• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান (৫৫) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।    বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নং ক্লাস্টার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নং ক্লাস্টারের মৃত মো. আব্দুল আলীর ছেলে।   ভাসানচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নং ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬ নং ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার তার ছেলে ১১৬ নং ক্লাস্টারে বাবাকে সকালের নাশতা দিয়ে যান। এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে একই স্থানে তার ছেলে বাবার জন্য দুপুরের ভাত নিয়ে যান। ভাত নিয়ে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তখন ছেলে তার বাবাকে ১১৬ নং ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে সে তার বাবার গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।   এসআই নুর হোসেন আরও বলেন, পিছনের দিক থেকে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উৎঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৩

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল স্ত্রী!
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে গেছেন স্ত্রী জাকিয়া বেগম। স্বামীর নাম ফিরোজ মিয়া (২৯)। তিনি পেশায় একজন এক্সেভেটর চালক।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে এবং স্ত্রী জাকিয়া জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে। তাদের ৫ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ দিকে ঘটনার পর থেকেই স্ত্রী জাকিয়া পলাতক রয়েছেন। চিকিৎসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর্তন হওয়া পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করে জোড়া লাগাতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।  স্থানীয়রা জানান, ১২ বছর আগে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে ফিরোজের সঙ্গে জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে জাকিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে দফায় দফায় গ্রাম্য সালিশ হয়। সম্প্রতি গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদারের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেখানে সালিশে ২০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ টাকা না দিতে পেরে ফিরোজ স্ত্রীকে আবার নিজ ঘরে ফিরিয়ে নেয়। তারপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। মঙ্গলবার রাতে ফিরোজ বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী জাকিয়া বেগম তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে যায়। লজ্জার কারণে বিষয়টি গোপন রাখলেও সকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তা প্রকাশ পায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৩

খতনার সময় শিশুর পুুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল হাজাম, ঢামেকে ভর্তি
ময়মনসিংহে শিশুর (১১) খতনা করার সময় যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন হাজাম। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রোববার জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। হাজামের বিরুদ্ধে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে গ্রামের বাসিন্দা হাজাম মো. আকবর (৪৮) যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফ উল হক। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুটির যৌনাঙ্গের কর্তিত অংশ সময়মতো নিয়ে এলে মাইক্রোসার্জারি করে মেরামতের চেষ্টা করা যেত। স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সদস্যরা শিশুটির খতনা করার উপলক্ষে রোববার বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিশুটিকে গোসল করিয়ে হাজামের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর শিশুটিকে একটি ছোট খাটিয়ার ওপর বসানো হয়। হাজাম মো. আকবর তার কাজ শুরু করার সময় শিশুটি চিৎকার দিয়ে ওঠে। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। তারা দেখেন, খতনা করানোর সময় হাজাম আকবর শিশুর যৌনাঙ্গ গোড়া থেকে কেটে ফেলেছেন। যন্ত্রণায় শিশুটি কাতরাচ্ছে। ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর শিশুটিকে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যৌনাঙ্গ জোড়া দেওয়ার মতো চিকিৎসক না থাকায় শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এদিকে সোমবার শিশুটির মামা মেহেদি হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে যৌনাঙ্গ জোড়া দেওয়া হয়েছে। তবে তা সফল হয়েছে কি না, এখনো বোঝা যাচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি। গ্রাম্য হাজাম আকবরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি চিকিৎসার সফলতার ওপর নির্ভর করছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০

নরসিংদীতে প্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি ও গলা কেটে হত্যা 
নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে এক ইউপি সদস্যকে গুলি ও গলা কেটে  হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  নিহত মো. রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি বৈয়ূম গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য নিহত রুবেল আহাম্মেদ ওরফে বডি রুবেল দুপুরে পাকুরিয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় প্রাইভেটকারে করে একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপরে বসে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।   এ দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে ইউপি সদস্যের হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভিড় করেন। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।  এলাকাবাসীর একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গতবার আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিহত রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল। ওই সময় দু’প্রার্থীর মধ্যে একাধিকবার হামলা, মামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে নিহত রুবেল বিজয়ী হন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও চরমে পৌঁছে।  এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।   হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

বাড়িতে একা পেয়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, প্রেমিক উধাও
পঞ্চগড়ে ঈদের দিন পরকীয়ার জেরে শাহনাজ পারভীন (২৪) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ শাহনাজ ওই এলাকার আবদুল মজিদের স্ত্রী। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সঙ্গে একটি ছুরি ও রক্তমাখা প্যান্ট জব্দ করেছে পুলিশ। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত বা অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এদিকে সকাল থেকেই পরকীয়া প্রেমিক রাজু পালিয়ে গেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল মজিদ ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজের সুযোগে প্রতিবেশী রাজু (২৭) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। ৮-৯ মাস আগে কিছুদিন নিখোঁজও ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। তবে বাড়ি ফিরলে প্রথমে তার স্বামী তার তাকে গ্রহণ করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে দুজনে সমঝোতায় আবারও সংসার শুরু হয়। এরপর গত চার মাস আগে স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে যান তিনি। তাদের সংসাদের ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও তিন মাসের একটি ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার ঈদের জন্য বাড়ি ফেরেন তারা। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন ঈদের নামাজে গেলে পরকীয়া প্রেমিক রাজু শাহনাজের ঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে এবং গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ সময় শাহনাজের মেয়ে মাইশা আক্তার চিৎকার করলে পালিয়ে যায় রাজু। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত গৃহবধূর মেয়ে মাইশা আক্তার বলেন, মাকে ছুরি দিয়ে মারে। আমি চিল্লাচিল্লি করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় রাজু। গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজুর সাথে আমার স্ত্রী মোবাইলে কথা বলত। চলেও গেছিল তার সাথে। তাকে একটি মোবাইল ফোনও দিয়েছিল সে। পরে আমার নামে মামলা করে। আমি সন্তানদের দিকে চেয়ে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। রাজু দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল যে, আমাকে শাহনাজের সাথে সংসার করতে দেবে না।   দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি ছুরি ও রক্তমাখা আলামত জব্দ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৪

তারাবির নামাজ পড়ে ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা
বগুড়ার কাহালুতে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রেদোয়ান ইসলাম (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাতাঞ্জো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রেদোয়ান ওই গ্রামের সাদ মিয়ার ছেলে। তিনি এ বছর দূর্গাপুর এনায়েতউল্লাহ দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কাহালু থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল আলম বলেন, নিজ গ্রামের পাতাঞ্জো জামে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন রেদোয়ান। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার পর ধানখেতে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে তারাবির নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রেদোয়ানের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংগঠিত হতে পারে। জড়িতদের শনাক্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০

ভূঞাপুরে ১ হাজার কলা গাছ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এক হাজারের অধিক ছড়িসহ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সহযোগী মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল আওয়াল টাঙ্গাইল কোর্টে মাজেদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একই ইউনিয়নের খরক গ্রামের মৃত ছোবাহানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম এ গাছগুলো কেটে ফেলেন বলে দাবি করেছেন আব্দুল আওয়াল। জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল বিদেশে থাকাস অবস্থায় মাজেদুল ও ইকবালকে নিয়ে অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় ১৭ বিঘার জমি লিজ নেন। সেখানে কয়েকটি পুকুর খনন করা হয়। পরে পুকুরের চারপাশে কলাগাছ রোপণ করা হয়। এরপর মাজেদুল তার ব্যবসায়িক সহযোগী আওয়ালের কাছ থেকে ২০২২ সালে ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে ২ বছর ভোগ দখলের জন্য ২টি পুকুরের কলা গাছ কিনে নেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় মাজেদুল তার লোকজন নিয়ে আওয়ালকে না জানিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলেন। যদিও গাছগুলো কাটার কোনো শর্ত ছিল না। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বরদের অবহিত করে বিচার চান ভুক্তভোগী।  অভিযোগের বিষয়ে মাজেদুল বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এখনো মেয়াদ শেষ হয়নি, আরও কিছুদিন রয়েছে। তাই আমি পরিপক্ক কলাগাছের গোড়ায় থাকা কলা গাছের আগাছা পরিষ্কার করেছি, কিন্তু কাটিনি। পরে জানতে পারি বড় বড় কলাগাছগুলো কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এ ছাড়া কলাবাগানের চুক্তি শেষ হলেও কলা বাগান ও পুকুরের ১০ ভাগ শেয়ার রয়েছে আমার।  ভুক্তভোগী কলা গাছের মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, পুকুরে মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে কলা বাগান শুরু করার সময় থেকেই মাজেদুল এসব দেখাশোনা করতো। পরবর্তীতে তাকে ১০ ভাগ ব্যবসার শেয়ার দিয়ে সবকিছুর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সুযোগে মাজেদুল ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে টাকা পয়সা নয়ছয় করেছে।  তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে আসার পর মাজেদুলের কাছে হিসাব চাইলে সে টালবাহানা করতে থাকে। এ ছাড়া তার কাছে ২ বছরের জন্য কলাগাছ বিক্রি করলেও চুক্তিতে কর্তনের কোনো শর্ত ছিল না। সে স্থানীয় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে কলা গাছগুলো কেটে ফেলেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।  অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, স্থানীয়দের কাছে জেনেছি মাজেদুল ইসলামসহ আরও দু-একজন আওয়ালের পার্টনার ছিল। তারমধ্যে মাজেদুল ও কলাগাছের মালিক আওয়ালের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, কলা গাছ কাটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৪

কুষ্টিয়ায় এজেন্ট ব্যাংকে গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
কুষ্টিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এক এজেন্ট অফিসে গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসের জানালার গ্রিল কেটে মোট ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ওই এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।  এজেন্ট ব্যাংক শাখার ইনচার্জ শামসুল আলমের দাবি, চোররা ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮ টাকা, চুরির সময় সিসিটিভি, ডিভাইসসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে। টাকা রাখার আলমারির তালা ভেঙে টাকা চুরি করেছে তারা।  কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, রাতের কোনো এক সময়ে গ্রিল কাটার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি সাজানো কিনা, ব্যাংকের কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যান্য সিসিটিভির ভিডিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত শেষে জানানো হবে। এ ঘটনায় এজেন্ট ব্যাংক শাখার ইনচার্জ শামসুল আলম থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৭

পাহাড় কেটে সুইমিং পুল, মেঘপল্লী রিসোর্টকে ২ লাখ টাকা জরিমানা 
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পাহাড় কেটে সুইমিং পুল তৈরি করার অপরাধে মেঘপল্লী রিসোর্টে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইমিং পুল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন।  বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রিসোর্ট মালিক সাহা আলমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইমিং পুল বন্ধ ঘোষণা করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন তিনি।  মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শেষে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, পাহাড় কেটে সুইমিং পুল তৈরি বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের রিট আদেশ আমরা পেয়েছি। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌছে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর আগে গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ’ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এইচআরপিবির চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণের কাজ করছে ‘মেঘপল্লী রিসোর্ট’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট ও পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে।’  আদালত এ বিষয়ে সুইমিংপুল নির্মাণকাজ বন্ধসহ সাজেক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা বন্ধ ও অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটায় যারা জড়িত আছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছে বলেও জানান তিনি। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৩

তরকারি আনতে দেরি হওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মাকে গলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের মরারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত চান মিয়া (২৮) ওই এলাকার নুর হোসেন ও ফুলবানু দম্পতির ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে চান মিয়ার স্ত্রী মারা যাওয়ায় মায়ের সঙ্গে তিনি বসবাস করছেন। আজ বিকেলে খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের কাছে তরকারি চান ছেলে চান মিয়া। তরকারি আনতে দেরি হওয়ায় মাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেন তিনি। পরে ফুলবানুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে চান মিয়া পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ফুলবানুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, এখনো কিছু জানি না। খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়