• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ’৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এ অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়ায় তখন খাদ্যমন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মানসম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।’ সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

‌‘এবার ঈদ ও নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি’
ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ডিএমপির সহকর্মীদের নিয়ে গর্বিত। কারণ ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের তৎপরতার জন্য কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা বা অজ্ঞান ও মলম পার্টির অপতৎপরতা চোখে পড়েনি। সচরাচর অতীতে যে ধরনের অপরাধ সংগঠনের কথা আমরা শুনে এসেছি তার একটিও এবারের রমজানে সংঘটিত হয়নি। সেইসঙ্গে সদ্য সমাপ্ত পহেলা বৈশাখের নানা অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছে, সেখানেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবগুলো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিএমপির প্রতি নগরবাসীর যে প্রত্যাশা তার পুরোপুরি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবারের রমজানে কাজ শেষে বাসায় ইফতার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অতীতে আমরা লোকজনকে রাস্তায় ইফতার করতে দেখেছি। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের তৎপরতার কারণে রোজাদাররা বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পেরেছেন। অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনার সবাই দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেকে রাস্তায়ই ইফতার করেছেন। এজন্য আমি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে প্রায় ৩৪ হাজার সদস্য কাজ করেন। এটা শুধু বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। একসঙ্গে এত অফিসার ও ফোর্স দেশের আর কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। আমরা একসঙ্গে একটি টিম হয়ে কাজ করি। ঢাকা মহানগরীর দুই কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্য কাজ করেন।’ ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম কর্মদিবসে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত সব পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী, দাপ্তরিক কর্মচারী এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত সবস্তরের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

নতুন আর কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হচ্ছে না
দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের যে উদ্যোগ, তাতে ইতোমধ্যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এবার এ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে বিভিন্ন সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ইতোমধ্যে একীভূত হতে সম্মত পাঁচ ব্যাংক বাদে অন্য কোনো ব্যাংককে এ প্রক্রিয়ায় আপাতত আর শামিল করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূতকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংককে একীভূত করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক ও চেয়ারম্যানরা। বৈঠকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে বিভিন্ন সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। এই ১০ ব্যাংকের তালিকায় ছিল পদ্মা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এবং আইসিবি ইসলামি ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সবশেষ স্বেচ্ছায় বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধুঁকতে থাকা পদ্মা ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে উচ্চ খেলাপি ঋণের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) দ্রুতসময়ের মধ্যে একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া বেসিক ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে আরেক বেসরকারি ব্যাংক ইউসিবিএলের সঙ্গে।  এর আগে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালার আলোকে খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। এর জন্য দুই ব্যাংকের মধ্যে আগে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।    এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৭

শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না : বুবলী
প্রেম বিয়ে সন্তান, এরপর বিচ্ছেদ শাকিব-বুবলী ভক্তদের এ খবর অজানা নয়। দীর্ঘ সময় ধরেই এক ছাদের নিচে থাকছেন না দুজন। এমনকি শাকিব বুবলী সম্পর্কে যেখানে গণমাধ্যমে কথা বলতেই নারাজ, সেখানে বুবলী এ প্রসঙ্গে সরবই বলা চলে। এ কথার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ‘বলা না-বলা’ অনুষ্ঠানে।  অনুষ্ঠানে বুবলী শাকিব ছাড়া তার জীবনে দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই উল্লেখ করে এই নায়িকা বলেন, আমার জীবনের রাজকুমার শাকিব। আমাদের ভবিষ্যত কী হবে সেটা হয়তো ভবিষ্যতই বলে দেবে। কিন্তু তার আগে আমাদের একটা কথা বলার জায়গা আছে। পারিবারিকভাবেও কথা বলার জায়গা আছে। কারণ, সন্তানের জন্য হয়তো অনেক কিছুই মানিয়ে নিচ্ছি। তবে আমার একটা অভিমান-কষ্টের জায়গা তো থাকছে। শাকিবকে বিয়ে করা জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত, কখনো এমনটা মনে হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, হ্যাঁ মনে হয়েছে। কারণ, আমার জীবনে অনেক কঠিন সময়ে যখন তাকে পাশে প্রয়োজন ছিল, তখন আমি তাকে পাশে পাইনি। ওই সময়গুলোতে মনে হয়েছে, তাকে বিয়ের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। তিনি আরও বলেন, আমি এভাবেই কাটিয়ে দিব। আমার সন্তানই এখন সবকিছু। কোনো প্রেম, সম্পর্ক কিছুই আমার কাছে ঘেষতে পারবে না। আগামীতে চলচ্চিত্র, সন্তান, পরিবার সেসবেই সময় দিব।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৭

ট্রেনে ঈদযাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই : রেলমন্ত্রী
এবার ট্রেনে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‌‘হার পাওয়ার প্রকল্পের’ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। রেলমন্ত্রী বলেন, এবার ঈদের আগে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা হতে পারে না। এবার টিকিট কালোবাজারি নেই। টিকিট নিয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগও নেই। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ট্রেনে চলাচল করতে পারছেন। তবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে পারলে ভাল হতো। অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও পাংশা উপজেলার ৭৫ জন নারী উদ্যোগতাকে ‘হার পাওয়ার প্রকল্পের’ আওতায়  ল্যাপটপ দেওয়া হয়। এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ (পিপিএম), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৫

‘মহাসড়কে কোনো লক্কড় ঝক্কড় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না’ 
হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, এবারের ঈদে ছাদ খোলা পরিবহন ও লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। ঈদের সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অপরাধী, মলম পার্টি বা কোনো দুষ্কৃতকারী যাতে সাধারণ যাত্রীদের কোনো ক্ষতিসাধন করতে না পারে সেজন্য পুলিশের সর্বদা নজরদারি করছে।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা এলাকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে  সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  এ সময় শাহাবুদ্দিন খান আরও জানান, সারা বাংলাদেশে আড়াই হাজার হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছে, জনগণ যাতে সাচ্ছন্দে বাড়ি পৌঁছাতে পারে। যে সমস্ত কারখানা রয়েছে তারা যদি ধাপে ধাপে ছুটি প্রদান করে তাহলে আমরাও ধাপে ধাপে মোকাবেলা করতে পারবো। পরে চন্দ্রা এলাকা জুড়ে ৩২টি সিসি ক্যামেরা, এবং ড্রোন দিয়ে মহাসড়কের চিত্র দেখেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডি আই জি মাহফুজুর রহমান বিপি এম, অতিরিক্ত ডি আই জি শ্যামল কুমার মুখার্জী, অতিরিক্ত ডি আই জি পদোন্নতি প্রাপ্ত (পুলিশ সুপার) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত (অতি: পুলিশ সুপার) সীমা রানী সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীপুর (ট্রাফিক) নাজমুস সাকিব, কালিয়কৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম নাসিম, নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি সাহাদাত হোসেন প্রমুখ। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪২

প্রার্থী যতই প্রভাবশালী হোক কোনো ছাড় নয় : ইসি রাশেদা
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে প্রভাবশালী প্রার্থী, তা আমরা দেখব না। প্রার্থী যতই প্রভাবশালী হোক আইন মেনে চলতে হবে। আইনবহির্ভূত কাজ করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভাগের সব জেলা ও উপজেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসি রাশেদা বলেন, এর আগেও আমরা অনেক নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল করেছি। নির্বাচনের দিনেও প্রার্থিতা বাতিল করেছি। রাষ্ট্র আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা কঠোরভাবে পালন করব। তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠপর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বরত থাকবেন তাদেরকে বলব, আপনারা কোনো বেআইনি কাজে জড়িত হলে বরদাশত করা হবে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনোভাবে কোনো অনিয়ম আমরা মেনে নেব না। নির্বাচনে জামায়াত অংশ নেবে কি না, জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলগতভাবে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচন করা যাবে। এর ফলে কে জামায়াত বা কোন দল সেটা আমরা দেখব না, আমরা দেখব প্রার্থীকে। সব প্রার্থীকেই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। এ সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের কোনো উপজেলাতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকবে না বলে জানান ইসি রাশেদা সুলতানা। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান। এ ছাড়াও রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভাগের সব নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৬

বিদেশি কোনো প্রভুর ইন্ধনে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : শেখ পরশ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে, তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে বিএনপি। নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে তারা। বুধবার (২৭ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (খাদ্য ও বস্ত্র) বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর ২টায় উত্তরা-১২নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে এসব উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য। সে কারণে এদেশের জনগণকে আমরা সবসময় আমাদের সাথে পাই। এ দেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিল এবং থেকে আসছে। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা নৌকার ভোটারদের টলাতে পারেনি। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত।  তিনি বলেন, জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে চারবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হয়, দেশের মানুষের প্রতি সহমর্মী হতে হয়, দুর্নীতি পরিহার করতে হয়, এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়। দক্ষতা নেই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই ওরা দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।  এই স্বাধীনতার মাসে ওরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাদের বেগম সাহেবরা ভারত যাচ্ছে ঈদের শপিং করতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে। নিশ্চয়ই অন্য কোন বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু লাভ হবে না, বেঈমানদের কেউই বিশ্বাস করে না, ইতিহাসও ক্ষমা করে না। স্বার্থ হাসিল করে ছুড়ে ফেলে দেবে, ক্ষমতায় বসাতে পারবে না যতদিন জনগণ শেখ হাসিনার সাথে আছে।       তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ। আমাদের প্রধান কাজ, জনগণের পাশে থাকা। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোন জনবিচ্ছিন্ন সুশীল সমাজের পূর্বনির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা জননেত্রী শেখ হাসিনা রচিত করেছেন ইতোমধ্যে, সেটা হচ্ছে মানবিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা। আজকে ওরা হত্যা, জেল-জুলুমের কথা বলে, আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরণের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘর আগুন দিয়েছিল, জেলা-জুলুম কোনো কিছুই বাদ ছিল না। ২১ বছর পর ১৯৯৬-তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে বিজয় মিছিলও করেনি যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই সংযমের প্রতিদান কি পেয়েছি আমরা? ২৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থকদের হত্যা করেছিল ওরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী-শিশু নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আদলে।  বিএনপি-জামায়াত সরকার এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এ দেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হতো। এ ভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে গঠিত সংগঠনের নেতারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। যাদের জন্মের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে। ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে। একজন স্বৈরাশাসকের পকেট থেকে যে দলের সৃষ্টি তারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। তাদের জন্মটা কোথায় এবং কীভাবে হয়েছে, তারা কি ভুলে গেছে? এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

‘রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না পেলে ভারত বিরোধিতা শুরু করে বিএনপি’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না পায়, তখনই ভারত বিরোধিতার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও করেছে, এখন শেখ হাসিনার আমলে এবারও তাই করছে।  শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলীয় কার্যালয়ে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। ৪১ ভাগেরও বেশি মানুষ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়ী করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেটা অনেক উন্নত দেশেও পরে না। তারপরও বলবে ইন্ডিয়া নিয়ে এসেছে। ইন্ডিয়া কোথায় আমাদের দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে? তারা আমাদের ভোট দেয়নি, তারা ভোট বানচাল প্রতিহত করার জন্য আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারত বয়কট ইস্যুতে বিএনপি নেতাদের ঐক্য নেই দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বয়কট আন্দোলন করছে তারা। কিন্তু তাদের নিজেদের বক্তব্যে মিল নেই। হাফিজ বলে এক কথা, রিজভী বলে আরেক কথা, মহাসচিব সিঙ্গাপুর থেকে বলে ভিন্ন কথা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে আর আওয়ামী লীগ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। তারা ইফতার খাওয়ার পার্টি করে আর আমরা ইফতার দেওয়ার পার্টি করি। এটাই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া নিয়ে মানুষের প্রশ্ন আছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যদিও এখন কিছু কিছু পণ্যের দাম কমে যাচ্ছে। দাম আরও কমবে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসবে। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

‘দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে পারবে না’
বিএনপির চলমান সংগ্রাম অব্যাহত আছে, অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,  দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে এ অবৈধ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। তাদের বিদায় নিতে হবে।   শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে নগরীর কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন রাজবাড়ী কমিউনিটি সেন্টারে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।  আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে এমন সরকার গঠন করবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, যাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ সেই সরকারের অপেক্ষায় আছে। তিনি বলেন, বিএনপির সংগ্রাম বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম। দেশের মালিকানা ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। যতদিন স্বৈরাচার পদত্যাগ না করবে, ততদিন এ সংগ্রাম চলবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারিতে কি হয়েছিল? ডামি প্রধানমন্ত্রী, ডামি এমপি, ডামি নির্বাচন। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে, বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে।’  আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির ঘাঁটি। সুতরাং চলমান আন্দোলনে দক্ষিণ জেলাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে, আজ যে জাতীয় ঐক্য হয়েছে, যে ৯৫ শতাংশ মানুষ এ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে এ আন্দোলনকে সফল করবো। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফ হোসেন চৌং রাজ্জাক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ প্রমুখ।
২২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়