• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সরকারিভাবে ধানের দাম নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে। এতে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করা হবে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জের দেখার হাওরের বোরো ধান কাটার উদ্বোধনের সময় এই কথা বলেন তিনি। এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের দাম নিয়ে কেউ যেন সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে কৃষকের ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয় সরকার সজাগ দৃষ্টি রাখছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান কাটার মেশিন দেওয়া হয়েছে। মেশিনের কোনো সংকট হবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। পরে মন্ত্রী কৃষকদের কাছে কম্বাইন্ড হারভেস্টারের চাবি তুলে দেন। চাবি হস্তান্তরের পরে আলোচনা সভায় যোগ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ।  
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

দেশে ৩০ শতাংশ খাদ্য অপচয় হয়: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশে ফসল সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয় বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য নষ্ট ও অপচয়ের পরিমাণ কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৭তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে খাদ্য ও পানি সংরক্ষণ এবং খাদ্য অপচয়রোধ শীর্ষক সেশনে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষিতে বর্তমান সরকারের এখন অগ্রাধিকার হলো ফসলের সংগ্রোত্তর নষ্ট ও অপচয়ের বিশাল পরিমাণ কমিয়ে আনা। সেলক্ষ্যে সরকার ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিয়ে যাচ্ছে এবং বহুমুখী হিমাগার নির্মাণ, বহুফসলের সমন্বিত সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও শাকসবজি পরিবহনে রেফ্রিজারেটেড ভেহিকল প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।  তিনি বলেন, খাদ্য নষ্ট ও অপচয়ের পরিমাণ কমাতে ফসল তোলা, মাড়াই, পরিবহণ ও সংরক্ষণে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন। সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে;  তারপরও এসব খাতে বেসরকারি ও বিদেশি বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা এখন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বিদেশি বিনিয়োগ আনার বিষয়ে এফএও সহযোগিতা করতে পারে। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: মাহমুদুর রহমান এবং এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে মন্ত্রী ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলম্বোর ইন্ডিপেনডেন্স স্কয়ারে বাংলাদেশ হাই কমিশন, শ্রীলঙ্কা এবং শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়  আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।-বাসস।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫২

ভবিষ্যতে ইউরোপকে ধাক্কা দেওয়ার সক্ষমতা হবে আমাদের : কৃষিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে আমাদের ইউরোপকে ধাক্কা দেওয়ার সক্ষমতা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তবে, এর জন্য আগে আমাদের মাথাপিছু আয় ১২ কিংবা ১৪ হাজার ডলারে পৌঁছাতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল মিশন রোডে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন মন্ত্রী। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ এ আয়োজনে বিভিন্ন পর্যায়ের ১৭ জন দরিদ্র রোগীর মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন তিনি। এ ছাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে শারিরিকভাবে অক্ষম ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১০ জনকে নগদ অর্থও বিতরণ করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে। বক্তব্যকালে ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, শুধু স্মার্ট পোশাক-আশাকে নয়, কাজকর্মসহ সব ক্ষেত্রে উন্নতি হলে বিশ্ব এমনিতেই বাংলাদেশের দিকে আসবে। তিনি এরপর বলেন, ‘এখন আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৯৪ ডলার। ভবিষ্যতে যখন ১২ বা ১৪ হাজার ডলার আয় হবে, তখন আমাদের ইউরোপকে ধাক্কা দেওয়ার সক্ষমতা হবে।’ তবে, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ইচ্ছা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে চাই না। আমাদের দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত আসছেন। তারা আমাদের দেশের প্রশংসা করছেন। বিদেশিরা বলছেন, কোনো ধরনের সহায়তা লাগলে তাদের জানাতে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে পরিচিত একটি দেশ।’ মো. আব্দুস শহীদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, জনগণের উপকার করতে পারলে রাজনীতির সফলতা হবে। বঙ্গবন্ধু চাইতেন দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। একইকাজ তার কন্যা শেখ হাসিনাও করে যাচ্ছেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাত হোসেন চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান  ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোয়েব আহমদ চৌধুরী।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৮

সিন্ডিকেট ধ্বংসের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন কৃষিমন্ত্রী
সিন্ডিকেট ধ্বংসের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে কাজ শুরু করেছি বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকলে তা কীভাবে ধ্বংস করা যায়, তার জন্য প্রক্রিয়া কী, সেটা উদ্ভাবন করে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া ঐক্যবদ্ধভাবে যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেজন্যও আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, হাটবাজারে যারা মজুতদারি করেন তাদের অনুরোধ করবো, তারা যেন এই হারাম ব্যবসা না করেন। আল্লাহর রসুলও বলেছেন, তেজারতি করো কিন্তু কেউ হারাম তেজারতি করবে না। আমি অনুরোধ করি রমজান মাসে যাতে আমরা সুন্দরভাবে সিয়াম সাধনা করতে পারি সেজন্য সবাই সহযোগিতা করবেন। মন্ত্রী ব্রি’র বিজ্ঞানীদের বলেন, আপনারা আরও বেশি করে গবেষণা করেন যাতে উৎপাদন আরও বেশি হয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের যে মেধা আছে, তারা আরও এগিয়ে যাবেন। আমাদের বিজ্ঞানীরা দিন দিন যা আবিষ্কার করে যাচ্ছেন তা থেকে বোঝা যায় আমাদের বিজ্ঞানীদের কাছে এখন কোনো আবিষ্কারই অসম্ভব নয়। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির শতকরা ৮০ ভাগ নির্ভর করে কৃষির ওপর, এ জন্য কৃষিকে সেভাবে সাজিয়ে তুলতে পারলে অভাব কাটবে, দারিদ্র বিমোচন হবে। নিজেকে চাষি পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাষাবাদ করলে যে ফল পাওয়া যায় বা উৎপাদন পাওয়া যায় এর চেয়ে বেশি আনন্দ কিছু হতে পারে না।  এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ে সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ব্রি’র মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৪

কৃষকদের নয়া ফর্মুলা বাতলে দিলেন কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় পর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকদের সঙ্গে সারাদেশে উঠান বৈঠক করার কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। এর অংশ হিসেবে প্রথম উঠান বৈঠক করেছেন তিনি। এ সময় কৃষকদের কাছ থেকে নানা ধরনের সমস্যার কথা শুনে তাদের নতুন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নিরুর উঠানে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রায় ৫০০ কৃষক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আমন ধান কাটার পর এ গ্রামের জমি এখনও পতিত পড়ে আছে কেনো, কৃষকদের নিকট সে বিষয়ে বিস্তারিত শুনেন কৃষিমন্ত্রী।  মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, কোন জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।  সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরও বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। উঠান বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে স্থানীয় পর্যায়ে কি কি সমস্যা আছে, তা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য- এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না, তা অর্জন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করব এবং দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করব।  কৃষকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আপনারা আরও বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাশে আছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে আছে। আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে কারো পেটে ক্ষুধা থাকবে না, খাদ্য আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না। উঠান বৈঠকে মৌলভীবাজার জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, উপজেলা কৃষি অফিসার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল, উত্তম দেবনাথ, আতর আলী, মহিববুর রহমান প্রমুখ তাদের সমস্যা ও দাবি তুলে ধরেন।  কৃষকরা গভীর নলকূপ স্থাপন, খাল খনন, স্লুইসগেট সংস্কার ও নদী-জলাশয় দখলদার মুক্ত করে সেচের ব্যবস্থা, দেশি জাতের বদলে বিএডিসির উন্নত জাতের আলুর বীজ সরবরাহ বৃদ্ধি, সূর্যমুখী, ভুট্টা ও সরিষার চাষ হয় না বলে লাউ, কুমড়া, আলু চাষে প্রণোদনা, ভরা মৌসুমে আনারস, লেবু ন্যায্যমূল্য পেতে শ্রীমঙ্গলে জুস ফ্যাক্টরি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দাবি জানান। এছাড়াও ভর্তুকি মূল্যে ছোট ছোট কৃষি যন্ত্র দেওয়ার দাবি জানান, যাতে কৃষক নিজেই যন্ত্র চালাতে পারেন এবং কৃষকের ঘরেই প্রয়োজনীয় কৃষিযন্ত্রের মজুত থাকে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৩

কৃষকের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে : কৃষিমন্ত্রী 
কৃষকের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমরা সবাই কৃষক পরিবারের সন্তান। কৃষকের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। আমরা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চাই। এজন্য সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ যা দরকার, তাই দেওয়া হবে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদরদি ও কৃষির বিষয় খুবই আন্তরিক। এই আন্তরিকতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। বর্তমানে সার, বীজ, সেচ, বিদ্যুৎ প্রভৃতির কোনো সংকট নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষি উপকরণের কোনো সংকট হবে না। তিনি বলেন, দেশে যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে ও মজুত রয়েছে, তাতে মজুতদারি না হলে এই মুহূর্তে চাল আমদানি করতে হবে না। জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে চালের দামও বাড়বে না। চালের মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসককে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল-জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এ সময় নির্দেশ দেন তিনি। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে মন্ত্রী সদর উপজেলার গিয়াসনগরে চা-শ্রমিকের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের কম্বল বিতরণ করেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২

প্রধানমন্ত্রী মজুতদারদের গ্রেপ্তার করতে বলেছেন : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, নিত্যপণ্য মজুতের বিরুদ্ধে সরকার শক্ত অবস্থান নিয়েছে। পণ্যের মজুতদারদের বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, ‘যেই এটা করবে, তাদের গ্রেপ্তার করো। জানিয়ে দাও, এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই’।‌ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, পণ্যের দাম যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেটি আমরা দেখব। আমরা চেষ্টা করব, যাতে দাম বেড়ে না যায় এবং কৃষকরাও যেন ন্যায্যমূল্য পায়। পাশাপাশি মজুতদারি, সিন্ডিকেট যেন না হয়। তিনি বলেন, পণ্যের মজুতদারি-সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা হবে। সিন্ডিকেট ভাঙার পদ্ধতি আমাদের জানা আছে। আমি নিজে দুর্নীতি করি না। আমার কোনো দুর্নীতি নেই। তাই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তাদের কাছ থেকে আমরা সার আনছি। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ায় আমরা পেঁয়াজ, ফুলকপি ও আলু রপ্তানি করব। পাশাপাশি তারা আমাদের দেশ থেকে আম নেবে বলে জানিয়েছে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৯

এখন ভয় পাবে মজুতদাররা : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সিন্ডিকেট ভাঙার ব্যাপারে কোনো ভয় নেই। ইনশাল্লাহ আমরা দ্রুতই সিন্ডিকেট ভেঙে দেব। এখন ভয় পাবে মজুতদাররা। যারা মজুতদারি করে তাদের রোধ করতে হবে। মজুতদারি ধর্মেও হারাম। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট জিডিপির ৮০ শতাংশ কৃষিখাতের উপর নির্ভরশীল। তাই কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের ভালো বীজ ও সারের প্রয়োজন এবং অন্যান্য বিভিন্ন উপকরণের প্রয়োজন। কোন অবস্থাতেই এসব সরবরাহে কার্পণ্য করা হবে না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কৃষি উপকরণ যেন কৃষকরা পান, সে ব্যাপারে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সবসময় একটি সিন্ডিকেট কাজ করে। এই সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। কৃষি মন্ত্রণালয় একটি অনেক বড় মন্ত্রণালয়। গ্রাম-গঞ্জে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে এই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আছেন। তাই কৃষকরা যে কোনো সময় আমাদের কাছে আসতে পারেন। আমাদের দুয়ার কৃষকদের জন্য সবসময় খোলা। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজন তার সবই করা হবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৪

উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেওয়া হবে : কৃষিমন্ত্রী 
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নতুন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। কৃষকদের উন্নতির জন্য সাধ্যের মধ্যে যা যা করার, তা করা হবে বলেও জানান তিনি।  কৃষিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।  মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে তো উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কীভাবে দখল করব, মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, কীভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব। সেজন্য, সকল সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমিকে আবাদের আওতায় আনতে কাজ করব। সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কীভাবে ক্র্যাশ করতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে। কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বারোপ করা হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। কৃষক ও কৃষির আরো উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা আছে তা করব। মন্ত্রী বলেন, কৃষি একটি বড় মন্ত্রণালয়। এখানে কাজের পরিধিও বেশি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, উদ্যোক্তারা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এ শক্তি কিন্তু বড় শক্তি, এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা পাব। কৃষিক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধিতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের এসময় নির্দেশ দেন মন্ত্রী।  কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা ও মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৮টি সংস্থার প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।  
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৬

প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে আমার মন্ত্রণালয় চালাবো : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘এতদিন শুধু আমার সংসদীয় এলাকায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এখন মন্ত্রী হিসেবে সারাদেশে কাজ করার সুযোগ পাবো। বৃহত্তর ক্ষেত্রে দেশসেবার সুযোগ পাবো। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ীই আমার মন্ত্রণালয় চালাবো।’    বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর সাতবারের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এসব কথা বলেন। তিনি ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সব কাজকর্ম স্মার্টলি করা এবং যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সঠিক পথ তৈরি করে দেওয়াটাই মূল চ্যালেঞ্জ।’ নতুন মন্ত্রিসভা বহির্বিশ্ব থেকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভার প্রধান প্রধানমন্ত্রী। তিনি যেভাবে পরামর্শ দেবেন, তার সিদ্ধান্তগুলো উপস্থাপন করলে সেগুলো আলোচনার করে সমর্থন জানানোর দায়িত্ব আমাদের।’ আবদুস শহীদ ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ এবং ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৌলভীবাজার-৪ আসন থেকে ১৯৯১ সাল থেকে তিনি টানা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হচ্ছেন।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়