• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ’৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এ অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়ায় তখন খাদ্যমন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মানসম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।’ সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

কেউ খোঁজ রাখে না একাত্তরের শপথের পেছনের কারিগরদের
একাত্তরের ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠান। হাতে তেমন সময় নেই। কেউ নিয়ে আসলেন চেয়ারম্যান টেবিল আবার কেউ আনলেন বাঁশ খুঁটি। বাড়ির নতুন কাপড় ব্যবহার করা হলো প্যান্ডেল ঘেরার কাজে। আগের দিনের অর্ধেক সময় আর রাত জেগে পাহারা দেওয়া হলো পুরো আম্রকানন। শপথের অনুষ্ঠান থেকে শুরুটা হলেও মুক্তিকামী মানুষের সহযোগিতা করতে গিয়ে কেটে গেল যুদ্ধের পুরোটা সময়। সময় গড়িয়েছে, মত-পথ পাল্টেছে। তবে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক সেই শপথের অনুষ্ঠানের পেছনের কারিগরদের খোঁজ নেয়নি কেউ। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি তো দূরে থাক স্থানীয়ভাবেও তারা পাননি যথোপযুক্ত সম্মান। এ আক্ষেপ নিয়ে কেউ পাড়ি দিয়েছেন পরপারে আবার কেউ মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। বলছিলাম বঙ্গবন্ধুর ডাকে গঠিত বৈদ্যানাথতলা সংগ্রাম কমিটির কথা। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে- ‘প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ো তোল’ নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বৈদ্যনাথতলা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন কয়েক যুবক। সেসময়কার এমএনএ ছহি উদ্দীন বিশ্বাস এবং এসডিও তৌহিক- এলাহি চৌধুরীর পরামর্শে তারা ঐতিহাসিক শপথের সব আয়োজন করেছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, বাইবেল পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনসহ বিভিন্ন কাজে যারা যুক্ত হয়েছিলেন তাদেরকে আম্রকাননে নিয়ে এসেছিলেন সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা। প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের পর গোটা এলাকা পাক হয়েনাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তার পরেও জীবনের পরোয়া না করে সংগ্রাম কমিটির অকুতোভয় সদস্যরা ত্রাণ সংগ্রহের কাজ করেছিলেন। তাদের অনেকে আজ রাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্মান না পাওয়ার কষ্ট নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। এখনও দু-একজন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন স্বীকৃতি পাওয়ার আকুতি নিয়ে। সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য বল্লভপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ থিওফিল মন্ডল জানান, প্রাণের টানে প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে ছুটে আসি। পচাত্তর পরবর্তী পরিস্থিতিতে ৭৬ সালে কেউ মুজিবনগর দিবস পালন করতে আসেনি। আমরা মাত্র ১৯ জন লোক বাগানে গিয়ে মুজিবনগর দিবস পালন করেছিলাম। সম্মান না পাওয়ার আক্ষেপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনের পর শুনেছিলাম হাতেগোনা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। পরবর্তীতে দেখি শতাধিক মানুষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা পাচ্ছে। তারপরেও সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা অবহেলিত ও অপমানিত।  একই কথা জানিয়ে মানিকনগর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ দোয়াজ উদ্দীন মাস্টার বলেন, সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা সব আয়োজন করেছিল। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করার জন্য আমার ছাত্র দায়িরয়াপুর গ্রামের বাকের আলীকে ডেকে নিয়ে আসি। সে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়াও সংগ্রাম কমিটির আরেক সদস্য আব্দুল মোমিন চৌধুরী স্বীকৃতি পেয়েছেন। সংগ্রাম কমিটিসহ যারা সেদিন প্রাণ মায়ের ত্যাগ করে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের সবার স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি।  বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রণীত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মেহেরপুর জেলা গ্রন্থের মাধ্যমে মূলত সংগ্রাম কমিটির বিষয়টি সবার নজরে আসে। এ গ্রন্থের লেখক মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশ বরেণ্য কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশিদ বলেন, অনিবার্য মুক্তিযুদ্ধের সহযোগিতার হাত বাড়ানো এসব মানুষগুলোর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি খুবই প্রয়োজন। তারা শুধু শপথের অনুষ্ঠানের আয়োজনই করেননি কুষ্টিয়া অঞ্চলের সম্মুখ যুদ্ধের সব রসদ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন জীবন বাজি রেখে। তাদের স্বীকৃতি দাবি করেন বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনও।  আশার কথা শুনিয়ে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ঐতিহাসিক মুহূর্তে ঐতিহাসিক ভূমিকার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তারা মুক্তিযোদ্ধা। তাদের সকলের স্বীকৃতি দেওয়ায় জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে উত্থাপন করা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪৮

সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্ম, বেঁচে নেই কেউ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একই মায়ের গর্ভে ৬ সন্তানের জন্ম হয়েছে।  বুধবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা এমন বিরল ঘটনাটি ঘটে।  সখীপুরে এমন ঘটনা এটিই প্রথম।  প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার মামা উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়া জানান, আমার ভাগ্নের স্ত্রী সুমনা আক্তার (২৬) প্রায় ৫ মাস যাবৎ অন্তঃসত্ত্বা। ঈদের দিন হঠাৎ আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে প্রচন্ড পেটে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সুমনার অবস্থা অবনতি হলে, তাকে দ্রুত মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।  তিনি আরও জানান, কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সুমনার পেটে ৬ বাচ্চার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে নরমাল ডেলিভারিতে ৪টি মেয়ে ও ২টি ছেলে প্রসব করানো হয়। ওই প্রবাসীর স্ত্রীর গর্ভে ৬ সন্তান কেউই বেঁচে নেই। প্রবাসীর স্ত্রীর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। এ বিষয়ে বহুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই দম্পতির আগে কোনো সন্তানাদি ছিল না। এমন ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

কেউ কারও মুখই দেখছেন না, হঠাৎ কী হলো সালমান-করণের
বলিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা সালমান খান ও করণ জোহর। একজন প্রযোজক, আরেকজন অভিনেতা। দুজনেরই বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে বলিপাড়ায়। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে— করণের সঙ্গে নাকি বনিবনা হচ্ছে না সালমানের। এমনকি কেউ কারও মুখও দেখছেন না। একসময় সালমানের সঙ্গে ভালো সম্পর্কই ছিল করণের। একটি রিয়্যালিটি টক শোতে করণ বলেছিলেন, তার ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় দুজন হিরো কাজ করেছিলেন। মূল ভুমিকায় অভিনয় করেন শাহরুখ এবং সেকেন্ড নায়ক ছিলেন সালমান।   তবে করণ যখন সিনেমাটির শুটিং করছিলেন, তখন সেখানে সেকেন্ড হিরোর রোল করতে নাকি কেউ রাজি হচ্ছিলেন না। একমাত্র সালমানই তখন এগিয়ে এসেছিলেন। এরপরই দুজনের মধ্যে মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু এখন হঠাৎ কি হলো সালমান-করণের? দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে, এমন খবর সামনে আসার পর থেকেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের ভক্তদের কপালে।     জানা গেছে, ‘দ্য বুল’ সিনেমায় সালমানকেই কাস্ট করেছিলেন করণ। শোনা যাচ্ছে— এই সিনেমা নিয়েই নাকি যত ঝামেলা। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমা মুক্তির ২৫ বছর পর একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহও প্রকাশ করেন সালমান। শুধু তাই নয়, সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ উত্তেজিতও ছিলেন তিনি।    এমনকি ‘দ্য বুল’ সিনেমাটির জন্য কঠোর পরিশ্রমও করে নতুন লুক তৈরি করছিলেন সালমান। এর মাঝেই হঠাৎ ছন্দপতন। গুঞ্জন রয়েছে, সিনেমাটিতে কাজ করতে সালমান এত টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন যে, চোখ কপালে উঠেছিল করণের।  অধিক পারিশ্রমিক দিয়ে সালমানকে রাখতে গিয়ে সিনেমার শ্যুটিংয়ের কাজ নাকি পিছিয়ে দিচ্ছিলেন করণ। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সিনেমাটির কিছু বিষয় নিয়ে মেজাজও দেখাচ্ছিলেন সালমান। যেটা মোটেও পছন্দ হচ্ছিল না করণের।     মূলত এ কারণে ঝামেলা বেড়েই যাচ্ছিল সালমান-করণের। শেষ পর্যন্ত ‘দ্য বুল’ সিনেমা বেরিয়ে গেছেন সালমান। যদিও করণ বা সালমান— দুজনের কেউই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।      সূত্র : দ্য ওয়াল     
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০৫

আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারত সরকার এই যুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষের জায়গায় করে দিয়েছিল। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ অনেকেই।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

‘ভারতের কারণেই নির্বাচন নিয়ে কেউ অশুভ খেলার সাহস করেনি’
ভারত আমাদের পাশে ছিল বলেই নির্বাচন নিয়ে অন্য কোনো দেশ অশুভ খেলার সাহস করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে গায়ে পড়ে তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি করে সমস্যার সমাধান সম্ভব না। ভারতের সঙ্গে যে অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি হয়েছিল শেখ হাসিনা ও মোদি সরকার তা ভেঙে দিয়েছে। তিনি বলেন, যখন কথা বলি তখন বিশ্বাস থেকেই বলি। বাংলাদেশে ৭৫ থেকে একুশ বছর কারা শাসন করেছিল? সেই একুশ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বৈরিতা সৃষ্টি করেছিল।  তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু ভাবনাটাই একটি দাসত্বের শেকল। এটি ভেঙে ফেলতে হবে। হিন্দুদের জমি দখল এবং মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু, দুর্বৃত্ত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুসলমানের ভোট ও আপনার ভোটের মধ্যে কোনো পার্থক্য কি আছে? আপনার ভোটের কি মূল্য কম? তাহলে কেন নিজেকে মাইনরিটি ভাববেন? এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান সবার অবদান রয়েছে, কারও অবদান কম নয়। তিনি বলেন, যারা হিন্দুদের বাড়ি দখল করে, মন্দির ভাঙচুর করে। তারা আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

দলের কেউ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলেই ব্যবস্থা :  রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপির আগামী উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (৪ মার্চ) বেলা ১১টায় বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতীনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, এর মাধ্যমে দলীয় দুর্নীতিবাজদের আরও লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। যদিও জুলুম করে আর বেশিদিন টিকে থাকা যাবে না। রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, নির্যাতন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। সকল বাধা উপক্ষো করে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এর আগে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইলে আব্দুল মতীনের গ্রামের বাড়িতে যান রুহুল কবির রিজভী। সেই সঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।  এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।  এ ছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী নিহত আব্দুল মতীনের কবরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শেরপুরের বিশাল ইউনিয়নের নান্দাইল গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুল মতিনকে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়াও শাহজাহানপুর উপজেলার কোট্রাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ককে হত্যা করা হয়।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৭

বেইলি রোডের আগুনে প্রবাসীর পরিবারের কেউ বেঁচে নেই
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরিবার নিয়ে খেতে এসেছিলেন। কিন্তু সুস্থ শরীরে ফিরতে পারেনি তারা৷ আগুন কেড়ে নিয়েছে তার পরিবারের সবার প্রাণ। নিহত হয়েছেন ৫ জন। নিহতরা হলেন- সৈয়দ মোবারক (৪২), তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৮), মেয়ে সৈয়দা তাশফি (১৭), মেয়ে সৈয়দা নূর (১৫) ও ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ।  প্রবাসী মোবারকের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে। তিনি ঢাকার মগবাজার এলাকায় থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকলেও এক মাসের মধ্যে ইটালি যাওয়ার কথা ছিল মোবারকের। কিন্তু আগুন তার সেই স্বপ্ন নিভিয়ে দিলো। প্রবাসী মোবারকসহ তার পরিবারের পাঁচজন নিহতের বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নিশ্চিত করেছেন মোবারকের চাচাতো ভাই সৈয়দ ফয়সাল। তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে সৈয়দ মোবারক তার স্ত্রী স্বপ্নাসহ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাসা থেকে বের হন। সেই সময় জানিয়েছিলেন যে তারা ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছেন। তারা সেখানে পৌঁছানও। কিন্তু আগুন লাগার পর থেকে তাদের খোঁজ মিলছিল না। এতে তারা সবাই মারা যান বলে ধারণা তার।  পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাদের লাশ মেলে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। পরবর্তীতে ইউনিট বাড়ার পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১ প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়। তারা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও। একপর্যায়ে ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৮

‘জানেনই তো মিরপুরের উইকেটে কখন কি হয় কেউ জানে না’
চলমান বিপিএলে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লাকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। এই ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে কুমিল্লাকে দেড়শ রানের আগে থামাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাইজুল ইসলাম। ম্যাচে শেষে মিরপুরের উইকেট নিয়ে কথা বলেন তাইজুল ইসলাম। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধীর গতিতে রান তুললেও পিচে এসে বাউন্ডারি মারতে থাকেন আন্দ্রে রাসেল। তবে এই ক্যারিবিয়ান তারকাকে বোল্ড আউট করেন তাইজুল। এই নিয়ে তিনি বলেন, আমি ওভারের প্রথম বল গুলো সোজা করার চেষ্টা করেছিলাম। তাই ও (রাসেল) ছক্কা মারার সুযোগ পেয়েছিল। ওকে তাড়াতাড়ি আউট করাতে রান কম হয়েছে। ও যদি আরও ১০-১২টা বল খেলতে পারত, তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারত। চট্টগ্রাম পর্বে অনেক কয়টা ম্যাচ খেলেছে বরিশাল। তাই মিরপুরে এসে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখেন একটু তো সমস্যা হবে। কিন্তু উইকেট এতোটাও খারাপ ছিল না। আর জানেনই তো মিরপুরের উইকেট কখন কি হয় বোঝা যায় না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটেই বেশির ভাগ সময় দেখা যায় তাইজুলকে। তবে চলতি বিপিএলে সাদা-বলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন তাইজুল ইসলাম। তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ডাক পেয়েছেন তিনি। নিজের এমন সাফল্য নিয়ে এই টাইগার স্পিনার বলেন, দেখেন দলকে আমার ভরসা করছে, আমার উপর বিশ্বাস রাখছে। এটা সবচেয়ে বড় জিনিস। একজন ক্রিকেটারের উপর যখন দলের বিশ্বাস থাকে তখন এমনই ভালো হয়। এই ম্যাচে শেষে দিকে ব্যাটিংয়ে আসেন সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচ গুলোতে উপরের দিকে ব্যাট করেছেন তিনি। তাই তার উপর থেকে দল ভরসা হারিয়েছেন কি না এমন প্রশ্ন করা হয় তাইজুলকে। জবাবে তিনি বলেন, সৌম্যর উপর ভরসা না থাকলেও তো ও একাদশের  বাইরে থাকতো। ওকে যখন যেখানে লাগে সেইভাবে ব্যাটিং করানো হচ্ছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৪

শহীদ মিনারের স্থপতিকে কেউ স্মরণ করেনি
আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিনে শহীদ মিনারে জনতার ঢল হলেও কেউ স্মরণ করেননি মিনারের স্থপতি চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমানকে। আজিমপুরের পুরান কবরস্থানে ভাষা শহীদদের পাশেই তার কবর হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত দেখা যায়নি কোনো শ্রদ্ধাঞ্জলি। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, কবরস্থানের দক্ষিণ গেট দিয়ে প্রবেশ করে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে কালো টাইলসে বাঁধাই করা পাশাপাশি সমাহিত তিন ভাষা শহীদের কবর। প্রথম কবরটি শহীদ আবুল বরকতের। বরকতের পাশেই কবি সুফিয়া কামালের কবর। তার একটু দূরে শহীদ মিনারের স্থপতি শিল্পী হামিদুর রহমানের কবর। বরকতের তিনটি কবর পরেই আব্দুল জব্বারের কবর। সেটিও কালো রঙের টাইলস দিয়ে বাঁধানো। তার তিন সারি সামনে খানিকটা সরু পথ পেরুলে আরেক ভাষা শহীদ শফিউর রহমানের কবর। প্রতিটি কবরের পশ্চিম দিকে সাদা মার্বেল পাথরের ফলক। তাতে লেখা রয়েছে নাম, পরিচয়, জন্ম ও মৃত্যু তারিখ লেখা। এরমধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ভাষাশহীদদের কবরে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলেও শহীদ মিনারের স্থপতির কবর একেবারেই ফাঁকা। অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা অনেকেই। সাধারণ মানুষ বলছেন, সারা বছর মনে করা না হলেও অন্তত একুশে ফেব্রুয়ারির দিন রাষ্ট্রীয়ভাবেই যেন শহীদ মিনারের স্থপতি এবং ভাষা শহীদদের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করা হয়। অবশ্য আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবর রয়েছে এটি জানলেও শহীদ মিনার স্থপতির কবর যে এখানেই এটি অজানা বলেও মন্তব্য করেন অনেকেই। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা তানভীরুল ইসলাম নামের একজন বলেন, এখানে এমনিতেই দেখতে এসেছি। ভাষা শহীদদের কবরে ফুল থাকলেও শহীদ মিনারের স্থপতির কবর ফাঁকা। তাকে কেউ মনেই করেনি।  জানা যায়, ১৯২৮ সালে পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে হামিদুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মির্জা ফকির মোহাম্মদ ও মাতা জামিল খাতুন। হামিদুর রহমানের চাচা ছিলেন ঢাকার শেষ বাইশ পঞ্চায়েতের নেতা মির্জা আবদুল কাদের সরদার। তার বড় ভাই আবু নাসের আহমদ ছিলেন পূর্ববঙ্গ চলচ্চিত্র সমিতির ব্যক্তিত্ব, মেজ ভাই নাজির আহমেদ ছিলেন পূর্ববঙ্গের চলচ্চিত্র বিকাশের উদ্যোক্তা। আর ছোট ভাই সাঈদ আহমদ ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও লেখক। ১৯৮০ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৯শে নভেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে হামিদুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর হামিদুর রহমানের পরিবার থেকে তার নামাঙ্কিত হামিদুর রহমান পুরস্কার দেওয়া হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়