• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুম্বাইয়ের মাঠে কেমন হবে মোস্তাফিজদের একাদশ
আইপিএলের সবচেয়ে সফল দুই দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। গত ১৬ আসরের মধ্যে ১০টি শিরোপাই তাদের ঘরে গিয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল দুটি। মুম্বাইয়ের হোম ভেন্যু ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে তারা। তবে ব্যাটিংবান্ধব এই উইকেটে বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান কেমন করেন, ক্রীড়াপ্রেমীদের সেদিকেই বাড়তি নজর থাকবে। ৫ ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে এম এস ধোনির দল। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ২ জয়ে সাতে মুম্বাই। সবশেষ ২ ম্যাচে হোম ভেন্যুতে জয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী মুম্বাই। এদিকে চলতি আসরে এখন পর্যন্ত হাইস্কোরিং সব ম্যাচ দেখেছে ওয়াংখেড়ে। সবশেষ বেঙ্গালুরুর দেওয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্য ১৫ দশমিক ৩ ওভারেই পার করেছে মুম্বাই। একই মাঠে দিল্লির বিপক্ষে ২৩৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল মুম্বাই। ছোট মাঠ এবং কুইক আউটফিল্ড এই রান করাতে সহজ করেছে। অন্যদিকে দলের জয়ে বরাবরই বড় ভূমিকা রেখেছে চেন্নাইয়ের বোলিং লাইন-আপ। তাই এই ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জন্য থাকছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ। পাথিরানার ফেরা নিশ্চিত না হওয়ায় ফিজের ওপর প্রত্যাশার চেয়ে বাড়তি চাপ থাকবে। চেন্নাইয়ের শুরুর একাদশে খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দ্য ফিজকে বরাবরের মতোই একাদশে দেখা যেতে পারে। টাইগার এই পেসারের পাশাপাশি মুম্বাইয়ের ব্যাটিং আক্রমণ সামাল দিতে দীপক চাহার, তুশার দেশপান্ডে আর মাহিশ থিকশানারাই একাদশে থাকবেন। ধীরগতির উইকেটে সবাই নিজেদের কারিশমা দেখিয়েছেন। এবার তাই ওয়াংখেড়ের লাল-মাটির পিচে বড় পরীক্ষার সামনে তারা। ব্যাটিং লাইন-আপে বরাবরের মতো রাচিন রবীন্দ্র, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিভাম দুবে আর আজিঙ্কা রাহানের ওপর ভরা রাখতে পারে চেন্নাইয়ের টি ম্যানেজমেন্ট। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনিও থাকছেন। অন্যদিকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ, তিলক ভার্মা এবং সূর্যকুমাররা নিশ্চিতভাবেই ঝোড়ো আভাস দেবেন। ফিনিশার হিসেবে মোহাম্মদ নবি ও রোমারিও শেফার্ডও আছেন। বল হাতে জেরাল্ড কোয়েৎজে, জাসপ্রিত বুমরাহ তো থাকবেনই। চেন্নাই সুপার কিংসের সম্ভাব্য একাদশ : রুতুরাজ গায়কোয়াড়, রাচিন রবীন্দ্র, সামির রিজভি, আজিঙ্কা রাহানে, ড্যারিল মিচেল, রবীন্দ্র জাদেজা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, দীপক চাহার, তুশার দেশপান্ডে, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহিশ থিকসানা।  ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় : শিভাম দুবে  মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সম্ভাব্য একাদশ : রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, টিম ডেভিড, হার্দিক পান্ডিয়া, রোমারিও শেফার্ড, মোহাম্মদ নবি, জেরাল্ড কোয়েৎজে, শ্রেয়াশ গোপাল, জাসপ্রিত বুমরাহ  ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় : আকাশ মাধওয়াল  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৯

কেমন হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং
আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট শুরুর ৫০ দিন বাকি থাকতে নিজেদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল থিম সং প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি। মাইকেল ‘তানো’ মন্তানোর প্রযোজনায় আসন্ন বিশ্বকাপের থিম সং’টি গেয়েছেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডজয়ী শন পল ও সকা সুপারস্টার কেস। শন পল হলেন জ্যামাইকান এবং কেস ও তানো ত্রিনিদাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক দেশ হওয়ায় এই গানের জন্য তিন ক্যারিবিয়ানকে নির্বাচন করে আইসিসি। থিম সং দিলেও এখনও পুরো ভিডিও প্রকাশ করেনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং’টি নিয়ে শন পলের ভাষ্য, ‘সবসময়ই আমাদের সংস্কৃতির প্রধান অংশ ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অফিশিয়াল থিম সং রেকর্ড করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি কেসের বড় ভক্ত ও এই গানে ক্যারিবিয়ান নাচের সঙ্গে সংস্কৃতির চমৎকার মেলবন্ধন আছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগীতের আবহ ও সকা সংগীত থাকছে। গানটি মানুষের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের সংযোগ স্থাপনের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে।’ আরেক গায়ক কেসের মন্তব্য, আমাদের লক্ষ্য সর্বদা বিশ্বকে একত্রিত করা। তাই ক্রিকেটকে গানের সঙ্গে মিশ্রিত করা। এই সঙ্গীতের স্পন্দন তৈরি করার জন্য শন পল, তানো এবং পুরো দলকে উৎসাহ দিন। আশা করছি, বিশ্বব্যাপী সবাই এই গানটি গাইবেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেডিয়ামে পার্টি করবেন। পুরো ব্যাপারটি নিয়ে আমার তর সইছে না। আইসিসি মহাব্যবস্থাপক ফারলং বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত দুই শিল্পীকে যারা নিজেদের জনরায় শীর্ষে রয়েছে, তাদেরকে (শন পল ও কেস) পেয়ে আনন্দিত। আমাদের টুর্নামেন্টের সংগীত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসব দর্শনের সুর তৈরি করবে। সমর্থকরা এমন একটি গান আশা করতে পারেন যা ক্যারিবিয়ান পরিচয়কে প্রতিফলিত করবে। উল্লেখ্য, ২০ দলকে নিয়ে আগামী পহেলা জুন থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২৯ জুন পর্দা নামবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচন এবং ক্ষণগণনার ১০০তম দিন থেকে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৪

‘বাবাকে ছাড়া কেমন যেন শূন্য মনে হয় নিজেকে’
চলছে ঈদ। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার মাঝেই দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। পরিবারের সাথে ঈদ করতে অনেকেই গিয়েছেন দেশের বাড়ি। পাশাপাশি এই ছুটিতে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে টিভি চ্যানেল, ওটিটি, ইউটিউবে আসছে অনেক নতুন নাটক, ওয়েবফিল্ম শুরু করে নানান ধরনের কন্টেন্ট। পাশাপাশি নিজেকে একটু সবার থেকে ভিন্ন করে সাজাতে নিচ্ছেন অনেকেই অনেক প্রস্তুতি। সবকিছু মিলিয়ে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও।  এদিকে একটা সময় উৎসব মানেই অপূর্বর নাটক, কখনো কখনো সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যেত চল্লিশেরও বেশি। তবে মানের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এখন নাটকের সংখ্যা কমিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়িয়েছেন ওটিটিতে। ছিল ঈদুল ফিতর। শিল্পী-কলাকুশলী থেকে শুরু করে সবাই মেতেছিলেন ঈদ আনন্দে। প্রতিবারের মতো এবার ঈদের দিনটিও পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন অপূর্ব। মা ও বড় ভাইদেরকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার নিজ-বাসাতেই দিনটি উদযাপন করেন তিনি। তবে বাবাকে হারিয়ে বিষণ্ণ এই অভিনেতা। জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, বাবাকে ছাড়া কেমন যেন শূন্য মনে হয় নিজেকে। ঈদের দিন বাবার কথা ভীষণ মনে পড়েছে। খুব মিস করেছি, এখনো করছি। সবকিছু থেকেও কি যেন একটা নেই।  তিনি আরও বলেন, ঈদ সব সময়ই আনন্দের। তবে ছোটবেলার ঈদের আনন্দগুলো ছিল অন্যরকম। তখন একদম টেনশন ফ্রি ছিলাম। হাসতাম, ঘুরতাম, আড্ডা দিতাম। ওই সময়ের প্রত্যেকটা দিনই ছিল বেশ আনন্দের। সে সময়ের আনন্দটা এখনকার সময়ের কাছে কিছুই না। সে সময়ের সঙ্গে এখনকার তুলনা করা চলে না। এটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রে তা নয়, এটা সব বড়দের ক্ষেত্রেই। বড়রা আসলেই দুর্ভাগা, সেদিক থেকে ছোটরা অনেক সৌভাগ্যবান। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২

কেমন কাটলো নুসরাতের ঈদ
ঈদের আমেজে আছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। শুধু তাই নয়, ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে অন্য সবার মতো চাঁদরাতে তিনিও হাতে মেহেদি পরেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবিও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন নুসরাত।     তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেমন কাটলো নুসরাতের ঈদের দিন? এমন প্রশ্ন রীতিমতো উঁকি মারছে অভিনেত্রীর ভক্তদের মনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঈদের দিনের সেই আনন্দও শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী।   সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে নুসরাত জানান, পরিবারের সসদ্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নিজ হাতে অনেক পদের খাবার রান্না করেছেন তিনি। বিরিয়ানি, সেমাই, ফিরনি, কাবাব সবই রান্না করেছেন।  আশা করছেন এসব খাবার খুব পছন্দ করবে যশ। এদিকে ছেলেকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটছে যশ-নুসরাতের।   তবে ঈদের দিন বাবা-মাকে কাছে পাচ্ছেন না নুসরাত। কারণ অভিনেত্রীর বাবা-মা মক্কায় গেছেন। তবে তাদের সঙ্গে ফোনে শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেছেন নুসরাত। প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ‘সেন্টিমেন্টাল’ সিনেমাতে দেখা গেছে নুসরাতকে। সিনেমায় যশের সঙ্গেই জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। এই যুগলের প্রযোজনা সংস্থার অধীনে নির্মিত এটাই প্রথম সিনেমা। নতুন কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার   
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮

কেমন কাটছে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ঈদ
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসের মধ্যদিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঈদ কাটছে পেশাগত কারণে মানুষের নিরাপত্তা দিতে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানান, অন্যের ঈদ নির্বিঘ্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের একজন ঈদগাহ ময়দানে দায়িত্বরত কনস্টেবল মো. আসলাম অহসান। তিনি বলেন, দুই ঈদের একটাতে ডিউটি করতেই হয়। ফলে এবার ডিউটি করছি। কোরবানিতে ছুটি নেবো, তাই এবার কষ্ট করতেছি। কি আর করার আমাদের চাকরিটাই এমন। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাজ। আরেক পুলিশ সদস্য তানভীর কবির বলেন, আমি ডিউটির জন্য ঢাকায় আছি, পরিবারের সবাই গ্রামে। ঈদের পর ছুটি নিয়ে বাড়ি যাবো। পরিবার ছাড়া ঈদ করতে তো কারোই ভালো লাগে না। তবুও কাজের জন্য সবই করতে হয়। বাংলামটর ট্রাফিক সিগন্যালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মো. ইয়াসিন রহমান বলেন, ঈদের দিনও আমাদের এ কাজই করা লাগে। রাস্তায় গাড়ি সামলানোই আমাদের কাজ।  এক ফাঁকে ঈদের নামাজ পড়েছি। এখন আবার রাস্তায় ডিউটি করতেছি। আমাদের ঈদ এভাবেই কাটে। র‌্যাব সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, ঈদে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। এর মধ্যেই আমরা আনন্দ পাই। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারলেও এত মানুষের সঙ্গে ঈদ করি সেটাই কম কিসের।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৮

ঈদের আগে নতুন টাকার হাটে বেড়েছে ভিড়, দাম কেমন পড়ছে
ঈদের এক অনন্য অনুষঙ্গ সালামি। আর সালামিতে নতুন নোটের জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবারই পছন্দ নতুন টাকার নোট। পাশাপাশি বখশিশ, ফিতরা বা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন নোট বিতরণ করে থাকেন। তাই এখনও অনেকেই ঈদ উপলক্ষে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন। ফলে চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে নতুন নোট বেচাকেনার অস্থায়ী দোকান। সময় যত গড়াচ্ছে, নতুন নোটের ব্যবসা তত জমে উঠছে। ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছরই নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। এবারও বাংলাদেশ ব্যাংক তা-ই করছে। বাজারে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়েছে। গত ৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট বিতরণ শুরু হয়েছে; আগ্রহী সাধারণ মানুষ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। ব্যাংকে বিতরণ করা এসব নোট সংগ্রহ করতে অনেক সময় পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। ঝামেলা এড়াতে অনেকে ছোটেন ফুটপাতের টাকার দোকানে। রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকার এসব দোকানে বেড়েছে ভিড়। তবে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে নতুন নোটের দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাথার ওপর একটি ছাতা আর সামনে টাকার বাক্স নিয়ে ফুটপাতে বসে পড়েন ব্যবসায়ীরা। পুরনো ও ছেঁড়া টাকার নোট বিনিময়ের এ দোকানগুলো ঈদের আগে পরিণত হয় নতুন টাকা কেনাবেচার বাজারে। এ সময় নতুন করে যোগ দেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। অনেকে এ বাজারগুলোকে ‘নতুন টাকার হাটও’ বলেন। রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাতের সারি সারি দোকানে দৃষ্টি কাড়ে চকচকে নতুন নোট। হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা আকর্ষণে ব্যস্ত বিক্রেতারা। অর্ধশতাধিক দোকানি এখানে দুই টাকা থেকে শুরু করে ১০০ ও ২০০ টাকা পর্যন্ত নোটের নতুন বান্ডিল বিক্রি করছেন। গুলিস্তান টাকার হাটে দরদাম করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আহসানুল হক। তিনি বলেন, ব্যাংকে অনেক ভিড় থাকে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে পাওয়াও যায় না। এখানে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে হলেও ভোগান্তি নেই। কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার বিক্রেতারা অনেক বেশি দাম চাচ্ছেন। প্রতি বান্ডিলে বাড়তি ২০০-৩০০ টাকাও দাবি করছেন। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই টাকার প্রতি বান্ডিলের (১০০টি নোট) দাম ৩৫০ থেকে ৩৭০ পর্যন্তও হাঁকা হচ্ছে। পাঁচ টাকার বান্ডিলের দাম ৫০০ টাকার বদলে হাঁকা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত। কোথাও কোথাও আরও বেশি। ১০ টাকার বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর ২০ টাকার বান্ডিল ২ হাজার ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার বান্ডিলে বাড়তি খরচ পড়ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ১০০ টাকার বান্ডিলে ২০০ টাকা এবং ২০০ টাকার বান্ডিলে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রাখা হচ্ছে। এবার বাড়তি দামে নতুন টাকা সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে জানালেন গুলিস্তানের টাকার ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন। তিনি বলেন, ঝড়-বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করে সারাদিন খোলা জায়গায় বসে আমরা টাকা বিক্রি করি। এতে দিনে কারও ৫০০ টাকা, কারও ৭০০ টাকা লাভ থাকে। এতেই সংসার চলে। আরেক বিক্রেতা মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের প্রধান ব্যবসা ছেঁড়া-ফাটা নোট পরিবর্তন। এতে রোজগার বেশি। নতুন টাকায় সেভাবে লাভ হয় না। ঈদের আগ মুহূর্তে একটু বাড়তি আয় হয়। এবার সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে নতুন টাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৩১ মার্চ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারছেন গ্রাহকরা। এবার ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট পাচ্ছেন গ্রাহকরা। আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ নোট বিনিময়। গুলিস্তানের একজন ক্রেতা মো. হান্নান ফিরোজ অভিযোগ করেন, ব্যাংকে গেলে যা চাওয়া হয় তার অর্ধেক ধরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ হাটে টাকার অভাব নেই। এগুলো তাহলে আসছে কোথায় থেকে। তার ওপর ঈদ সামনে রেখে বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। টাকার দাম এত হারে বাড়ে কীভাবে। এটা তো আর পেঁয়াজ-রসুন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তারা বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করেন। এ টাকার বান্ডিলে লাভ রেখে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করেন।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

কোথায় কেমন গরম পড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস
দেশের দুই জেলা ও চার বিভাগে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী (৮ জেলা), ঢাকা (১৩ জেলা), খুলনা (১০ জেলা) ও বরিশাল (৬ জেলা) বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্থি বৃদ্ধি পেতে পারে। চলমনা তাপপ্রবাহের আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।  এদিকে, আবহাওয়ার মাসব্যাপী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। পাঁচ থেকে সাত দিন বিক্ষিপ্তভাবে শিলাসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরন বৃষ্টি হতে পারে। এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসেই বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ ছাড়া চলতি মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি) ধরনের তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে অতিতীব্র (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩২

কেমন হবে এবারের ঈদের সাজ
কিছুদিন পরেই ঈদ। আর এই ঈদকে ঘিরে চলে নানা রকম আয়োজন। জামা, কাপড়, জুয়েলারি, জুতার সঙ্গে এখন মেকআপ নিয়েও মেয়েদের বেশ প্রস্তুতি থাকে। ঈদের দিনে প্রাণবন্ত এবং সূক্ষ্ম মেকআপ আপনাকে করে তুলতে পারে আলাদা। তার জন্য খুব সাধারণ কিছু টিপস মেনে চললেই ঈদের দিন আপনি হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়। জেনে নিন ঈদের দিনে কেমন হবে মেকআপ লুক।  চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে– বেইজ মেকআপ ১) প্রথমেই ফেইস ক্লিন করে নিজের পছন্দের ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করে নিন। ২) সকালে ফাউন্ডেশন স্কিপ করতে পারেন, কারণ এতে বেইজ মেকআপ অনেকটা হেভি হয়ে যায়। তাই বিবি ক্রিম বেছে নিতে পারেন। স্পটস আর ডার্ক সার্কেলে কনসিলার অ্যাপ্লাই করে ভেজা বিউটি স্পঞ্জ দিয়ে ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিন। ৩) লুজ পাউডার বা কমপ্যাক্ট পাউডারের সাহায্যে সেট করে নিন। ৪) মভ বা রোজি টোনের ব্লাশ অ্যাপ্লাই করুন। দিনের বেলা হেভি কনট্যুরিং এড়িয়ে চলাই বেটার! ৫) তারপর মেকআপ লং টাইম ইনট্যাক্ট রাখতে সেটিং স্প্রে ইউজ করুন। ৬) লিপস্টিক হিসেবে নিজের পছন্দের যেকোনো ন্যুড কালার বা পিংকিশ টোনের লিপ কালার অ্যাপ্লাই করতে পারেন। চাইলে লিপস্টিকের উপর একটু লিপগ্লসও ইউজ করতে পারেন। তবে গরমের দিনে ম্যাট লিকুইড লিপস্টিক আমি প্রিফার করি। কোচার গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারপারসন ডা. ব্লসম কোচার এক সাক্ষাৎকারে পাঁচটি ভিন্ন মেকআপ লুকের কথা বলেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক। গাঢ় লাল ঠোঁট এবং সোনালি চোখ: চোখে সোনালি আইশ্যাডো লাগান। এবার কালো আইলাইনার দিয়ে ওপরের ল্যাশে লাইন টানুন। মাশকারা লাগিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে গাঢ় লাল লিপস্টিক ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। চকচকে চোখ এবং গোলাপি ঠোঁট: চোখে গোলাপি রঙের আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। এরপর এর ওপর একটি চকচকে আইশ্যাডো লাগান। আইলাইনার ও মাশকারা লাগিয়ে নিন। হালকা গোলাপি লিপস্টিক দিয়ে আপনার মেকআপ শেষ করুন। স্মোকি আইস এবং ন্যুড লিপস: চোখে বাদামি রঙের আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। এতে স্মোকি লুক আনতে ওপর ও নিচের ল্যাশ লাইনে কালো আইলাইনার ব্যবহার করুন। মাশকারা লাগান। এবার ঠোঁটে ন্যুড শেডের লিপস্টিক দিয়ে সম্পূর্ণ করুন মেকআপ। বেগুনি এবং সবুজ চোখের মেকআপ: চোখের ওপর বেগুনি রঙের আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। এবার ওপর ও নিচের ল্যাশ লাইনে সবুজ আইলাইনার ব্যবহার করুন। মাশকারা লাগিয়ে নিন। ঠোঁটে লিপগ্লস দিয়ে শেষ করুন  আপনার মেকআপ। নীল চোখের মেকআপ এবং গোলাপি ঠোঁট: চোখে নীল রঙের আইশ্যাডো লাগান। ওপরের ল্যাশ লাইনের জন্য একটি কালো আইলাইনার ব্যবহার করুন। নিচের ল্যাশ লাইনে লাইন করতে একটি নীল আইলাইনার ব্যবহার করুন। মাশকারা লাগান। ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক লাগিয়ে ফেলুন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে কেমন হবে মোস্তাফিজদের একাদশ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শুরুর দিকে তার একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েই শঙ্কা ছিল। তবে শ্রীলঙ্কার পেসার মাথিশা পাথিরানার চোটে কপাল খুলে কাটার মাষ্টারের। দ্য ফিজও একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন।  বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের ৬ উইকেটের বড় জয়ের রাতে ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। তাই মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) গুজরাটের বিপক্ষেও শুরুর একাদশে থাকতে পারেন দ্য ফিজ। দলটির বিদেশি কোটায় ড্যারিল মিচেল ও রাচিন রবীন্দ্রের জায়গা একেবারেই নিশ্চিত। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং স্তম্ভের বড় ভরসা তারা। তবে বোলিং ইউনিট নিয়েই কিছুটা জটিলতায় ধোনির দল। দুই লঙ্কান পাথিরানা ও থিকশানার পাশাপাশি বাংলাদেশি ফিজও তাদের স্কোয়াডে রয়েছে। তবে প্রথম ম্যাচের ফর্ম বিবেচনায় এই ম্যাচেও এগিয়ে থাকছেন টাইগার পেসার। অন্যদিকে স্পিন বিভাগের মূল কারিগর হিসেবে থিকশানার জায়গাও পাকাপোক্ত। তাই পাথিরানাই সুযোগ না পেতে পারেন। এদিকে চেন্নাইয়ের দলে আজ খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ওপেনিংয়ে রুতুরাজের সঙ্গে রাচিন রবীন্দ্র। এরপরই থাকছেন আজিঙ্কা রাহানে এবং ড্যারিল মিচেল। মিডল-অর্ডারে রবীন্দ্র জাদেজা ও সামির রিজভির জায়গাও নিশ্চিত। বোলারদের তালিকায় থাকছেন দীপক চাহার এবং তুষার দেশপান্ডে। চেন্নাইয়ের সম্ভাব্য একাদশ : রুতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), রাচিন রবীন্দ্র, আজিঙ্কা রাহানে, ড্যারিল মিচেল, শিভাব দুবে/মোস্তাফিজুর রহমান (ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়), রবীন্দ্র জাদেজা, সামির রিজভী, এমএস ধোনি, দীপক চাহার, মাহিশ থিকশানা, তুষার দেশপান্ডে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৯

কেমন ছিল নায়ক মান্নার ভিজিটিং কার্ড
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় প্রয়াত নায়ক মান্না। দুই যুগেরও বেশি সময় বাংলা চলচ্চিত্রে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন মান্না; যা আজও দাগ কেটে আছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। কিন্তু জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় মান্না ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।   সম্প্রতি এই চিত্রনায়কের দুটি ভিজিটিং কার্ড প্রকাশ্যে এসেছে। এর মধ্যে একটি কার্ডে দেখা যাচ্ছে, মান্নার পুরো নাম লেখা— এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। কার্ডে তার পদবি হিসেবে দেওয়া আছে— মুভি স্টার, প্রডিউসার, ও ডিস্ট্রিবিউটর জেনারেল সেক্রেটারি। ওই সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন মান্না।   কাকরাইলের ঠিকানাসহ ৯ ডিজিটের একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া আছে মান্নার সেই ভিজিটিং কার্ডে। তবে ধারণা করা হয়, ২০০৮ সালে তিনি মারা যাওয়ার আগের সময়ের ভিজিটিং কার্ড এটি।      ওপর ভিজিটিং কার্ডটি হালকা ধূসর রঙের। খুব সম্ভবত এই কার্ডটি মান্নার ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি সময়ের হতে পারে। যে কার্ডে শুধুই তার মান্না নামটি ব্যবহার করেছেন। নামের নিচেই রয়েছে নায়কের পদবি মুভি স্টার এবং ফিল্ম প্রডিউসার। কার্ডের এক পাশে আছে মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলী কথাচিত্রের নাম ও ঠিকানা এবং আরেক পাশে তার ফোন নম্বর দেওয়া।  মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মান্না। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তওবা’ হলেও। কিন্তু এই নায়কের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘পাগলী’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমার মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান মান্না। পরবর্তীতে কাজী হায়াত নির্মিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সিনেমা দিয়ে মান্না হয়ে ওঠেন পরিচালক-প্রযোজকদের নির্ভরযোগ্য নাম।     মান্নার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো— ‘আম্মাজান’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘লাল বাদশা’, ‘বীর’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘লুটতরাজ’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘পিতা মাতার আমানত’সহ ইত্যাদি। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন মান্না।       
২১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়