• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজধানীর অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান, আটক ৩৫
রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, মিরপুর, বসুন্ধরা ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে এসব রেস্তোরাঁ–ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না তা ঘুরে দেখেছে তারা। এ সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভয়াবহ অনিয়ম নজরে আসায় কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক ও কর্মীসহ অন্তত ৩৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ বলছে, নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এসব রেস্তোরাঁ–ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা দেখতেই এই অভিযান চালিয়েছেন তারা। এ সময় জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকা, সিঁড়ি আটকে রান্নাঘর বসানো ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাট অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে ধানমন্ডি এলাকায়। রোববার রাতে এখানকার ১৯টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, অভিযানকালে কয়েকটি খাবারের দোকানের ম্যানেজারসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কয়েকজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর গুলশান এলাকায় ১০টির মতো খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ব্যাপারে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা দেখার চেষ্টা করেছি, খাবারের দোকান থাকা ভবনের জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে কি না। সিঁড়িতে বিপজ্জনক কোনও কিছু রাখা হয়েছে কি না, সেটাও দেখছি। দু–একটি ছাড়া সব কটির পরিবেশ সুন্দর ছিল। তাদের ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা সন্তুষ্ট।’ উত্তরা এলাকার অন্তত ২০টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতীম। নগরবাসীর নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বসুন্ধরা এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। এ বিষয়ে ভাটারা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযানে খোঁজার চেষ্টা করেছি রেস্টুরেন্টে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কি না এবং যথাযথ অনুমতি আছে কি না। এর মধ্যে ফুটপাত দখল করে বিভিন্নভাবে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করার দায়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ফুটপাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের দোকানগুলোতে জলন্ত চুলা ও গ্যাস সিলিন্ডার উচ্ছেদ করে পুলিশ। এসময় আটক করা হয় ৮ জনকে।  নিউমার্কেট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ফুটপাত, মার্কেটের রাস্তা কিংবা সরুপথে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে যারা বিভিন্ন ভাজাপোড়া তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। কেননা এই এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল এবং জনগুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন কাজে আসেন। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আইন মোতাবেক আমরা এখানে কাজ করছি। অভিযানে মানুষের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে এমন ৮ জনকে আমরা আটক করেছি এবং সড়কের মালামাল অপসারণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গত বৃহস্প‌তিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখনও। তবে তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। গ্রিন কোজি কটেজ নামে ৭ তলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সবকটি তলায় ছিল রেস্তোরাঁ। একে ভবনটিতে ছিল না জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি, তার উপর ভবনের মূল সিঁড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার। ফলে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে তা। আর মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী হয় দেশবাসী।   এ ঘটনার পরই রেস্তোরাঁ ও ভবনে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি আবার সামনে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৭

ব্যবহার সনদ ছিল না বেইলি রোডের সেই ভবনের
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ২০১৯ সালে অভিযান চালিয়েছিল রাজউক। সে সময় ভবন তৈরিতে অনিয়মের কারণে ওই ভবনের অননুমোদিত অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ভবনটিতে ছিল না রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাত তলা ওই ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটিতে অগ্নিনির্গমন পথ ছিল না। সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারসহ নানা ধরনের মালামাল রাখা ছিল। নিচতলায় আগুন লাগলে ওই সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারেনি মানুষ। আটকা পড়ে ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। অপরদিকে রাজউক জানিয়েছে, ভবনটিতে অফিসের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। রেস্তোরাঁর জন্য কোনো অনুমোদন ছিল না। কিন্তু গ্রিন কোজির বিভিন্ন ফ্লোরে রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলার চা-কফির দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম রোববার (৩ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানান, নিয়ম ভঙ্গ করায় ওই ভবনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, পরে সেখানে অভিযানও চালানো হয়। রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, ওই ভবনটি অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেয়নি। এছাড়া তারা কিছু আনঅথোরাইজড কনস্ট্রাকশন করেছিল। এ কারণে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই অংশটুকু ভেঙে দিই। ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী, ভবন নির্মাণের পর ব্যবহার বা বসবাসের আগে ব্যবহার সনদ বা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিতে হয়। একটি ভবন সঠিকভাবে তৈরি হয়েছে কি-না, ভবনটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ কি-না, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই দেওয়া হয় অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ। রাজউক আরও জানায়, ২০১১ সালে গ্রিন কোজি কটেজ বেইজমেন্টসহ আট তলার অনুমোদন নেওয়া হয়। আবাসিক কাম বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া ওই ভবনটির নিচ তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক এবং উপরের অংশ আবাসিক ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে ভবনের কাজ শেষ হয়। রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই ওই ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ কারণে ভবন মালিককে ২০১৯ সালে নোটিস দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

বেইলি রোড ট্রাজেডি / চার আসামির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর 
রাজধানীর বেইলি রোডে 'গ্রিন কোজি কটেজ' ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজিরের পর ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনসারি এ আবেদন করেছিলেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ভবনটির নিচতলায় অবস্থিত চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন, দোতলায় অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল।  শুক্রবার চুমুক রেস্টুরেন্টের দুজন মালিক আনোয়ারুল হক, শাকিল আহমেদ রিমন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসানকে আটক করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। পরে ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করে শনিবার ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে আটক করে রমনা থানা পুলিশ। মামলায় অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডসহ আরও কিছু আইনের ধারা উল্লেখ রয়েছে। মামলায় আসামির কোনও সংখ্যা উল্লেখ না থাকলেও ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চারজনকে গ্রেপ্তার ছাড়াও তথ্য জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনকে।  এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে 'গ্রিন কোজি কটেজ' নামে ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও কয়েকজন। 
০২ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

বেইলি রোড ট্রাজেডি: ভবনের ম্যানেজার আটক
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওই ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে তাকে আটকের পর ভবনের বিভিন্ন ত্রুটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, ‘ভবনের ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ এর আগে শুক্রবার (১ মার্চ) ভবনটির নিচতলায় অবস্থিত চুমুক রেস্টুরেন্টের (ছোট রেস্টুরেন্ট) দুজন মালিক ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আট জন শিশু‌। নিহতদের মধ্যে ৪৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। মরদেহগুলো ইতোমধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বাকি তিনজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।  
০২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়