপন্ন হন। সেই থেকে নুদারের লেখা শেষে তিনি বানান সংশোধন করে পুনঃনিরীক্ষণ করে দিতেন। তার উৎসাহে ও সহযোগিতায় নুদারের লেখা আরও গতি পায়। পরবর্তীতে পান্ডুলিপি থেকে ১০ পারা করে তিন ভাগে পূর্ণাঙ্গ কোরআন বাঁধাই করা হয়। কোরআন লিখতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬১১টি এ ফোর সাইজের সাদা কাগজ ও ৫৫টি বলপেন কলম। মেয়ের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মা-বাবা, দাদা-দাদিসহ এলাকাবাসী। মা-বাবার আশা মেয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দেশবাসীর কল্যাণে দ্বীনি শিক্ষা প্রসারে কাজ করবে। নুরে জারিন নুদার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মওদুদ স্কুল এলাকার ছেলামত মঞ্জিলের মো. নুরুল হুদা মামুনের মেয়ে।   নুরে জারিন নুদার বলেন, বাবা-মায়ের উৎসাহে আমি চতুর্থ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় পবিত্র কোরআন লেখা শুরু করি।  এরপর পঞ্চম শ্রেণিতে উঠলে আমার লেখা শেষ হয়। আমার এ লেখা দেখে মা-বাবা আমাকে মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি এখন হিফজ বিভাগে ভর্তি করে দেয়। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।   নুদারের বাবা মো. নুরুল হুদা, আমি প্রথমে আমার মেয়ের সুন্দর আরবি হাতের লেখা দেখে খুব আনন্দিত হই। আমারও তার শিক্ষকদের উৎসাহে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সে কোরআন নিজ হাতে লেখা শুরু করে। যখন এক পারা লেখা সম্পন্ন হতো তখন ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার শিক্ষক মুফতি মুহা.আবদুল্লাহ আল নোমান আরবি বানানগুলো যাচাই-বাছাই করে পুনঃনিরীক্ষণ করে দিতে। এভাবে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পুরো কোরআন লিখে শেষ হয়। পরে পুনরায় আবার বানান পুনঃনিরীক্ষণ করে ১০ পারা করে তিন ভাগে বাধাই করা হয়। মেয়ের এমন কাজে আমি গর্বিত। এমন কাজে অন্য ছেলে মেয়েরা উদ্ধুদ্ধ হবে বলেও আমি আশা করি।  মা বিবি ফাতেমা বলেন, আমার মেয়ে নিজ হাতে কোরআন লিখেছে, আমরা তাকে উৎসাহ দিয়েছি। লেখার সময় অনেক সময় মনমানসিকতা অন্য রকম হয়ে যেত, তো লিখবো, লেখে না। আবার মনমানসিকতা ঠিক করে আগ্রহ দিয়ে লিখতে বসত। বিশেষ করে ভালো কাজে শয়তানের প্ররোচনা থাকে। খাতা-কলমে দাগ টানাসহ বিভিন্নভাবে তাকে আমি সহযোগিতা করেছি। চার বছর বয়স থেকে সে নিয়মিত নামাজ পড়ে।           ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার নাজেমে তালিমাত, মুফতি মুহা. আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, কোরআন লেখার যে প্রাচীন নিয়ম রয়েছে। সে অক্ষরে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে নুদার ১০ মাসের প্রচেষ্ঠায় হাতে লিখে সম্পন্ন করেন। ওই সময় আমি তার লেখার তত্বাবধান করি। বোঝার উপায় নেই, এটি হাতে লেখা না, না কম্পিউটারে। তার লেখা কোরআন পুরোটাই আমি পুনঃনিরীক্ষণ করি।   ইকরা আরাবিয়া মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা মোতালেব হোসেন পারভেজ বলেন, নুরানি বোর্ডের সমাপনী পরীক্ষায় নুদার পুরো বাংলাদেশে দশম স্থান অর্জন করে। সে একজন মেধাবী ছাত্রী।      বসুরহাট পৌরসভা ৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ বি এম ছিদ্দিক বলেন, পবিত্র কোরআন হাতে লেখার উদ্যোগ নিয়ে সম্পন্ন করার কাজটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এতো সুন্দরভাবে কোরআন লিখলেন সেটি আসলেই অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। 
০১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৪

ঢাকায় চারদিনব্যাপী কোরআন বিষয়ক ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শনী চলছে
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ‘কোরআনের দিনগুলো’ শীর্ষক চারদিনব্যাপী কোরআন বিষয়ক ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. বশিরুল আলম এই ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।  ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের কনস্যুলার (ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স) মাহমূদ খোসরাভী এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী। অনুষ্ঠানে ড. বশিরুল আলম বলেন, ইরান একটি প্রাচীন সভ্যতার দেশ। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে দেশটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সারাবিশ্বে ইসলামের প্রচার প্রসারে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় দুজন বাংলাদেশি প্রথম ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাদের জন্য আমরা গর্ববোধ করি।  তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা আশা করি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে আগামীতে ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী বলেন, পবিত্র কোরআন এসেছে মানুষকে হেদায়েতের জন্য। আল্লাহর বান্দা হিসাবে আমাদের দায়িত্ব কোরআন চর্চা করা। মুসলমান এবং আল্লাহর বান্দা হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের ওপর দায়িত্ব কোরআনের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। এক কথায় বলতে গেলে কোরআন এসেছে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য। তাই উত্তম জীবন যাপনের জন্য আমাদের কুরআনকে অনুসরণ করতে হবে। ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের কনস্যুলার মাহমূদ খোসরাভী এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী।  আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শনী চলবে। শবেবরাত উপলক্ষে আজ (সোমবার) বন্ধ রয়েছে। ইরানের বিখ্যাত কারী ও কোরআনের শিল্পীরা এই প্রদর্শনী ও ওয়ার্কশপ পরিচালনা করছেন।  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৯

ইরানে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের বশির
আলজেরিয়ায় তৃতীয় স্থান অর্জন করার পর এবার ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ বশির আহমদ। স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ইরান। মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার পরিচালক শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, ইরান অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১০টি দেশের মধ্যে ৩০ পারা গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ বশির। যেখানে দ্বিতীয় হয়েছে ইরান এবং তৃতীয় হয়েছে নাইজেরিয়া। জানা গেছে, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. আবদুর রশিদ ও বুশরা চৌধুরীর ছেলে হাফেজ বশির আহমদ। সে ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন হাফেজ বশির। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩

বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি বিচারক
ইরানে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার ৪০তম আসরে সম্মানিত বিচারক হিসেবে অংশ নিতে সফরে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক কোরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)-এর প্রেসিডেন্ট, মা’হাদুল ক্বিরাত বাংলাদেশের পরিচালক কারি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী। আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইরানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। জানা যায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে আগামী ১৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি হিফজ, কিরাত ও তাফসিরসহ মোট  আটটি বিভাগে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাঈসী বিচারকমণ্ডলী ও প্রতিযোগীদের মাঝে সম্মাননা-পুরস্কার প্রদান করবেন। স্বাধীনতার পর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইরানে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে অংশ নিচ্ছেন কারি আহমাদ বিন ইউসুফ।   এর আগে ২০১১ সালে আহমাদ বিন ইউসুফ এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো কিরাতে ৩য় স্থান অর্জন করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেন। তার এই সফরের মাধ্যমে সারা বিশ্বে লাল সবুজের পতাকা আরও একবার সমুন্নত হবে ও বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি পাবে।   প্রতিযোগিতা শেষে কারি আহমাদ ইউসুফ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন। তিনি বাংলাদেশে বিশুদ্ধ তিলাওয়াত ও কিরাতের রুপকার কারি মুহাম্মাদ ইউসুফ রহিমাহুল্লাহর বড় ছেলে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৩

নড়াইলে বয়স্কদের কোরআন শিক্ষা অনুষ্ঠিত
নড়াইলে বিভিন্ন পেশার বয়স্ক ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে কোরআন শিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের দুর্গাপুর এলাকায় জেলা মডেল মসজিদে এ কোরআন শিক্ষার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। ‘অতি সহজে কোরআন শিক্ষা সোসাইটি’র আয়োজনে বয়স্ক ব্যক্তিদের বিজ্ঞানভিত্তিক তিন মাসের কোরআন শিক্ষার প্রশিক্ষক ছিলেন-হাফেজ মাওলানা কারি বুলবুল আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহাবাদ মাজিদিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার জেলা মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব কে এম হাসমত উল্লাহ, জেলা মডেল মসজিদের সাধারণ সম্পাদক বিএম নজরুল ইসলাম, শিক্ষক আব্দুর রউফ, হেমায়েত হোসেন, সাজেদুল ইসলাম, লুৎফার রহমান, আজিজুর রহমান, গোলাম মোস্তফা মনা, হাসিবুল ইসলাম, এনায়েত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হাসিবুল কাজী, এলাহী সরদারসহ অনেকে। ‘অতি সহজে কোরআন শিক্ষা সোসাইটি’র জেলা পরিচালক হাফেজ মাওলানা কারি বুলবুল আহমেদ বলেন, নড়াইল জেলা মডেল মসজিদ, ভওয়াখালী মাজু বিবি জামে মসজিদ এবং রুপগঞ্জ বাজার জামে মসজিদে এ কোরআন শিক্ষার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন পেশার ৭০ জন অংশগ্রহণ করেন। শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তিন মাসের প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার রাতে শেষ হয়েছে। পরবর্তীতেও বিভিন্ন মসজিদে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল ও খাবারের আয়োজন করা হয়।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়