• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইরান নাকি ইসরায়েল, কে বেশি শক্তিশালী
দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সরাসরি নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে তেহরান। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায় কি না, তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। যদিও ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পায়নি ইসরায়েল তারপরেও আশঙ্কা কাটছে না। এদিকে দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে এরই মধ্যে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ  সামরিকভাবে দুটি দেশই শক্তিশালী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম। নিয়মিত ও রিজার্ভ সৈন্য ইসরায়েলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সৈন্য রয়েছে ইরানের। ইরানের নিয়মিত সেনা রয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার। আর ইসরায়েলের নিয়মিত সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সৈন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার। যুদ্ধ বিমান ইরানের মোট সামরিক বিমান ৫৫১টি। আর ইসরায়েলের মোট সামরিক বিমান ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান ২৩টি, ইসরায়েলের ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান ৮৬টি, ইসরায়েলের ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের ১৫৫টি। হেলিকপ্টার ইরানের হেলিকপ্টার রয়েছে ১২৯টি। আর ইসরায়েলের হেলিকপ্টার ১৪৬টি। ইসরায়েলের অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৮টি। আর ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের ১৩টি। ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে রয়েছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১ হাজার ৩৭০টি আর ইরানের ১ হাজার ৯৯৬টি। ইরানের সাঁজোয়া যান আছে ৬৫ হাজার ৭৬৫টি। আর ইসরায়েলের সাঁজোয়া যান আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি। রকেট আর্টিলারি আর্টিলারি সক্ষমতায়ও এগিয়ে রয়েছে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের ১৫০টি রকেট আর্টিলারি এবং ৬৫০টি সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি রয়েছে। নৌ শক্তি নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে ইরান। ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ। অন্যদিকে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা ৬৭টি। পাশপাশি সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। ইরানের সাবমেরিন রয়েছে ১৯টি। আর ইসরায়েলের মাত্র ৫টি সাবমেরিন রয়েছে। পারমাণবিক শক্তি স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সবশেষ তথ্যানুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের নাম নেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬

ইরান-ইসরায়েল : সামরিক শক্তিতে কে কতটা এগিয়ে
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফলে দখলদারদের বিরুদ্ধে হামলার চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এরইমধ্যে শুক্রবার  ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনার রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বলছে, ইরানের মদতে এই হামলা হয়েছে। তারা ইরানকে কড়া জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি করেছে। সবমিলিয়ে ইসরায় ও ইরানের এক উত্তেজনারকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ ইরান যেমন সামরিকভাবে শক্তিশালী। তেমনি ইসরায়েলও এক্ষেত্রে আরও বেশি শক্তিশালী। ইসরায়েলের সামরিক শক্তি ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইন্ডেক্স’ এর গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের ২৪১টি যুদ্ধবিমান, ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ২ হাজার ২০০ ট্যাংক রয়েছে। যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে এফ-৩৫। যেটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক রণ বিমান। এ ছাড়া ইসরায়েলের রয়েছে ১ হাজার ২০০টি কামান ইউনিট, সাতটি যুদ্ধজাহাজ এবং ছয়টি অ্যাটাক সাবমেরিন। এরমধ্যে রয়েছে আইএনএস ড্রাকন নামের একটি সাবমেরিন। যেটি দিয়ে পারমাণবিক হামলা চালানো যাবে। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি হলো আয়রন ডোম। এটি একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আয়রন ডোমে ১০টি ব্যাটারি থাকে। যার এক একটি ব্যাটারি দিয়ে অন্তত ৬০ কিলোমিটার অঞ্চল রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য বস্তু আটকে দিতে সক্ষম। ইরানের সামরিক শক্তি বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইরানকে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ইরানের কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন রয়েছে। ইরানের কাছে এমনও ড্রোন আছে যেগুলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। আর এসব ড্রোনের বিশেষত্ব হলো এগুলো খুবই নিচ দিয়ে উড়তে পারে। ফলে এসব ড্রোন রাডারে ধরা পড়ে না। এ ছাড়া ইরানের রয়েছে ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের কাছে যেসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সেগুলো ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পাশপাশি ইরানের রয়েছে স্পিডবোডের বিশাল বহর এবং ছোট ছোট সাবমেরিন। এসব স্পিডবোড এবং সাবমেরিন ব্যবহার করে তারা জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এমনকি বিশালাকৃতির জাহাজ জব্দ করতে পারে। ইরানের নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে দুটি বড় যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৫

সাকিব-মুশফিক-শান্তরা কে কোথায় ঈদ করছেন
ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন মানুষ। বাদ যাননি ক্রিকেটাররাও। ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা না থাকায় প্রিয়জনদের সঙ্গেই এবার ঈদ করার সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) খেলা না থাকায় পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালনের জন্য ঢাকা ছাড়েন অধিকাংশ ক্রিকেটার। এ ছাড়া পরিবারের সঙ্গে কেউ কেউ রাজধানীতেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন।  দুটো-একটি ব্যতিক্রমও রয়েছে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ওমরাহ করতে সৌদি আরব গেছেন। সেখান থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমান সাকিব। এরপর পরিবারের সঙ্গে ঈদ সেরেছেন তিনি। নিজের শহর বগুড়াতে ঈদ করছেন মুশফিকুর রহিম। ধর্মীয় এই উৎসবের আগে স্থানীয় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ব্যাটিং অনুশীলনও করেছেন মুশি। চোটের কারণে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা হয়নি তার। এমনকি ডিপিএলও মিস করছেন। বরাবরের মতো এবারও রাজশাহীতে ঈদ করছেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। অন্যদিকে চট্টগ্রামে ঈদ করছেন তরুণ ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন দীপু। সদ্য লাল-সবুজের হয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা নিজ শহর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন। এদিকে প্রতিবারের ন্যায় ঢাকাতেই ঈদ পালন করছেন তাসকিন আহমেদ। অন্যদিকে আইপিএলের কারণে ভারতেই ঈদ করছেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।  চলতি আইপিএলে বল হাতে দারুণ সময় পার করছেন দ্য ফিজ। এবারের আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন কাটার মাস্টার। এখন পর্যন্ত তিনিই আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। উল্লেখ্য, ঈদের পরই সাকিব-শান্তদের ঢাকায় ফিরতে হবে। ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটির পর ফের মাঠে গড়াবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে গড়াবে ডিপিএলের দশম রাউন্ডের খেলা। ডিপিএল চলাকালেই ঢাকায় পা রাখবে জিম্বাবুয়ে। বিশ্বকাপের আগে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

তারকারা কে কোথায় ঈদ করবেন
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ঈদ। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার মাঝেই দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। পরিবারের সাথে ঈদ করতে অনেকেই ছুটছেন দেশের বাড়ি। পাশাপাশি এই ছুটিতে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে টিভি চ্যানেল, ওটিটি, ইউটিউবে আসছে অনেক নতুন নাটক, ওয়েব ফিল্ম শুরু করে নানা ধরনের কন্টেন্ট। পাশাপাশি নিজেকে একটু সবার থেকে ভিন্ন করে সাজাতে নিচ্ছেন অনেকেই অনেক প্রস্তুতি। সব কিছু মিলিয়ে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও। আরটিভির সঙ্গে কথা হলে বেশ কিছু তারকারা জানান ঈদ নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা।   অমিত হাসান আসলে ঈদ নিয়ে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই। ঈদ ঢাকাতেই থাকবো। ঈদের পর দিন গ্রামের বাড়িতে যাবো, সেখানে আমার মা আছে।  শাকিব খান  এবারের ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে এই তারকার ‘রাজকুমার’ সিনেমা। যে কারণে ঈদের দিন গুলশানে নিজ বাড়িতেই থাকবেন শাকিব। সেখানেই সময় কাটাবেন পরিবারের মানুষদের সঙ্গে।  অপু বিশ্বাস  ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাসও এবারের ঈদ ঢাকাতেই উদযাপন করবেন। কয়েকদিন আগেই ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে ছেলে আব্রাম খান জয়কে নিয়ে নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। ঈদের দিন ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই নায়িকার।  পরীমণি  ঢাকাই সিনেমার অন্যতম গ্ল্যামার নায়িকা পরীমণি ঈদের ঠিক দুইদিন আগে কলকাতা থেকে দেশে ফিরেছেন । সেখানে সিনেমার শুটিংয়ের কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। ঈদের দিন ঢাকাতেই থাকবেন তিনি। এরপরে গ্রামের বাড়ি বরিশালে যেতে পারেন। ঈদ প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, আমার ঈদ এখন একমাত্র পুত্র রাজ্যকে ঘিরে। ওর জন্য অনেক আগে থেকেই শপিং করা শুরু করেছি। মা-ছেলে মিলে খুব ভালো একটি ঈদ পার করার ইচ্ছা এবার।  বুবলী ঈদ মানেই তো অনেক আনন্দের একটি উৎসব আর তার সাথে যদি সিনেমা মুক্তির বিষয় থাকে তখন উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই ঈদের পরিকল্পনা বলতে অবশ্যই পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করবো, আর আমি যেহেতু খেতে এবং খাওয়াতে ভীষণ পছন্দ করি তাই আম্মুর সাথে রান্নাবান্নার ব্যাপার তো থাকবেই সাথে পরিবারের বড়দের থেকে সালামী নেয়া এবং ছোটদের সালামী দেয়া সহ নিজের সিনেমা মুক্তির আনন্দ তো আছেই। তাই সব কিছু মিলিয়ে খুব আনন্দ করে ঈদ কাটাবো ইনশাল্লাহ। মাহিয়া মাহি  এবারের ঈদ ঢাকাতে ছেলে ফারিশকে নিয়েই উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। উত্তরাতে নিজ বাসাতেই ঈদের সকালের শুরুটা করবেন অভিনেত্রী। মাহি বলেন, এবারের ঈদ ঢাকাতেই করছি। আমার একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে ঈদটি ভালো কাটবে বলে প্রত্যাশা করছি। তবে যেহেতু আমি এখন সিঙ্গেল মাদার, তাই ঈদটিও এবার একটু অন্যরকম হবে। বিদ্যা সিনহা মিম ঢালিউডের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম ঈদ উদযাপনে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে উড়াল দিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। সেখানেই এবারের ঈদ পালন করছেন তিনি। যেহেতু এই ঈদে নায়িকার কোনো সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে না, ফলে ঈদের সময়টুকু পরিবারকেই দিতে চেয়েছেন মিম। প্রার্থনা ফারদিন দীঘি এবারের ঈদ ঢাকায় নিজ বাসাতে ও বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এই নায়িকা জানালেন, ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি। কেবল রান্নাবান্না নয়, ঘর গোছানো থেকে শুরু করে ঈদের দিনের সব কাজ একাই সামলাই বলা যায়! বাসায় বন্ধুরা আসে। তাদের নিয়ে আড্ডা দেই, খাওয়া-দাওয়া করি।  জায়েদ খান  ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খানের ঈদ কাটবে ঢাকাতেই। এই ঈদেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘সোনার চর’ সিনেমা। ঈদের দিন নিজ সিনেমা দেখতে লায়ন সিনেমাস ও ব্লকবাস্টার সিনেমাসে হাজির হতে পারেন এই নায়ক। ভাই-বোনদের সঙ্গে সময় দিয়ে ঈদের দুইদিন পর গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার।   সাইমন সাদিক  প্রতি ঈদে গ্রামের বাড়ি চলে যান চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। এবারও সেটাই করছেন। এই নায়ক বলেন, ঈদ সবসময় আমার প্রাণের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে করার চেষ্টা করি। আমার গ্রামকে আমি কলিজার গ্রাম বলে ডাকি। এবারও ইনশাআল্লাহ্ পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে খুব ভালো একটি ঈদ পার করবো। নিরব  এবার ঈদে ঢাকাতেই কাটবে থাকছেন নিরব। ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে সময় দিয়ে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো দেখারও ইচ্ছে রয়েছে তার।  ফারিন খান এবার ঈদে বাসাতেই থাকছি। আমি একটি এতিমখানার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। ঈদের দিন ওখানে সময় দেব। ওদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে বাসায় আসব। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাব। শিমুল শর্মা সত্য কথা বলতে ঈদ নিয়ে কখনো কোন পরিকল্পনা থাকে না। আমি যেহেতু ক্যামেরার পিছনে মানুষ সে ক্ষেত্রে ঈদের বিভিন্ন কাজ ডেলিভারি দেয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকি। কাজ ডেলিভারি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের ঈদ নেই। যেদিন কাজ ডেলিভারি  দেয়া হয়ে যায় সেদিনই আমাদের ঈদ। হ্যাঁ হয়তো ঈদের দিন আমার টিপের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আবারও কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবো।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২১

বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
ঝিমিয়ে পড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা করতে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন নিজ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের।  বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগত আড়াই মাসের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর তৃণমূলকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান তারা। ঈদের দিনগুলোতে নেতাকর্মীদের আবারও চাঙা করতে কাজ করছেন নেতারা। ঈদ আয়োজনের মধ্যেই দেওয়া হবে দলের নির্দেশনা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে ইতোমধ্যে তৃণমূলে ছুটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কারাগারে আটক কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর খোঁজ নিতে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাজামা-পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার দিতে টিম গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সারাদেশে অসহায়-দুস্থদের জন্য বস্ত্র ও খাবার বিতরণ কার্যক্রমও পালন করছেন দলটির নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজের গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন লন্ডনে। সেখানে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েও ঈদ পালন করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ঈদে কাটাবেন ঢাকায়। তবে ঈদের দিন নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুরে আসতে পারেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঢাকায় আরও থাকবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ ছাড়া সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারত এবং চিকিৎসার জন্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দেশের বাইরে ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীও ঢাকায় ঈদ করবেন। নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান ও বরকত উল্লাহ বুলু। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদ ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হয়। এর মাধ্যমে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো যায়, আবার জনমতও সৃষ্টি করা সম্ভব। বিএনপি সেটাই করবে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

আ.লীগ নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
উপজেলা নির্বাচনের আর মাসখানেক বাকি। ঈদের পরপরই শুরু হবে নির্বাচনী ডামাডোল। ঈদকে উপলক্ষ করে এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ছুটছেন এলাকায়। পছন্দের প্রার্থীদেরকে সমর্থন জানাতে রাজধানী ছেড়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরাও।  আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রমজান মাসজুড়েই মানুষের পাশে ছিলেন তারা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে ইফতার পার্টি না করে অসহায়, দুস্থ ও গরিব মানুষের মধ্যে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। সেই সঙ্গে ঈদ উপহারসামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস যেতেই স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনকে ঘিরে আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তৃণমূল নেতাদের। আর এবার এই তৃণমূল নেতাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করা বড় নেতাদের সামনে সুযোগ হয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর। বড় নেতারাও হারাতে চাচ্ছেন না এ সুযোগ। এবারের ঈদে নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিই। ঈদের টানা ছুটিতে এলাকায় গণসংযোগ ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পেছন থেকে কাজ করবেন তারা। বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ প্রচারণায় নামতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিরা। পাশাপাশি প্রার্থী ঘোষণাসহ কারো পক্ষে সমর্থন জানিয়ে প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপ না করার কঠোর নির্দেশনা আছে তাদের প্রতি। অবশ্য তথ্য আছে, স্বজন ও ঘনিষ্ঠরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় অনেক মন্ত্রী-এমপি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভেতরে ভেতরে প্রচারণা চালাবেন ঈদের দিনগুলোতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঈদ উপযাপন করবেন পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও ঈদ কাটাবেন চট্টগ্রামে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ঈদ উদযাপন করবেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ঈদে থাকবেন নরসিংদীর মনোহরদীতে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক থাকবেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঈদ কাটবে ফরিদপুরের মধুখালীতে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ঈদ করবেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদে থাকবেন দিনাজপুরের বিরলে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন নেত্রকোনায়, ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে, মাহবুব-উল-আলম হানিফ কুষ্টিয়ায়, বি এম মোজাম্মেল হক শরীয়তপুরে, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাটে, মির্জা আজম জামালপুরে এবং অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন পটুয়াখালীতে এবারের ঈদ কাটাবেন। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও ঈদ করবেন ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে। প্রতিবারের মতো ঈদের দিন আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিদেশি কূটনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঈদ করবেন ঢাকায়। তবে নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীর খোঁজখবর রাখছেন তিনি। সেইসঙ্গে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাড়ি যাচ্ছেন না এবারের ঈদে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ঈদ উৎসবটা সবার। মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা যারা মানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তারা চেষ্টা করেন উৎসবের আনন্দটা জনগণের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হবে না।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯

৭ ফুট লম্বা চুলের অধিকারী কে এই আনিকা?
নিজের থেকে বড় চুলের অধিকারী বাংলোদেশের মেয়ে শামিমা আক্তার আনিকার সুনাম দেশ পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আনিকা পড়াশেনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন তিনি।  অস্ট্রেলিয়াতে আইটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পড়াশোনা শেষ করা আনিকার দাবি, বাংলাদেশের সবথেকে বড় চুলের অধিকারিনী তিনি।  আনিকা লম্বায় ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হলেও তার চুল ৭ ফুট। সেজন্য দেশের সবচেয়ে লম্বা চুলের নারী হিসেবে নিজেকে দাবি করেন তিনি। এমন বড় চুল হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে আনিকা বলেন, আমার মা-খালাদেরও এমন পা ছুঁই ছুঁই চুল রয়েছে। তারাও আমার চুল দেখে নিজেদের স্মৃতিচারণ করেন। বড় চুল সামলানোর প্রসঙ্গে আনিকা বলেন, অনেকবার ভেবেছি চুল কেটে ফেলবো। কারণ আমার চুলের ভারে প্রায়ই ঘাড় ব্যথা করে। তাই চিকিৎসকরাও পরামর্শ দিয়েছিলেন চুল কাটতে, তবে আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। অজানা এক মায়াতে আটকে চুল সযত্নেই রেখে দিয়েছি।   অস্ট্রেলিয়ার অনেকেই আনিকার কাছে জানতে চান তিনি কোন দেশের বাসিন্দা। এতো বড় চুল কীভাবে হলো। তাদেরকেও আনিকা বাংলাদেশ সম্পর্কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। আনিকা আরও বলেন, আমার চুল নিয়ে একটি স্বপ্ন আছে। আমি এখনও আমার জীবনসঙ্গীর দেখা পাইনি। পেলে তাকে সারপ্রাইজ দেবো। তারপর হয়তোবা চুল ছোট করার কথা চিন্তা করতে পারি।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৪

২৪ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৩০৭ - আলাউদ্দিন খিলজির সেনাপতি মালিক কাফুর দেবগিরি দুর্গ দখল করেন। ১৩৫১ - ফিরোজ শাহ তুঘলক দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭৯৩ - চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা ঘোষিত হয়। ১৮৬১ - লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়। ১৯০২ - বাংলায় অনুশীলন সমিতি গঠিত হয়। ১৯১৮ - জার্মান বাহিনী সোমে নদী অতিক্রম করে। ১৯৩৩ - এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন। ১৯৪০ - শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব মুসলিম লীগের সভায় গৃহীত হয়। ১৯৪৬ - লর্ড লরেঞ্জের নেতৃত্বে ব্রিটিশ কেবিনেট মিশন ভারতে আসে। ১৯৫৬ - পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৭ - যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবা সরাসরি আলোচনা শুরু করে। ১৯৮২ - জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৯৯ - ন্যাটো যুগোশ্লাভিয়ার সার্বিয় সেনা অবস্থানের উপর বোমা বর্ষণ শুরু করে। জন্ম: ১৪৯৪ - জার্মান মণিকবিৎ ও পণ্ডিত গেওরগিউস আগ্রিকলা জন্মগ্রহণ করেন। ১৬৯৩ - ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসন জন্মগ্রহণ করেন। ১৮০৯ - ফরাসি গণিতবিদ ও শিক্ষাবিদ জোসেফ লিওউভিলে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৩৪ - ইংরেজ টেক্সটাইল ডিজাইনার, কবি, উপন্যাসিক, অনুবাদক ও সমাজতান্ত্রিক উইলিয়াম মরিস কর্মী জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৩৫ - অস্ট্রীয় পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও কবি জোসেফ স্টিফান জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৪১ - নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নবাব ওয়াকার-উল-মুলক মৌলভী জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৩ - খ্যাতনামা আইনবিদ লর্ড সত্যপ্রসন্ন সিনহা জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৪ - বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৪ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ পিটার জোসেফ উইলিয়াম ডিবাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৩ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ আডল্ফ ফ্রিড্রিশ ইয়োহান বুটেনান্ডট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৭ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ প্রাণরসায়নী জন কেন্ড্রেও জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৫ - বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার কাজী নূরুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৬ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান অভিনেতা, পরিচালক, সুরকার ও নাট্যকার ডারিও ফো জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ - আমেরিকান অভিনেতা স্টিভ ম্যাকুইন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৪ - সার্বীয় শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৪র্থ প্রধানমন্ত্রী ভজিস্লাভ কস্টুনিকা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ - শ্রীলংকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী রনীল শ্রীয়ান বিক্রমাসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ - জার্মান গায়ক, গীতিকার এবং অভিনেত্রী নেনা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ - আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক জিম পারসন্স জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ - ভারতীয় অভিনেতা ইমরান হাশমি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ - ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রামিরেস জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল-হাসান জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু: ০৮০৯ - আরব পঞ্চম খলিফা হারুন আল-রশিদ মৃত্যুবরণ করেন। ১৬০৩ - ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথ মৃত্যুবরণ করেন। ১৭৭৬ - ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসন মৃত্যুবরণ করেন । ১৮৮২ - একজন মার্কিন হেনরি ওয়েডসওরর্থ লংফেলো মৃত্যুবরণ করেন । ১৮৯৯ - পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার বিলি বার্নস মৃত্যুবরণ করেন । ১৯০৪ - একজন ইংরেজ কবি এডউইন আর্নল্ড মৃত্যুবরণ করেন । ১৯০৫ - ফরাশী লেখক জুল গাব্রিয়েল ভার্ন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৬ - রাশিয়ান দাবাড়ু আলেকসান্দর আলেখিন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫০ - ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড ল্যাস্কির মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭১ - রেডিসন ব্লু রয়েল হোটেল ও আর্ফস সিটি হলের পরিকল্পক আর্নি জাকবসেন মৃত্যুবরণ করেন। ২০০২ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আর্জেন্টিনার প্রাণরসায়নী সিজার মিলস্টেইন মৃত্যুবরণ করেন। ২০১০ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার রন হামেন্স মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৩ - নিউজিল্যান্ড লেখক বারবারা অ্যান্ডারসন মৃত্যুবরণ করেন। দিবস: আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০২:০৫

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে আবেদন দুদকের
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। পিকে হালদারের ১৩ সহযোগী হলেন-লিলাবতী হালদার, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এর আগে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে ১০ বছর ও অর্থ পাচারের অপরাধে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পি কে হালদারকে। এছাড়া এ মামলার বাকি ১৩ আসামিকে আদালত সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৪ অক্টোবর একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। এ মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদার। একই মামলা আরও ১৩ জন আসামি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পি কে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও চাচাতো ভাই শঙ্খ বেপারী, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার এবং ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার এবং সহযোগী পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রি। আর অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের অশোকনগরে পি কে হালদার গ্রেফতার হন। সুকুমার, অনিন্দিতা, অবন্তিকা ও শঙ্খ আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং কারা হেফাজতে আছেন। সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক। আদালত এ মামলায় অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পিকে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারসহ ১০ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার চলে। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একই মামলায় পি কে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮

নিপুণের সভাপতি কে এই মাহমুদ কলি
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী খুঁজে পেলেন আলোচিত চিত্রনায়িকা ও আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। এবার তিনি মাহমুদ কলিকে নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন মিশা-ডিপজল’র বিপক্ষে। একটি বিশেষ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে৷ এ বিষয়ে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন নিপুণ। এর আগে মাহমুদ কলি শিল্পী সমিতির দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে দেখা যাবে তাকে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে একাধিকবার শিল্পীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদ কলি। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে ব্যবসার জগতে পা রাখেন এই নায়ক। এর কিছুদিন পর চলচ্চিত্রের মানুষেরা তাকে আবার ডেকে আনেন নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। তখন শিল্পী সমিতির হাল ধরেন তিনি। পরে অবশ্য নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান তিনি। অভিনয় থেকে বিদায় নেওয়ার পর একসময় দলীয় রাজনীতি করতেন মাহমুদ কলি। যদিও এখন ওই প্রসঙ্গে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও তেমন খোলামেলা নন। একটু ঢেকে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি। মাহমুদ কলি বলেন, বর্তমানে ব্যবসা নিয়েই দিন কাটে তার। পারিবারিকভাবেই ব্যবসা ছিল তাদের। সেই ব্যবসার সঙ্গে নিজস্ব ব্যবসা যোগ করে এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী তিনি। তবে মাঝে মধ্যে ভক্তদের সঙ্গে দেখা যে সম্মান তিনি পান তাতে ভীষণ ভালো আনন্দিত হন তিনি।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়