• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৫ দিনে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’র আয় ১২৬ কোটি টাকা
বলিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে তাদের অভিনীত সিনেমা ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আলী আব্বাস জাফর। মুক্তির পর থেকেই বক্স-অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে সিনেমাটি। মুক্তির ৫ দিনে ১২৬ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’।  বর্তমানে ভারতের সাড়ে ৩ হাজার পর্দায় প্রদর্শিত হচ্ছে অক্ষয়-টাইগারের ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’। মুক্তির প্রথম দিনে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করা বলিউড সিনেমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থান দখল করেছে এটি। মুক্তির প্রথম দিনই ১৫ কোটি রুপি আয় করে সিনেমাটি।   বলি মুভি রিভিউজ ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মুক্তির প্রথম দিনে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ আয় করে ১৫ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিন ৭ কোটি রুপি, তৃতীয় দিন ৮.২৫ কোটি রুপি, চতুর্থ দিন আয় ৮.৭৫ কোটি রুপি, পঞ্চম দিনে আয় করে ৩ কোটি রুপি। ভারতে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’র মোট আয় ৪২ কোটি রুপি। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় ৯৬.১৮ কোটি রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বেশি। জানা গেছে, ২৫ বছর আগে ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও গোবিন্দ। সেসময় বক্স-অফিসে ব্যাপক সফলতা পায় সিনেমাটি। বলা যায়, রীতিমতো বাজিমাত করেছিল অমিতাভ-গোবিন্দের ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’। এবার একই নামের সিনেমা ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’-তে অভিনয় করে রীতিমতো পর্দা মাতাচ্ছেন অক্ষয়-টাইগার। আর এই সিনেমাতেই একসঙ্গে প্রথম অভিনয় করলেন তারা। প্রসঙ্গত, অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় অক্ষয়-টাইগার ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— পৃথ্বীরাজ সুকুমারন, সোনাক্ষী সিনহা, মানসী চিল্লার, মনীষ চৌধুরানী প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করেছেন রাকুল প্রীত সিংয়ের বর জ্যাকি।    
৮ ঘণ্টা আগে

রেমিট্যান্সে ঈদের সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
ঈদ ঘিরে সুবাতাস বইছে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে প্রবাসীদের কাছ থেকে দেশে এসেছে ৮৭ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স প্রবাহে সুবাতাস লেগেছে। ঈদের বদৌলতে রেমিট্যান্সের চাঙ্গাভাব দেখা গেছে বিগত দুই মাসেও। আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত এ সুবাতাস জারি থাকতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।  বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রোজা-ঈদে প্রবাসীরা আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ পাঠান। তাই এ সময়ে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। সেইসঙ্গে কেটে যাবে ডলার সংকটও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে ৮৭ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর আগে গত মার্চ ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১২ দিনে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছিল ৮১ কোটি ৪৮ লাখ ও ৮৬ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে চলতি মাসে। তবে, পুরো মাসের বিচারে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। আর মার্চ মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার।      
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৮

মোবাইলে এক মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন
যতই দিন যাচ্ছে ততোই বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এর প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গত ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এমএফএসের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এসময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ চার হাজার ১০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ফেব্রুয়ারিতে ৫৯০ কোটি টাকার রেমিট্যান্সও এসেছে মোবাইলের মাধ্যমে। এর আগে, একক মাসে হিসেবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে। ওই মাসে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজারে। গ্রাহক বেশি হওয়ার কারণ, অনেক গ্রাহক একাধিক হিসাব খুলছেন। নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার ও নারী ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৮

বিরামপুর সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টাকালে সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।  বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা বুধবার (১০ এপ্রিল) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে সোয়া কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট ২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি জানান, ঘাসুড়িয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে রাতে ভারতে সাপের বিষ পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর আফিক হাসানের সমন্বয়ে ঘাসুরিয়া বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দলকে ঘাসুড়িয়া সীমান্তে অভিযানে পাঠানো হয়। এ সময় বিজিবির দলটি সীমান্তের ২৮৯ এর ১নং সাব পিলার থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওসমান মোড় নামক স্থানে অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে ১ কেজি পরিমাণ সাপের বিষ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত সাপের বিষের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।  ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩০ টাকার টোল আদায়
বঙ্গবন্ধু সেতুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, সোমবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৪৭ হাজার ৭৫৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের সেতু অংশে ৩৩ হাজার ১৩১টি যানবাহন উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬২৪টি যানবাহন ঢাকার দিকে প্রবেশ করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৮৫০ টাকা। যানবাহন পারাপারের মধ্যে বাস ১২ হাজার ৯২৬টি, ট্রাক ৭ হাজার ৯২০টি, মোটরসাইকেল ৯ হাজার ৩২৪টি, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৫টি।  আহসানুল কবীর পাভেল আরও বলেন, ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ এবং যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে সেতু পারাপার হচ্ছে এবং স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল করছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ / বিরল মহাজাগতিক ঘটনা দেখল কোটি মানুষ
কোটি কোটি মানুষ সোমবার উত্তর আমেরিকার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হলেন। মহাজাগতিক এ বিরল ঘটনায় এদিন বিশালকার সূর্যকে ঢেকে ফেলে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকার চন্দ্র। এক পর্যায়ে দিনের আলো নিভে গিয়ে চারদিক ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায় আর হাজার হাজার মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। বিরল এ দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। খবর বিবিসি ও এপির। সোমবার উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেখা গেছে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। দেশ তিনটির ১৫৫ মাইল প্রশস্ত কিন্তু ৪০০০ মাইলেরও বেশি লম্বা ফিতার মতো একটি ভূখণ্ডজুড়ে কয়েক কোটি মানুষ বিরল এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন। মেক্সিকোর মাজাতলান শহরের উষ্ণ বালুর সৈকত থেকে শুরু হয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিপুল জলরাশির ওপরের আকাশ অন্ধকার করে দিয়ে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সমুদ্র তীরে গিয়ে শেষ হয় এই বিশেষ প্রাকৃতিক ঘটনা। পেছেনে রেখে যায় বিস্ময়াবিভূত কয়েক কোটি প্রত্যক্ষদর্শীকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগেই জানিয়েছিল, এই তিন দেশে ৩ কোটি ১৬ লাখ মানুষ এই সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে পারবে। বিবিসি জানিয়েছে, মেক্সিকোর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলের মাজাতলান শহরের কাছ থেকে প্রথম এই সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে মনে হচ্ছিল চাঁদের কিনারাটি সূর্যকে একটু স্পর্শ করেছে মাত্র, কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকে ‘গ্রাস’ করতে শুরু করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটি আর শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি ঢেকে দিলে হঠাৎ করেই অন্ধকার নেমে আসে। এ সময় উল্লাসে ফেটে পড়েন সূযগ্রহণ দেখতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষ। চাঁদের কিনারা দিয়ে সূর্যের আলোকচ্ছটা (করোনা) বের হওয়ায় এক অপার্থিব দৃশ্য তৈরি হয়। এরপর আসে ‘ডায়মন্ড রিং’ এর বিরল মুহূর্ত। এ সময় হঠাৎ তাপমাত্রা কিছুটা নেমে যায়, প্রাণীরা চুপ হয়ে যায়, পাখিরা ওড়াউড়ি করে বাসায় ফেরার তোড়জোড় শুরু করে। দিনের আকাশেই তারা দেখা যেতে শুরু করে।     মেক্সিকোর উপকূলীয় শহর থেকে সূর্যগ্রহণের পথ এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। সূর্যগ্রহণের সময় কয়েকশ মার্কিন জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৩টা ১৩ মিনিটে দেশটির মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ওহাইও অন্ধকারে ঢেকে যায়। এখানে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা লোকজন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় শহর নিউ ইয়র্কে কয়েকশ মানুষ ম্যানহ্যাটনের আকাশচুম্বি ভবন অ্যাজ এর একটি উঁচু বড় বারান্দায় বসে সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। অবশ্য শহরটি থেকে পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। ঈদের চাঁদের মতো সূর্যের একটি অংশ দৃশ্যমান হয়ে ছিল, এ সময় অপার্থিব এক মৃদু আলোতে ছেয়ে যায় পুরো শহর।  যুক্তরাষ্ট্র থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের দিক দিয়ে সূযগ্রহণ কানাডায় প্রবেশ করে। এখানে সীমান্তের উভয়পাশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে গ্রহণ উপভোগ করে। তবে এখানে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় মেঘ সরে যায়।  এরপর কানাডার মন্ট্রিয়েল শহর হয়ে সূর্যগ্রহণ এগিয়ে যায় আরও উত্তর দিকে। মন্ট্রিয়েলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাঠে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। এই পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ শেষ দেখা যায় কানাডার পূর্ব উপকূলের নিউফাউন্ডল্যান্ডের ফোগো দ্বীপ থেকে। ফেলে আসা পথের বিভিন্ন এলাকার তুলনায় এখানে অপেক্ষাকৃত কম মানুষ বিরল এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে জড়ো হয়েছিলেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

পাঁচদিনে এলো ৪৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
দেশে চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম পাঁচ দিনে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সেই হিসেবে গড়ে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে ৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সবমিলিয়ে এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার দেশে এসেছে। এর আগে, মার্চের প্রথম ৫দিনে ৩২ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই হিসেবে চলতি মাসের শুরুতেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। এই ধারা আগামী ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রোজা-ঈদে প্রবাসীরা দেশে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ পাঠান। তাই এই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। একইসঙ্গে ডলার সংকটও কেটে যাবে। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে দেশে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৪

নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থায় বছরে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি (ভিডিও)
নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থা, অনিয়ন্ত্রিত যান, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তা দখলসহ নানা করণে নিয়ন্ত্রণহীন রাজধানীর যানজট। এর সাথে প্রতিদিন বাড়ছে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা। বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর এখন ঢাকা। এতে রাজধানীতে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কর্ম ঘণ্টা নষ্ট হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সব মিলে প্রতিদিনের ক্ষতি ১৫২ কোটি টাকার বেশী। আর বছরে তা ৫৫ হাজার কোটির বেশি। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে মেট্রোরেল। সবগুলো রুট চালু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।  চারদিক স্থবির, নড়ছে না যানবাহনের চাকা, ট্রাফিক পুলিশের প্রাণান্তকর চেষ্টা। তবে সবই যেন ব্যর্থ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকাই যেন রাজধানীবাসির নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহরের রেকর্ড গড়েছে রাজধানী ঢাকা। যানজট নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের গবেষণা বলছে, ২০২২ সালে রাজধানীর সড়কে যানবাহনের গড় গতি নেমেছ ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে।  অপ্রতুল ও সরু রাস্তাঘাটের কারণে যানজট বাড়ছে। সাথে দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তা ও ফুটপাথ দখল, বিশৃঙ্খল যান চলাচল পরিস্থিকে আরও নাজুক করেছে।  বুয়েটের দুর্ঘটনা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, যানজটের কারণে রাজধানীতে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কর্ম-ঘণ্টা নষ্ট হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সব মিলে প্রতিদিনের ক্ষতি ১৫২ কোটি টাকার বেশী। যানজটের কারণে বছরে জিডিপির ক্ষতি ২.৯ শতাংশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, গত ১২ বছরে আমার ঢাকায় অনেক অবকাঠামো তৈরি করে ফেলেছি। এর মধ্যে  ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। মেট্রোও চালু করে ফেলেছি কিন্তু যানজটের যে পেরেনিয়াল পরিস্থিতি তা থেকে বের হতে পারিনি। আমরা একটা বৃত্তের মধ্যে পড়ে গেছি। গবেষণা বলছে ২০১৭ সালে যানজটে  প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতো, তা এখন দেড়শ কোটিতে ঠেকেছে। একদিকে বিনিয়োগ বাড়ছে অন্যদিকে যানজটের কারণে গতি কমছে। যানজট নিরসনে ১৮টি সংস্থা থাকলেও তারা আশার আলো দেখাতে পারছে না।  ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি সড়কের প্রায় ৬৪ শতাংশ জায়গা দখল করে রাখে। মানে একটি গাড়ি একজন মানুষ। এসব মানুষকে আমরা যদি মেট্রো মাস ও মেট্রো ট্রেনে শিফট করতে পারি, তাহলেই আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার সুফল পাব। তবে যানজটের নগরীতে আশার আলো দেখাচ্ছে মেট্রোরেল। আরও পাঁচটি রুট চালু হলে যানজট কমবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। তবে অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, গণপরিবহনকে আমরা যদি ঢেলে সাজাতে না পারি তবে মেট্রো দিয়ে ঢাকা শহরে যানজট নিরসন করা যাবে না। ২০৩৫ সাল নাগাদ আমরা যদি পুরো মেট্রোর নেটওয়ার্কও তৈরি করে ফেলি তাও ১৫ শতাংশের বেশি যাত্রী আমরা মেট্রোতে পরিবহন করতে পারব না। সড়কের ৮৫ শতাংশ যাত্রীর কথা ভুলে গেলে এতো হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ কোন কাজে আসবেনা।  তিনি বলেন, যানজট নিরসনে আমাদের নীতির পরিবর্তন আনতে হবে। রাজধানীর ৩০ শতাংশ মানুষ হেটেই অফিসে যান। ফুটপাতগুলোকে ঠিক করলে নিরবিচ্ছিন্ন ফুটপাত করলে যানযট ৩০ শতাংশ কমে যাবে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩২

‘রাঙ্গামাটিতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ হবে’
রাঙ্গামাটির তরুণদের স্মার্ট কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলার প্রধান ডাকঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি পোস্ট অফিসকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে। যেখান থেকে একজন নাগরিক ৩২৫ ধরণের সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আগামী মে মাসের মধ্যে রাঙামাটি প্রধান ডাকঘরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে স্মার্ট পয়েন্ট সার্ভিস স্থাপন করা হবে।  তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির যে পরিবর্তন হয়েছে তা অভাবনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।  এর আগে প্রতিমন্ত্রী রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেকেন্ডারি গ্রাউন্ড স্টেশন ও রাঙামাটি বিটিসিএল কার্যালয় পরিদর্শন করেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০

‘ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের আগে কোটি টাকা চেয়েছিল কেএনএফ’
সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণের আগে তার কাছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা এক কোটি টাকা চেয়েছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, সেদিন কেএনএফের ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করেছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, যার সবই লুণ্ঠিত। তারা ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের কাছে এক কোটি টাকা চেয়েছিল। বলেছিল, টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেবে। এজন্য তারা ম্যানেজারের কাছে ভল্টের চাবিও চায়। এ ছাড়া ব্যাংকে হামলার পর তারা ম্যানেজারের ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছিল। তারা ল্যাপটপ খুলে সাইবার হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজার কৌশলে এসব এড়িয়ে যান। পরে তাকে অপহরণ করে বেথেল পাড়ার পাশ দিয়ে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা দিনে দুবার তাকে খাবার দিতো এবং মারধরও করেছে। কখনো কখনো তার চোখ বেঁধে দিতো, আবার কখনো খুলে দেওয়া হয়েছে। খন্দকার আল মঈন বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পরই তাকে উদ্ধারে আমরা মাঠে নামি। আমরা স্থানীয় জনগোষ্ঠী, সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থা যারা আছে সবার সহযোগিতা নিয়েছি। তিনি বলেন, তাকে উদ্ধারে আমরা বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করেছি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একটা কৌশল আমাদের কাজে এসেছে। এরপর তারা নিজেদের মোটরসাইকেলের মাঝে বসিয়ে একটি স্থানে ব্যাংক ম্যানেজারকে রেখে গেছে। উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়