• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৪৪ হাজার কোটা খালি রেখেই শেষ হজ নিবন্ধন
চতুর্থ দফা সময় বাড়িয়েও পূরণ হয়নি হজের নির্ধারিত কোটা। ফলে সৌদি আরবের দেওয়া ৪৪ হাজারের বেশি কোটা খালি রেখেই এবারের হজের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা পর্যন্ত ৮৩ হাজার ১৫৫ হজযাত্রী সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন।  ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, নিবন্ধন শেষে এখনও কোটা খালি রয়েছে ৪৪ হাজার ৪৩টি। চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। সরকারিভাবে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন চার হাজার ২৬০ জন ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। সবমিলিয়ে মোট নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। বাকি ৪৪ হাজার ৪৩টি কোটা ফেরত যাবে। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় সুত্র বলছে, শেষদিনে যারা নিবন্ধন করেছেন কিন্তু তাদের পেমেন্ট পেন্ডিং (অপেক্ষমাণ) রয়েছে। এ সংখ্যা যোগ করলে আরও হাজার দুয়েক কমবে। এরপরও ৪০ হাজারের মতো কোটা সৌদি আরবকে ফেরত দেওয়া হবে। জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মতিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, হজের কোটা ফেরত দেওয়ার ছাড়া আর উপায় থাকল না। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত করে বাকি কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দেওয়া হবে। হজ সংশ্লিষ্টরা জানান, হজের খরচ সাধারণ হাজীদের নাগালের বাইলে চলে যাওয়ায় গত দুই বছর ধরে কোটা ফেরত যাচ্ছে। অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজ পালন করতে পারছেন না। ফলে অনেকের হজ পালনের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ছয় লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ হয়। গতবারের তুলনায় এবার প্যাকেজের দাম ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমানো হয়েছে। এরপরও পূরণ হচ্ছে না। কেননা খরচ মেটাতে হজযাত্রীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এবার ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর হজের নিবন্ধন শুরু হয়, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় সময় বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি এবং তৃতীয় দফায় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারপরেও হজ নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় শেষ দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। এদিকে চলতি ২০২৪ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মূল্য  নির্ধারণ করা হয় নয় লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।  অপরদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা ও আট লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য এক লাখ চার হাজার ১৬০ টাকা কম। এরপরও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজ পালনে আগ্রহীরা। চলতি বছরের ১৬ জুন চাঁদ দেখা-সাপেক্ষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৭

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের নির্দেশ
মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৪ এ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ৯  ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চলতি বছরের পরীক্ষায় এটি কঠোরভাবে মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  এই নীতিমালায় থাকা ২ শতাংশ কোটা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনটি দায়ের করেন অহিদুল ইসলাম নামের এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কাউন্সিলের এক নেতা। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে, ‌‍‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং সন্তানদের সন্তানাদির জন্য মোট আসনের ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে এই কোটার আসন শূন্য থাকলে সাধারণ কোটা থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে এই আসন পূরণ করা যাবে।’ তবে আইনজীবীর বক্তব্য হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫ শতাংশ রাখার গাইডলাইন সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে। তা লঙ্ঘন করে ভর্তি নীতিমালায় দুই শতাংশ রাখা হয়েছে। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে যেন ফলাফল দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর এক মাস পর ৮ মার্চ ডেন্টালের বিডিএসের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০২

কোটা পূরণ না হতেই আজ শেষ হচ্ছে হজ নিবন্ধনের সময়
কোটা পূরণ না হতেই শেষ হচ্ছে হজ নিবন্ধনের সময়। এর আগে তিন দফা বাড়ানোর পরও হজের কোটা পূরণ হয়নি।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শেষ হচ্ছে এবারের হজ নিবন্ধনের সময়। সবশেষ তথ্যানুযায়ী সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজে যাওয়ার জন্য মোট ৬৮ হাজার ৩৫৫ জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৪ হাজার ২৯৯ জন নিবন্ধন করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর হজ পালনে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের নিবন্ধন করার কথা। হিসাব অনুযায়ী কোটা পূরণে এখনও প্রায় ৫৯ হাজার নিবন্ধন দরকার।  এদিকে কোটা পূরণ না হলেও হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়াতে চায় না ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ানোর দাবি হজ ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর। এজেন্সি মালিকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। দেশের মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের হাতে পর্যাপ্ত টাকাও নেই। এর ওপর আবার হজ প্যাকেজের দামও বেশি। ফলে সাধারণ মানুষ এবার হজের প্রতি আগ্রহ কম দেখাচ্ছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না। কারণ, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রীর সংখ্যা সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বাকি কোটা ফিরিয়ে দিতে হবে। তাই সময় বাড়ানোর সুযোগ আর মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের নিয়েই হজ ফ্লাইট সৌদি যাবে। ২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। যা চলে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ নিবন্ধন না হওয়ায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের সময় বাড়ানো হয়। এরপর আরেক দফা বাড়ানো হয় সময়। যা চলে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তৃতীয় দফা এবং সবশেষ নিবন্ধনের সময় ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। ফলে আজ শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। তবে সময়সীমা শেষ হলেও বাংলাদেশের কোটার প্রায় অর্ধেক হজযাত্রী নিবন্ধনের বাইরে রয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২২ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্রথম প্যাকেজ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় প্যাকেজ ৩ লাখ ৬০ হাজার এবং তৃতীয় প্যাকেজ ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিল। বেসরকারি প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।  তবে পরের বছরই খরচ বেড়ে যায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় তখন হজের খরচ নির্ধারণ করা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। তবে এবার হজের প্যাকেজ আগের বছরের চেয়েও কম নির্ধারণ করা হয়। এবার সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয় হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কমিয়ে সাধারণ প্যাকেজ ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজ ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ এবং ২১ সালে সীমিত আকারে হজ অনুষ্ঠিত হয়। তখন বাংলাদেশ থেকে কেউ হজের সুযোগ পাননি। পরে ২০২২ সালে বাংলাদেশকে মাত্র ৬০ হাজার হজযাত্রীর কোটা দেওয়া হলে তা পূরণও হয়। সবশেষ ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন হজ পালন করেন।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪

পূরণ হচ্ছে না হজ নিবন্ধনের কোটা
বাংলাদেশ থেকে এব বছর হজে যেতে পারবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। কিন্তু নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৫৩ হাজার ১৭৩ জন। দুই দফা সময় বাড়িয়েও নিবন্ধনের তেমন সাড়া মেলেনি।  অর্ধেকের বেশি কোটা এখনও পূরণ হয়নি। আবার যারা নিবন্ধন করেছেন ব্যাংকে বাকি টাকা জমা দিয়ে তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যাদেরকে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। সেই শর্ত পূরণ করতে গিয়ে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা আরও কমতে পারে। তখন দেখা যাবে অনেকেই টাকা জমা দেননি। অর্থাৎ নিবন্ধনকারীর সংখ্যা আরও কমতে পারে। কিন্তু কেন? কেন মানুষ হজে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। জানা যায়, হজ নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে ১৮ জানুযারি। আর আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এর আগে, এ বছর হজের নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, পরে সেই সময় ১৮ জানুয়ারি বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আর সময় বাড়ানো হয়নি।  তবে কোটা পূরণে এখন নতুন করে সময় বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়। কোটা পূরণ না হলে সময় বাড়াতে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে কিনা সে বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। হজের কোটা পূরণ না হলে সৌদি আরব কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক কর্মকর্তা গণমাধ্যেমকে বলেন, গত বছরও কোটা পূরণ হয়নি। যদি এ বছরও কোটা পূরণ না হয়, তাহলে সৌদি সরকার জানতে চাইতে পারে, এক্ষেত্রে কী কী সুবিধা দিতে হবে। তারা তা প্রমোট করতে চাইবে। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় হজ পালন বন্ধ ছিল। সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাননি বিদেশীরা। তখন  হজ পালিত হয় সীমিত পরিসরে। ২০২২ সালে বাংলাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্যাকেজ-১ এ সর্বমোট খরচ ধরা হয় চার লাখ ২৫ হাজার টাকা, প্যাকেজ-২ এ তিন লাখ ৬০ হাজার এবং প্যাকেজ-৩ এ তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা। হজ পালেনে বেসরকারি প্যাকেজে তিন লাখ ৫৮ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘটে অন্যরকম ঘটনা। হঠাৎ খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে খরচ নির্ধারণ করা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। যার ফলে, খরচ যোগাতে না পেরে প্রাক-নিবন্ধনকারী অনেকেই আর চূড়ান্ত নিবন্ধন করেননি। সে সময় আটবার সময় বাড়িয়ে এবং একদিনের বিশেষ সুযোগ দিয়েও কোটা পূরণ হয়নি। ঘাটতি থেকে যায় ৬ হাজার ৭০৭ জন ।  এ বছর খরচ কমিয়ে নভেম্বর হজের প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয় ধরা হয়। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কমিয়ে সাধারণ প্যাকেজ ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজ ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা ঠিক করে হাব। এরপরও অর্ধেকের বেশি কোটা এখনও পূরণ হয়নি। তবে হজে যেতে ইচ্ছুক অনেকেই বলছেন, খরচ কমানো হলেও তা এখনো বেশি।  প্রসঙ্গত, বর্তমানে হজে যেতে হলে প্রথম ধাপে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করতে হয়। সারা বছরই প্রাক-নিবন্ধন করা যায়। প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করলে একটি নম্বর দেওয়া হয়। ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সেই নম্বর হজের জন্য নির্বাচিত হলে তা এসএমএস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচিত হলে নিবন্ধন সম্পন্ন করা যায়। নিবন্ধনের জন্য ন্যূনতম দুই লাখ ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। বাকি টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।  
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১১

হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না, ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা ফাঁকা
২০২৪ সালের হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় দফার সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে। তবে, এখনও আছে ফাঁকা ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা।  সর্বশেষ দিনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পবিত্র হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন। শেষ সময়ে আরও হাজার তিনেক ব্যক্তি নিবন্ধন করতে পারেন বলে আশা করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। সৌদি আরব আমাদের আর কোনো সময় দিচ্ছে না। এরই মধ্যে সৌদির অনুমতি নিয়ে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে আর সময় বাড়ছে না। তিনি আরও বলেন, গত বছর সৌদি সরকার সময় দিয়েছিল, তাই আটবার সময় বাড়ানোর সুযোগ ছিল। এবার সেই সুযোগ দিচ্ছে না। আজকের মধ্যেই সৌদি আরবকে হজযাত্রীদের সংখ্যা এবং বিমানের ফ্লাইটের শিডিউল জানাতে হবে। তাই ইচ্ছে থাকলেও আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। যারা হজে যেতে চায় তারা যেন বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেন সেই আহ্বান রইল। এদিকে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি এ সময়ে।   চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা রয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন। এখনও ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা ফাঁকা। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় তিন হাজার ৭৬৯ জন ও বেসরকারি কোটায় ৪২ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। ফলে দ্বিতীয় দফায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধির পরও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কোটা পূরণ হচ্ছে না।  চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়