• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই : আইনমন্ত্রী
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সংকটের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এই কথা জানান।  মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন মহলে একাধিক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক টানাপোড়েনের যে শঙ্কা ছিল, নির্বাচনের পর তা কেটে গেছে।  হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক ইস্যুতে আইনমন্ত্রী বলেন, আজ বিশেষ একটি বিষয়ে আলাপ করেছি। সেটা হলো ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি আছে, সেখানে আমাদের ১২০৬ জুডিশিয়াল অফিসার ট্রেনিং নিচ্ছেন। আরও প্রায় দুই হাজার ট্রেনিং নেবেন। নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আজকে সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বৈঠকের বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের যাবতীয় বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে। বিশেষ করে কথা হয়েছে দুই দেশের জুডিশিয়ারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে, যেখানে পারস্পরিক জ্ঞান ও জানাশোনা বিনিময় হবে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২২

সরকারের সামনে ৩ চ্যালেঞ্জ, কূটনৈতিক সম্পর্কে জোরদারের পরামর্শ (ভিডিও)
নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ সব থেকে বেশি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের জন্য আগামীর কূটনৈতিক পথ মসৃণ নয়, তবে আলাপ-আলোচনা বাড়িয়ে এ সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। জাতিসংঘ ছাড়াও পশ্চিমা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে ছোটখাটো টানাপোড়েন দেশের স্বার্থে সমস্যা সমাধানের পথ এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা। আরও পড়ুন : ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ, মামলার রায় আজ   রাজনীতিতে চরম নাটকীয়তার বছর ছিল ২০২৩। সরব ছিল কূটনৈতিক তৎপরতা। ২০২৩ সালের শেষে নির্বাচনের তফসিল ও ২০২-এর শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দেশের রাজনীতিতে আগে এত কূটনৈতিক তৎপরতা না-থাকলেও এবারের এমন তৎপরতার পর বিভিন্ন মহলে কথা উঠছে এ বিষয়ে। এমন বাস্তবতায় আলোচনা ব্যতীত কূটনৈতিক সমাধানের পথ দেখছেন না সাবেক কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কিছুটা সমস্যা হয়ে থাকলে সেগুলো ঠিক করে নতুন করে এগিয়ে যেতে হবে। ভারত, চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কগুলোকে আবার ঝালিয়ে নিতে হবে।  ফয়েজ আহমেদ আরও বলেন, পশ্চিমাদেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। তবে যেসব বিষয়ে টানাপোড়েন বা প্রশ্ন এসেছে সেসব দেশের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।  আরও পড়ুন : জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে ফের বাংলাদেশের নির্বাচন   আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খানের মতে, পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক আগ্রহ আছে বাংলাদেশে। তাই দূরত্ব তৈরি হওয়ার সম্ভবনা কম। তিনি বলেন, বর্তমানে তাদের সঙ্গে দূরত্বতা আদর্শিক, সেটা আলোপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।  পশ্চিমাদেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক কার্যক্রমকে আরও কৌশলী ও শক্তিশালী করবেন বলে প্রত্যাশা বিশ্লেষকদের।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৯

২০২৪ সালে কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ওভারকাম করা যাবে। আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ইস্যুগুলো সমন্বয় করতে পারলে চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। সোমবার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ২০২৪ সালে অর্থাৎ নতুন বছরে কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের মাত্রা তা নতুন পর্যায়ে নিতে চাই। যেমন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ, কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং ইপিএ বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি ইত্যাদি বিশেষ অ্যারেঞ্জমেন্টে যেতে হবে। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শ্রমখাতের কিছু বিষয় রয়ে গেছে। যা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে কাজ হচ্ছে। এ বিষয়ে আরও সিরিয়াসলি কাজ করতে চাই। শ্রম বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে রোডম্যাপ আছে তা যেন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি সেই চেষ্টা করব। এতে বাণিজ্য নিয়ে যেসব ধারণামূলক কথাবার্তা চলছে তা প্রতিহত করা যাবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সতর্ক আছি। শিশুশ্রম নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি, আরও নিতে হবে। এর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই। বিদেশে কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রেমিট্যান্স ইস্যুতে আরও নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি গড়তে হবে এবং বিদেশি শ্রমবাজার নিয়ে যেসব সমস্যা আছে তার সমাধান করতে হবে। চাই দক্ষ কর্মী বিদেশে যাক, যাতে সংখ্যায় কম কর্মী বিদেশে গেলেও দেশে বেশি রেমিট্যান্স আসে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, একদম বিপদে পড়ে গেছি তা কিন্তু নয়। আমাদের আরও সাবধানে চলতে হবে। যদি বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করি, তাহলে শঙ্কার খুব একটা কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় কিছু শঙ্কা নিজেরাই তৈরি করি। অনেক সময়ে দেখি যে বাজারে একদিনের মধ্যে আলু বা কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যখন চাহিদা অসম্ভব বেড়ে যায়, যোগান একই ধরনের থাকে তখন দাম দ্বিগুণ হতে পারে। কিন্তু আমরা কি একদিনে আলু বা কাঁচা মরিচ খাওয়া দ্বিগুণ করেছি? নিশ্চয়ই করিনি। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নতুন সরকার আসার পরে সামষ্টিক অর্থনীতির যে বিষয়গুলো আছে, স্থিতিশীলতার ইস্যুগুলো আছে যেমন মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। নতুন সরকার আসার পর যিনি অর্থমন্ত্রী হবেন তিনি গভীরভাবে সেগুলো দেখবেন।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়