• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গলায় জীবন্ত কৈ মাছ আটকে কৃষকের মৃত্যু
নরসিংদীতে নালায় মাছ ধরার সময় গলায় কৈ মাছ আটকে মিয়াচাঁন নামে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে ঝড়বৃষ্টির পর সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিয়াচাঁন (৪৮) বালুসাইর গ্রামের তারব আলীর ছেলে। নিহতের স্বজনেরা জানান, বৈশাখী ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের নালায় কৈ মাছসহ বিভিন্ন মাছ আসতে দেখে ধরতে যান মিয়াচাঁন। এসময় একটি কৈ মাছ ধরার পর সাথে মাছ রাখার মত পাত্র না থাকায় মুখে কামড়ে আটকে রাখেন এবং আরও মাছ ধরার চেষ্টা করেন। এসময় অসাবধানতাবশত কৈ মাছটি মুখের ভেতর ঢুকে পড়ের গলায় আটকে যায়। উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে স্বজনরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতি কাওছার আহমেদ বলেন, গলায় মাছ আটকে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঝড়বৃষ্টির কারণে সরজমিন খোঁজ নিতে পারিনি, তবে লোক পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
২২ ঘণ্টা আগে

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু 
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মৃত উকিল আলীর ছেলে মালেক নুর (৪৫) আব্দুন নুর কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা।  পৃথক বজ্রপাতে নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুলঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান একরাম হোসেন ও ভাটিপাড়া ইউপি সদস্য এমদাদ চৌধুরী মিন্টু।  নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার সন্তানের জনক নিহত মালেক নুর হাওরে পাকা ধান মাড়াই করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মাগরিবের নামাজের পর হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বিকট শব্দে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতের আঘাতে নিহত মালেক নুর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎক মালেক নুরকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রায় একই সময়ে কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুন নুর হাওর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতের কবলে পরে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।  এ বিষয়ে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বজ্রপাতে নিহতের খবর পেয়েছি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২০

শ্রীপুরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়লো কৃষকের ৯ ঘর
গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষক ফজলুল হকের বসতঘরসহ তার ৯ টি টিনশেড ঘরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা কৃষকের ঘরসহ তার ভাড়া দেওয়া ৯টি ঘরে বাহির থেকে দরজায় তালা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তর পাড়া এলাকায় ওই কৃষকের বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষ‌য়ক্ষ‌তি হ‌য়ে‌ছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। কৃষকের ছেলে সোহাগ (৩৫) জানান, সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাড়াটিয়ারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে আগুনের তাপ অনুভব করে তার বাবা ঘুম থেকে উঠেন। পরে ঘরের চালে আগুন জ্বলতে দেখেন। এ সময় তাদের সকলকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দরজা খুলতে গেলে দরজা খুলে না। বাহির থেকে দরজা সিটকানি লাগা অবস্থায় থাকে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন কৃষকের বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সকল দরজার সিটকানি বাহির থেকে খুলে দিলে তারা ঘর থেকে বের হয়। এ সময় আগুনে সেমি পাকা ৯টি ঘর, ঘরে থাকা নগদ টাকা ও অন্যান্য আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ওই কৃষকের প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।   তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শ্রীপুরের (মাওনা) ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক ফজলুল হকের বসত বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে রাত তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারা কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, কৃষকের ঘরে বাহির থেকে সিটকানি লাগিয়ে আগুন দেওয়ার কোনো ঘটনা আমি জানি না। এরকম হলে তো জানতাম।  তিনি আরও বলেন, থানায় দেওয়ার আগে আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে অভিযোগ দেয়। তারা মনে করে আপনারই থানা।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১২

হিটস্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু
মাদারীপুরের কালকিনিতে হিটস্ট্রোকে শুক্কুর আলী (৫৪) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের পূর্ব আলিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, তীব্র গরমে জমিতে কাজ করতে গিয়ে শুক্কুর আলীর মৃত্যু হয়।  শুক্কুর আলী পূর্ব আলিপুর গ্রামের শফি আকনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাড়ির পাশের জমিতে কাজ করতে যান শুক্কুর আলী। প্রচণ্ড রোদের গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই কৃষক। পরে স্থানীয়রা শুক্কুরকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে হিটস্ট্রোকে কৃষক শুক্কুর আলীর মৃত্যু হয়েছে। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ না-থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮

রাজধানীর যেসব স্থানে কৃষকের দামে মিলবে তরমুজ
রাজধানীর পাঁচ জায়গায় তরমুজ বিক্রি করবে বাংলাদেশ অ্যাগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা)। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত ‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগান নিয়ে তরমুজ বিক্রি করবে সংগঠনটি। বুধবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাফা। এতে বলা হয়, বাফার ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজারে তরমুজ বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে এই ৫টি স্থানের পরিসর আরও বাড়ানো হবে। বাফা জানায়, এসব স্থানে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কৃষক দাম পাচ্ছে না, আবার ভোক্তা বেশি দামে কিনে খাচ্ছেন’- এ রকম খবর এখন গণমাধ্যমে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। বিগত কয়েক দিন ধরেও আমরা গণমাধ্যমে দেখছি যে, বেগুন, লাউ, মুলাসহ বিভিন্ন শাকসবজি কৃষক ও উৎপাদক পর্যায়ে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে; বিপরীতে ঢাকায় ভোক্তা পর্যায়ে দাম অনেক বেশি।  এমন পরিস্থিতিতে, মধ্য স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পান এবং ভোক্তারাও যাতে সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পারেন—এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ২৭ রমজান পর্যন্ত  উদ্যোগটি চলবে। পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:২২

ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ধান খেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (২৪ মার্চ) সকালে কাশিয়ানী থানার রামদিয়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার গভীর রাতে কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন নিশ্চিন্তপুর গ্রামে বিশ্বম্বর বিশ্বাসের ছেলে সনাতন বিশ্বাস (৫৫) এবং একই গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে কালু শেখ (৪৫)।  স্থানীয়রা জানায়, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তাজের বিশ্বাস ও হারুন বিশ্বাস শনিবার রাতে তাদের ধানের জমিতে ইঁদুর মারার জন্য জিআই তারের সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখেন। রাতে ধানখেতে সেচ দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন সনাতন বিশ্বাস ও কালু শেখ। এরপর দীর্ঘ সময় পারও তারা বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে খুঁজতে গিয়ে কৃষক তানজের বিশ্বাস ও হারুন শেখের জমিতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদের জিআই তারে তাদেরকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখ। পরে স্থানীয়রা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ওই কৃষকদের বাড়ি নিয়ে যায়। কাশিয়ানী থানার রামদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মরদেহ স্বজনেরা ঘটনাস্থল থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে কার জমিতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়েছে বা কার বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ লাইন এনেছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।   
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৯

টেকনাফে অপহৃত ৫ কৃষকের ৪ জন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে অপহৃত পাঁচ কৃষকের মধ্যে চারজনকে দুর্বৃত্তরা পুলিশের অভিযানের মুখে ছেড়ে দিয়েছে। অপরজনকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন পশ্চিমের গহিন পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।   উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩), একই এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) ও মো. ছৈয়দুল্লাহর ছেলে মো. শাওন (১৫) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫)। জিম্মি থাকা মোহাম্মদ নুর (১৮) একই এলাকার বাসিন্দা।  গত বুধবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় খেতে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন অপহৃত ওই পাঁচজন কৃষক। বৃহস্পতিবার ভোরে একদল দুর্বৃত্ত তাদের তুলে নিয়ে যায়।  অপহৃতদের স্বজনেরা জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি তাদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নুরের স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃত পাঁচ কৃষককে উদ্ধারে পুলিশ ও র‍্যাব যৌথ অভিযান চালায়। পরে রাতে টেকনাফের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহিন পাহাড়ে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে কোণঠাসা হলে দুর্বৃত্তরা চারজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।  এ সময় উদ্ধার হওয়াদের চোখ-মুখ ও হাত-পা বাঁধা ছিল না। তারা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দেওয়ার আগেই তাদের চোখের বাঁধন খুলে দেয়। জিম্মি হওয়ার পর থেকেই তাদের চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকলেও হাত-পা খোলা ছিল।  ওসি জানান, অপহৃতদের মধ্যে একজন এখনো জিম্মি রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯

হাওরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই
কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত ইটনা উপজেলায় এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প সার, কীটনাশক প্রয়োগে আশানুরূপ মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম না-পাওয়ায় কুমড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। হাওরে পাইকার না আসায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। কাঙ্ক্ষিত দাম ও সবজি পচন রোধে হাওরে হিমাগার নির্মাণের দাবি কৃষকদের। ইটনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৭৪০ একর জমিতে সুইট বল, ইউলোকার্ট, ওয়ান্ডার গোল্ড ও বারী মিষ্টি কুমড়া-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর ব্যাপক ফলন হলেও, কাঙ্ক্ষিত দাম না-পাওয়ায় হতাশায় ভুগছে কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পতিত ও অনুর্বর জমিতে কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভের আশায়, মহাজনী সুদের টাকা নিয়ে সবজি চাষ করেন কৃষকরা। উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে বিক্রি ও ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষকরা কয়েক শত কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বড়িবাড়ি, রায়টুটি, বাদলা ও এলেংজুরী, মৃগা ও ধনপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাড়ে ৭০০ প্রান্তিক কৃষক ৪৭০ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছে। গত বছরের হিসেবে এবার চাষ ও উৎপাদন বেড়েছে। একর প্রতি ১৮-২০ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধনুনদীর তীরে বড়িবাড়ি ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জমিতে আবাদে পরে আছে পরিপক্ব মিষ্টি কুমড়া। অনেক পচা কুমড়া তুলে নিয়ে নদীতে ফেলছেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে হাওরাঞ্চলের সবজি কিনতে গড়িমসি ও কম দাম দিচ্ছে। এতে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক পরিবারগুলো। এই ব্যাপারে কৃষি বিপণন বিভাগের সহায়তা চান তারা। কৃষক আবদুল কাদির বলেন, বেশি লাভের জন্য ধার-কর্জ করে এবার সাড়ে চার একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছি। ভালো ফলন হইছে, কিন্তু বেচা-বিক্রি করতে পারি না। ৬ লাখ বিক্রির আশা করছি, বিক্রি হইছে ৩ লাখ টাকা। এখন পাইকার আসেনা, পচন ধরেছে কুমড়ায়। কৃষক রাজ্জাক মিয়া বলেন, কুমড়া ৭-৮ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু হাওরের বিভিন্ন হাট-বাজারে চার-পাঁচ গুণ বেশি দরে বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। সবজি চাষে কৃষক থেকে ফড়িয়াদের লাভ বেশি। হাওরে হিমাগার থাকলে সুবিধামত সময়ে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারতাম সবজি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উজ্জ্বল সাহা বলেন, আমিও বিভিন্ন সূত্রে শুনেছি মিষ্টি কুমড়া চাষিরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে না। আমরা সারা বছর কৃষকদের উৎসাহিত করে উৎপাদন বাড়ায়। উপযুক্ত দাম না পান এতে উৎসাহ হারাবে কৃষক। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দামের বিষয়ে সরকারি সহযোগিতা কামনা করি। 
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৪

কৃষকের জন্য সারা বছরই সেচ সুবিধা দেবে সরকার 
কৃষকদের সারা বছর সেচ সুবিধা দিতে এখন আর কোনো নির্দিষ্ট মৌসুম রাখছে না সরকার। আগে ডিসেম্বর থেকে মে মাস সেচ মৌসুম বিবেচনা করা হলেও নতুন সেচ নীতিতে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কৃষকদের সারা বছর সেচ দেওয়ার সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আর এখন থেকে আবেদনকারী কৃষকরা সারা বছরই পাবেন সেচ সংযোগ। নীতিমালা অনুযায়ী, ওভারলোডের ওজুহাতে সেচ সংযোগ বন্ধ রাখা যাবে না।  ‘সেচ নীতিমালা ২০২৪’–এ বলা হয়েছে, আউশ, আমন ও বোরো ধান উৎপাদনের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, তেল জাতীয় ফসল, হলুদ, আদা, শাক-সবজি, মৌসুমি ফুল-ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে সকল ধরণের কৃষিকাজ সেচ কাজের আওতাভুক্ত হবে। এখন থেকে বৈদ্যুতিক সেচ কাজের জন্য আলাদাভাবে কোনো মৌসুম থাকবে না। স্থানীয় এলাকার প্রয়োজন সাপেক্ষে এখন থেকে সারা বছর বৈদ্যুতিক সেচকাজ পরিচালনা করতে পারবে। তাই বছরব্যাপী সেচ সংযোগ আবেদনকারীদের দ্রুত সংযোগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে নীতিমালায়।   আগে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত সেচ মৌসুম বিবেচনা করা হতো। এ সময়ের বাইরে আবেদন করলে পাওয়া যেত না সেচ সংযোগ। এটিকে সাধারণত বোরো মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে দেখা যায় সারা বছরই কোনও কোনও এলাকায় সেচের প্রয়োজন হয়। তখন সংযোগের আবেদন করলে তা পাওয়া যেতো না।  নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও বিধি-বিধানের আলোকে প্রদত্ত উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র এবং জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে দ্রুত নতুন সেচ সংযোগ প্রদান করতে হবে।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেচে সরকার ভর্তুকিমূল্যে বিদ্যুৎ দিয়ে থাকে। এই বিদ্যুৎ যাতে অন্যকাজে ব্যবহার না হয় এ জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেচের জন্য যত্রতত্র পানির পাম্প বসানোর পর পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এজন্য পাম্প বসানোর আগে সেচ কমিটির অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া বোরিং স্থান পরিবর্তন করা হলে নতুন সংযোগ প্রদান করা যাবে না এবং বিদ্যমান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। কোনও কারণে সাময়িকভাবে গ্রাহকের সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে কেবলমাত্র সংযোগ বিচ্ছিন্নের অব্যবহিত পরবর্তী বছরে পুনঃসংযোগের সময় নতুন করে উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে না। সেচ নীতিমালায় বলা হয়েছে, ওভারলোডের কারণে কোন সেচ সংযোগ বন্ধ রাখতে হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুত ওভারলোড নিরসন করে সেচ সংযোগ প্রদান করতে হবে। এ ব্যাপারে শিথিলতা প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক/শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  নতুন সেচ গ্রাহকের লাইন নির্মাণসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ সঠিক সময়ে নিশ্চিত করার জন্য ওভারলোডেড লাইন, উপকেন্দ্রসমূহের আপগ্রেডেশন ও ট্রান্সফরমারসহ মেরামত কার্যক্রম সম্পন্নের লক্ষ্যে (লোড বিভাজন, ফিভার বিভাজন, ১১ কেডি লাইনে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নয়নে ক্যাপাসিটর স্থাপন ও ভোল্টেজ উন্নয়নে লাইন রেগুলেটর স্থাপন ইত্যাদি) সংশ্লিষ্ট জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী (এসওডি) গণের সহায়তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেচ সংযোগপ্রত্যাশী যে গ্রাহক উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র আবেদনের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জমা দিবেন তিনি নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, কোনও কোনও এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে লোড বৃদ্ধি তথা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হর্স পাওয়ারের মোটরের প্রয়োজন দেখা দিলে সাব-মারসিবল পাম্প স্থাপন করতে হতে পারে; এ ক্ষেত্রে সেচ পাম্পটি অবশ্যই কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে এবং ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা অনুসরণের শর্ত মেনে চলতে হবে। সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি-গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, এখন সারাবছরই নানা ফল আর ফসলের আবাদ হয়। এসব আবাদে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। কৃষক যাতে সমস্যায় না পড়ে সেজন্যে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

হাসপাতালে গলায় ব্লেড চালিয়ে কৃষকের আত্মহত্যার চেষ্টা 
হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মো. জামাল হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় একজন কৃষক। বুধবার (৬ মার্চ) রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে। লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের বাইট্টাপাড়া এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন। স্বজনরা জানায়, জামাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পায়ের ইনফেকশন নিয়ে লংগদু উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনার দিন দুপুরে হাসপাতালে তার স্ত্রী তার কাছ থেকে কাজের প্রয়োজনে দূরে যায়। এ সুযোগে গলায় ব্লেড দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এতে করে তার গলার শ্বাসনালী কেটে যায়।  জামালের স্ত্রী জানান, গত রাতে তিনি চিকিৎসা খরচ চালাতে পারবে না বলে চিন্তা করছিলেন। আমি চিন্তা করতে বারণ করলেও তিনি দুপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।  লংগদু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেজবাহ উদ্দীন জানান, তিনি কি কারণে এমন করেছেন সেটা কারোর জানা নেই। তবে পরিবার বলছে অর্থনৈতিক কারণে এমনটা হতে পারে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।  রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মো. শওকত আকবর জানান, আহত জামালের অবস্থা তেমন ভালো নয়, তাই তাকে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়